Pages

Sunday, August 24, 2014

জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলা

আমি আগষ্ট ২০১০ হতে তারিখ মার্চ ২০১১ পর্যন্ত চাপাইনবাবগন্জ্ঞে ৩৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নে উপ-অধিনায়ক হিসাবে কাজ করি। চাপাইনবাবগন্জ্ঞে গ্যাস না থাকায় তাদেরকে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করতে হত। তখন দেখা যেত প্রতিমাসে ২০০/৩০০ কেজি জ্বালানী কাঠ সৈনিক মেসে কম পড়ত। তখন আমি জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলার ব্যবস্থা করে জ্বালানীর খরচ কমিয়ে জ্বালানী কাঠ উদ্বৃত্ত করতে সক্ষম হই। বিজিবিতে চুলা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে প্রায়শ:ই বিজিবির লোক ট্রেনিং করিয়ে বিশেষ চুলা বানানোর নানা চেষ্টা চলে। কখনও আবার চুলা প্রতি ৩০০০/৪০০০ টাকা খরচ করে বন্ধু চুলা বানানোর অনেক প্রজেক্ট চালু হয়। কার্যত: সমস্ত প্রজেক্ট আমার জানা মতে ফেল করে। কারণ বেশীরভাগ বিওপিতে লাকড়ির মূল্য বেশী থাকায় কাঠের বদলে গোবর শুকানো লাঠি ব্যবহার করা হয়। এগুলো ধীরে জ্বলে এবং প্রচুর ছাই তৈরি করে। এতে চুলা ভর্তি হয়ে যায়। তাই বন্ধু চুলা হলেও কুকরা এটাকে বন্ধু না রেখে মুখ বড় করে এবং হাড়ির নীচে খুঁটি দিয়ে বন্ধু চুলাকে অবন্ধু বানিয়ে ফেলে। এতে তাদের জ্বালানী সাশ্রয় না হয়ে আরো বেশী জ্বালানীর প্রয়োজন হয়। বন্ধু চুলায় মূলত জ্বালানী কম খরচ হয় ধূয়া কম হয়। কার্যত দেখা যায় বন্ধু চুলা জ্বালানী কম খরচ হলেও তাপ কম এবং সময় বেশী লাগে বিধায় বন্ধু চুলা বাবুর্চিরা পরিহার করতে চায়। তাদের বক্তব্য হল তাপ কম হওয়ায় সময় বেশী প্রয়োজন এবং তারা সময়ের মধ্যে কাভার করতে সক্ষম হয় না।
আমি একবার বন্ধু চুলা নিয়ে মেহেরপুরের একজন টেকনিশিয়ানকে নিয়ে গবেষণা শুরু করি। সে টেকনিশিয়ান আমাদের একটি বড় আকারের চুলা তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়। তার তৈরি চুলা আমাদের বেশ কিছু সুবিধা দেয়।
প্রথমত: ধুয়ার সমস্যা কমে যায় অর্থাৎ রান্না ঘরে কম পরিমাণে ধুয়া নির্গত হয়। মোটা ও কাত করা চোংগা দিয়ে অধিকাংশ ধুয়া বাইরে বেড়িয়ে যাওয়ায় রান্না ঘর অনেকটুকু ধুয়া মুক্ত ছিল। যা কিনা বাবুর্চির স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটুকু উপকারী বলা যায় এতে বাবুর্চির শ্বাস কষ্ট জনিত রোগের ঝুঁকি অনেকটুকু কমে যায়।
দ্বিতীয়ত: গোবরের তৈরি কাঠিগুলো জ্বালানী হিসাবে সহজে ব্যবহার করা যায়। এতে ধুয়া বেশী বা চুলা ভর্তি হওয়ার মত সমস্যাগুলো কমে যায়।
তৃতীয়ত: জ্বালানী সাশ্রয় বেশী না হলেও মোটামুটি ভাবে জ্বালানী সাশ্রয় করা যায়।
এ চুলাটিও একধরনের বন্ধু চুলা। পার্থক্য হল একটু বড় করে বানানো চুলা। ছাই ফেলার ঝালীটা বড় আকারের। ধুয়ার পাইপটা বড় আকারের আর ধুয়া সহজে বের হওয়ার জন্য কাত করে তৈরি করা।
আমি এ চুলাটি বিজিবি একটা বিওপির কুক হাউসে বেশ কিছুদিন পরীক্ষাধীন রাখি। ফলাফল অনেকটা সফল বলা যায় । কারণ এটা বাবুর্চি বা কুক বান্ধব হিসাবে সফলতা পাওয়া গেছে। তবে আগুনের উত্তাপের বিষয়ে যা জানা যায় তা কিন্তু মন্দ না। কারণ নীচের বড় আকারের জালীটি ঢালাই লোহার তৈরি বলে তা বেশ উত্তপ্ত হয় এবং চুলার তাপমাত্রা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বাবুর্চিরা জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলা অপেক্ষা বেশী তাপ দেয়া চুলা তাদের পছন্দ। কারণ তাদের ধারনা অধিক তাপ দিলে তাতে সময় সাশ্রয় করে। তাই তিন পায়ার চুলা অধিক তাপের জন্য তাদের অধিক পছন্দ। তাদের অধিক তাপের চুলার চাহিদা পূরণের একটা মাধ্যম হল রকেট স্টোভ। রকেট স্টোভ মূলত লোহার তৈরি। তবে মোটা লোহায় তৈরি করতে হবে। এছাড়াও টাইলস বা অন্য ধরনের ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি করা যায়। তবে এ ধরনের লোহার চুলা বা টাইলসের তৈরি চুলা এমনভাবে একটা ইটের বা মাটির ভিতের মধ্যে বসাতে হবে যাতে ইটের বা মাটির দেয়ালে তাপ না যায়। এর জন্য লোহার কাঠামো চুলায় বসিয়ে চারিদিকে ছাই দিতে হবে যাতে চুলার দেয়ালে তাপ পরিবাহিত হয়ে তাপ অপচয় না হয়। মূলত: ফর্মুলাটি হল কোন তাপ চুলার বাইরে যাবে না। আর অক্সিজেন প্রাপ্তির জন্য চুলার নীচে ছাই ফেলার জালির নীচে গ্যাপ বা ফাঁক রাখতে হবে। সমস্ত আঙ্গার যেন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তার জন্য নীচে ছাইয়ের জালী রাখতে হবে। ছাইয়ের জালী কয়লাকে সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ ছাই করে এবং এতে অসমাপ্ত পোড়া থেকে জ্বালানী রক্ষা পায় ও অধিক জ্বালানী সাশ্রয় হয়। রকেট স্টোভ বহির্বিশ্বে অধিক তাপ উৎপাদনের জন্য অনেক বেশী ব্যবহৃত হয়। তবে গতানুগতিক বন্ধু চুলা হতে এ চুলায় একটা সমস্যা আমরা দেখতে পাই আর তা হল চুলা তৈরি করতে খরচ বেশী হয়। অন্যদিকে টাইলসের মাধ্যমে চুলা তৈরি করে খরচ কমানো যায়।
অনেক সময় চুলার তৈরি মাটির সাথে শুকনো ঘাস লতাপাতা ইত্যাদি ব্যবহার করে আমরা মাটিকে তাপ অপরিবাহী করে চুলাকে জ্বালানী সাশ্রয়ী  করতে পারি। জ্বালানী সাশ্রয়ী চুলা নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের এনজিওরা  নির্দিষ্ট ডিজাইন মোতাবেক তৈরি না করে ব্যবহারকারীর চাহিদা মোতাবেক মডিফাই করতে পারে। যাদের বেশী তাপ প্রয়োজন তারা রকেট স্টোভ ব্যবহার করতে পারেন। যারা ধীর গতিতে জ্বলা জ্বালানী (যেমন: গরুর শুকনো গোবর) তাদের জন্য প্রয়োজন হবে বড় ছাকনী ও মোটা ধুয়া বেরোনোর পাইপ।

গ্রাহকের চাহিদা মাফিক এ চুলার আরএন্ডডি করা প্রয়োজন। আর এতে বন্ধু চুলা সকলের বন্ধু হবে।

Monday, August 18, 2014

My Old Internet Project of 2010

মোমেনশাহী সেনানিবাসে অবস্থিত অফিসার পারিবারিক বাসস্থান,মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুল এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রজেক্ট 
১।      ভূমিকা:   বাংলাদেশ সরকার দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য এক তৃতীয়াংশ খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করেছেন। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে বর্তমানে ৩৬টি কম্পিউটার দিয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব আছে। মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুলে ১৪টি(বর্তমানে ৭টি কম্পিউটার) কম্পিউটারের ল্যাব আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে তৈরি করা হবে। পাবলিক স্কুলের অফিসে ১২টি কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। মিলিনিয়াম স্কুলের অফিসিয়াল কাজে আরো ৬টি কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া পাবলিক স্কুলের ৩০টি কোয়ার্টারে আরো অন্তত ১০জন হোম ইউজার পাওয়া যাবে। সর্বমোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা হবে ৭৮ জন। বর্তমানে দুইটি স্কুলে ওয়েব সাইট(ব্লগ) চালু করা হয়েছে ঠিকানা হল:http://mlnsch.wordpress.com এবং http://cpscm.wordpress.com স্কুল দুটিতে ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট বেইজড কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। লিসন প্লান,কোশ্চেন ব্যাংক,বেতন ভাতার হিসাব,ভর্তি ও আরো অনেক কর্মকাণ্ড উন্নত দেশের ন্যায় সকলের ব্যবহারের জন্য অনলাইনে কম্পিউটারায়ন করা হয়েছে।  আর সবই করা হয়েছে বিনা খরচে ফ্রি ব্লগ সাইটে আর গুগল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে। এতে ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি WAN স্থাপন করা হলেও আর্মি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসার,জেসিও,অন্যান্য পদবীর বাসস্থান এই পরিকল্পনার আওতায় নেই। চট্টগ্রাম ও সাভার সেনানিবাস তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় এনেছে। এ সেনানিবাসে মাসে ৮৫০ টাকা করে ময়মনসিংহ শহরের মাইনেট কো: ক্যান্টনমেন্টে কিছু কিছু অফিসারদের ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষকদের বাসস্থানে সংযোগ দিয়েছে তাদের উচ্চ মূল্যের মাসিক চার্জ,২৫০০ টাকা সংযোগ মূল্যের করনে অতি অল্প সংখ্যক গ্রাহক সংযোগ নিয়েছে। তাদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলে মাসিক ১০০০ টাকা চার্জ এবং ৫০০০ টাকা ফেরত যোগ্য জমানত এবং সর্বনিন্ম ৫০ জন গ্রাহক দাবী করে আসছিল। যারা এখন সংযোগ বজায় রেখেছে তারা অনবরত অন্যান্য সেনানিবাসের মত ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য ইতিপূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন কমান্ডার ব্রিগে: জে: মাসুদকে অনুরোধ করে আসছিল। আর্মি ওয়ান লাইনের চালু হয়ে তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি অপেক্ষমাণ ছিল।

২।  উদ্দেশ্য: এই প্রজেক্ট নিয়ে তৈরিকৃত কার্যবিবরণীর উদ্দেশ্য হল ময়মনসিংহ সেনানিবাসে অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাক-বোন তৈরি করা এবং প্রাথমিকভাবে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুল,পরবর্তীতে বোর্ড স্কুল, অফিসার পারিবারিক বাসস্থানে ও অন্যান্য পদবীর বাসস্থানে সংযোগ প্রদানের একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা।

৩।  প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা: প্রজেক্টটি নিন্মবর্নিতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে:

ক।    বিটিসিএল-এ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আবেদন করা। ১৫ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে অধ্যক্ষ ক্যান্ট পাবলিক দ্বারা ৩ মেগাবাইট ব্যান্ড উইর্থ এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক আপগ্রেড করা হবে।

খ।       বিটিসিএল-এর ডিমান্ড নোট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ডিমান্ড নোটের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা। ডিমান্ড নোটের জন্য ৬৫,০০০টাকা প্রদান করা।

গ।       বিটিসিএল-এর অপটিক্যাল লাইন ও ই-ওয়ান পোর্ট স্ট্যাটিক সিগন্যালে মজুদ থাকায় অতিরিক্ত কোন ব্যবস্থাদি বিটিসিএলকে নিতে হবে না। অতিরিক্ত খরচ বিটিসিএলকে দিতে হবে না। শুধুমাত্র রাউটার বাবদ ৬০,০০০ টাকা ও অন্যান্য খরচ ১০,০০০ টাকা। মোট খরচ ৭০,০০০টাকা। রাউটার স্ট্যাটিক সিগন্যাল এক্সচেঞ্জের ই-ওয়ান পোর্টে লাগাতে হবে। অতঃপর অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ দিতে হবে।

ঘ।       স্ট্যাটিক সিগন্যালের এক্সচেঞ্জ হতে ষ্টেশন লাইব্রেরী পর্যন্ত ১০০০ মিটার অপটিক্যাল সংযোগ দেয়া হবে্ প্রতি মিটার ২০ টাকা হিসাবে ২০,০০০ টাকা এবং জিআই তার ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫,০০০ টাকা খরচ হবে।

ঙ।       স্টেশন লাইব্রেরী হতে ক্যান্ট পাবলিকের অফিস পর্যন্ত ৫০০ মিটার ক্যাবল সংযোগ প্রদান বাবদ ৫০০x২০=১০০০০ টাকা আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বাবদ ১৫,০০০ টাকা।

চ।       ক্যান্ট পাবলিক কলেজের ভিতর লাইব্রেরী,কম্পিউটার ল্যাব,টিচার্স কোয়ার্টার ও মিলিনিয়াম স্কুলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংযোগ করতে প্রয়োজন ১০০০ মিটার অপটিক্যাল ক্যাবল এতে খরচ ১০০০x২০=২০,০০০ টাকা। ৬টি মিডিয়া কনভার্টার,৬টি ইউপিএস ৫০,০০০ টাকা। সুইচ ১০টিx১৫০০=১৫,০০০ টাকা। ইউটিপি ক্যাবল ১০০০ মিটারx২০=২০,০০০ টাকা। বিবিধ খরচাদি ২০,০০০ টাকা। সর্বমোট সর্বমোট: ১,২৫,০০০ টাকা। নেট ডায়াগ্রাম ক্রোড়পত্র - খ।

ছ।       অফিসার মেসের ২টি বিওকিউ ও ৭টি পারিবারিক বাসস্থান, ষ্টেশন লাইব্রেরী-ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস এলাকা সহ ১০টি মিডিয়া কনভার্টার,১০টি ইউপিএস,১০টি সুইচ বাবদ খরচ=১,৪০,০০০ টাকা,আভ্যন্তরীণ শাখা লাইন ৬/৪ কোরের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বাবদ খরচ ১০০০ মিটার ২৫০০০ টাকা,১০০০ মিটার ইউটিপি ক্যাবল বাবদ খরচ ১৫০০০ টাকা। অন্যান্য খরচ ২০০০০ টাকা সর্বমোট খরচ ২,০০,০০০টাকা।


জ।       ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল,জেসিও ও অন্যান্য পদবীর বাসস্থানের জন্য আনুমানিক ২,০০,০০০টাকা খরচ হবে, যা কিনা শেষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  

৪।       সমস্ত খরচের সারাংশ

ক।       ১ম পর্ব(ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুল সংযোগ করা)
(১)      ডিমান্ড নোট-                           ৬৫,০০০ টাকা।
(২)      রাওটার ও অনুষাংগিক-                    ৭০,০০০   টাকা।
(৩)      এক্সচেঞ্জ থেকে মূল হাব স্টেশন সদর দপ্তরে সংযোগ - ২৫,০০০ টাকা।
(৪)      স্টেশন স্কুল হতে ক্যান্টপাবলিক -              ১৫,০০০ টাকা।
(৫)   পাবলিকের আভ্যন্তরীন সংযোগ ও ক্যাবলিং -    ১,২৫,০০০ টাকা।
                                   মোট: ৩,০০,০০০ টাকা।

খ।       অর্থায়নের  প্রাথমিক পরিকল্পনা: ক্যান্ট পাবলিক-২,০০,০০০ টাকা(১,০০,০০০ টাকা কম্পিউটার ফান্ডে আছে বাকী ১,০০,০০০ টাকা সাধারন তহবিল হতে লোন নেয়া হবে যা কিনা ক্যান্ট পাবলিকের চিফ প্যাট্রন ,জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশনের কাছে চেয়ারম্যান অনুদানের আরজ জানাবেন),মিলিনিয়াম স্কুল ,০০০ টাকা, আর্টিলারী বিগেড হতে অনুদান ৫,০০০ টাকা।



গ।       ২য় পর্ব: (স্টেশন লাইব্রেরী,ফ্লাগ স্টাফ হাউস,দুটি বিওকিউ এবং ৬টি অফিসাস্ পারিবারিক বাসস্থান সংযোগ করা) :সর্বমোট খরচ-২,০০,০০০ টাকা। (অনুচ্ছেদ ৩-এর উপ অনুচ্ছেদ ছ)।


ঘ।       অথার্য়নের প্রাথমিক পরিকল্পনা: স্টেশন সদর দপ্তর ও ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড হতে অনুদান।

ঙ।       ৩য় পর্ব: (ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল এবং জেসিও ও অনান্য পদবীর বাসস্থানে সংযোগ):
সর্বমোট খরচ: ২,০০,০০০টাকা।

চ।       অথার্য়নের প্রাথমিক পরিকল্পনা: স্টেশন সদর দপ্তর,সমস্ত ইউনিট হতে অনুদান (কারন সমস্ত ইউনিটের জেসিও আনান্য পদবী এর সুবিধা পাবে।), ক্যান্টরমেন্ট বোর্ড স্কূলের ফান্ড হতে এবং সিইও হতে অনুদান।

৫।       বিটিসিএল-এর ২০,৫০০টাকা মাসিক ব্রডব্যান্ড চার্জের অর্থায়ন:

ক।       ১ম পর্ব (ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুল সংযোগ হতে)
(১)      ক্যান্ট পাবলিক কম্পি: ল্যাব:       ৪,০০০ টাকা।
(২)      ক্যান্ট পাবলিক অফিস কম্পি:       ১,০০০   টাকা।
(৩)      মিলিনিয়াম কম্পিউটার ল্যাব:       ২,৫০০  টাকা।
(৪)      ১০টি পারিবারিক সংযোগ         ৩,০০০   টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
(৫)      ক্যান্ট পাবলিক লাইব্রেরী ২ কম্পি:  ১,০০০টাকা।(প্রতি ঘন্টা ১০ টাকা সকলের জন্য উন্মুক্ত)
                          মোট: ১০,০০০ টাকা।
২য় পর্ব বাস্তবায়নের পূর্ব পযর্ন্ত ২০,৫০০ টাকা দ্বিগুন হারে আদায় করে ঘাটতি পূর্ন করা হবে।
         
খ।       ২য় পর্ব (ক্যান্ট: পাবলিক ও অফিসার বাসস্থান এলাকা)
(১)      ক্যান্ট পাব: ও মি: স্কুল(১ম পর্ব):৯,৫০০ টাকা।
(২)      স্টেশন লাইব্রেরী    :         ১,০০০ টাকা।
(৩)      বিওকিউ৬২টি রুম ৩০ সংযোগ:   ৯,০০০   টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
(৪)      ৭টি কোয়াটার,৫৬ফ্লাট,৩০ সংযোগ: ৯,০০০  টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
                              মোট: ২৮,৫০০ টাকা।

প্রতি মাসে ২৮,৫০০টাকা-২০,৫০০ টাকা=৮,০০০ টাকা স্টেশন কম্পিউটার ক্লাব ফান্ডে জমা হবে। বছরে ৯৬,০০০ টাকা জমা হবে। প্রথম বছর সমস্ত যন্ত্রাংশে ওয়ারেন্টি থাকায় প্রতিস্থাপিত যন্ত্রাংশ ক্রয়ে কোন খরচ লাগবে না।

গ।       ৩য় পর্ব: পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে। সমুদয় উপার্জনের টাকা স্টেশন কম্পিউটার ক্লাবে জমা হবে।
 ৬।       পরিকল্পনা বাস্তবায়ন: সমস্ত যন্ত্রাংশ স্থাপন,সরবরাহ জনাব তপন,সাকসেস কম্পিউটার,ময়মনসিংহের (মোবাইল:০১৭১১-৬৮২১৮৪) মাধ্যমে করা হবে। সাকসেস কম্পিউটার ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ,মিলিনিযাম স্কুল,১৯ আর্টিলারী ব্রিগেড,সদর দপ্তর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের সাথে কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অলিখিত ভাবে ১০/১২ বছর যাবত যুক্ত আছে। তাদের কর্মদক্ষতা ও দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তায় সকলের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। উপরোক্ত স্থাপনায় আর্মি WAN স্থাপনকারী ঢাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ২৯,০০,০০০ টাকার পরিকল্পনা দেয়। এছাড়া ময়মনসিংহের বাইরের প্রতিষ্ঠান হতে পরবর্তী সময়ে আশানুরূপ সহায়তা পাওয়া যাবে না বলে ধারনা করা যায়।

৭।       রক্ষণাবেক্ষণ: সাকসেস কম্পিউটারকে মাসিক ২,০০০ টাকায় ৩ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির দুইজন সৈনিক,মিলিনিয়াম স্কুলের একজন অফিস এসিসট্যান্ট,ক্যান্ট পাবলিকের একজন অফিস সহকারী ও ক্যান্ট পাবলিকের কম্পিউটার ল্যাব সহকারীকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণে পারদর্শী করা যেতে পারে। ক্যান্ট পাবলিকের একজন কম্পিউটার শিক্ষককে নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

৮।   এইজ মোডেম বনাম ব্রডব্যান্ড: এইজ মোডেমে আনুমানিক ৫-১৬ কেবিপিএস ব্যান্ড উইথ পাওয়া যায়। যা কিনা মেইল চেক ও পত্রিকা পড়ার জন্য যথেষ্ট মনে হয়। এইজ মোডেমের লিংক ডাউন হয় না বললেই চলে একান্তই জাতীয় পর্যায়ে অপটিক্যাল লাইনের বিপর্যয় না হলে সমস্যা হয় না। এদের এই নিরবচ্ছিন্ন সেবার জন্য ব্রডব্যান্ড থেকে তাদের সংযোগের প্রতি সকলের আগ্রহ বেশী। ব্রডব্যান্ড অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে এ ধরনের লিংক ডাউনের ঘটনা আমরা কমাতে পারি। এজন্য হাবের পরিবর্তে ভাল মানের সুইচ, ইউটিপি খুবই কম পরিমাণে ব্যবহার করা। অপটিক্যাল লাইন ব্যবহার বেশী করা হবে। মিডিয়া কনভার্টার ও সুইচে ব্যাক আপ পাওয়ার হিসাবে ইউপিএস ব্যবহার করা হবে। এতে ইন্টারনেট সংযোগের লিংক ডাউন অনেক কমে আসবে। ৩ এমবিপিএস ৪০ জন গ্রাহককে দেয়া হয় এবং ৪০ জন গ্রাহক একই সময়ে কাজ করে তাহলে ব্যান্ড উইথ শেয়ার হয়ে গ্রাহক প্রতি (১০২৮x৩)/৪০=৭৭ কেবিপিএস পাওয়া যাবে যা কিনা এইজ মোডেমের ৪গুন। যারা এইজ মোডেম এবং ব্রড ব্যান্ড দুটাই ব্যবহার করেন তারা আরো বেশী পরিমাণে পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং ব্রডব্যান্ডে অত্যন্ত দ্রুত ও সাবলীল। ব্রাউজ করতে এইজ মোডেম অপেক্ষা ব্রডব্যান্ডে কম সময় লাগে বিধায় এটা অনেক শ্রম ঘণ্টা বাঁচাবে।

৯।   লিংক ডাউনের পরিমান কমানোর উপায়: ময়মনসিংহ সেনানিবাসে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড বিটিসিএল হতে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে এডিসিএল মোডেম ব্যবহার করে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রেখেছে। বিটিসিএল এর ব্যাকআপ হিসাবে তারা সিটিসেলের জুম মোডেম ব্যবহার করছে। তেমনি এই নেটওয়ার্কেও এধরনের বা অন্যকোন ব্যবস্থাপনায় ব্যাকআপ চালু রাখা যাবে যাতে বিটিসিএল-এর লাইনে সমস্যা হলে অন্তত মেইল চেক করার মত ব্যান্ডউইথ যেন চালু থাকে। ক্যান্টনমেন্টের ক্যাবল টিভির কম্প্লেইনের মত ২৪ ঘণ্টা কম্পপ্লেইন সেন্টার চালু রাখা যেতে পারে। যাতে যে কোন সমস্যা অতি দ্রুত সমাধা করা যায়। কিছু এইজ বা জুম মোডেম মজুদ রাখা হবে এতে সমস্যা সমাধানের মধ্যবর্তী সময়ে গ্রাহকদের দেয়া হবে যেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বঞ্চিত না হয়। মিলিনিয়াম স্কুলে তিনটি এবং ক্যান্ট: পাবলিকে বর্তমানে ৯টি মোট ১২টি এইজ মোডেম গ্রামীণ ফোনের পি-৬ অপশনে ব্যবহৃত হচ্ছে যা রক্ষণাবেক্ষণ কালীন সময়ে গ্রাহকদের স্বল্প মেয়াদে দেয়া যাবে। দ্বিতীয় পর্ব শেষ হওয়ার পর আর একটি বিকল্প অপটিক্যাল লাইন বিছানো যেতে পারে যা কিনা মুল লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বা কাটা পড়লে বিকল্প লাইন চালু থাকবে। বিকল্প লাইনটি কম খরচের ও কম কোরের অপটিক্যাল ক্যাবল দিয়ে ভিন্ন পথে স্টেশন লাইব্রেরীতে মেইন জংশন পয়েন্টে এসে পৌঁছাবে।

১০।   ওয়াইম্যাক্স বনাম ব্রড ব্যান্ড: ওয়াই ম্যাক্স প্রযুক্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অতি সম্প্রতি চালু হয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় পরীক্ষামুলক কার্যক্রম চলছে। এরা প্রথমে আনলিমিটেড সংযোগ ৩০০ টাকা ঘোষণা দিলেও বর্তমানে ৬০০ টাকায় ঢাকায় সংযোগ দিচ্ছে। তাই এই প্রজেক্টের মত ৩০০ টাকায় ইন্টারনেট সংযোগ আশা করা যায় না। এছাড়া গ্রাহক বাড়লে সেনানিবাসের ইন্টারনেট সংযোগ ২০০ টাকায় মাসিক খরচ নামিয়ে আনা সম্ভব। বিটিসিএল ব্যান্ডউইথ খরচ কমে গেলেও মাসিক রেন্ট কমে যাবে। এছাড়া বাসস্থানের একটি সংযোগে ল্যাপটপ সহ একাধিক কম্পিউটার একই মাসিক লাইন রেন্টের সাথে ১০০ টাকা বেশী দিয়ে একাধিক কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহকগন স্বল্প খরচে ছোট হাব এবং তার ক্রয় করে সংযোগ রাখতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা বিনামূল্যে কম্পিউটার ক্লাবের প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান দ্বারা দেয়া হবে। তবে একাধিক কানেকশন একই গ্রাহকের একই কোয়াটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ

থাকতে হবে। ওয়াই ম্যাক্স চালু হলে ওয়াই ম্যাক্সের দুই একটি মোডেম ব্যাকআপ সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

১১।      ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর ব্যবস্থা: বর্তমানে ৪০ জন গ্রাহক একই সময়ে অনলাইনে থাকার উপযোগী করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে, তবে পরবর্তীতে প্রয়োজন সাপেক্ষে নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত ক্যাপাসিটি থাকবে। শুধুমাত্র বিটিসিএল কাছ থেকে ব্যান্ডউইর্থ বাড়িয়ে ছোট খাট কিছু যন্ত্রাংশ এক্সচেঞ্জে লাগিয়ে নিলেই চলবে।

 ১২।    উপসংহার: বাংলাদেশের পেক্ষাপটে সেনানিবাসের মত সুশৃঙ্খল পরিবেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক বেশী আইটি বিষয়ে দক্ষ জনবল  তৈরি করা যাবে। দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সহজী-করন করার জন্য আইটি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। বিগত কয়েক মাসে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুলের অফিস সহকারী ও শিক্ষকরা অনলাইনে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। তাদের অফিস ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে কার্যক্রম সীমিত থাকছে না। পেপার লেস অফিস তৈরি করে অনেক বেশী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিচ্ছে। এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। মোবাইল মোডেম দিয়ে ব্যবহত ইন্টারনেটে একই খরচে নিশ্চিত ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে তবে কেন ব্রডব্যান্ড। মোবাইল ডিভাইসে কখনওই আশানুরূপ ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে না। আমরা উন্নত সকল দেশে দেখতে পাই যতই ইন্টারনেটের জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করুক না কেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রথম তালিকায় ব্রডব্যান্ড রেখেছে। মোবাইল সংযোগ ওয়্যারলেস হওয়ায় তা আবহাওয়ার ও বিটিএর দূরত্বের নির্ভর করে। খোদ ইউএসএ-তে ১ মেগাবাইটের নীচে ইন্টারনেট কানেকশনকে তারা অদক্ষ ইন্টারনেট হিসাবে মনে করছে। বর্তমানে রেডিও শোনা,টিভি দেখা ইত্যাদির জন্য ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর ইন্টারনেটের কর্মকাণ্ড যদি রিয়াল টাইম করা না যায়,যদি কমান্ড দেয়ার পর ওয়েব পেজ খুলতে সময় নেয় তবে তা ক্লান্তিকর,বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। সবশেষে বলা যায় তৃপ্তির সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ব্রডব্যান্ডের কোন বিকল্প নাই।


Sunday, August 17, 2014

ফেরিওয়ালাদের লাইট


সেদিন( জুলাই ২০১৪) বগুড়া শহরের সাত মাথায় পাশ দিয়ে খান মার্কেটে যাচ্ছিলাম আমার ল্যাপটপের এ্যাডাপটার বা চার্জার মেরামত করার জন্য। সাত মাথায় চটপটি-ওয়ালা, বাদাম-ওয়ালা, পত্রিকাওয়ালা ও কাপড়-ওয়ালা সহ শতাধিক ফেরিওয়ালা বিদ্যমান। লাইন ধরে সমস্ত ফেরিওয়ালা বিশেষ ধরনের টিউব লাইট সদৃশ এলইডি লাইট জ্বালিয়ে আছে। আমার শশুরালয় বগুড়াতে হওয়ায় মাঝে মাঝে বগুড়ায় আসা পড়ে। আর অনেক অনেক দিন আগে থেকেই লক্ষ করে আসছি এই সাত মাথা মোটামুটি ফেরিওয়ালাদের জন্য একটা জমজমাট স্থান।
ফেরিওয়ালার বিশেষ ধরনেরই লম্বাটে দুই ফুট দৈর্ঘ্যের টিউব লাইট ব্যবহার করছে। এই লাইট বছর খানেক আগে চোখে পড়েনি। যে ধরনের লাইট কিছুদিন পূবে চোখে পড়ছিল তা হল সিএফএল ছোট ছোট ১৫/২০ ওয়াটের টিউব লাইট বা এনার্জি সেভিং লাইট। এবার চোখে পড়ল ভিন্ন ধরনের লাইট। এ ধরনের লাইটের আমদানি বা ব্যবহারও বেশীদিন আগে শুরু হয়নি। এলইডি টিউবগুলি সাধারণত ১০/২০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাত্র ৬ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ফেরিওয়ালারা বিশেষ করে শহরে দোকানদারী করে তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের লাইট ব্যবহার করে আসছে। যেমন আজ থেকে ২০ বছর আগের প্রেক্ষাপটে গেলে আমাদের স্মৃতিতে উদ্ভাসিত হবে চানাচুরওয়ালা আর বাদাম ওয়ালাদের বড় বড় কুপি বাতি। আর যেসব ফেরিওয়ালাদের অবস্থা ভাল তারা ব্যবহার করছিল বড় বড় হ্যাজাক বাতি। যার আলো অনেক উজ্জ্বল। এখনও বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায়, চর অঞ্চলে মাছের ব্যাপারী ও অন্যান্য ফেরিওয়ালারা কুপি ও হ্যাজাক ব্যবহার করছে। যদিও সংখ্যাটা কম।
শহরের ফেরিওয়ালাদের আজ থেকে আনুমানিক দশ বছর আগে তারা ব্যাটারি দিয়ে গাড়ীর বাতি বা ছোট ১০/২০ ভোল্টের লাইট ব্যবহার করত। এ ধরনের লাইট এখনও গাড়ীতে ব্যবহার হয়। তখন ব্যাটারি দিয়ে টেপরেকর্ডারও চালানো হত। আর এখন চালানো হয় এমপি থ্রি প্লেয়ার। এগুলো আবার প্যান ড্রাইভ থেকে চালানো হয়। আগের ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে বর্তমান এমপিথ্রি প্লেয়ার অনেক বেশী এনার্জি এ্যাফিসিয়েন্ট। যেহেতু ক্যাসেট প্লেয়ারের মত বা সিডির মত এমপি থ্রি প্লেয়ার কোন মুভিং পার্টস নাই সেহেতু এ পদ্ধতি অনেক বেশী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। রেডিওতে ক্যাসেট প্লেয়ারের মত মুভিং পার্টস না থাকার কারণে রেডিও দীর্ঘ সময় চালানো যায়। তেমনি পেন ড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড থেকে এমপিথ্রি প্লেয়ারও নিখুঁত শব্দে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। আর এ পদ্ধতি অনেক ফেরিওয়ালারা ব্যবহার করছে।
ফেরিওয়ালারা তাদের ব্যাটারি সোর্স থেকে লাইট জ্বালানো ও মিউজিক বাজানো ইত্যাদি কাজ করে থাকে। ব্যাটারির আকৃতি ও ক্ষমতা অনুযায়ী কয়েকদিন পর পর ব্যাটারিগুলো চার্জ করা হয়। সাধারণত ব্যাটারি চার্জিং শপে এ সমস্ত ব্যাটারি ৫০/ ৬০ টাকার বিনিময়ে চার্জ করা যায়। ফেরিওয়ালাদের ভ্যানে রাখা ব্যাটারিটি হল ফেরিওয়ালাদের মোবাইল পাওয়ার স্টেশন।


ফেরিওয়ালাদের মোবাইল পাওয়ার স্টেশনের ব্যাটারি চার্জ দিতে চার্জিং শপে নিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুইটাই খরচ করতে হয়। আমরা যদি ফেরিওয়ালার ভ্যানের ছাদে সোলার প্যানেল তুলে দেই তবে ব্যাটারি চার্জ করার জন্য ব্যাটারি নিয়ে দৌড়াতে হবে না। সোলার প্যানেল থেকে ব্যাটারি চার্জ হবে আর ফেরিওয়ালাকে ব্যাটারি চার্জ করার জন্য টাকা আর সময় খরচ করতে হবে না। তবে আশার কথা বর্তমানে অনেক ফেরিওয়ালা তাদের ভ্যানে সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি ব্যবহার করছে। সোলার সিস্টেম এনজিওদের সহায়তায় আমরা স্থাপন করতে পারি। ফেরিওয়ালাদের এ ধরনের প্রয়াস বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Sunday, August 10, 2014

নিরাপদ ও অ-ডুবন্ত জলযান তৈরি করুন আর বন্ধ করুন মানুষ মারা

ঈদ উল ফিতর ২০১৪ দিনটিতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মহিলা শিশুসহ ১১ জন মারা যায়। তারা ট্রলারে করে পদ্মার চরে বেড়াতে যাচ্ছিল। পদ্মার ঢেউয়ে ট্রলার ডুবে এ দূর্ঘটনা ঘটে। অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজ্ঞানের উন্নয়নের যুগে এ মৃত্যু আশা করা যায় না। তার কয়েকদিন পরে পিনাক-৬ নামে মুন্সিগঞ্জে লঞ্চ ডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। অনেক লাশ নিখোঁজ ছিল। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আমার মনে একটা প্রশ্ন আছে। আমাদের জলযান কেন ডুববে? আমরা কি পারি না অ-ডুবন্ত(Unsinkable) জলযান ডিজাইন করতে । অবশ্য তা পারি। এ ধরনের জলযান টাইটানিকের মত ভয়াবহভাবে আঘাত না পেলে এবং জলযানের তলদেশ না ফাটালে বা না লিক হলে তা ডুববে না।

আমরা যদি একটা খালী বোতল ছিপি আটকিয়ে পানিতে টেনে ডুবানোর চেষ্টা করি তবে সেই বোতল কখনোই পানিতে ডুবানো যাবে না। আপনি পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন। যদি ছিপি আটকানো খালী বোতলকে পানিতে ডুবানো না যায় তবে এর আদলে ডিজাইন করা জলযান  সরাসরি আঘাত করে বিধ্বস্ত করা ছাড়া ডুবানো যাবে না। আর যদি জলযান টুকরো হয়ে যায় তবে তার টুকরোগুলো যেন ভেসে থাকে কারণ সেসব টুকরোগুলো ধরে মানুষ ভেসে থাকতে পারবে। আমরা বুঝতে পারছি আমাদের বাংলাদেশ যে সব জলযান নিমজ্জিত হচ্ছে সে সব জলযানের ডিজাইন গত ত্রুটি রয়েছে।

প্লাস্টিক ফাইবারে তৈরি স্পীডবোড গুলি সাধারণত হালকা ও ফাঁপা হওয়ায় এগুলো ডুবে না। তবে ঢেউয়ে উল্টিয়ে যেতে পারে। যদি কোন জলযান না ডুবে তা উল্টিয়ে পালটিয়ে ভেসে থাকে তবে সে জলযানে ধরেও জলযানের আরোহীরা  বেচে থাকার চেষ্টা করতে পারে। বাংলাদেশে রিক্সাকে পৌরসভা লাইসেন্স দেয়। কিন্তু নসিমন ও করিমন অবৈধ বলে লাইসেন্স নেই। তেমনি অবৈধ জলযান ট্রলারেরও লাইসেন্স নেই। এমনকি স্পীড বোটের ইঞ্জিনেরও কোন লাইসেন্স বা নিয়ন্ত্রণ নেই। শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চের কিছুটা/নামমাত্র  পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ আছে।
এটা পরীক্ষিত যে, ছিপি আটকানো খালি বোতল পানিতে ডুবে না। আমরা বোতল টেকনিকে খালি ট্যাংক সংযুক্ত করে জলযান ডিজাইন করতে পারি। ছোট বড় যে কোণ জলযান তার ওজন অনুযায়ী সামনে পিছে টিনের শিট 
দিয়ে জলযানের ওজনের সমান আয়তনের পানির ছিপি আটকানো বোতলের ন্যায় দুইটি/তিনটি খালি ট্যাংকি স্থাপন করতে পারি। এধরনের জলযান সহজে ডুববে না। যদি না সেই ট্যাংকি ফুটা বা ভাঙ্গা না হয়। একাধিক খালী ট্যাংক থাকলে একটি বা দুটি ট্যাংক ফুটো হলে ৩য় ট্যাংক জলযানকে আংশিক ভাসিয়ে রাখবে। এ ধরনের খালী ট্যাংকি সমৃদ্ধ জলযান ঢেউয়ে উল্টালেও তা ভেসে থাকবে। এমনকি ভেঙ্গে টুকরো হলেও টুকরো গুলো ভেসে থাকবে। আর কিছু 

করতে না পারলেও বড় বড় ছিপি-যুক্ত খালী জারিক্যান অথবা সাদা শোলা জলযানের তলদেশে শক্ত করে বেধে রাখলে জলযান কাত চিত হোক, ফাটল ধরুক বা ভেঙ্গে যাক তবুও ভেসে থাকবে। যদি জলযান কাত চিত হয়েও ভেসে থাকে তবুও যাত্রীরা জলযানটি ধরে ভেসে থেকে উদ্ধারের অপেক্ষা করতে পারে। ২০১৪ সালে বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নয়নের সময় জলযান ঢেউয়ের বারিতে ডুবে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। যারা জলযান তৈরি করেন তারা মেধা খাটিয়ে শুধু একটু চিন্তা করলেই হল, আর তা হল, উল্টানো পাল্টানো যাই হোক জলযান যেন যে কোন অবস্থায় না ডুবে। সর্বদা ভাসমান থাকে । এতে ভাসমান দ্রব্যাদি(খালী জারিক্যান, শোলা ইত্যাদি ভিজে নষ্ট হয়না এরূপ হালকা ভাসমান দ্রব্যাদি) দিয়ে জলযানের তলদেশে সেট করে নিলে জলযান ডুববে না। আর যদি জলযান ভেঙ্গে যায় বা উল্টিয়ে যায় তবুও জলযান ভাসমান থাকলে তা ধরে যাত্রীদের প্রাণহানি কমে যাবে। এখন প্রয়োজন জলযান মালিকদের সততা ও মানবিকতা। জলযান ডিজাইনার ও মিস্ত্রীদের ইতিবাচক মানসিকতা । কেবলমাত্র ২০% অথবা ৩০% বেশী অর্থ খরচ করে একটা জলযানকে নিরাপদ করা যায়। অথচ আমাদের বাংলাদেশে এখনও মানুষদের সে মানুষিকতা গড়ে উঠেনি।

আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে নিরাপদ ট্রলার। নিরাপদ জেলে নৌকা। নিরাপদ ফেরির নৌকা। প্রযুক্তির অভাব নেই। শুধু রয়েছে অর্থলোভ। আর এই অর্থলোভের কারণে জলযান নিরাপদ ভাবে তৈরি বা ডিজাইন করা হয় না। ঈদের আগে অনিরাপদ ও দুর্বল কাঠামোর জলযান চালানো হয় বাড়তি কামাই ও বাড়তি পরিবহনের জন্য।
অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে ও বাড়ী ফেরার তাড়া থাকায় যাত্রীরা বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জলযানে যাত্রা করে। জলযান পরিচালনাকারী সাথে সাথে জলযানের যাত্রা বন্ধ করার মানসিকতা দৃঢ়তা দেখালে শয়ে শয়ে মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। অধিক যাত্রী অধিক টাকা। এ মানুষিকতায় বিপর্যয় নেমে আসবে।
যারা জলযানে অনিরাপদ জানা সত্বেও যাতায়ত করতে বাধ্য হন, তাদের প্রয়োজন জলযান ডুবে যেতে পারে এ ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করা। যদি সামর্থ্য থাকে তবে মুখ দিয়ে বাতাস ফুলিয়ে হাতে পড়ার ব্যান্ড বা লাইফ জ্যাকেট বহন করতে পারেন। জলযানে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট বা বয়া থাকবে বাংলাদেশে তার গ্যারান্টি নাই কারন প্রায় সকল জলযানই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে।

লাইফ জ্যাকেট শোলা বা ফোম দিয়ে তৈরি করতে পারেন। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর সাথে যে পরিত্যক্ত শোলা থাকে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ভাসমান বয়া তৈরি করে সহজেই নিজেকে ভাসমান রাখতে পারবেন। এছাড়া আপনার সাথের ব্যাগগুলো শোলা ঢুকিয়ে ভাসমান করুন যেন আপনার জলযান ডুবার সাথে সাথে আপনার ভাসমান ব্যাগগুলো বয়ার মত আপনার সাথে ভাসতে থাকে। এতে আপনি ব্যাগ হারানোর অতিরিক্ত লস থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন। যারা সাতার জানেন না, নারী ও শিশুরা অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট বা ভাসমান কিছু গায়ের সাথে বেধে নিবেন। একান্তই যদি কিছু না পান, দুইটি লিটারের খালী বোতল ছিপি বন্ধ করে নিজের শরীরের  সাথে বেধে রাখুন। অন্তত জলযান ডুবলে বোতল ধরে ভাসতে পারবেন। মানুষের সম্পূর্ণ শরীর পানির সম আয়তন থেকে ভারী নয়। তবে মানুষের মাথা ভারী বলে মানুষের মাথা ডুবে। মানুষ পানি খায়। পানি খেয়ে আরো ভারী হয়ে ডুবে যায়। তাই সাতার হল মাথা ভাসিয়ে রাখার কৌশল। ফলে কোন রকমে খালী বোতল ,খালী জারিকেন, শোলা ইত্যাদি অবলম্বন ধরে মাথা ভাসাতে পারলে ভেসে থাকা বা বেচে থাকা সম্ভব। অনিরাপদ জলযানে যাতায়তে বাধ্য হলে পাজামা পাঞ্জাবীর মত জটিল পোশাক না পড়ে সাতার সহায়ক পোশাক পড়ে থাকা নিরাপদ। আর একান্তই জলযান ডুবে গেলে আন্ডার ওয়্যার বাদে সব পানিতে বিসর্জন দিন। কারণ জান বাঁচানো ফরজ। আর মরে গেলে পানির তোড়ে আপনার শখের কাপড় চোপড় খুলে যাবে আর আপনার লাশ হয়ে যাবে দিগম্বর। তাই আগেই নিজেকে হালকা করে নিন ও বাচার চেষ্টা করান। মূলত: অল্প কিছুটা সতর্কতা অনেক অনেক জীবন হানি বন্ধ করতে পারে। জলযানে চড়ার পূর্বে শুধু একবার ভাববেন এটি ডুবতে পারে। যদি লাইফ জ্যাকেট বা এ জাতীয় কিছু যোগাড় করতে না পারেন তখনই লিটারের সফট ড্রিংকস বা পানির দুইটি বোতল কিনে নিবেন। আর বোতল দুইটি প্রয়োজনে গায়ের সাথে বাধার জন্য দড়ি বা সুতলি সাথে নিবেন। বাতাস দেয়া বালিশ বা এজাতীয় বাতাসে ফুলানো সামগ্রী সাথে থাকলে আরো ভাল। বাচ্চাদের খেলনা টাইপ বাতাসে ফুলানো সামগ্রী গুলো আপনি সহজে আপনার ব্যাগে নিতে পারেন এবং প্রয়োজনে নিজে ও পরিবারকে নিরাপদ করতে পারেন।
শুধুমাত্র আপনার মনকে সর্তক করবেন। আর পরিকল্পনা নিবেন জলযান ডুবলে কিভাবে ভাসবেন। জলযান ডুবতে পারে এ বিষয় চিন্তা করলে জলযানের অভ্যন্তরীণ কোন কোন ভাসমান জিনিস আপনি ব্যবহার করবেন তাও আপনার মাথায় তৎক্ষণাৎ চলে আসবে ।
জলযান তৈরির সময় শোলা/ফোম ইত্যাদি জলযানের তলায় দিয়ে তৈরি করতে পারেন। এছাড়া চারিদিকে ফাইবার গ্লাসের আবরণ দিয়ে জলযানকে হালকা ও অ-ডুবন্ত করে তৈরি করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারেন: http://taratari.org


আমরা অবহেলা করে অন্য মানুষের মৃত্যুর কারণ হব এটা মেনে নেয়া যায় না। আবার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে অনিরাপদ জলযানে আমরা যাতায়ত করব এটাও মেনে নেয়া যায় না। জলযানে আরোহণের আগে ও পরে 

জলযান ডুবে গেলে নিজেকে উদ্ধার করব এ চিন্তা আমরা করব না এ ধরনের খামখেয়ালীও মেনে নেয়ে যায় না। অতি সহজে অ-ডুবন্ত(Unsinkable) জলযান তৈরি করে আমরা আমাদের জীবনকে ঝুকিমুক্ত করতে পারি। জলযানে আরোহণের পূর্বে জলযান ডুবলে কি করা যায় তার পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিলে প্রাণহানি অনেক কমিয়ে আনা যায়। এ বিষয়ে সকলে সচেতন করাটা আমাদের সকলে পবিত্র দায়িত্ব।