Pages

Thursday, August 30, 2018

ভিন্নধর্মী চিকিৎসা সাওল সেন্টার


আমি দীর্ঘ চার বছর যাবত আমার লিপিড প্রোফাইল(এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা) দেখছি। টিজি বা ট্রাই গ্লিসারাইড(চর্বি জাতীয় উপাদান) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী। আমি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে রাইস ব্রান ওয়েলঅনেক দিন থেকে খাচ্ছি। মাঝে মাঝে ঔষধ খাই। আমার ৪৮ বছর বয়সে টিজি বেশী; ভাল লক্ষণ নয়। আমি আমার বয়সী দুই বন্ধুর হার্ট ব্লক ধরা পড়ার পর ২০১৮ সালে ৬ বছর হল আমি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি। যারা ডেক্সে বসে বসে কাজ করে তারা মাঝে মাঝে মোটা হয়ে যায়। টিজি ও কলস্টোরেল বেড়ে যায়। এটা দ্বারা আমরা স্বাভাবিক ভাবেই হার্টে ব্লকের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাই। ওভার ওয়েটের হালকা সমস্যাটা কমাতেই পারছি না।
চায়ে চিনি খাওয়া ছেড়েছি ২০১৮ সালে প্রায় ১৫ বছর হবে। এখন কোন চা বা কফি চিনি দিয়া দিলে কেমন কেমন লাগে। আমার এই অভ্যাসটা ভীষণ উপকারে লেগেছে। আমার রক্তে সুগারের মাত্রা সর্বদাই স্বাভাবিক। আমি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর জন্য সমস্ত কারীতে তৈল কম খাচ্ছি। ভাজা পোড়া কম খাচ্ছি। ধূমপান ছেড়েছি। তাও স্বাভাবিকের চেয়ে হালকা ট্রাই গ্লিসারাইড রক্তে বিদ্যমান থাকছে। এই বিপর্যয় থেকে বাচার উপায় আছে কি? সবাই বলবেন, দৌড়-ঝাপ বাড়িয়ে দিন। আমি বিভিন্ন অল্টারনেটিভ তৈল খুঁজছি রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইড কমানোর জন্য। সত্যি কঠিন কঠিন অপশন ছাড়া, কেউ কোন সহজ অপশন বলছে না। সেদিন একটা ইউটিউব ভিডিও দেখে আমার ধারণা বদলে গেল, ভারতের ডাক্তার বিমল তিনি বিনা কাটা-কাটি ও অপারেশনে হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন। আমি গত ১৫ বছর চায়ে চিনি খাই না। আমার সুগার লেভেল উপরে উঠেনি।
দেখলাম ডাঃ বিমল এরূপ একটা মাত্র টিপস ফলো করে। "সাওল" বা "সাইন্স এন্ড আর্ট অব লিভিং" নামে প্রতিষ্ঠান করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। যদি ডায়াবেটিক রোগীরা কঠিন রকম লাইফ স্টাইল ফলো করে সুস্থ থাকতে পারেন। তবে হৃদরোগীরাও বিনা অপারেশনের বেচে থাকার জন্য জীবনধারণ ও খাদ্যাভ্যাসের কিছু অপশন মেনে চললেই সুস্থ থাকবে।
আমার রক্তের ট্রাই গ্লিসারাইড না কমায় আমি বেশ মনঃকষ্টে দিনানিপাত করছিলাম। অনেক রকম তৈল বদল করে খাওয়া, দৌড়-ঝাপ বাড়ানো ইত্যাদিতে সামান্যই পরিবর্তন হচ্ছিল।
ডাঃ বিমলের ইউটিউব ভিডিও থেকে প্রথম জানতে পারলাম, খাবারে তৈল একদম বন্ধ করা যায়। যে কোন তৈল খাই না কেন রক্তে টিজি বাড়বেই। তাই টিজি কমানোর উপায়ই হল সুগারের মত তৈল খাওয়া বন্ধ করা। যেভাবে আমি চাতে একদম চিনি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি প্রায় এক যুগ। এটাও সেই রকম একটা ব্যবস্থা। আমাকে একদম তৈল খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। সমস্ত খাবারে ডাঃ বিমল বললেন, তৈল ছাড়া কারী থেকে শুরু করে সব ধরনের রান্নাই করা সম্ভব। খারার কাবাব বা বেক করে খেলে তৈল লাগে না। এটা রান্নার থেকেও মজা। তিনি আরো বললেন। যাদের রক্তনালীতে টিজি ও কলস্টোরেলের স্তর জমে তা ব্লকের দিকে যাচ্ছে, তা তৈল না খেয়ে কমানো যাবে।  
এটা জানার পর আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে তৈল ছাড়া রেসিপি ট্রাই করলাম। দেখলাম, এটা করা সম্ভব। স্বাদ তেমন খারাপ নয়। চিনি ছাড়া চা বা কফি থেকেও তৈল ছাড়া খাবারের টেস্ট ভাল। আমি নিশ্চিত তৈল ছাড়া খেয়ে অভ্যাস করলে এক সময় তৈল ছাড়া আর মন্দ লাগবে না। তার একটা কথা তৈলে কোন স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ নাই। তৈল চামচ দিয়ে খেলে কোন রকম স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে তরকারীর স্বাদ কোথা থেকে আসে। তরকারীর স্বাদ আসে মশল্লা থেকে। মশল্লাকে ভালভাবে পানিতে কষিয়ে নিলে ও সিদ্ধ করে মশল্লার কাচা গন্ধ দূর করে তার মধ্যে যে কোন সবজি সিদ্ধ করলেই হল। আমি পড়ে অবাক হয়ে লক্ষ করলাম। ইউটিউবে জিরো ওয়েলের উপর অগণিত রেসিপি আছে। আমি হিটিং ওভেন দিয়ে জিরো ওয়েল ফেঞ্চ ফ্রাই বানালাম। ছেলেরা,মেয়ে ও স্ত্রী এতই পছন্দ করল; তারা ডিমান্ড করল হলি ডে তে করতে হবে। আমি অনেক পড়াশোনায় নিশ্চিত হলাম। তৈল ছাড়া ভাজা পোড়া অনেক আইটেম তৈল ছাড়া বেকিং ছাড়া খাওয়া যায়। ভর্তায় সরিষার তৈল না মিশিয়ে বানানো যায়। তৈল ছাড়া রান্না করে খাওয়াটা হল মাইন্ড সেটঅনেকটা চিনি বিহীন চায়ের মত।
এটা প্রমাণিত চিনি ও চিনি আছে এ ধরণের খাবার না খেলে রক্ত‌ে সুগার বাড়ার কোন কারণ নেই। তেমনি  তৈল ছেড়ে দিলে রক্ত‌ে চর্ব‌ি কমবে এটা যে কেউ বিশ্বাস করবে। এরপরও কারো কলস্টোরেলের সমস্যা থাকলে সমস্ত প্রাণীজ প্রোটিন ধী‌রে ধী‌রে ত্যাগ কর‌তে হবে। কারণ সমস্ত প্রাণীজ প্রোটিনে কোলস্টোরেল আছে। এটাই স‌লিউশন। এই পদ্ধতি তা‌দের জন্য; যা‌দের টাকা কম আছে। দুই লক্ষ টাকায় রিংপড়া‌নো ও দশ লক্ষ টাকায় বাই পাস সার্জারিকরা‌নোর টাকার অভাব আছে তারা ডাঃ বিমলের পদ্ধতি অনুসরণ ক‌রে ভাল থাক‌তে পারবেন; সন্দেহ নেই। পরিশেষে বলব, আগে থেকে সতর্ক হ‌য়ে লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করার প্রচেষ্টা আমরা সবাই ক‌রে দেখ‌তে পারি। বাকীটা সৃষ্টিকর্তার হাতে।

Friday, August 24, 2018

জীবন্ত দেয়াল


আজকাল বাউন্ডারি মাপার জন্য ডিজিটাল সিস্টেম আছে। প্রতিবেশী চাইলেই কি আমার সীমানা দখল করতে পারে। অবশ্যই না। প্রতিবেশীর সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধ না করার জন্য সবাই প্রথমেই দেয়াল দেয়। টাকা পয়সা ভালই খরচ হয়। এই দেয়ালটা মাটি পর্যন্ত দিলে কেমন হয়। তাহলেও মাপ থাকে। বাকীটা না করলে চলে না। এখন সবাই বলবে চোর ঢুকবে। ডাকাত ঢুকবে। গরু ঢুকবে। ছাগল ঢুকবে। আসলেও তাই। ভয়াবহ সত্যি কথা। আমি গ্রিল করে দিলে কেমন হবে। মানুষ, গরু, ছাগল ঢুকতে পারবে না। এখন তাইলে একটি বিষয় বাকী থাকে তা হল প্রাইভেসী। বাইরে থেকে মানুষ দেখে ফেলবে ভিতরে কি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গ্রিলের উপর বাঁশের বেড়া ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে?
আমরা সীমানা মাটি পর্যন্ত দেয়াল করে সীমানাটা ঠিক করে নিতে পারি। দেয়াল না দিয়ে গ্রিল করে প্রটেকশন করতে পারি। তাহলে এখন বাকী রইল বাড়ীর প্রাইভেসী। এটা কি করে রক্ষা করা সম্ভব। এটার জন্য দেয়াল লাগবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। বেড়া না দিয়ে গ্রিলের বেড়ার চারিদিকে আমরা কি করতে পারি? যাতে প্রাইভেসী রক্ষা পাবে। সেটা আর কিছুই না। আমি জানি এটা অনেকের মাথার মধ্যে চলে এসেছে। আমরা জীবন্ত গাছ ও লতা পাতা লাগিয়ে সেই প্রাইভেসী রক্ষা করতে পারি। জীবন্ত গাছের বেড়া সব ধরনের প্রটেকশন দিতে পারবে যেহেতু তার সাথে আমরা গ্রিলের পরিকল্পনা করেছি। আমাদের শহর জীবনে গাছের বড় অভাব। অক্সিজেন ফ্যাক্টরি আমাদের শহরে তৈরি করতে হবে। আপনি আপনার বাড়ীর চারদিকে দেয়াল তুলে দিলেন। কি পরিমাণ ইট গেল চিন্তা করুন। তার চেয়ে এটা ভাল নয়কি মাটি থেকে ছয় থেকে বার ইঞ্চি পর্যন্ত আপনি ইট বসান বাকীটা খোলা রাখুন। এখন চারিদিকের বাউন্ডারির উপর হালকা ঢালাই দিয়ে গ্রিল বসিয়ে দিন। সেই গ্রিলগুলির উচ্চতা আপনার নিরাপত্তা ও প্রতিবেশীর ধরনের উপর নির্ধারন হতে পারে।
এবার গ্রিলের বেড়াটা অবলম্বন করে আপনি অরনামেন্টাল লতা জাতীয় গাছ আপনার বাউন্ডারির ভিতরে দিকে লাগিয়ে দিন। তবে আপনার সাথে আপনার যে প্রতিবেশী সীমানা মানবে না তাকে দেয়াল তুলতে বলুন। সেই ক্ষেত্রে আপনি দেয়াল তোলার খরচ কমাতে পারলেন। আপনার সাথে যে প্রতিবেশী গ্রিন দেয়ালে খুশী তার সাথে আপনি গ্রীল দেয়ালে থাকলেন।
আমরা সাধারণত মেহেদী গাছ, জবা গাছ, চিকন বাঁশ গাছ, বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ, লতা জাতীয় শাক সবজী গাছ আমরা বেড়া হিসাবে লাগাতে পারি। ইন্টারনেটে লিভিং ফেন্স নিয়ে সার্চ দিলে গাছ আর আইডিয়ার কোন ঘাটতি হবে না। বাকী যেটা ঘাটতি থাকবে তা হল আমাদের ইচ্ছা আমরা চাই কিনা। শহরের বাড়ীগুলোর সীমানা প্রাচীর একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই প্রাইভেসী ও নিরাপত্তা রক্ষা করে গ্রিল দিয়ে তার চারিদিকে গাছ লাগানো হতে পারে ভাল সলিউশন। এটা আমাদের সবুজের মাঝে থাকতে সহায়তা করবে। চিন্তা করুন দেশে যত উপশহর ও শহর হচ্ছে তাতে আপনারা বাউন্ডারি দেয়াল না দিয়ে জীবন্ত গাছের দেয়াল করলেন। আপনি পরিবেশের বিশাল উপকার করলেন; দেয়াল তৈরির খরচ কম করলেন। প্রতিবেশীর সাথে গাছময় সবুজ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। বিষয়টি নিশ্চয়ই বেশ মজাদার হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। দেয়াল না করার জন্য আপনি ইট বা সিমেন্ট বাঁচালেন। হিসাব করে দেখুন ইট তৈরি করার জন্য মাটি পুরানো থেকে আপনি বাঁচালেন। সিমেন্ট তৈরি করতে সীমিত প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়ানো থেকে আপনি বাঁচালেন। এভাবে কি পরিমাণ ক্ষতি থেকে বাঁচালেন তা সত্যিই পরিবেশের জন্য বিশাল অবদান।
দেশের একলক্ষ মানুষ যদি এরূপ লিভিং ফেন্স তৈরি করে দেখুন হিসাব করে বিপুল পরিমাণ ইট ও সিমেন্ট বাঁচবে। কি পরিমাণ গাছ জন্মাবে। আর কি পরিমাণ অক্সিজেন বাড়বে তা হবে অতুলনীয়। এই ধরনের বেড়ায় যে লোহা ব্যবহার করা হবে পরবর্তীতে তা রিসাইক্যাল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যাবে। দেয়াল থেকে বাড়ীর সৌন্দর্যও বাড়ানো যাবে যদি গাছগুলি পরিচর্যা করে রাখা যায়। কয়েক বছর পর পর বাড়ির দেয়াল রং করাতে হয় তা থেকে খরচ মুক্ত। দেয়াল রং করার খরচ দিয়ে লেবার রেখে গাছে পরিচর্যা করলে বাড়ীর ময়লা দেয়ালের আভিজাত্য থেকে লিভিং দেয়ালের আভিজাত্য অনেক বেড়ে যাবে। পরিশেষে বৈষয়িক উষ্ণতার বিষয়ে চিন্তা করে আমরা জীবন্ত দেয়াল বা লিভিং ফেন্স বাস্তবায়ন করতে পারি।

Wednesday, August 15, 2018

বিড়ম্বনার নাম "নিরাপত্তা"


"নিরাপত্তা" কঠিন এক‌টি বিড়ম্বনার নাম। আজকাল কোন কোম্পানীর অফিসে গেলেও রেজিস্টারে নাম লেখা, দেহ তল্লাসি, এক্স‌রে স্ক্যানিং কতই না চে‌কিং। তারপর চেক হ‌য়ে গেলে আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি মেলে। ইউটিউবে দেখলাম চাইনিজরা এমন ব্যবস্থা করেছে এক ফেস ডিটেকশন দি‌য়ে সারা শহরে ঘুরে বেড়ালে কোথায় কখন গেল সমস্ত কিছুর তথ্য তারা দি‌তে পা‌রে। হয়ত চায়নারা শুধু সন্দেহজনক‌দের বা ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করলেও এটা ব্যক্তিগত প্রাই‌ভেসীর জন্য কেমন কেমন। মাঝে মাঝে অনেকে বিতর্ক করেন, আমি কোথায় যাচ্ছি, কি করছি ;এটা আমার প্রাই‌ভেসী‌কে বিঘ্নিত করছে। প্রাই‌ভেসী নি‌য়ে আমার মতামতটা কিছুটা ভিন্ন। আমি যদি বিবাহ ব্যতীত একাধিক নারীর কাছে না যাই। তবে সমস্যা কোথায়। আমি যদি রাষ্ট্র বিরোধী বা রাজনৈতিক কাজে না যাই, তবে আমা‌কে ফ‌লো করলে সমস্যা কোথায়। যদি আমি চুরি ডাকাতি না করি, তবে ফ‌লো করলে সমস্যা কি। শুধু মাত্র নিজের বেড রুমে ঢোকাটা ফ‌লো করলে সমস্যা নাই। বেডরুম আর বাথরুমে ক্যামেরা না থাকলেই হল।
অনেকে বলেন আমি কোথায় যাচ্ছি, কেন ফ‌লো করা হবে। আমি প্রশ্ন করব ফ‌লো করলে সমস্যা কি? আমি তো আকাম কর‌ছিনা। তাই মনে হয় সারভায়‌লেন্স ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালদের জন্য সমস্যা নেই। আমার কাছে মনে হয় যারাই প্রাইভেসীর কথা বলে তা‌দের মাঝে কোন না কোন দুনম্বরী চিন্তা আছে। তারাই ক্ষেপে যায়।
এখন আমি সারভা‌লে‌ন্সের ভাল দি‌কে কথা বলব। আমার চারিদিকে ক্যামেরা থাকলে আমি নিারপদ থাকব। আমা‌কে কেউ মারলে বা খারাপ উদ্দেশ্যে ফ‌লো করলে তারা ধরা পরবে। আমা‌কে বদ‌লোক ক্ষতি করার চেস্টা করলে আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা কম ক্ষতি করবে। আমি সব সময় ক্যামেরার মধ্যে থাকব বলে নিজের খারাপ রিপুগু‌লি নিয়ন্ত্রণ কর‌তে পারব।
আইন শৃঙ্খলার মানুষ অসৎ হলে আবার বিপদ। একদিন একজন বলেছিল, মোবাইল জি‌পিএস নির্ভর অ্যাপ ৩৬০ ডিগ্রী খুব খারাপ জিনিষ। আপনি কোথায় কোথায় যাচ্ছেন আপনার বন্ধু বান্ধবরা জেনে যাচ্ছ‌ে। আমার মতমত হল, এটা কত ভাল ব্যবস্থা। চিন্তা ক‌রে দেখুন, আপনার হালনাগাদ তথ্য সবাই পাচ্ছে। শুধুমাত্র অবৈধ স্থানে গেলেই আপনার প্রাই‌ভেসী নি‌য়ে প্রশ্ন। বাথরুম ও বেডরু‌মে ক্যামেরা ছাড়া প্রাইভেসীর আর কোন সমস্যা হয়ত নিরাপত্তা এক্সপার্টরা বল‌তে পারবে না। প্রাই‌ভেসী নি‌য়ে যারা প্রশ্ন তো‌লেন তারা মূলত: সন্মা‌নিত। তারা চান না তিনি কোথায় যান কেউ জানুক। তিনি কার কার সাথে কথা বলেন, দেখা করেন, সেটা অন্যরা জানুক। অন্যরা জানলে তা‌তে তার ইমেজগত ক্ষতি হবে। বিষয়টা সেরূপ।
আমরা শহুরেরা ঘরের বাইরে লুঙ্গি পর‌তে চাই না। কারণ কে কি ভাববে। যদি কেউ ক্ষেত ভেবে বসে। অথচ আমা‌দের বিশ্ব ক্রিকেটার মাশরা‌ফি বিন মূর্তজাকে একটা ছবিতে দেখলাম, লুঙ্গি প‌রে গ্রামের ঈদগাহে নামাজ পড়‌তে গিয়েছে। তার ভক্ত‌দের নিশ্চয়ই ভাল লেগেছে। সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন।
অথচ তিনি জানেন, অগণিত ক্যামেরা তা‌কে ফ‌লো করছে। তাই লুঙ্গি নি‌য়ে কোন সং‌কোচ নাই। প্রাই‌ভেসী নি‌য়ে কোন সং‌কোচ নাই। প্রাই‌ভেসী বেডরুম আর বাথরুমের বাইরে চিন্তা করার প্র‌য়োজন নেই। বাথরুম আর হো‌টে‌লের বেডরু‌মে ক্যামেরা রাখে পর্ণ ব্যবসার উপাদান সংগ্রহ কারার জন্য এটা বিপদ। এটা নি‌য়ে সতর্ক থাকাটা জরুরী। নিজে সৎ থাকলে অন্য কোন ক্যামেরা নি‌য়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে আমার কাছে মনে হয় রেজিস্টার, কম্পিউটার এন্ট্রি, মেটাল ডিটেক্টর ও এক্স‌রে মেশিন এত শত চেক আপ অপেক্ষা ফেইস ডিটেকশন ও আরএফ আইডি সিস্টেম ভাল। ওগু‌লো নিরাপত্তার নামে হয়রানী ব্যতীত বেশী কিছু নয়। অনেকে প্রতিষ্ঠানের ইনকাম ভাল। অহেতুক  সিকিউরিটি রেখে নিজেদের ইজ্জত বাড়া‌নোর অপচেষ্টায় ব্যস্ত। গেঞ্জির আবার বুক পকেট। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার টাকার জো‌রে কিছু এক্স মিলিটারি ও পুলিশ দি‌য়ে এমন ভাব করেছে, যে নিজে নিজেই নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বানিয়েছে। হোয়া‌টে ফান আন্ডার দা সান। নিরাপত্তার নামে ফানি কাজগু‌লি কমা‌নো প্র‌য়োজন। সো কল সিকিউরিটির কাজ না ক‌রি‌য়ে ফসল বা মাছ উৎপাদন করা অধিক জরুরী। তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে যেখানে যত বেশী নিরাপত্তা সেখানে ট্যাক্স ফাঁকি ও অন্যান্য দুর্নীতি তত বেশী এটা আমার ধারনা।
যে সকল বেসরকারি বাড়ীর নিরাপত্তা ও প্রাই‌ভেসী যত বেশী কঠিন সেখানে তত বেশী কামলীলা, মদলীলা ও কালাধন চর্চা তত বেশী। আমার ব্যক্তিগত ধারনা। পরিশেষে বলব সৎ মানুষ দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সারভায়‌লেন্স ও অন্যান্য নিরাপত্তায় প্রাইভেসীর দোহাই দেয়াটা যুক্তিহীন। প্রতিটা প্রতিষ্ঠান নিজ নিরাপত্তার অহেতুক খরচ না ক‌রে সবার নিরাপত্তায় সরকার‌কে সহযোগীতা করাটা জরুরী।

Thursday, August 9, 2018

সব কিছু সফেদ

সৌ‌দি আরবের জেদ্দার হো‌টে‌লে আমার স্ত্রী আমার কাছে জান‌তে চায় আচ্ছা হো‌টে‌লে সাদা বালিশ, সাদা বিছানার চাদর ও সাদা টাও‌য়েল দেয়া হয় কেন? আমার যে উত্তরটা মাথায় আসল তা হল, হয়ত অ্যারোবিকরা হয়ত সাদা চাদর পছন্দ ক‌রে। প‌রে কলিকাতার হো‌টে‌লে যখন দেখলাম সাদা বালিশ, চাদর ও টাও‌য়েল পেলামতখন মনে হয় এটা একটা প্রাকটিস। তারপর বাংলাদেশের রি‌সোর্ট‌ে দেখলাম সাদার অনুশীলন।
সাদা চাদর অনুশীলন ক্যাডেট কলেজের হো‌স্টে‌লে ছিল। মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ছিল। হাসপাতালে আছে। তাহলে এত সুন্দর রঙ্গিন রঙ্গিন বিছানার চাদর গ্রহণীয় না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। এটা হয়ত হো‌টেল ও‌য়েস্টিন, রে‌ডিসন ও টিউ‌লিপ চেইন হো‌টেল এবং রি‌সোর্ট গুলির এই সাদার অনুশীলনের কারণ বল‌তে পারবে।
আমার কাছে মনে হয় হো‌টেল কর্তৃপক্ষ‌ের ম্যানেজমেন্টে সুবিধা। প্রথম সুবিধা হল রঙ্গিন চাদর কেনা ও পছন্দের সমস্যা আছে। দ্বিতীয় কারণ, রঙ্গিন চাদর ঘন ঘন ধোয়াধু‌য়ি করলে রং ফি‌কে হ‌য়ে যায়। সাদা কাপড় বার বার ধোয়া যায়। রং সাদা থেকে পানির জন্য লালচে হ‌য়ে যায়। তবে উঁচু মানের ডিটার‌জেন ব্যবহার ক‌রে সাদা কাপড় বেশীদিন ব্যবহার করা যায়। অন্য‌দি‌কে কড়া ডিটার‌জেন বরং রঙ্গিন কাপড়‌কে তিন/চার ধোয়ায়ও ফ্যাকাসে ক‌রে দেয়। অপরদিকে সাদা কাপড় ৫০ ধোয়াও রং ফ্যাকাসে হওয়ার সমস্যা নেই।এখন আসি ব্যবহারকারীর কি সমস্যা। বাসা বাড়ীর বিছানার চাদর যেহেতু একই মানুষ ব্যবহার ক‌রে সেহেতু সপ্তাহে একবার বা ময়লা হওয়ার উপর নির্ভর ক‌রে ধোয়া যায়। হালকা অপরিষ্কারে তেমন সমস্যা হয় না। বিভিন্ন রেস্ট হাউজ ও নিন্মমা‌নের হো‌টে‌লে রঙ্গিন বিছানার চাদর, বালিশ ও তোয়া‌লে দেখা যায়। 
এখন আসি ব্যবহারকারীর জন্য স্ব‌স্থির জায়গায়। ধবধবে সাদা বালিশ, চাদর ও টাও‌য়েলে আছে কেমন যেন পবিত্র ভাব। আনহাই‌জে‌নিক ও অপ‌রিচ্ছন্নভা‌বে হো‌টেলওয়ালারা উপস্থাপন কর‌তে পারবে না। সাদা কাপড় ভাল ভাবে না ধুলে ধরা প‌রে যাবে। তাই ধোয়া ও সফেদ বিছানার চাদর, বালিশ ও টাও‌য়েল এক নম্বর পছন্দ হবে এটা নিশ্চিত।
আমি বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক অফিসে ও গাড়ীতে সাদা কাপড়ের ব্যবহার দেখেছি। সোফার উপরে সাদা কাভার ব্যবহার করতে দেখেছি। আমি ভারতের বিভিন্ন সরকারী অফিসের সোফা ও চেয়ারে সাদা কাপড় ব্যবহার করতে দেখেছি। তাদের গাড়ীতে সাদা তোয়ালের মত কাপড় ব্যবহার করতে দেখেছি। সাদা শুভ্রতা ও পরিষ্কার থাকার প্রতীক।
তাহলে দেখা যাচ্ছে হোটেল রুমের সব কিছু সাদা হউক সবাই চায়। সবাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চায়। আমি আমার স্ত্রীকে প্রস্তাব করলাম। সব কিছু হোয়াইট করলে কেমন হয়। বলল তাহলে কাপড় ধুতে ধুতে মারা পড়া লাগবে। সাদাকে সবাই ভয় পায়, পরিষ্কার রাখার জন্য।
আমি একটা মজার প্রস্তাব করছি। আমরা নানা অফিসে দেখি এক বস লাল রংয়ের পর্দা লাগিয়েছে। আরেক বস এসে সবুজ পর্দা লাগিয়েছে। আরেক বস নীল পর্দা লাগিয়েছে। এভাবে কারণে ও অকারণে সরকারী অনেক টাকার অপচয় হয়। সরকারী একটা নিয়ম করলে কেমন হয় সরকারী রেস্ট হাউজের পর্দা, সোফার কাভার,বিছানার চাদর, বালিশের কাভার ও তোয়ালে সব সাদা বা সাদাতুল্য রং হবে। এতে মনে হয় একটু ঘন ঘন কাপড় পাল্টাতে হতে পারে। বেশী বেশী ধুতে হবে। তবে আমি নিশ্চিত এতে সরকারী অপচয় রক্ষা হবে। সাদা রং পরিষ্কার রাখা খুবই সমস্যা। তবে এটা ঠিক সাদার মাঝে আছে পবিত্রতা ও স্বচ্ছতা। সাদায় সব কিছু বুঝা যায়। আর দেশের সরকারী সংস্থার সবকিছু পবিত্র করার জন্য সাদার প্রচলন অনেক জরুরী। অনেকে আমার আইডিয়া ফানি ভাবতে পারেন। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখেন, সরকারী সমস্ত স্থাপনায় যেখানেই কাপড়ের ব্যবহার আছে সেখানেই সাদা কাপড় ব্যবহার করেন। শুভ্রতা সরকারী ব্রান্ড হবে। আর স্বচ্ছতা আসবে সবকিছুতে। পরিশেষে বলব শুভ্র, সুন্দর ও পবিত্র হোক আমাদের চারপাশ।


Wednesday, August 1, 2018

তরুন সমাজের জাগরণ ও আমাদের পরিবহন ব্যবস্থা

বাচ্চারা পবিত্র। তার সততার প্রতীক। শুভ্রতার প্রতীক। তারা অপরাধী নয়। তারা দেশ‌কে ভালবাসে। তারা ইমোশনাল। তারা গড়‌তে জানে। তারা ভাংগ‌বে কেন?
তারা কঠিন ক‌ঠোর ইমোশনাল তাই তো তা‌দের কেউ কেউ ছোট খাট ঘটনায় রাগ ক‌রে সুইসাইড ক‌রে ফেলে। এরা হল তরুণ বা তারুণ্য। তা‌দের এই শক্তি  আটকা‌নোর জন্য নয়। তা‌দের শক্তির গতি অফুরন্ত। তা‌দের গতিতে তারা দেশ গড়ার কারিগর হবে। তারা আমা‌দের ঘুণে ধরা সমাজ‌কে চেনাবে। সমাজ‌কে ঢেলে সাজাবে। তা‌দের দুর্দান্ত শক্তিকে আমরা সমাজের ক্ষত‌কে দূর করার অনু‌প্রেরণায় কাজে লাগা‌তে পারি। তারা আমা‌দের চো‌খে আঙ্গুল দি‌য়ে দেখা‌তে পা‌রে দেখ তোমরা ভুল করছ। তোমরা সমাজ‌কে ঠিক কর। তোমরা কোন ড্রাইভার‌কে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালা‌তে দিও না। তোমরা ফিটনেস ছাড়া কোন গাড়ী চালা‌তে দিও না।
সত্যিই তো চিন্তা ক‌রে দেখি, আমরা কেন লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালা‌তে দিচ্ছি। তরুণ বাচ্চারা গাড়ীর লাইসেন্স চেক করছে। ফিটনেস চেক করছে। ওদের কাছ থেকে উত্তরটা এরূপ তোমরা পারছ না। কিন্তু আমরা পারছি তাদের ব্যাট‌নিং কর‌তে। আমরা পারছি তা‌দের শর্ট গানের ফায়ার কর‌তে। আমরা তা‌দের বলছি না বাবারা তোমরা রাস্তা দেখিয়েছ। তোমরা এখন পড়তে যাও।
আমি যখন ছোট ছিলাম ক্লাস সিক্স পর্যন্ত বাবার পিটুনি খেয়েছি। আমরা যখন স্কুলে গিয়েছি তখন অনেক মারের মধ্যে ছিলাম। এখন কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন পালটাচ্ছে। স্কুলের পিটাপিটি উঠে গেছে। ভায়ালেন্স কমে গেছে। এটা ভাল। বাচ্চাদের যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হয়। মার ধরে কোন সমাধান এখন বাচ্চাদের জন্য নয়।
ছোটবেলা একটা গল্প শুনেছিলাম, এক লোকের বাসায় ল্যান্ড ফোনে কল এসেছে, বাচ্চা ফোন ধরেছে। “বাবা তোমাকে চাচ্ছেন”। ছেলের বাবা বলছেন, "বলে দাও আমি বাসায় নেই"। বাচ্চা যথারীতি বলল, আংকেল বাবা বলেছেন, তিনি বাসায় নেই?
বাচ্চারা সাধারণত মিথ্যা বলে না। এরা শুভ্র ও পরিষ্কার। ধীরে ধীরে সামাজিক ব্যবস্থা তাদের পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত করে।
 ২৯ জুলাই ২০১৮ দুইজন ছাত্র/ছাত্রী বাসা চাপার নিহত ঘটনা প্রথমবার ঘটেছে তা নয়। একাধিকবার ঘটেছে। আমরা সজাগ হইনি। আমাদের বাচ্চারা এখন বলছে, যথেষ্ট হয়েছে। এবার থাম। মৃত্যুর মিছিল বন্ধ কর। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ৯০ ভাগ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনহীন গাড়ী চালানোর জন্য। গাড়ী চালানোটা ছেলে খেলা বা খামখেয়ালীপনা নয়। রেসের কিছু নয়। নিয়ন্ত্রিত গতিতে এক ঘণ্টা পরে যাওয়াটা ভাল। রেস দেয়ার কিছু নাই। প্রতিটি মানুষ যেখানে নির্ধারিত সময়ে হাজির হওয়ার কথা, যাতায়তের দ্বিগুণ সময়ে হাতে নিয়ে তাকে বের হতে বলা প্রয়োজন। রেস কেন হবে। ভ্রমন হবে সুখকর ও রিলাক্স।
গন পরিবহন চলবে নিয়ন্ত্রিত গতিতে। এত গতির প্রয়োজন আসছে কেন। কেন বা রাস্তায় ফরমুলা ওয়ান রেস।
ফিটনেস  ছাড়া গাড়ী চলবে না। লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভার গাড়ী চালাবে না। এটাই বড় কথা। এটাই ছোট ছোট বাচ্চারা করে দেখাচ্ছে। সমাজে তারা একটা ঝাঁকুনি দিল। এই ঝাঁকুনিতে সমাজটা যদি ঠিক হয়? বাংলাদেশের কোটি বাচ্চা আজ জানল ফিটনেস ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালানো যায় না। তারা এটার জন্য রাস্তায় নামল। এরা যখন বড় হবে। পুলিশে যাবে। বিআরটিএতে যাবে। গাড়ী চালাবে। আমি আশাবাদী তারা এগুলো মনে রাখবে। তাদের হাত দিয়ে সমাজের পরিবর্তন আসবে। আমাকে যদি বলা হয় জল, স্থল ও আকাশ পথে সবচেয়ে অনিরাপদ যাতায়ত কোনটি। আমি নিশ্চিত আপনি বলবেন, আকাশ পথ। কারণ প্লেন ক্রাশ হলে মানুষ বাঁচে না। অথচ অবাক করার বিষয় হল, সবচেয়ে নিরাপদ  মাধ্যম হল আকাশ পথ। কারণ এতে নেয়া হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। আমরা স্থল পথকে আরো বেশী নিরাপদ করতে পারি। তেমন কঠিন কাজ বাচ্চারাই আমাদের শিখিয়েছে।
প্রথমত: ফিটনেস বিহীনগাড়ী রাস্তায় উঠবে না। দ্বিতীয়ত: লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ী চালাবে না। তৃতীয়ত: সকল গাড়ী নিয়ন্ত্রিত গতিতে চলবে। এগুলো নিশ্চিত করা কি কঠিন কাজ? অবশ্যই না। পরিবহন মালিক ও চালকদের সচেতন করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
আমি আশাবাদী আজকে পরিবহন সেক্টরে অনিয়ম দূর কারার জন্য বাচ্চাদের এই জাগরণ তারা বড় হলে ভুলবে না। আমরাও নতুন বাংলাদেশ পাব।