Pages

Thursday, December 20, 2018

সিনিয়র সিটিজেন সার্প‌োট সেন্টার

ইসলাম ধর্ম‌ে  বর্ণিত আছে, আল্লাহ সকল পশুপাখির জন্য রিজিক দিয়েছেন। মানুষকে বলেছেন, অব‌লোকন কর‌তে; এক‌টি পাখি ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেড়িয়ে যায়। দিন শেষে ফেরত আসে পেট ভর্তি ক‌রে। মানুষেরও মূলত: রিজিক নি‌য়ে স্ট্রেসফ‌ুল হওয়ার কোন কারণ নাই। কারণ সুস্থ মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ ক‌রে গেলে তার খাদ্যের অভাব হবে না। সুস্থ মানুষের ধ‌রে নিলাম কাজ করবে খাদ্যের অভাব নাই। তাহলে সিনিয়র সিটিজেনদের কি হবে। তা‌দের তো কাজ করার সীমাবদ্ধতা আছে। তা‌দের ঔষধ খরচ লাগে, নার্সিং লাগবে। বৃদ্ধাশ্রমগু‌লি মানুষের নেতিবাচক ম‌নোভাবের শিকার। শেষ বয়সে বৃদ্ধ বৃদ্ধরা ছেলে মে‌য়ে পরিবারের মাঝে থাক‌তে চান।  ইউটিউবে দেখা যায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা অভিযোগ করছে তা‌দের ছেলেমেয়েরা তা‌দের দেখ‌তে আসে না। তা‌দের খোজ খবর নেয় না। দূ:খজনক। অনেকে বলছেন, ছেলে মে‌য়ে ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রফেসর হ‌য়েও বাবা/মা‌কে সাথে রাখছে না। ছেলেমেয়ে কি কারণে সাথে রাখ‌তে পারছে না। তার মূল কারণ আর্থিক নয়। সময় দেয়া ও ব্যবস্থাপনা করার সমস্যা। সেটার জন্য অনেক ছেলে মে‌য়ে সময় ও ব্যবস্থাপনাটা কর‌তে পা‌রে না। তারা তা‌দের ক্যারিয়ার ও পরিবার নি‌য়ে এত এত সমস্যায় থা‌কে, বাবা মা‌কে আসলে টেক কেয়ার কর‌তে পা‌রে না। তাহলে উপায় কি? কোন কো-অপারেটিভ বা সহ‌যোগীতা করার সংস্থার প্রয়োজন। যদি এরূপ হয় চাকুরীজীবী স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই  সকালে চলে যায়, তবে কে বৃদ্ধ মা বা বাবা‌কে দেখবে। যদি এমন হয়, কোন সাহায্যকারী সংস্থা থেকে এসে তা‌দের গোসল করাল। কাপড় ধু‌য়ে দিল। রুম ও টয়লেট পরিষ্কার ক‌রে দিল। খাবার ঔষধ খাই‌য়ে দিল। এভাবে বুয়া বা কাজের লোকের মত সা‌পোর্ট দিল। কেমন হয় বলুন? এতে আমি নিশ্চিত অ‌নেক অনেক সচ্ছল অথচ সব সময় দেখভালে অপারগ সন্তানরা তা‌দের বাবা ও মা‌কে বৃদ্ধ আশ্রমে পাঠাবে না। একজন গৃহিনী যারা সকাল থেকে শুরু ক‌রে রাত/দিন স্বামী সংসারে খেঁটে খেঁটে ত্যক্ত ও বিরক্ত। তারা যদি শশুর শাশুড়ির জন্য একবেলা সা‌পোর্ট পায়, আমি নিশ্চিত; তারা তা‌দের বৃদ্ধ শাশুর ও শাশুড়িকে খেদিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে না।

পৃথিবীর অনেক দেশে সিনিয়র সিটিজেনদের দেখা‌শোনা করার জন্য অনেককে চাকুরী দেয়া হয়। এমনকি সিনিয়র সিটিজেনকে হাঁটি‌য়ে বা বেড়িয়ে আনার জন্য চাকুরী আছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। অপর দি‌কে ভাল চিকিৎসার জন্য মৃত্যুর হারও কমেছে। ফলাফল সিনিয়র সিটিজেন বেড়েছে। জাপানের সিনিয়র সিটিজেন অনেক বেশী। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য কমিউনিটি লি‌ভিংটা অনেক অনেক বেশী জরুরী। কমিউনিটি লিভিং সিনিয়র সিটিজেনদের কোয়ালিটি টাইম বাড়ায়। সিনিয়র সিটিজেনরা শারীরিক সীমাবদ্ধতার জন্য ধী‌রে ধী‌রে কাজ ক‌রে। গল্প কর‌তে বেশী পছন্দ ক‌রে। সেজন্য তারা যখন অনেক সিনিয়র সিটিজেনের সাথে কাটাবে তখন অনেক বেশী কর্মক্ষম থাকবে। অপরদিকে সিনিয়র সিটিজেন যারা স্বামী বা স্ত্রী‌কে হা‌রি‌য়ে‌ছেন। একা একা আছেন তারা ইচ্ছে করলে অন্য কোন সিনিয়র সিটিজেনকে বি‌য়ে কর‌তে পারেন। বিবাহিত সিনিয়র সিটিজেন একাকী সিটিজেন থেকে আরো দীর্ঘ আয়ু হবেন এটা আশা করা যায়। সেজন্য সিনিয়র সিটিজেন সা‌পোর্ট সেন্টারে মে‌ট্রো‌মো‌নিয়াল সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করা যায়। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য পিকনিক ও নানা বি‌নোদনমূলক ট্রিপ চালু করা যে‌তে পা‌রে। অনেক সিনিয়র সিটিজেন অনেক অর্থ রাখছেন। কিন্তু কোন সহায়তা পাচ্ছেন না; বেড়া‌নো, বি‌নোদন করা ইত্যাদি কার্যক্রমে। তাই বিত্তবান সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য অনেক ধরনের সাপোর্ট অনেক সুলভে ও কমিউনিটির আইডিয়ায় করা যে‌তে পা‌রে। এখন সময় এসেছে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য কমিউনিটি লেভেলে কিছু করার।

বাংলাদেশে অনেকেই  অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা‌দের নি‌য়ে বৃদ্ধাশ্রম চালু করেছে। অনেক অনাথ বৃদ্ধও বৃদ্ধা‌দের বিনা খরচে থাকা, খাওয়া ও ঔষধের ব্যবসা করেছে। ভারতের কলকাতার একজন এধরণের সা‌পোর্ট সেন্টার করেছে। এটা নতুন কোন আইডিয়া নয়। এই আইডিয়া হল যারা ছেলে মে‌য়ে, নাতি নাতনী‌দের ত্যাগ কর‌তে কষ্ট আবার সন্তানরাও তা‌দের সেবা কর‌তে পা‌রে না। এই  ধরনের সাপোর্টে সেন্টার হ‌তে পা‌রে সে ধরনের সমস্যার উত্তম সমাধান। 

Thursday, December 13, 2018

তিন লক্ষ টাকার বিয়ের কার্ড


আমার স্ত্রী বলল, জান মু‌কেশ আম্বানী মে‌য়ের বি‌য়ে‌তে যে কার্ড ছাপিয়েছে তার দাম তিন লক্ষ টাকা। আমি বললাম, সে একটা ছাগল। সে ধনী মানলাম তবে কি এভাবে প্রদর্শনের প্রয়োজন আছে। প্রতিটি কার্ড তিন লক্ষ টাকার না ছাপিয়ে মে‌য়ে বি‌য়ে উপলক্ষ‌ে হাজার হাজার মানুষ‌কে তিন লক্ষ টাকা ক‌রে দান কর‌তে পারত।
কে আসলে ধনী? ধনী আসলে সে, যে নাকি কারো কাছে হাত পা‌তে না। যার আয় থেকে ব্যয় কম। যার প্রবৃদ্ধি আছে। সে ধী‌রে ধী‌রে ধনীর পথে আগাবে। কেউ একজন মনে করি আয় থেকে ব্যয় কম ক‌রে সে সঞ্চয় করছে বা বি‌নি‌য়োগ করছে। সেও ফতুর হ‌তে পা‌রে যদি তার পরিবারের কেউ দূরা‌রোগ্য বা অনেক খরচের কোন রো‌গে আক্রান্ত হয়। অনেকে দুর্ঘটনা ও নানা জুলুমে ক্ষ‌তিগ্রস্থ হয়। কোটি কোটি টাকার মালিক আমরা জানি আবার পিছনে আছে কোটি কোটি টাকা ধার। তবে তার সম্পদের বাজার দ‌রে মূল্য ও অন্যান্য আয়, ধারকৃত টাকার ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি সমস্ত কিছু দি‌য়ে সে যদি প্রবৃদ্ধির মধ্যে থাকে তবে তার উন্নতি হ‌য়ে‌ছে বা ধনীর রাস্তায় হাঁট‌ছে বলা যাবে। যে তার টাকা লায়া‌বি‌লি‌টিসএ খাটিয়েছে যেমন গাড়ী বা ফ্লাট এবং ভাল কোন ইনভেস্ট করেনি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় সে গরীবের খাতায় লিখাল।
মনে করি একজন রিকশাওয়ালা প্রতি দিন ৬০০ টাকা কামাই ক‌রে প্রতিদিন  ৪০০ টাকা খরচ করার পর প্রতিদিন ২০০ টাকা জমায়। মাসে ৬০০০ টাকা কামাই ক‌রে বছরে ৭২ হাজার টাকা কামাই হচ্ছে।  ৩ বছর পর এক‌টি সিএন‌জি কিনে ফেলল। তারপর দিনে সঞ্চয় হবে ৪০০ টাকা। পাঁচ বছর পর সঞ্চয়‌য়ের টাকা দি‌য়ে মাই‌ক্রো কিনে ফেললেন। তখন সঞ্চয় হবে দিনে ৮০০ টাকা। আবার সঞ্চয় ক‌রে পাঁচ বছর পর মিনিবাস কিনে ফেললেন। প্রতিদিন জমা হ‌তে থাকল দিনে ২০০০ টাকা। পাঁচ বছর পর বড় বাস কিনে ফেললেন। প্রতিদিন জমা দিনে হ‌তে লাগল ৪০০০ টাকা। তার পাঁচ বছর পর আরো দু‌টি বাস হবে। তার পাঁচ বছর পর চার‌টি বাস হবে। তার চার বছর পর আট‌টি বাস হবে। যখন আপনার প্রতি দিনের ইনকাম ৩২ হাজার। মাসে ১০ লক্ষ আর বছরে কোটি টাকার উপ‌রে। এতে ৩৩ বছর পার হবে। আপনার বয়স হবে ৫১ বছর। তার পর যত বছর বেঁচে থাকবেন আপনার টাকা গাণিতিক হা‌রে বাড়বে। তাই ধনী হওয়ার আর কোন ফর্মুলা নাই। আপনার আ‌য়ের চে‌য়ে ব্যয় কমাতে হবে। সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
রিকশাওয়ালাদের অনেকে ধনী বা প্রবৃদ্ধি না হওয়ার কারণ দেখা যায় তা‌দের অপরিকল্পিত আয় ও অপরিকল্পিত ব্যয়। দিন আনে দিন খায়। এই বিষয়টি তা‌দের সঞ্চয়ের পথে বাধা। যারা ভাড়ায় রিক্সা চালায় তারা প্রতিদিন রিক্সার মালিককে জমা নামক একটা কার্যক্রমে জড়িত। এটার সাথে যদি তারা সঞ্চয় করত, তবে তারা অগ্রগামী হয়। দিনের আ‌য়ের লোকজন আরেকটি ভয়াবহ বিপদে আক্রান্ত। তা হল, বিভিন্ন কারণে কিস্তি নেয়া এবং তা সুদযুক্ত কিস্তিতে প‌রি‌শোধ করা। এখানেও বিপদ দৈনিক আ‌য়ের লোকজন সচ্ছল মানুষের ক্রেডিট কার্ড‌র মত আনন্দ ফুর্তিতে কিস্তিতে টাকা নেয় ও খরচ ক‌রে প‌রে চো‌খের পানি ও ঘামের টাকা এক ক‌রে প‌রি‌শোধ কর‌তে থা‌কে। তখন আর প্রবৃদ্ধি না হ‌য়ে অবনতি হ‌তে থা‌কে।
তাই ধার ও কিস্তি টাকা বাণিজ্যিক কাজ ছাড়া কোন ক্রমেই নেয়া অনুচিত। চল‌তে হবে ইতিবাচক পথে। দিন মুজু‌রের জন্য সাপ্তা‌হের প্রথম দিনের উপার্জন ব্যয় কর‌তে হবে খাবার কিনে। প্রয়োজ‌নে পুরো সাপ্তা‌হের চাল কিনে ফেল‌তে হবে। তার পর দিনের আয় থেকে অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এভাবে করলে একটা লেবার কাজে কোন বিপদে বা অসুখে পড়লেও তা‌দের লোন কর‌তে হবে না।
উন্নতির ধারাবাহিকতা শর্ত হল লোন ক‌রে লায়া‌বি‌লি‌টিস কেনা যাবে না। তাই পরিকল্পনা ক‌রে ধী‌রে ধী‌রে উন্নয়নের পথে চললে আমা‌দের দেশেও মূ‌খেশ আম্বানী হওয়া সম্ভব। তবে কেউ মূ‌খেশ আম্বানী হওয়ার পর তিন লক্ষ টাকার কার্ড বিতরণ না ক‌রে বিল গেটসের মত সারা পৃথিবীর বাচ্চা‌দের মত টিকাদানের মত কর্মসূচি না হোক অন্তত ছোট বড় অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব।
আমি নিশ্চিত বিল গেটস আর ওয়ারেন্ট বা‌ফেট আর যাই হোক ধনাঢ্য প্রদর্শনের জন্য তিন লক্ষ টাকার কার্ড বিতরণ কর‌তে যাবে না।

Thursday, December 6, 2018

জিম মেম্বার না হলেও ছোট ছোট ফিটনেস অনুশীলন


মনে করুন, আপনি জিমের মেম্বার। আপনার বাসা থেকে জিমে যাওয়ার দূরত্ব ৩০ মিনিটের পথ। আবার ফির‌তে ৩০ মিনিট। যাতায়াত ওবারে খরচ মনে করি যে‌তে ১৫০ টাকা। আবার আস‌তে ১৫০ টাকা। মোট যাতায়ত ৩০০ টাকা। মাসে হয়ত ২০ দিন যান। তাহলে খরচ ৬০০০ টাকা। জিম মেম্বারে খরচ আরো ৫০০০ টাকা। মোট ১১০০০ টাকা। আমি বলব ১% মানুষও জিম মেম্বার না। তারপরও বলব, বাংলাদেশে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ৮০ ভাগ মানুষ কিন্তু ওবিস নয়। সুস্থ আছে। তারা কিভাবে সুস্থ আছে। সেটা হল লাইফ স্টাইল। আপনি জিমে যাওয়া আসায় এক ঘণ্টা আর জিমে আরো এক ঘণ্টা মোট দুই ঘণ্টা ব্যয় করেছেন। আমি বলব, এটা কেমন হয়, যদি আপনি আপনার কাজের স্থানটি‌তে গাড়ী ব্যবহার না ক‌রে হেঁটে যান। বাজা‌রে হেঁটে যান। বাজার শেষে কেনা কাটার পরিমাণের উপর নির্ভর ক‌রে বাহনে ফেরেন। অনেকের মত মসজিদে জামা‌তে নামাজ পড়েন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাপড় ধু‌য়ে ফেলুন। ঘর ঝাড়/ঘর মোছার কাজগু‌লো করছেন। তবে কিন্তু আর আপনার প্রতিদিন দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় ক‌রে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জিমের খরচ বাঁচল ও সাধারণ কাজ ক‌রে আপনি ফিট থাকছেন। যদি জিম স্টেটাস সিম্বল হয় সেটা আলাদা বিষয়। এখন অনেকে প্রশ্ন করবেন। আমা‌দের দেশে রিক্সা, গাড়ী, ঘোড়া ও ধূলা বালির জন্য হাঁটা যায় না। এটা খোড়া অজুহাত। অনেক অনেক মানুষ হাঁটছে। তবে তারা নিন্ম শ্রেণী। কিন্তু স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কাজে যাওয়ার পথে হাঁটা শুরু করুন, বাজা‌রে হেঁটে যান। গবী‌বের এই  স্টাইল‌টি ফ‌লো করলে আমরা অনেক বেশী সুস্থ থাকব। বাচ্চাদের সর্বদা হেঁটে বা বাই সাইক্যাল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য আমরা উৎসাহ দি‌তে পারি। এতে তা‌দের স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকবে।
ইউ‌রোপ ও আমেরিকায় অনেক মানুষ আছে তারা নাকি জিমের মেম্বারশীপ ক‌রে সাধারণ বা নিন্ম‌বিত্ত মানুষ একটা মাত্র কারণে তা হল ভাল পরিবেশে শাওয়ার নেয়ার জন্য। কারণ সেই লোকগু‌লি বস্তিতে থা‌কে বা গাড়ী‌তে থা‌কে। অথচ আমা‌দের দেশে জিম মেম্বারশীপ হল স্ট্যাটাস সিম্বলধরীরা ব্যবহার ক‌রে। মধ্যবিত্তদেরও রোগ‌টি আছে। তারা জিমের জন্য উপার্জনের বড় একটা খরচ ক‌রে ফেলে। আমার উপদেশ মূলত তা‌দের জন্য। শরীর ফিট রাখার এত এত ব্যবস্থা থাকতে, কেন এত অপচয়ে যাওয়া। স্বাস্থ্য সচেতনরা তেড়ে আসবেন। কি বলছেন, আজে বাজে কথা। স্বা‌স্থ্যের জন্য বিনিয়োগ এটা তো অতি উত্তম। আমি বলব, ধনীদের জন্য জিমে বিনিয়োগ উত্তম। মধ্যবিত্তের জন্য জিম মেম্বারশীপ অপচয়। একজন মধ্যবিত্তের হাঁটা ও কায়িক পরিশ্রমের জন্য এত এত সুযোগ আছে তারা একটু নজর দিলেই ফিট থাকার মাল মশল্লা পেয়ে যাবে। কায়িক পরিশ্রমযুক্ত লাইফ স্টাইল অনেক বেশী জরুরী। আমাদের দেশে দুই কদম আমরা হাঁটতে চাই না। রিক্সা নেই। সামর্থ্য থাকলে গাড়ী ব্যবহার করি। অথচ সুস্থ ও ভাল থাকার জন্য কর্মস্থলে আসা যাওয়াটা হেঁটে করাটা সবচেয়ে ভাল। বিকালে খেলাধুলার সুযোগ না থাকলে হাঁটার অভ্যাসটা অনেক ভাল হতে পারে। অনেক টাইট ডায়েটিং করেও হাঁটার অভ্যাস না থাকার কারণে অনেকেই ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়।
যারা অফিসে বসে বসে কাজ করেন তারা অফিসে আসাটা সকালে হেঁটে আসতে না পারলেও ফেরত যাওয়াটা হেঁটে  করতে পারেন। ফেরত যাওয়ার পথটা গাড়ীতে বেশী সময় ও দূরের রাস্তা হলে ৪০/৫০ মিনিট হাঁটার রাস্তা থাকতে গাড়ী ছেড়ে দিলে মন্দ না। আশে পাশে বাজারে যাওয়ার জন্য গাড়ী, রিক্সা ইত্যাদি ব্যবহারটা পরিহার করাটা বাঞ্ছনীয়। কেবল মাত্র হাতে মালামাল থাকলে গাড়ী বা বাহন সাথে যেতে পারে।
আমি অনেক দেশেই দেখেছি মানুষ অনেকটুকু রাস্তা হেঁটেই যায়। আমাদের দেশের মত ছোট ছোট দূরত্বে রিক্সা বা বাহন ব্যবহার করতে তারা অভ্যস্ত হয় না। বেশীর ভাগ দেশেই আমাদের দেশের মত ছোট রাস্তা পার হওয়ার জন্য রিক্সার মত স্বল্প খরচের বাহন নেই। তাই গাড়ীর স্ট্যান্ড ও পার্কিং পর্যন্ত হেঁটেই যেতে হয়। এভাবে হাঁটার অভ্যাস হয়ে যায়। পরিশেষে বলব, আমাদের সুস্থ ও কার্যক্রম থাকার জন্য জিম নয় বরং আমাদের সকলকে হাঁটাটা অভ্যাসে আনাটা অনেক বেশী জরুরী।