আমরা মানুষরা খুব স্বার্থপর। কোন কিছু লাভ ছাড়া করি না। বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন ডাক্তারের ছাদের কৃষি দেখলাম বাংলাদেশের এক আলোচিত অনুষ্ঠানে। তিনি জানালেন, প্রথমে ছাদে কিছু ফুল গাছ রেখেছিলেন। এখন ছাদের উপর ফল ও সবজি করছেন। ফল ও সবজি আগে করেননি, তিনি হিসাব করে দেখেছিলেন ফল ও সবজি ছাদে করে লাভ নেই কারণ বাজারে কম দামে পাওয়া যায়। খামোখা কষ্ট করা। দুই বছর আগে তার একটি কিডনি ড্যামেজ হয়। এখন একটি কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন। এখন কিডনির ডাক্তার আমাদের আলোচ্য ডাক্তারকে বলেছেন, আপনি যতটুকু পারেন ক্যামিক্যাল ও ভেজালমুক্ত খাবার খাবেন। তখন থেকে ডাক্তার সাহেব যত খরচই লাগুক লোক লাগিয়ে ছাদের টবে শাক, সবজি ও ফল উৎপাদন শুরু করেন। ভেজাল ছাড়া খাবার খেয়ে যেন একটা কিডনির আয়ুটা বাড়ানো যায়।
চারিদিকের বিষের মধ্যে রাসায়নিক সার আর কীটনাশকমুক্ত খাবার খাওয়ার একমাত্র উপায় হল নিজে উৎপাদন করা। কারণ লাউটা বড় না হোক বিষমুক্ত। বেগুনটার পোকার অংশ কেটে ফেলে রান্না করি সমস্যা নেই কারণ তা বিষমুক্ত। এখন অনেকে বলবেন, ধান আর গম তো আমাদের হাতে নেই তার বিষ কি করব। ধরে নেই এটা যেহেতু হাতে নেই সেটার খেলাম। বাকী শাকসবজি বিষমুক্ত হলেও অনেকটুকু বিষমুক্ত থাকা যায়। ধরুন বেগুন খাচ্ছেন। নানা ফল খাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে যদি ফসল বা ফলে বিষ দেয়া হয় তবে তা সাত দিনের মধ্যে খাওয়া যাবে না। এটা আমাদের কৃষকরা মানে না। তারা বিষ বা কীটনাশক দিচ্ছে ও যখন তখন তা বিক্রি করছে। অপর দিকে বাড়ীতে এনে রান্না করার আগে আমাদেরও প্রয়োজন এক দেড়ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা খাওয়া। কিন্তু তা সব সময় হয় না। আলোচ্য ডাক্তারের বক্তব্যের পরে আমার কাছে মনে হয় ছাদ আছে কিন্তু বাগান করে শাক সবজি উৎপাদন করছি না; এটা আসলে একটা অপরাধ। কিডনি অসুখ হওয়ার আগে ভাবলেন দশ টাকার শাক পাওয়া যায় বাজারে আর সেই শাক যদি ছাদে করি তবে ১০০ টাকা খরচ পড়বে। অথচ ভেজাল খেয়ে একটা কিডনি হারানোর পর ডাক্তার ঠিকই বুঝলেন দশ টাকায় নয় ১০০ টাকার শাক খাওয়া প্রয়োজন। খরচ বেশী পড়লেও নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করাটাই ভাল। ছাদে শাক সবজি ও ফল চাষ করা যায়। ছাদে মুরগী, হাস ও কবুতর পালন করা যায়। ড্রামে মাছ চাষ করা যায়। এত কাজ যদি করা যায় তবে আর্থিক সামর্থ্য থাকতে শহরে থেকে বিষযুক্ত খাবার কেন খাব। নিজে পারব না লোক রেখে কাজ করাব। কর্ম সংস্থান বাড়াব। দামী গাড়ী না কিনে কমদামী গাড়ী কিনব। সব সময় ড্রাইভার না রেখে পার্ট টাইম রাখব তারপরও একটা মালী রেখে খাদ্য উৎপাদন করে নিজের পরিবারের আয়ু বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা যায়। মনে করি আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। বিষযুক্ত খাবার খেয়ে পরিবারের একজনের কিডনি সমস্যা দেখা দিল। প্রতি সপ্তাহে যদি একবার ডায়ালাইসিসে ৩০০০ টাকা খরচ হলে মাসে ১২০০০ টাকা। আপনার সামর্থ্য আছে আপনি মনে করলেন ডায়ালাইসিস নয় আমি একটা লোক রাখব ১২০০০ টাকা দিয়ে ভবিষ্যৎ ডায়ালাইসিসের খরচ হিসাবে এখনই ছাদ কৃষিতে খরচ করব। তাহলে কেমন হয়। একজনের ডায়ালাইসিসের খরচ খাদ্য উৎপাদনে ব্যয় করে পাঁচজনকে ক্যান্সার ও অন্যান্য বিষ খাওয়ার কারণে জটিল রোগ থেকে মুক্ত করা যায়। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে প্রায় ২০/৩০ লক্ষ মানুষ আছে যারা ছাদ কৃষির জন্য মাসে দশ বার হাজার টাকায় লোক রাখতে পারবে। তাই বিষমুক্ত শাক/ সবজির বিবেচনায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া সবজি উৎপাদনটা মনে হয় লাভ/ক্ষতির বিচারে নয়; ভাল স্বাস্থ্যের বিচারে ছাদ কৃষি শুরু করাটা প্রয়োজন।
কিডনি হারিয়ে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদনে ডাক্তাররা যদি এগিয়ে আসতে পারেন তবে আমরাও আগে ভাগেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের কিডনি ডায়ালাইসিসের টাকা ও বিষযুক্ত খাবার খাওয়ার রোগগুলির টাকা ছাদ কৃষির মাধ্যমে কিছুটা অ্যাডভানস ব্যয় করতে পারি। অনেকে বলবেন, আগে রোগ হয়ে নিক তারপর বিষমুক্ত খাবার আয়োজন করব। এটা হবে বোকার মত কাজ। কারণ রোগ হওয়ার পর মানসিক উৎকণ্ঠা ও দুর্দশা সৃষ্টি হয় তা টাকা পয়সা ব্যয় করার থেকে কষ্টকর।
পরিশেষে বলব, লাভ নয় বরং স্বান্থ্যবীমা হিসাবে শহর এলাকায় আমরা ছাদকৃষি শুরু করতে পারি। প্রয়োজনে চাঁদা দিয়ে হলে কয়েকজনে মিলে ছাদে শাক/সবজি উৎপাদন শুরু করা যায়।
চারিদিকের বিষের মধ্যে রাসায়নিক সার আর কীটনাশকমুক্ত খাবার খাওয়ার একমাত্র উপায় হল নিজে উৎপাদন করা। কারণ লাউটা বড় না হোক বিষমুক্ত। বেগুনটার পোকার অংশ কেটে ফেলে রান্না করি সমস্যা নেই কারণ তা বিষমুক্ত। এখন অনেকে বলবেন, ধান আর গম তো আমাদের হাতে নেই তার বিষ কি করব। ধরে নেই এটা যেহেতু হাতে নেই সেটার খেলাম। বাকী শাকসবজি বিষমুক্ত হলেও অনেকটুকু বিষমুক্ত থাকা যায়। ধরুন বেগুন খাচ্ছেন। নানা ফল খাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে যদি ফসল বা ফলে বিষ দেয়া হয় তবে তা সাত দিনের মধ্যে খাওয়া যাবে না। এটা আমাদের কৃষকরা মানে না। তারা বিষ বা কীটনাশক দিচ্ছে ও যখন তখন তা বিক্রি করছে। অপর দিকে বাড়ীতে এনে রান্না করার আগে আমাদেরও প্রয়োজন এক দেড়ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা খাওয়া। কিন্তু তা সব সময় হয় না। আলোচ্য ডাক্তারের বক্তব্যের পরে আমার কাছে মনে হয় ছাদ আছে কিন্তু বাগান করে শাক সবজি উৎপাদন করছি না; এটা আসলে একটা অপরাধ। কিডনি অসুখ হওয়ার আগে ভাবলেন দশ টাকার শাক পাওয়া যায় বাজারে আর সেই শাক যদি ছাদে করি তবে ১০০ টাকা খরচ পড়বে। অথচ ভেজাল খেয়ে একটা কিডনি হারানোর পর ডাক্তার ঠিকই বুঝলেন দশ টাকায় নয় ১০০ টাকার শাক খাওয়া প্রয়োজন। খরচ বেশী পড়লেও নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করাটাই ভাল। ছাদে শাক সবজি ও ফল চাষ করা যায়। ছাদে মুরগী, হাস ও কবুতর পালন করা যায়। ড্রামে মাছ চাষ করা যায়। এত কাজ যদি করা যায় তবে আর্থিক সামর্থ্য থাকতে শহরে থেকে বিষযুক্ত খাবার কেন খাব। নিজে পারব না লোক রেখে কাজ করাব। কর্ম সংস্থান বাড়াব। দামী গাড়ী না কিনে কমদামী গাড়ী কিনব। সব সময় ড্রাইভার না রেখে পার্ট টাইম রাখব তারপরও একটা মালী রেখে খাদ্য উৎপাদন করে নিজের পরিবারের আয়ু বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা যায়। মনে করি আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। বিষযুক্ত খাবার খেয়ে পরিবারের একজনের কিডনি সমস্যা দেখা দিল। প্রতি সপ্তাহে যদি একবার ডায়ালাইসিসে ৩০০০ টাকা খরচ হলে মাসে ১২০০০ টাকা। আপনার সামর্থ্য আছে আপনি মনে করলেন ডায়ালাইসিস নয় আমি একটা লোক রাখব ১২০০০ টাকা দিয়ে ভবিষ্যৎ ডায়ালাইসিসের খরচ হিসাবে এখনই ছাদ কৃষিতে খরচ করব। তাহলে কেমন হয়। একজনের ডায়ালাইসিসের খরচ খাদ্য উৎপাদনে ব্যয় করে পাঁচজনকে ক্যান্সার ও অন্যান্য বিষ খাওয়ার কারণে জটিল রোগ থেকে মুক্ত করা যায়। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে প্রায় ২০/৩০ লক্ষ মানুষ আছে যারা ছাদ কৃষির জন্য মাসে দশ বার হাজার টাকায় লোক রাখতে পারবে। তাই বিষমুক্ত শাক/ সবজির বিবেচনায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া সবজি উৎপাদনটা মনে হয় লাভ/ক্ষতির বিচারে নয়; ভাল স্বাস্থ্যের বিচারে ছাদ কৃষি শুরু করাটা প্রয়োজন।
কিডনি হারিয়ে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদনে ডাক্তাররা যদি এগিয়ে আসতে পারেন তবে আমরাও আগে ভাগেই আমাদের পরিবারের সদস্যদের কিডনি ডায়ালাইসিসের টাকা ও বিষযুক্ত খাবার খাওয়ার রোগগুলির টাকা ছাদ কৃষির মাধ্যমে কিছুটা অ্যাডভানস ব্যয় করতে পারি। অনেকে বলবেন, আগে রোগ হয়ে নিক তারপর বিষমুক্ত খাবার আয়োজন করব। এটা হবে বোকার মত কাজ। কারণ রোগ হওয়ার পর মানসিক উৎকণ্ঠা ও দুর্দশা সৃষ্টি হয় তা টাকা পয়সা ব্যয় করার থেকে কষ্টকর।
পরিশেষে বলব, লাভ নয় বরং স্বান্থ্যবীমা হিসাবে শহর এলাকায় আমরা ছাদকৃষি শুরু করতে পারি। প্রয়োজনে চাঁদা দিয়ে হলে কয়েকজনে মিলে ছাদে শাক/সবজি উৎপাদন শুরু করা যায়।