Pages

Saturday, July 4, 2009

দেশের টাকা দেশে রাখুন

আমরা অনেকেই বিদেশি দ্রব্যাদি ব্যবহার করিনা। বিদেশী কাপড় পড়ি না । এটা দেশাত্মবোধের একটা ভাল লক্ষণ । কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের মধ্যে কিছু ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আছে যারা আমাদের মত দরিদ্র দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাচ্ছে।মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে ঠিকই কিন্তু বিদেশী কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।মোবাইল ফোনের কলরেট কমানোর জন্য অনেক পূর্বেই টেলিটক মোবাইল চালু হওয়ার প্রয়োজন থাকলেও আমাদের দেশপ্রেমিক কর্তা ব্যক্তিরা কমপক্ষে ৫ বছর পর এ ফোনটিকে বাজারে আসতে দিয়েছে।বর্তমানে যেকোনো মোবাইল বা ল্যান্ডফোনে কথা বললে ৬৬ পয়সা এটাই সর্বনিন্ম রেট। সবচেয়ে সাশ্রয়ী হল ল্যান্ড ফোনে কথা বলা,টেলিটক ব্যতীত অন্য মোবাইল হতে ল্যান্ডফোনে কথা বললে ল্যান্ডফোন রেট + মোবাইল কলপ্রতি বিল দিতে হয় আর টেলিটক শুধু ল্যান্ডফোনের বিল দিতে হয়। এছাড়া টেলিটকের আন-লিমিটেড ইন্টারনেট ৬৬৬ টাকা।ইন্টারনেটের গতি সব নেটওয়ার্ক থেকে বেশী ১১৫ কেবিপিএস খানে দেশের সর্ববৃহৎ কোম্পানি দিচ্ছে গড়ে ১৬ কেবিপিএস।কারণ সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ ভাড়া নিয়ে অন্য অপারেটররা ব্যবসা করছে আর টেলিটক সাবমেরিন ক্যাবলের এর সাথে সরাসরি যুক্ত। দেশের বাইরেও এ মোবাইলে খরচ কম।এত সুবিধা থাকতে আমরা কেন বিদেশে টাকা দিব। কারণ অনেকে বলবেন,এদের নেটওয়ার্ক ভাল নয়। আগে খারাপ থাকলেও বর্তমানে ভাল। আমি গত তিন বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি। কোন সমস্যা পাইনি।এ বছরের মধ্যে আরও ৭২৫টি বিটিএস বসালে এদের নেটওয়ার্ক অনেকের চেয়ে উন্নত হবে। টেলিটকের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত নই কারণ কল সাশ্রয় এবং কম সংখ্যায় গ্রাহক থাকায় এদের বিঞ্জাপনের সংখ্যা কম। বাংলাদেশের একটা ল্যান্ড ফোন কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল রেংগস টেলে কথা বলুন, দেশের টাকা দেশে রাখুন । তখন ইষ্ট ইন্ডিয়া টাইপ কোম্পানী গুলি মামলা করে যে, আমরাও এদেশে ১৫% রেভিওনিউ দিচ্ছি তবে নেগেটিভ প্রচারণা কেন। আশ্চার্য জনকভাবে বিদেশীরা জয়ী হয় । আমাদের দেশের সরকার বর্তমানে সরকারী কর্মকর্তাদের মোবাইল বিল দিচ্ছে । এ বিলটি যদি টেলিটকে দেয়া হত তবে অনেক টাকা সাশ্রয় হত। তেমনি সরকারী ১২ লক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা সরকার বিশাল কর্পোরেট নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে যেখানে দেশের বিপুল টাকা সাশ্রয় হবে। টেলিটকের পক্ষে কোন পত্রিকা বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কোন লেখা বা প্রচারণা করবে না কারণ এতে বিদেশিরা নাখোশ হবে। আমরা দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারি। নিচে টেলিটকের লিংকটা দেয়া হল।

http://www.teletalk.com.bd/

Wednesday, June 24, 2009

আপারেশনের প্রস্তুতি জন্য চেকলিষ্ট

১. ইউনিফরম-৪ সেট(এক সেট ভাল)।
২. বুট-২ জোড়া।

৩. গেন্জি- ৪টি।
৪. আন্ডার ওয়্রার-৬টি
৫. শট্স-২টি।
৬. লুংগি-২টি।
৭.  গামছা-২টি।
৮.  মোজা-৬সেট।
৯. বুটকালী+ব্রাশ।
১০.  টুথপেষ্ট+ব্রাশ।
১১. রেজার+ফোম।
১২. ফাষ্ট এইড বক্স-(পেরাসিটামল,খাবার স্যালাইন,ব্যান্ড ইট,সেভলন ক্রীম,এন্টি ফাংন্গাল ক্রীম,ফ্লাজিল ট্যাবলেট,এলাট্রল)।
১৩. ঢেটল/এন্টিসেপকটিক সাবান।
১৪. এন্টিসেপটিক পাউডার+অলিভ ওয়েল।
১৫. সিগারেট বক্স/পলিথিন প্যাকেট।
১৬. রেইন কোট।
১৭. লাইট বেডিং।
১৮.পলিথিন/গ্রাউন্ড সীট।
১৯. ফাইল- এক্সসারসাইজ পেপার,অডার ফরমেট,প্রেসি।
২০.স্কেল-এ ।
২১. ট্রলি ব্যাগ।
২২. মোবাইল চার্জার।
২৩. টর্চ লাইট+চার্জার লাইট।
২৪. রেডিও।
২৫. টেবিল ফ্যান।
২৬. সিভিল ড্রেস ।

Sunday, June 21, 2009

দূ:চিন্তামুক্ত জীবন যাপন


এডিট করে স্বনির্বাচিত কলাম ২য় খন্ডে প্রকাশ
আমরা যদি দূ:চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করতে চাই । আমাদের কন্টিজেন্সি প্লান করতে হবে। যা আমরা সামরিক চাকুরীতে সর্বদা করে থাকি । তাহলে যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রস্তুত রাখা যাবে । আমাদের চাকুরী জীবনে কি কি বৈরী পরিবেশ দেখতে পারি তা নিন্মরুপ হতে পারে। তার জন্য আমাদের অবশ্যই চেকলিষ্ট তৈরি রাখতে হবে ।

১. যে কোন সময়ে নিজ ও স্ত্রী সহ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে সন্তানদের কি ব্যবস্থা হতে পারে।
২. যে কোন সময়ে নিজের মৃত্যু হতে পারে তার জন্য স্ত্রী কিভাবে কি করবে তার পূর্ব পরিকল্পনা ।
৩. চাকুরী হতে যে কোন সময় বরখাস্ত হলে করনীয় ।
৪. চাকুরী হতে অকালীন অবসরে করণীয় ।
৫. যে কোন সময়ে চাকরী ছাড়তে তার পূর্ব পরিকল্পনা ।
৬. স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে যাওয়া প্রস্তুতি ।

উপরের বিষয়গুলো মোকাবেলায় আমার চেকলিষ্ট কি তা সবার সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করার আশা রাখছি । আমার তিন সন্তানের বড় পরিবার । আমি ও আমার স্ত্রী মধ্যবিত্ত পরিবার ভুক্ত তাই আমার চেকলিষ্ট অপেক্ষা অন্যদের জীবন আরো সহজ হবে।আমি একটা গল্প শুনেছিলাম কোন একজন জেনারেল অকালীন অবসরে পাঠানো হলে সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরতে গিয়েছিল,চাকুরী বাচাতে ।জীবনের কি চরম পরাজয় আর অমর্যাদা ।কম পড়ে,কম খেয়ে মাথা উঁচু করে বাচাটা একজন সামরিক নেতার লক্ষ্য হাওয়া উচিত ।আমাদের জীবনযাত্রা এমন হওয়া উচিত যাতে এ মূহুর্তে চাকরীচ্যুত হলে বাহিরে একই জীবনযাত্রার মান বাজায় রাখতে পারি । আমাদের লক্ষ্য একটাই দেশের কল্যাণে আর মানব কল্যাণে আত্ম উৎসর্গ । আর ভয় কেবল আল্লাহকে পাওয়া উচিত,কোন মানুষকে নয় ।
আমরা সবসময় যেটা আতংকে থাকি তা হল বদলি আতংক এর জন্য আমরা যা করতে পারি :
১. প্যাকিং সামগ্রী প্রস্তুত রাখা ।
২. সমস্ত সেনানিবাস সম্পর্কে ধারনা অর্জন ।
২. ট্রান্সপোর্ট কোথায় ও কত ভাড়া হতে পারে ।
৩. আসবাবপত্র সীমিত রাখা ও সহজ জীবনযাপন করা ।
৪.  সন্তানদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য করনীয় ।
৫. মালপত্র গুছানোর জন্য কি ধারাবাহিকতায় করা হবে তার জন্য চেকলিষ্ট ।
৬. সেনানিবাসের বিভিন্ন ক্লিয়ারেন্স করতে কি পরিমাণ টাকা লাগবে তার জন্য হিসাব ।
৭. বদলীতে কত টিএ/ডিএ পাওয়া যাবে বাকী কত টাকা যোগাড় করতে হবে ।
৮. বদলির প্রস্তুতি হিসাবে ছুটির দিনে টিভি কম দেখে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করা যেতে পারে ।


চাকুরী পরবর্তী জীবনের জন্য কিছু অনুশীলন :
১. কোন একটা সময়ে সম্পূর্ণভাবে বাহিরে চিকিৎসা করা । আমি বগুড়া সেনানিবাসে থাকাকালীন সময়ে আমার পরিবারের সম্পূর্ণ চিকিৎসা বেসামরিক ডাক্তার দ্বারা করাই ও আমার নিজের ঔষধ বাইরে থেকে ক্রয় করি । এতে দুই বৎসরে আমার ৭০০০ টাকা খরচ হয় । আমার স্ত্রীর দুইটি সিজার অপারেশনে ১০০০০০ টাকা খরচ হয় ।সুতরাং প্রায়শ: চিকিৎসা আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকে ।

২. কুমিল্লা থাকাকালীন সময়ে ৬ মাসের জন্য একদিনও অন-পেমেন্ট গাড়ী ব্যবহার করিনি । এতে গাড়ীর পিছনে গ্যাস ও অন্যান্য খরচ আনুমানিক ছয় মাসে ৬০০০ টাকা ।

৩. সরকারী সুযোগ ও জনবল কম ব্যবহার করে নিজে সমস্ত কাজ করে বাহিরের জীবন সম্পর্কে অনুশীলন করা যেতে পারে ।