Pages

Thursday, April 28, 2016

ড্রিপ( Drip ) ইরিগেশন সিস্টেম

বাংলাদেশের অনেক স্থান পানিতে ভাসছে। সেখানে চাষের জমির বড়ই অভাব। বাঙলার কৃষক সেখানে ব্যবস্থা করেছে ভাসমান শাকসবজি বাগান। দেশের বেশীর ভাগ স্থানে কৃষক সেচ ছাড়া চাষাবাদ করতে পারে না। বিশেষ করে শীতকালে সেচ বেশী প্রয়োজন হয়। শীতকালে এখন আমরা ডিপ টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করি। নদী নালা খাল বিল শুকিয়ে যায় তাই সমস্ত নির্ভরতা চলে আসে ভূগর্ভস্থ পানির উপর। এতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নীচে যেতে থাকে। বাংলাদেশ বৈষয়িক উষ্ণতার ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় আছে। আর এখন আমরা ভূগর্ভস্থ পানি কমিয়ে আরো বেশী মরুকরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। তাহলে উপায়। উপায় একটা আছে। পানির ব্যবহার কমানো। বিশেষ করে পাতালের পানির ব্যবহার কমিয়ে ফেলা। তা কি সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব। ধান চাষ ছাড়া যে কোন চাষাবাদে ড্রিপ ইরিগেশন সম্ভব। ড্রিপ ইরিগশেনের মুল আইডিয়া হল যেখানে যে পরিমাণ পানি দরকার ততটুকু পানি ফোটায় ফোটায় গাছের গোঁড়ায় দেয়া। আমরা যখন ঝাঁঝরি দিয়ে পানি দেই তখন সেই পানিটা চারিদিকে ছিড়িয়ে যায়। এতে পানি অপচয় হয়। আবার যখন পাইপ দিয়ে দেই তখনো পানির অপচয় হয়। জমি ভাসিয়ে দিয়ে পানি দেয়া আরো সহজ ও পানির অপচয় তাতে অনেক অনেক বেশী হয়। যদি গাছের গোঁড়ায় ফোটা ফোটা করে ধীরে ধীরে  পানি দেয়া যায় তাতে পানি কম প্রয়োজন হবে। পানি ধীরে ধীরে গাছের গোঁড়ায় পৌছিয়ে যাবে। ধীরে ধীরে ফোটায় ফোটায় পড়ার কারণে তা একবার পানি দিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না গিয়ে উত্তম ভাবে গাছের গোঁড়ায় জমা হবে। শুধুমাত্র গাছের গোঁড়ায় পানি যাওয়ার কারণে এই গাছের চারিদিকে আগাছা কম হবে। কারণ মুল গাছটিই কেবল পানি পাবে অন্য গাছের আগাছা পানি না পেয়ে বাড়তে পারবে না। বিভিন্ন তথ্যাদি থেকে এটা জানা যায় ড্রিপ ইরিগেশন ব্যবস্থায় পানির ব্যবহার ৭৫% পর্যন্ত সাশ্রয় হয়। এতে যদি বিঘা প্রতি ডিজেলে খরচ প্রতি সিজনে তিন হাজার টাকা হয়, তবে খরচ সাশ্রয় হল ২২৫০ টাকা। তিনটি সিজনে খরচ সাশ্রয় ৬৭৫০ টাকা। পাঁচ বছরে খরচ ৩৩৭৫০ টাকা। অপরদিকে এককালীন এ ধরনের প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমের কাঠামো তৈরি বাবদ খরচ বিশ থেকে বাইশ হাজার টাকা খরচ যাবে। সম্পূর্ণ সিস্টেমের আয়ু পাঁচ বছর ধরা হলেও মেরামত করে তা আরো পাঁচ বছর চালানো যাবে। পিভিসি পাইপ সাধারণত মরিচা পরে নষ্ট হয় না। তবে সূর্যের তাপে প্লাস্টিকের পাইপ ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকবে।
ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমে পাহাড়ের ঢালে অপচয় ছাড়াও সহজে সেচ দেয়া যায়। এর জন্য পাহাড় সমান করার প্রয়োজন নেই। পাহাড়ের উপর পানি তোলা কষ্টও শ্রমসাধ্য বিধায় সেচে অল্প পানি ব্যবহার করার কারণে পাহাড়ের  চাষে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম সার্বিকভাবে খরচ অনেক কমে যায়। এক বিঘা জমিতে ৩৬৫ দিনের মধ্যে যদি ১০০ দিন ৩০০ টাকা করে পানির লেবারে খরচ হলে বছরে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ আর পাঁচ বছরে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হবে। আবার বেশী পানি দিয়ে অতিরিক্ত ঘাস হওয়ার জন্য ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১০ দিনে অন্তত একজন লেবারে খরচ ৩৬ গুনন ৩০০ টাকা অর্থাৎ ১০৮০০ টাকা। আর পাঁচ বছরে খরচ ৫৪ হাজার টাকা। পাঁচ বছরে শুধু লেবার থেকে সাশ্রয় দই লক্ষ টাকা। এখন সোলার ব্যবহার করলে পরিবেশ গত আরেক লাভ হবে। কম পানি ব্যবহার মানে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার আর কম বিদ্যুৎ ব্যবহার মানে কার্বন নি:স্মরন কমানো। অপরদিকে ছোট ছোট সোলার পাম্প দিয়ে ভালভাবে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম চালানো যায়। মরুভূমিতে চাষাবাদের জন্য ড্রিপ ইরিগেশন খুবই আদর্শ একটি পদ্ধতি। ভারতে রাজস্থান ও গুজরাটে সোলার ড্রিপ সিস্টেম বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এনে ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম বাজার জাত করছে। তাদের দ্রব্যাদির দাম অনেক বেশী। সাধারণত সৌখিন টবের বাগান যারা করেন বা ছাদে বাগান করেন তারা ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম সহজে ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকার পার্টিগুলো দিয়ে আপনি সহজেই ড্রিপ ইরিগেশন করে নিতে পারেন। আপনাকে কিছু করতে হবে না। পেশাদারদের চুক্তি দিলেই হল তারাই সব করে দিবে। যাদের জমি বেশী তাড়া জমি দেড় হতে দুই ফিট অন্তর ৩/৪ ইঞ্চি পিভিসি পাইপ জমিতে ছড়িয়ে দিতে হবে। তার পর এক দেড় ফুট দুরে দূরে ফোটায় ফোটায় পানি পড়ার জন্য ছিদ্র করে নিলেই হল। আর মাঠের এক কোনে ১০০০ লিটারের প্লাস্টিক ট্যাংক ছয় ফুট উচ্চতায় মাচার উপর বসিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবে। তারপর সময় মত ট্যাপ খোলা বন্ধ করলেই হবে। এছাড়া সময় নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বসিয়ে সেচের নিয়ন্ত্রন করা যাবে। আবার আর্দ্রতা সেন্সর বসিয়ে পুরো জমিটি সেচ ব্যবস্থা অটোমেটিক করা যায়। যখন গাছের গোঁড়ায় পানির আর্দ্রতা কমে যাবে তখন সেন্সর সেচ চালু করে দিবে আবার সেচ সঠিক মাত্রায় হলে ও পানির আর্দ্রতা সঠিক হলে সেচ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে পানির ব্যবহার আরো মিতব্যায়ীতার সাথে ও কায়িক পরিশ্রম ছাড়া করা সম্ভব।
এটা গ্রামের মহিলাদের খুবই উপকারে আসবে। গ্রামের মহিলারা দিনের শেষে পুকুর ডোবা থেকে পানি তুলে তুলে তাদের ঘরের আসে পাশে লাগানো সবজি ক্ষেতে পানি দেয়ার পরিশ্রম ও সময় থেকে তারা মুক্তি পাবে এবং তাদের দিনের হিসাবে কিছুটা সময় বিশ্রামে যোগ হবে।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশই ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন প্রয়োজন বাংলাদেশের চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা। বাংলাদেশে যে কোন লাভজনক পদ্ধতি দেখাতে পারলেই হল। তা বাস্তবায়ন করতে মোটেই সময় লাগবে না। কারণ বাংলাদেশের অনেক এনজিও বাড়ী বাড়ী ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার জন্য। আমাদের প্রয়োজন প্রযুক্তিটি গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া।


Thursday, April 21, 2016

সব কিছু আমি মুছে ফেলি

আমি অনেক আগে থেকে একটা অভ্যাস করেছি অফিসের কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট আমি আমার ফাইল ক্যাবিনেট বা টেবিলে প্যানডিং রাখতে পারি না। টেবিল থাকতে হবে নিট এন্ড ক্লিন। ফাইল আসার সাথে সাথে ফাইল ক্লিয়ার হবে। কোন ফাইল স্তূপ আকারে জমা হবে না। একটা মোটিভেশনাল বইয়ে পড়েছিলাম কেউ যদি অফিসে যদি অধিক সময় বের করতে হলে তাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল ফাইল দ্রুত ক্লিয়ার করতে হবে। কোন ফাইল আটকানো বা দেরী করা যাবে না। যদি কোন ফাইল পেন্ডিং করতে হয় তা পেন্ডিং হবে সহকারীর লকারে নিজের কাছে নয়। কর্মকর্তা হিসাবে নিজের টেবিলটি থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। অফিস টাইমে টেলিভিশন দেখা ও গল্প করলে টেবিল পরিষ্কার রাখা একটু টাইট হবে।
একবার একজন কর্মকর্তা দু:খ করে বলেছিল সে প্রতিদিন রাতেও অফিসে আসে। দিনের বেলা কাজ শেষ করতে পারে না। রাতে তার অধিক সময় লাগে। আমি তাকে শুধু বলেছিলাম আপনার অফিসে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে অনেক ফাইল পেন্ডিং ফেলে রেখেছেন। আপনি সাথে সাথে ফাইল ক্লিয়ার করার অভ্যাস করুন তবে অনেক সময় পাবেন। আমার উপদেশ তার কোন কাজে লেগেছিল কিনা জানি না। তবে পেন্ডিং না রাখার জন্য সব সময় আমি লেখার জন্য ও পরিবারের জন্য অনেক সময় পাই। টিভি না দেখলেও অনেক সময় পাওয়া যায়। যারা সাধারণত সময় পান না। তাদের প্রথম কাজ হবে টিভি দেখা বন্ধ করে দেয়া তাহলে অনেক সময় পাওয়া যাবে।
আজকে আমার বিষয় সবকিছু মুছে দেয়া। ডিলিট করা। আমাদের জীবনে এখন সাইবার বা ভার্চুয়াল অফিস সামাল দেয়া একটা বিশাল যুদ্ধ। আমি আমার কার্যক্রমে দেখতে পাচ্ছি আমাদেরকে ইমেইল, ভাইবার ও এসএমএস এর মাধ্যমে অনেক বিষয় সামাল দিতে হচ্ছে। অনেক নির্দেশনা এখন এসএমএস এর মাধ্যম পাই। ভাইবারের মাধ্যমে নির্দেশনা ও সচিত্র তথ্যাদি পাই। ইমেইলে অনেক তথ্য চিঠি পাই। এখন এগুলো যদি ইন বক্সে জমিয়ে রাখি তবে আমাদের একই পরিমাণ মানুষিক চাপ আমাদের পেতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ আমরা কিভাবে কমাতে পারি। আমাদের যে কোন এসএমএস পড়ে মুছে ফেলাই ভাল। গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস না মুছে ২৪ ঘণ্টা রাখুন তারপরও প্রয়োজন থাকলে অন্য জায়গায় টেক্সট/ওয়ার্ড ফাইল হিসাবে সংরক্ষণ করুন। কিছুদিন পর আর প্রয়োজন না হল মুছে দিন। আমার আইডিয়াটা হল টেবিল বা ফাইল ক্যাবিনেট যেমন খালি রাখছেন তেমনি এসএমএসের ইন বক্স খালি রাখুন। ভাল লাগবে। নতুন এসএমএস আর পুরাতন এসএমএস এ আর জট পাকাবে না। আপনি চাপমুক্ত থাকবেন। মুছতে মুছতে এমন অভ্যাস হয় গত চার বছরে দুইবার এটা হয়েছে। আমি এসএমএস মুছে ফেলেছি অত:পর যিনি পাঠিয়েছেন তাকে পুনরায় পাঠাতে বলতে হয়েছে। চার বছরে দুইবার খুব বেশী না। তাই নিয়মিত এসএমএস মুছে মোবাইলের ইন বক্স খালি রাখতে কোন সমস্যা নেই। কি বলেন? আমি সব সময় এসএমএস মুছে ইন বক্স খালি রাখি। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস ড্রপবক্স বা নোট ফাইলে সংরক্ষণ করি।
ইদানীং ভাইবার, হোয়াটস্ অ্যাপ ও ইমেইল ইত্যাদি সবসময় মুছে পরিষ্কার রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইলটা নিয়ে সমস্ত ইন বক্স মুছে নিলে পরের দিন সকাল থেকে চাপমুক্ত থাকবেন। পুরানো ম্যাসেজ মুছে দিলে সে ম্যাসেজ আবার দ্বিতীয়বার পড়তে হবে না। সময় বাঁচবে ও অনেক সময় পুরানো ম্যাসেজ বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তা থেকেও বাচা যাবে।

একান্তই রেফারেন্স হিসাবে কপি করে আলাদা ফোল্ডারে রাখা যেতে পারে। কিন্তু মূল প্রোগ্রামের ইন বক্স অবশ্যই খালী রাখা প্রয়োজন। সমস্ত প্রোগ্রামের ইন বক্স যত বেশী ফাকা রাখা যাবে তত বেশী আমার মতে গুছিয়ে চাপমুক্ত থাকতে পারবেন। আজকাল এমন হয়েছে কো তথ্য কম্পিউটারে সেইভ করে রেখে সেই তথ্য পুনরায় বের করার চেয়ে গুগলে সার্চ করা সহজ। আসলে অহেতুক তথ্য সংরক্ষণ করে চাপ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

Thursday, April 14, 2016

শ্রেডার মেশিনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা

এই পরীক্ষাটি করার জন্য আমাদের একটি শ্রেডার মেশিন ক্রয় করার প্রয়োজন হবে। যার জন্য পনের হাজার টাকা শ্রেডার মেশিনটি যেন এমন হয় আমরা তাতে সিডি বা প্লাস্টিকও কাটতে পারি। শ্রেডার মেশিন কুচি কুচি করে কাটার কারণে কাগজ বা প্লাস্টিকের কাগজে যেই আর্বজনায় যেই পরিমাণ স্থান নেয়ার কথা বা আয়তন হওয়ার কথা তার থেকে ৭৫% আয়তন কম যায়। শ্রেডারের কাটা গুড়ি গুলি চারিদিকে ছড়িয়ে দিলে তা অন্যান্য কাগজ বা সামগ্রীর মত আবর্জনার সৃষ্টি করবে না। গুড়া হওয়ার কারণে তা সুন্দরভাবে মাটির সাথে মিশে যাবে। পলিথিন ব্যাগ বা প্লাস্টিক আনুমানিক বিশ বছর সময় কালে প্রথমে ছোট ছোট ছোট টুকরায় পরিণত হয়। তারপর তা ক্রমান্বয়ে মাটিতে মিশতে থাকে। প্লাস্টিক গুড়ো হওয়ার কাজটি যদি আমরা আগেই করে দেই তাহলে প্লাস্টিক মাটিতে নিমজ্জিত হতে কয়েক বছরেই হয়ে যাবে। তার জন্য বিশ বছর অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। আবার কাগজ গুড়া গুলি মাটিতে কয়েকদিনেই মিশে যাবে। একটা বড় কাগজ এলোমেলোভাবে মাটির উপর পড়ে থাকলে তা মাটিতে মিশতে সময় লাগবে কয়েক মাস। আর শ্রেডারে গুড়া করা কাগজ কয়েক দিনেই মাটিতে মিশে যাবে। তাই শ্রেডারে গুড়া করে আমরা কাগজের গুড়ার আয়তন কমিয়ে দিয়ে তা পরিবহন করতে চাইলে তা সহজে করা যাবে। আবার জ্বালানী হিসাব ব্যবহার করতে চাইলে সহজে করা যাবে। শ্রেডার করে লাভই হবে। শ্রেডারে গুড়া করা কাগজ যেভাবে সুবিধা সেভাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করার জন্য একই শ্রেডারে প্লাস্টিক গুড়া না করে আলাদা আলাদা শ্রেডারে করলেই ভাল হবে।

শ্রেডারের ব্যবহার একটা অভ্যাসের বিষয়। অনেক সময় মনে হবে এমনিতেই কাগজ ছিঁড়ে কুচি কুচি করে দিচ্ছি আবার শ্রেডার মেশিন কিনে কেন খরচ। নিরাপত্তার বিষয়টি বাদ দিলে যে কাগজ ধ্বংস করতে চাই তা কুচি কুচি শ্রেডিং করলে একটা আনন্দ পাওয়া যায়। তাছাড়া যে কাগজগুলোর কুচি বাতাসে চারিদিকে ছড়াতে পারে তা এখন আর ছড়াবে না। তা একদম কুচি কুচি করে কাটা হয়ে গেল। বেশ মজাদার একটা বিষয়। কিছু দ্রব্য কিনে নিলেন। তার থেকে পাওয়া কাগজ বা প্লাস্টিকের প্যাকেট গুলি ওয়েস্ট পেপার বক্সে না ফেলে শ্রেডারে দিয়ে কুচি কুচি করে বা গুড়া করে ফেলে দিলেন। এখন তা সহজেই পরিবেশে বা মাটির সাথে মিশে যাবে। সিডি হাত দিয়ে ভাঙ্গা কষ্টকর তা গুড়া করে নিয়ে আমাদের আশে পাশের মাটতে ফেলে দিলেও একসময় পরিবেশ মিশে যাবে। একটা পলিথিন বা আস্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ সুয়ারেজ সিস্টেম বা অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ দূষণ করে সেখানে গুড়া করা পলিথিন পরিবেশের কম ক্ষতি করবে। আমরা যে কোন কিছু রিসাইক্যাল করতে গেল সাধারণ তা গুড়ি গুড়ি করে নেই। প্লাষ্টিক রিসাইক্যালে পাউডার বানিয়ে নেয়া হয়। তেমনি ক্রস কাট শ্রেডারের কাগজের গুড়া কম্পোস্টে দেয়া যেতে পারে। ফার্মের মুরগীর নীচে তুষের পরিবর্তে দেয়া যাবে। যা পরে কম্পোস্ট বানানো যাবে। শ্রেডারে করা গুড়া জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। কাগজের গুড়াগুলি পানিতে ভিজিয়ে আঠা মিশিয়ে কাগজের মণ্ড তৈরি করে নানা রকম শোপিস বা খেলনা তৈরি করা যাবে। আমার মনে হয় ১৫/১৬ হাজার টাকার শ্রেডার মেশিন আমাদের কাগজ ও অন্যান্য প্লাস্টিক গুড়া করে পরিবেশ ঝকঝকে তকতকে রাখতে বেশ কাজে দিবে। একবার অভ্যাস করে মজা পেলে যে কোন স্থানে যে কোন কাগজের প্যাকেট ডিসপোজ করতে গেলেই শ্রেডারটি ব্যবহারের কথা মনে হবে এবং শ্রেডারের অভাব বোধ হবে। শ্রেডার মেশিন আপনার বাড়তি ও অকেজো কাগজ বা প্যাকেট মুহুর্তে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল। সত্যিই বেশ মজাদার। কাগজের সাথে স্টেপলার পিন, আলপিন ও জেমস ক্লিপ বেশ ভংয়কর। এগুলো শ্রেডার মেশিন ধ্বংস করে দিতে পারে। পাতলা পলিথিন শ্রেডার মেশিনে জড়িয়ে যেতে পারে। শ্রেডারের রক্ষনাবেক্ষন ম্যানুয়াল ভালভাবে দেখতে হবে। ছোট বাচ্চারা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়ার মত মারাত্মক কাজ করতে পারে। পরিবেশ বান্ধব ও নিরাপত্তায় উপকারী শ্রেডার মেশিন হতে পারে আমাদের নিত্যসঙ্গী।


Saturday, April 2, 2016

শাকসবজি জন্য ইংরেজি ক্যালেন্ডার

এই ক্যালেন্ডারটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহ করেছি। ৬ অক্টোবর ২০১২ সালে জনাব বিকাশ কীর্ত্তনিয়া, কৃষি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ একটি লেখা নীচের লিংকটিতে পাই। এটা প্রায়ই আমার ও আমার পাঠকদের কাজে লাগবে সে চিন্তায় সংকলিত করলাম। আমরা কৃষি পঞ্জিকা সাধারণত বাংলা মাসের হিসাব করে থাকি। অথচ শহুরে আমরা যারা বাস করি তাদের বাসার আশে পাশে ও টবে সৌখিন বাগান করতে এ ক্যালেন্ডারটি অনেক কাজে লাগবে।

জানুয়ারি         
পটল, বেগুন, বাটিশাক, চিচিঙ্গা, করলা ও মিষ্টি কুমড়া বেগুন ও পিয়াজের চারা রোপণ। গাজর, মূলা, লেটুস শালগম, শিম, আলু ও ব্রোকলি।     

ফেব্রুয়ারি         
পু্ঁই শাক, চিচিঙ্গা, শসা, করলা, কাঁকরোল, মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, হলুদ, পটল, ঢেড়স, আলু, পিয়াজ, রসুন ও ঝিঙা।         

মার্চ     
গ্রীষ্মকালীন টমেটো, ঢেড়স, পুঁইশাক, আদা, হলুদ, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেড়স, শসা, পিয়াজ, রসুন, বরবটি ও ঝিঙা।    

এপ্রিল  
গিমা কলমি, পুঁই শাক, শসা, বাটি শাক, আদা, চাল কুমড়া, পটল, ঢেড়স, বরবটি, কাকরোল, করলা, মুখী কচু।

মে      
ধুন্দল, ঝিঙা, কাঁকরোল, করলা, শসা, মুখী কচু, ধুন্দল, সজনা, ডাটা শাক, পুই শাক ও চিচিঙ্গা। 

জুন     
বরবটি, চাল কুমড়া, মুখী কচু, পাট শাক, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল, বরবটি ও চাল কুমড়া।   


জুলাই  
বেগুন (গ্রীষ্মকালীন), শিম, ডাটা শাক, কাঁকরোল, পটল, পুই শাক, বরবটি ও মুখী কচু।

আগস্ট
পুঁই শাক, গিমা কলমি, বাটি শাক, বেগুন (গ্রীষ্মকালীন), শিম, ডাটা শাক, মুখী কচু ও বরবটি।

সেপ্টেম্বর         
টমেটো, আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি, টমেটো। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রোকোলির চারা রোপণ। লাল শাক, ডাটা শাক ও মুখী কচু

অক্টোবর

আলু, লাউ, পালং শাক, বাটি শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, ধনিয়া, পিয়াজ, টমেটো, লেটুস, পালং শাক।

নভেম্বর 
লাউ, গাজর, মূলা, শিম, ধনিয়া, ফুলকপি, পিয়াজ, রসুন, ফুলকপি, লেটুস, টমেটো, আদা, হলুদ 

ডিসেম্বর
বেগুন, লেটুস, লালশাক, পটল, টমেটো, রসুন, বাটি শাক, পিয়াজ (চারা রোপণ), মূলা, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, আদা, হলুদ        


(সংকলিত)

Friday, April 1, 2016

ফাস্ট ফুডের মাধ্যমে ফাস্ট পলিউশান

ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে একটা হেডিং দিলাম। রাস্তার পাশের হোটেল রেস্টুরেন্ট যেটাতেই যাই না কেন, কেউ যদি ডিসপোজেবেল খাদ্যের আধার ব্যবহার করে তাকেই আমরা দূষণকারী বলতে পারি। ম্যাকডোনালস, কেএফসি, ডোমিনোস ও সাবওয়ে যখন আপনি খেতে যান না কেন সকল খাবারের সাথে একগাদা টিস্যু, কাগজ, প্লাস্টিক ও ক্যান আপনাকে দেয়া হবে। খাবার শেষে তা আবার আপনি তাদের ডাস্টবিনে ফেলবেন কত হাইজেনিক তাই না। মানুষের হাতের ধোয়া নাই। অপরিষ্কার নয়। হাইজেনিক পরিবেশনা। কত ভাল ব্যবস্থা তাই নয় কি? আপনি চাইনিজ বা অন্যান্য রেস্টুরেন্টের মত ক্রোকারীজ ও কাটলারিজ ব্যবহার করলে তা ওয়ান টাইম হতে অধিক পরিমাণ হাইজেনিক হবে।
কিভাবে? আপনি যত বেশী টিস্যু ব্যবহার করবেন। আপনি তত বেশী কাঠ কাটলেন। আপনি যত বেশী রঙ্গিন কাগজ ব্যবহার করলেন তত বেশী কাগজ তৈরি করতে কাঠ, কালী তৈরি করতে অন্যান্য ক্যামিক্যাল ও ছাপাতে কয়লা পুড়িয়ে তৈরি বিদ্যুৎ খরচ করলেন। আপনি চিনামাটির বাসন বার বার ধুয়ে ব্যবহার করলে আপনার পরিবেশের ক্ষতি ও অপচয় কম হয়। অধিকাংশ এয়ার লাইনে ডিসপোজেবল পাত্রে খাবার দিলেও অনেকে এয়ার লাইনে চীনামাটি, প্লাস্টিক বা কাচের পাত্র ব্যাবহার করে এটা অবশ্যই এটা ভাল দিক। যত বেশী ডিসপোজেবল পাত্ররের ব্যবহার তত বেশী পরিবেশ দূষণ।
ফাস্টফুডের দোকানের খাবার ফাস্ট ভাবে বিক্রয় করে যে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জমা হয় তা শহরের উপকণ্ঠে ফেলা হয় আর তা সাধারণ মানুষের বাসস্থানের আসে পাশের পরিবেশে ফেলা হয়। প্লাস্টিক ক্যান, কাগজের প্যাকেট ইত্যাদির ভয়াবহ ভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। আমরা কিভাবে পুরো সিস্টেমটিকে পরিবেশ বান্ধব করতে পারি। তার জন্য আমাদের বেশী কস্ট করতে হবে না। ফাস্টফুডের পরিবেশনটাকে আমরা অন্যান্য হোটেলের আদলে করলেই চলবে।
প্রথমত: ডিসপোজবেল গ্লাস না দিয়ে মোটা গরম পানিতে ধোয়া প্লাটিকের গ্লাস দেয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত: ডিসপোজেবল বাটি ও প্লেট ব্যবহার না করে মোটা মেলামাইন বা কাচের বাটি ও প্লেটে খাবার পরিবেশন করা যায়।
তৃতীয়ত: রঙ্গিন ও ছাপানো কাগজ ব্যবহার না করে সাদা কাগজ ব্যবহার হতে পারে। রংগিন ও ছাপানো কাগজ বিদ্যুৎ, রং ইত্যাদির অপচয় ঘটায়।
চতুর্থত: টিস্যু পেপারের পরিবর্তে কাপড়ের ন্যাপকিন দিলে মন্দ হয় না। তবে যাদের কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহারে সমস্যা তারা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পারেন।
ফাস্টফুডের দোকানে ফাস্ট টাইপ কার্যক্রমে ডিসপোজেবলের ব্যবহার কমানোটা হবে অভ্যাসের ব্যাপার। ন্যাপকিন দ্রুত ধোয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন, গ্লাস, প্লেট,চামচ ও বাটি ধোয়ার জন্য ডিশওয়াসারের জন্য অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হবে। আর  ম্যানুয়ালি করলে প্রাথমিকভাবে খরচ বেশী হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে খরচ কমে যাবে।
মনে করি কাপড় দিয়ে একটি ন্যাপকিন বানাতে খরচ দশ টাকা। একটি ন্যাপকিন যদি ৫০ বার ধুয়ে ব্যবহার করা যায় তবে প্রতিবারে ব্যবহারে খরচ: ১০.০০ ভাগ ৫০ =২০ পয়সা। অপরদিকে একটি পেপার ন্যাপকিনে খরচ ৭০ পয়সা। ৫০ পয়সা সাশ্রয়। মূলত পরিবেশ দূষণের বিবেচনায় আরো বেশী সাশ্রয়ী।

ডিসপোজবেল একটা প্লেটের মূল্য ৫ টাকা হলে ১০০ টাকায় প্লাস্টিক বা মেলামাইনের প্লেট পাওয়া যায়, যা কিনা সাবান পানি ও গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শতবার ব্যবহার করা যাবে। খরচও কম হবে। মনে করি ডিসপোজেবল ১০০ টি প্লেট, ১০০ টি গ্লাস ও ১০০ সেট চামচে খরচ হল প্রতটিতে ১০/১২ টাকা হিসাবে ১০০০/১২০০ টাকা। তাই ১০০ টি প্লেট গ্লাস একজন প্রফেশনাল লেবার দুই ঘণ্টায় ধুয়ে ফেলতে পারবে। একটা লেবারকে বর্তমান বাজার দরে ৫০০ টাকা চার্জ দিলেই হল। নিবিঘ্নে প্রায় ৫০০ টাকা সেভ হবে। তবে কেন ডিসপোজেবলের ব্যবহার। কারণ একটাই ডিসপোজেবল সামগ্র্রির মূল্য গ্রাহক দিচ্ছে। প্লেট ধোয়া বা সাজানোর ঝামেলায় কেউ যাবেন না। এটাই কারণ। সেই সাথে আওয়াজ তুলবেন ডিসপোজেবল বেশী হাইজেনিক। যদি যথাযথ ডিটারজেন ও গরম পানি দিয়ে ধোয়া হয় তবে অন্যান্য সকল ক্রোকারীজ ও কাটলারীজ হাইজেনিক। আর দেরী নয় আমাদের চারিদিকে ডিসপোজেবল দিয়ে পরিবেশনকারী ফাস্টফুডের প্রতিষ্ঠান গুলিতে পরিবেশ দূষণকারী ডিসপোজেবল দ্রব্যাদি ব্যবহার বন্ধ করিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

প্রবাসী ও শহুরেদের গ্রামের জমি নষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় বাড়ী তৈরী

করিম সাহেব লন্ডনে থাকেন। দুই/তিন বছর পর পর এক/দুই মাস থাকার জন্য বাংলাদেশে আসেন। তিনি জীবনে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন। উপার্জনের কিছু টাকা খরচ করার জন্য তিনি তার গ্রামের বাড়ীটি বেছে নিয়েছেন। কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছেন। সুন্দর বাড়ী করেছেন। সবাই যেন তার বাড়ীটির প্রশংসা করে। দুর সম্পর্কের একজন আত্মীয়কে পাশেই একটা ঘর করে দিয়েছেন। যেন সে তার বাড়ীটি নিয়মিত দেখতে পারে। আমাদের গ্রামে প্রবাসী ও শহুরে অনেকেই সস্তায় জমি পেয়ে গ্রামে বিলাসবহুল আলিশান বাড়ী তৈরি করে নেন। আর শহরে ফ্লাট বাড়ীতে থাকেন। তবে গ্রামে কেন এধরনের খরচ করা। তা আর কিছুই নয়, আমি বলব লোক দেখানো। গ্রামে আপনি আপনার  জীবদ্দশায় মনে করি ৫০ বছরে প্রতি বছর তিনমাস করে থাকলেন। ৫০ বছরে ১৫০ মাস থাকলেন। ১৫০ মাস বা ৪৫০০ দিন থাকলেন। আপনি যদি আপনার গ্রামের বাসস্থানটির জন্য ১ কোটি টাকা ব্যয় করেন তবে ৪৫০০ টি দিনের এক কোটি টাকার ব্যাংকের সুদ বাদে খরচ হবে ১কোটি ভাগ ৪৫০০ দিন অর্থাৎ ২২০০ টাকা। ৯০ দিন বা তিন মাস থাকলে খরচ ১,৯৮,০০০ টাকা। আলাদা আলাদা ভাবে হিসাব করলে আসলে অনেক টাকা। আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে। আপনি আলাদা বাড়ী না করে আপনার কোন আত্মীয়ের সাথে যৌথভাবে করতে পারেন। তাতে আপনার খরচ কম যাবে। আপনি যদি প্রতি বছর ছয় মাসের বেশী গ্রামে থাকেন তবে গ্রামে আপনার স্থায়ী বাসস্থান প্রয়োজন আছে। যদি ছয় মাসের কম থাকেন। তিন মাসের বেশী থাকেন। তবে কোন আত্মীয়ের সাথে যৌথভাবে বাড়ী বানালে আপনার খরচ কমবে। যেমন: দুইতলা দালান করলেন ভাগাভাগি করে। ২য় তলা আপনার জন্য রাখলেন। এতে আপনার অন্যের সাথে দালান শেয়ার করার কারণে আপনার খরচ কমে আসবে। কেয়ার টেকারের পিছনে টাকা খরচ করার হিসাব থেকে বাঁচলেন। ভবিষ্যতে যদি আপনার উত্তরোধীকারীদের গ্রামে না আসার সম্ভাবনা থাকে, তবে ধীরে ধীরে আপনার অর্ধেক দালানের মালিককে দাম নিয়ে বা দাম ছাড়া দীর্ঘদিনের সার্ভিস দেয়ার পরিবর্তে আপনি আপনার অংশীদারকে বিক্রয় বা দান করে দিতে পারবেন। তাই গ্রামে নিয়মিত না থেকে গ্রামে অর্থ বিনিয়োগ করে বাড়ী তৈরি করে ফেলে রাখলে আপনি নিজের আর্থিক ক্ষতি করছেন। আপনি অনেক ধনী হলে আমি বলব এটা করা আপনার জন্য ঠিক হচ্ছে না। কারণ আপনি অবকাশ যাপনের কেন্দ্র তৈরি করে তা যথাযথ ভাবে ব্যবহার করছেন না। আপনি দেশের ক্ষতি করছেন। গ্রামের কৃষি জমি কমিয়ে আপনি তার উপর অহেতুক স্থাপনা তৈরি করে কৃষি জমির অপচয় করছেন। এ ধরনের জমির অপচয় আপনি করছেন কারণ আপনার টাকা আছে। তারচেয়ে এধরনের অপচয় না করে আপনি পারেন কারো সাথে শেয়ার করে বাড়ী তৈরি করতে। তাতে আপনি গ্রাম আপনার প্রিয় বা কাছের কারো উপকার করবেন এটা ভাল কাজ হবে। আপনি নিজে লাভবান হবেন ও অন্যকে লাভবান করবেন।

যদি গ্রামে আপনি তিনমাসেও একবার না যান তবে আপনি গ্রামে কোন স্থাপনা করাটা হবে আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় কাজ বা বোকামি। তার চয়ে বরং এখনকার প্রেক্ষাপটে টাকা খরচ করে হোটেলে বা বোর্ডিং এ থাকা বা কারো কাছে পেয়িং গেস্ট হিসাব থাকাটা ভাল। আরো ভাল হয় রিক্রিয়েশন ভেইক্যাল ভাড়া করে নেয়া। একবার পত্রিকায় দেখলাম শাররুখ খান তিন কোটি টাকা খরচ করে রিক্রিয়েশনাল গাড়ী কিনেছে। এটা একটা ভাল ব্যবস্থা। যাতায়তের জন্য টিকেট কেনার ঝামেলা নেই। হোটেল ভাড়া করার ঝামেলা নেই। কারাভান বা গাড়ীটি নিয়ে হাজির হয়ে যতদিন মন চায় থেকে গেলেন। কোন পিছু টান নেই।আবার কেয়ার টেকার রেখে বাড়ী ম্যানটেইন করার ঝামেলা নেই। ভারতীয় মেধা পাচারের উপর একটি ছবি দেখেছিলাম নাম স্বদেশ। সেই ছবিতে শাররুখ খান গ্রামে থাকতে আসনে একটা কারাভান করে। আর গ্রামে কারাভানেই থাকার আইডিয়াটা চমৎকার। হয়ত এখনো বাংলাদেশে কারাভান বা রিক্রিয়েশন ভেইক্যাল ভাড়া চালু হয়েছে। যা আমার জানা নেই। আশা করি বিলাসী প্রবাসীরা ও শহুরে ধনীরা শখের বসে আমাদের ছোট দেশের অল্প,সীমিত ও মূল্যবান জমি অহেতুক নষ্ট করবেন না।