Pages

Thursday, May 31, 2018

হাবিলদার কবি নজরুল ও তার অনুসারীরা


কাব্যের ছন্দে ও গানের সুর লহরীতে সারা বাংলাকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। একজন ব্রিটিশ আর্মির সৈনিক কিভাবে ছন্দ নিয়ে মাতালেন সেটাই অবাক করার বিষয়। একজন সৈনিক যুদ্ধের সময় অনেক ধরনের সমর প্রশিক্ষণের উপর ভিত্তি করে মরিচা খনন, প্রতিরক্ষা তৈরি করে ও শত্রুকে আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। শত্রুকে নাজেহাল করার নানা উপায় বের করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। শান্তির সময় তারা সকালে পিটি তারপর ট্রেনিং বিকালে গেইমস করে। রাতে রোল কল ও পরের দিনের কাজের তালিকা জানানো ও ট্রেনিং বা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। অতঃপর দশটায় লাইটস অফ। পুনরায় ফজর নামাজের পর পিটিতে আসা। এভাবেই চলে কস্টকর সৈনিক জীবন। সৈনিক খাবে, প্রশিক্ষণ করবে, ক্লান্ত হবে ও আরাম করে ঘুমাবে। এটাই সৈনিক জীবন। এর মধ্যে সাহিত্য আসে কোথা থেকে। লেফট রাইটের কাছে ছন্দ পালিয়ে যাওয়ার কথা। কবি মানেই ঝকড়া চুল। উদাসী মানুষ। নরম মন। প্রেমময় চাহুনী। আলুথালু। খাওয়া দাওয়ার ঠিক ঠিকানা নাই এরূপ হবে নিবেদিত প্রান কবি টাইপ মানুষগুলি। তবে হাবিলদার কিভাবে কবিতা লিখে গান লিখে এটা চিন্তায় আনাটা সত্যিই বিস্ময়।
একজন হাবিলদার আজকের হিসাবে একজন নন কমিশন অফিসার। তিনি সাধারণত দশ/বিশ জনের দল নিয়ে যুদ্ধ করেন। এটা সেকশন। ছোট দল। উপদল অনেক নাম আছে। তিনি নেতা। আর সামরিক নেতাদের সাহিত্য শুরু হয় নিয়মিত কিছু কাজ করতে করতে। প্রতিদিন নিজের জোয়ানদের সাথে সুখ দু:খের আলোচনা করতে হয়। ট্রেনিং ও যুদ্ধের জন্য অনুপ্রাণিত করতে হয়। এখানে জোয়ানদের সামনে গুছানো বক্তব্য নিয়মিত দিতে হয়। তারপর হল রিপোর্টিং। সিনিয়রকে লিখিত ও মৌখিক রিপোর্ট দিতে হয়। অপরেশনে বা ট্রেনিং শুরু করার আগে জোয়ানদের ও বসদের মৌখিক বা লিখিত রিপোর্ট দিতে হয়। ট্রেনিং বা অপারেশন শেষ করে পুনরায় মৌখিক ও লিখিত রিপোর্ট দিতে হয়। এভাবে বক্তৃতা ও লিখত ফরমে লেখালেখির চর্চা চলতে থাকে। সৈনিকরা পরিবার থেকে দূরে ব্যারাকে থাকে বা যুদ্ধের ময়দানে থাকে তখন প্রিয়াকে বেশ মনে পড়ে দীর্ঘ চিঠি লিখে ফেলে। প্রিয়াকে নিয়ে বিরহী হয়ে যায়। মন চলে আসে কবিতার ছন্দে। এভাবে এগিয়ে যায় সেনা জীবন। আমাদের হাবিলদার নজরুলের জীবন ব্যতিক্রম নয়।
একটা নিয়মিত চর্চার মধ্যে সেনা জীবনের সাহিত্য এগিয়ে যায়। এই কারণে হাবিলদার হওয়ার পরও নজরুল কবিতা লিখেছেন।
আজকের নজরুলের অনুসারী সেনারা এর ব্যতিক্রম নয়। “কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ” এই মন্ত্রে যে রগড়া চলতে থাকে তাতে সাহিত্য আসাটা কষ্টকর বিষয়। কিন্তু সাহিত্যের নানা চর্চা এগিয়ে নিয়ে যায় সেনাদের সাহিত্যিক হওয়ার অনুপ্রেরণায়। আমি অত্যন্ত কাছ থেকে অবলোকন করে দেখেছি সকল সেনা কোন না কোন সাহিত্য কর্মের সাথে কখনো না কখনো সম্পৃক্ত হয়। তা কখনো হতে পারে দেয়াল পত্রিকা, না হয় প্রিয়াকে নিয়ে লেখা চিঠি ও কবিতা। নয়ত কোন স্মরণিকা বা সেনা ম্যাগাজিন।
বেসামরিক পরিমণ্ডলে হাবিলদার নজরুলের অনুসারীরা কতটুকু স্থান পাচ্ছে বা মানুষ কতটুকু গ্রহণ করছে তা আমাদের কারো জানা নাই। তার উপর আমাদের কোন সমীক্ষা নেই। সেনা লেখকের সংখ্যাটা এখনও কম নয়। সম্মুখ সময়ে যুদ্ধ করা অনেক সেনা তার যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে গেছেন।
সেনা সাহিত্যিকদের সাহিত্য মূল্যায়ন করাটা ভয়ানক গোলমেলে বিষয়। ধরুন আপনাকে একটা সম্মুখ সমরের যুদ্ধের বই দেয়া হল। এটা দেখে আপনার প্রথম অনুভূতি হবে, আচ্ছা পড়ব এটা যুদ্ধের বনর্না আছে কতটুকু আনন্দ পাব। হয়তবা কতটুকু জানতে পারব। সাধারণ স্বনামধন্য সাহিত্যিক যেভাবে আনন্দ উদ্দীপক ভাবে লিখেছে তেমনি ভাবে সেনাটা লিখতে পেরেছে কি? এই সব হিসাব নিকাশে অনেকে সেনাদের বই হয়ত পড়ে না। হয়ত বা হাবিলদার নজরুল বিদ্রোহী কবি না হলে অনেক কবির ভিড়ে হারিয়ে যেতেন। স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত করে মানুষের মনে স্থান নিয়েছেন। আজ সময় এসেছে সেনা সাহিত্যকে সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার। সেনা সাহিত্য বাস্তবতার নিরিখে গ্রথিত সমাজ ও মানুষের উত্তরণের আবেগে ও আহ্বানে আপ্লুত। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রচারণাই হয়ত হাবিলদার নজরুলের অনুসারী সেনা সাহিত্যিকদের দিতে পারে প্রতিভা বিকাশের বিশাল অনুপ্রেরণা।

Thursday, May 24, 2018

একদিন খেলে ডা‌য়ে‌টিং এর কিছু হবে না


আমা‌দের সামাজিকতা রক্ষায় অনেক আত্মীয় স্বজনের কাছে বেড়া‌তে যে‌তে হয়। দেখা সাক্ষাত হয়। পুরাতন স্মৃতিচারন হয়। গল্পে গল্পে ফি‌রে যাই সেই ছোটবেলায়। চমৎকার সময় কাটে সন্দেহ নেই। বিপত্তিটা বাঁধে তখনই যখন খাওয়ার সময় হয়। অনেক অনেক প্রো‌টিন ও কার্বোহাইড্রেট রিচ খাবারের মধ্যে পড়‌তে হয়। যারা শহুরে এবং ডেক্স জব ক‌রে তা‌দের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা রীতিমত চ্যালেঞ্জ। তাই আপনি যেখানে নিজে ডায়েট সচেতন, সেখানে বড় বড় মুরগীর পিছ, অনেক পরিমাণ পোলাও দি‌য়ে দেয়; আপনার কেমন লাগবে। মহা চাপ নিশ্চয়ই। আমার কছে একটা অভ্যাস অত্যন্ত প্রিয় তা হল, খাবার সাজা‌নো থাকবে নিজের প্রয়োজন মত তুলে নেয়া। তবে আন্তরিকতার সাথে কাউকে অফার করা যে‌তে পা‌রে। কিন্তু জোর ক‌রে চাপিয়ে দেয়া নয়। এতে করে খাবার খাওয়াটা আর আরামদায়ক থা‌কে না। তা হ‌য়ে যায় অত্যাচার। সবাই মনে হয় এরূপ ভীতি থা‌কে। ওখানে বা উনার সাথে গেলে ঠেসে খাওয়াবেন।
একবার বহুদিন পর এক আত্মীয়ের দাওয়া‌তে গেলাম। আমাদের দেখে বললেন, এই তোমরা স্বামী-স্ত্রী মোটা হ‌য়ে গেছ। অনেক‌দিন পর দেখা মনটা খারাপ হল। যাক গে অনেক গল্প হল। খাবার টেবিলে বসে আমাদের চোখ কপালে উঠল। টেবিলে আছে ‌বোরহা‌নি, মুরগীর বিশাল সাইজ রোস্ট, গরুর গোশত, ডিম কোরমা, ইলিশ ভাজা, জর্দা, মিষ্টি দই ও রস‌গোল্লা। এই মেনু দেখে আমার অবস্থা খারাপ। জান‌তে চাইলাম সালাদ কই। তারা বললেন, সালাদের বিকল্প বোরহানী আছে। তারপর অবশ্য শসার চাক ক‌রে কাটা, লেবু ও কাচা মরিচ আসল তারপর আমি বললাম সবজি  আছে নাকি। তাদের চোখ কপালে উঠল। পোলাও সাথে সবজির খাওয়াব এটা হয় নাকি? আমি ফান ক‌রে বললাম, তাহলে বেগুন চাকা ভাজি রাখতেন বা পটল হাফ ক‌রে কেটে ভেজে রাখতেন। আধুনিক পাঁচ তারকা ও রেস্টুরেন্ট গুলি লাঞ্চ বা ডিনারে ফ্রেশ সালাদ, সবজি, ভাত/রুটি, প্রো‌টিন ও সবশেষে ডেজার্টের আয়োজন করে থাকে এটা স্বাস্থ্য সম্মত এতে সব ক্যাটাগরির খাবারের ব্যাল্যান্স হয়। বোরহানী হলে ফ্রেশ সালাদ না হলে চলবে এটা ভাল ব্যবস্থাপনা নয়। স্টিম/‌বেকড/ভাজা ভে‌জিটেবল পোলাওর সাথে চল‌তে পা‌রে। এটা বেশীর ভাগ মানুষের গ্রহণীয় পদ্ধতি নয়। সবার ধারনা হল, পোলাওর সাথে সবজি দিলে মেনুটা সস্তা হ‌য়ে গেল। সবজি পোলাওর সাথে লোভনীয় ক‌রে উপস্থাপন করা যায়।
বড় বড় পিছ মাছ ও মাংস অনেকে দেন এটা চরম অপচয় অনেকে ভাবেন, বড় পিছ না হলে সন্মান দেখানো হল না ভুল এটা মহা অপচয় এমনকি পাঁচ তারকা হোটেলেও বড় বড় পিছ রাখা হয় না পিছ থাকবে ছোট ছোট এতে যার যে কয় পিছ প্রয়োজন, তা সে তুলে নিবে একটা বড় মুরগীর পিছ তুলে নিবে তার তিন ভাগের এক ভাগ খেল, বাকী ফেলে দিল তা ঠিক নয় যে কোন মাছ মাংশের পিছ থাকা প্রয়োজন ছোট খাবার কম পড়লে সাধারনত লজ্জা লাগে তাই পরিমান বেশী থাকুক কিন্তু পিছ থাকুক ছোট ছোট এতে প্লেটে প্লেটে মাছ বা মাংশ অর্ধেক খেয়ে ফেলে কেই রাখবে না অপচয় কম হবে আবার অনেক আইটেম থাকলে সকল আইটেমের পিছ ছোট হওয়াটা অত্যাবশ্যক
আধুনিক কালে বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্য সচেতন তাই কাউকে জোর করে খাওয়ানোর কিছু নাই অনেকে বলেন, একদিন খেলে কিছু হবে না তা বলে, জোর করে প্লেটে খাবার ঢেলে দেন তা আদর নয় অন্যায় খাবারটা সবাই শান্তিমত নিজের মত খেতে চায় তাই জোর করে খাওয়ানোটায় আনন্দ না হয়ে কস্টকর হয় অনেকে খাবার না খেতে পারলে স্ট্রেট ফেলে দেয় তারা কাজটা নিজের জন্য ভাল করল তবে খাবার অপচয় খারাপ কাজ সে হিসাবে কাজটা ঠিক হল না অনেকে অপচয় না করার জন্য জোর করে সময় নিয়ে খাবার ধীরে ধীরে কস্ট করে খায় এর মধ্যে আমি পরি কেউ জোর করে দিয়ে দিলে খাবার নস্ট করতে পারি না তখন খাওয়াটা যেমন কস্টকর হয় তেমন মনটাও নিরানন্দ থাকে এসব বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে আমার মাঝে একটা অভ্যাস করেছি খাবার আইটেম অনুযায়ী অতিথিকে খেতে বলি কিন্তু জোর করে তুলে দেই না
আমরা যদি ১০/১২ জনের অধিক গেস্ট পাই, তখন সবচেয়ে ভাল হয়, টেবিলে সমস্ত আইটেম সাজিয়ে রাখা গেস্টদের বুফে স্টাইলে তুলে নিতে বলতে হবে এটা খাবার পরিবেশনকারী ও খাবার গ্রহনকারী দুইপক্ষের জন্য ভাল এতে খাবার অপচয় কম হবে
পরিশেষে বলব, জোর করে খাবার পরিবেশনার চেয়ে সবাই নিজের মত নিজের আন্দাজে খাবার গ্রহন করবে এটাই সকলের কাম্য কারো বাসায় গেলে বলবে, মোটা হয়ে যাচ্ছ আবার অনেক খাবার দিয়ে বলবে, একদিন খেলে কিছু হবে না এটাও ঠিক না

Thursday, May 17, 2018

বিরূপ পরিবেশে নিরাপদ থাকুন


আমার জীবনে চাকুরীর শুরু‌তে দুইবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়ীর কাছে ছিনতাইকারীর পাল্লায় পরি। তারপর আরেকবার ফার্মগেটে বাসের ভিতর থেকে ভিড় ঢেলে নামার পথে টাকাসহ মানিব্যাগ হারাই। প্রথম জীবনে এই  দু‌টো ছিনতাই ও পকেটমার হওয়ার পর জীবনে একটা ব্যবস্থা অনুসরণ ক‌রে যাচ্ছি। তা হল যতটুকু সম্ভব কম পরিমাণ ক্যাশ টাকা সাথে রাখা যায়। ২০/২১ বছর বয়সে টাকা ছিনতাই হওয়ার পর আমি নিজেও আমার সহকর্মী‌দের নগদ টাকা সাথে নি‌য়ে ভ্রমণ করার বিষ‌য়ে নিরুৎসাহিত করি। আমি তা‌দের কার্ড বা মোবাইল মানির মাধ্যমে চলাচলের উপদেশ দেই। আমার কাছে মনে হয় কম টাকায় কম রিস্ক। আমি একটা গল্প শুনেছিলাম ইউএসএ তে নাকি আউট ল ও রেবে‌লদের থেকে বাঁচার জন্য ১০০/২০০  ডলার পকেটে রাখার পরামর্শ দিত। অন্যথায় ডাকাত ও ছিনতাইকারী টাকা না পেয়ে রাগ ক‌রে ছুরি মে‌রে বা গুলি ক‌রে অঘটন ঘটা‌তে পা‌রে। এটা মাথায় থাকায় কার্ড ও মোবাইল মানি সাথে থাকলেও ৫০০/১০০০ টাকা পকেটে রাখি। কারণ ঘটনা ঘটার আগে যতটুকু সাবধান হওয়া যায়। সৃষ্টির পর থেকে পৃথিবীতে অনেক ক্ষতিকারক লোক ছিল। গতদিন গুলোতে ছিল। আজও আছে। আগামী‌তে থাকবে। তাই প্রাথমিকভাবে সেলফ ডিফেন্স বা প্রটেকশন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমা‌কে এমন একটা অবস্থায় আসতে হবে যখন সম্পদ বা অর্থসহ প্রটেকশন ছাড়া প্রাইভেটলি এক্স‌পোজ হব না। আমার মাঝে মাঝে অবাক লাগে অনেক ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা কোমরে জড়িয়ে রিক্সা, ভ্যান ও বাস গাড়ী ক‌রে চলে যাচ্ছে। ভয়ংকর বিপদ। আমার এক অতি নিকট আত্মীয় ব্যবসা কারণে ঢাকা কুমিল্লা যাতায়াত ক‌রে। আর তার ঢাকা কুমিল্লা যাতায়াতের মূল সময়ই হল ঢাকা থেকে লাস্ট বাসে রওয়ানা দেয়া। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হল সে অনেক টাকা সাথে নি‌য়ে রওয়ানা হয়। তেমনি একবার কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়ার গতানুগতিক কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বাসস্ট্যা‌ন্ডে হাজির হয়। হঠাৎ একটা মাইক্রো এসে হাজির। ঢাকা যাবে। দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ওঠে প‌রে। মাইক্রোতে মহিলা ছিল ও আরো যাত্রী ছিল। সাহসে উঠে প‌রে। ক্যান্টনমেন্ট হ‌তে কিছুদূর গি‌য়ে নিমসা‌রে এক নির্জন জায়গায় গাড়ী থামায়। সামনে বসা ড্রাইভারসহ তিনজনের মধ্যে দুই জন নেমে এসে ছুড়ি ধ‌রে। বল‌ে গাড়ী থেকে নাম। একজন একজন ক‌রে নামায় চেক ক‌রে টাকা পয়সা গয়না-ঘা‌টি নি‌য়ে মাইক্রো চম্পট দেয়। মাইক্রোর নম্বর আমার আত্মীয়‌টি নোট করলেও কোন লাভ হয়নি পুলিশ জানায় গাড়ীর নেম প্লেটে ভুয়া নম্বর ছিল। আমিও বিভিন্ন চোরাচালান বিরোধী অপারেশনে দেখেছি চোরাচালানের ট্রাকে বা গাড়ী‌তে অনেক কয়‌টি নেম প্লেট ওরা রাখে। সেবার আমার আত্মীয়‌টি মাত্র ২৫০০০ টাকা হাইজাকারদের হাতে তুলে দি‌তে সক্ষম হয়। এই  ঘটনার পর তা‌কে নগদ টাকা বহন করা‌নো থেকে বিরত কর‌তে পেরেছি। তা‌কে শুধু বলেছিলাম, বোকারা ঠে‌কে শিখে। অনেক আগে বলছিলাম, কানে তু‌লে‌নি। নগদ টাকা নি‌য়ে যারা ঘোরাঘ‌ু‌রি করে তা‌দের আমার খুব সাহসী মনে হয়। যদি টাকা বেশী ক্যারি কর‌তে হয় তবে যথাযথ স্কট নি‌য়ে ক্যারি করা ভাল। এখন অবশ্য অনেক অনেক কোম্পানি ক্যাশ টাকা বাদ দি‌য়ে মোবাইল বা ব্যাংক পেমেন্টে চলে গেছে। সরকারও বেতন ও পেনশন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান শুরু করেছেন। এটা নিরাপত্তার দিক দি‌য়ে অনেক অনেক ভাল উদ্যোগ সন্দেহ নাই। এ‌তে অনেক রকম হয়রানী ও টাকা ছিনতাই থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। ব্যাং‌কে বেতন জমার সুবিধা হল যে কেউ তার প্র‌য়োজন অনুযায়ী টাকা উত্তোলন কর‌তে পারছে। একবারে পুরো বেতন উত্তোলন ও মজুদ করার প্র‌য়োজন কর‌তে হচ্ছে না। অনেক অনেক ঘটনা আছে। পুরো পেনশনের টাকা হাইজাক হ‌য়ে‌ছে। পুরো বেতনের টাকা হাইজাক হ‌য়ে‌ছে। তাই একবারে অনেক টাকা বহন কোন অবস্থায় সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়।

আমি জানি অনেকে আমা‌কে তুলো ধুনো কর‌ে দিবেন। দেশের আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন বিষয় না বলে, কেন নিজেদের নিরাপত্তা নি‌য়ে কথা বলছি। সরকারের দুর্বলতা ঢাকা হচ্ছে। আমি আমার অনেক আর্ট‌িক্যা‌লে লিখেছি পৃথিবীর মানুষরা কোন কালে ভাল ছিল না। আগামীতে সন্ত্রাসমুক্ত পৃথিবীও আশা করা যায় না। তাহলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অনুভূতি ও সচেতনতা বাড়া‌নো অতি জরুরী।
আমি সীমিত টাকা নি‌য়ে চলাচলের জন্য আলোচনা করলাম। এখন আর এক‌টি বিষয় না বললেই নয়। একদিন আমি ধানমন্ডি এলাকায় ২৭ নম্বরে ট্রাফিক সিগনালে আট‌কে থাকা অবস্থায় দেখলাম। গাড়ী‌তে বসা এক‌ লো‌কের মোবাইল ছোঁ মেরে নি‌য়ে ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে গেল। ঘটনা খেয়াল ক‌রে দেখলাম। ভদ্রলোক গাড়ীর জানালা খুলে মোবাইল ব্যবহার করছেন এটা অপরাধ। ভদ্রলোক গাড়ী থেকে নেমে মোবাইল ছিনতাইকারী‌কে ধাওয়া করলেও তেমন সুবিধা কর‌তে পারেননি। ছিনতাইকা‌রি দক্ষতার সাথে হার্ডডেলস ক্রস করার মত আইল্যান্ড ও বে‌রিয়ার ক্রস ক‌রে পগার পার হল। দুঃখজনক। এই ঘটনায় কা‌কে কা‌কে দায়ী করা যায়? দেশের সরকার‌কে? আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন না করার জন্য। অন্য‌ দি‌কে তি‌নি কেন জানালা খুলে গা‌ড়ি‌তে মোবাইল ব্যবহার করছিলেন?
গাড়ীতে এসি থাকলে গ্লাস ডাউন ভাল অপশন নয়।
যদি গ্লাস দিয়ে গাড়ী‌তে চল‌তে সক্ষম না হই, তবে দামী মোবাইল রাস্তা ঘাটে ব্যবহার করা অনুচিত।
‌মোবাইল থাকলে এখন হয়ত অনেকে ঘড়ি ব্যবহার করেন না। এক সময় দামী ঘড়ি ছিল টার্গেট। এখন মোবাইল।
আমি সব সময়, ধ‌রেই নেই আমরা তেমন নিরাপদ নই। তাই অন্য‌কে দোষা‌রোপ না ক‌রে নিজেদের নিরাপত্তা বাড়া‌নোটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে বলব, বিরূপ অবস্থায় নিজেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ক‌রে নিরাপদ থাকুন।

Thursday, May 10, 2018

লেখক হিসাবে বই প্রকাশের পূর্বে প্রকাশক চিনুন


বাংলাদেশের মাসব্যাপী বইমেলা সত্যি চমৎকার ট্র্যাডিশন। এতে আমা‌দের বাংলাদেশের বই প্রকাশনা শিল্পে এক ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। আমাদের দেশের সামর্থ্যের জন্য হোক বা পারিবারিক শিক্ষার অভাবেই হোক বই পড়াটা প্রাধান্য পায়নি। আর সে কারণে তেমন একটা বই কেনাবেচা বুক স্টলগুলোতে দেখা যায় না। বই বিক্রি হয়ে গেছে মেলা ভিত্তিক। মেলা ভিত্তিক হয়ে এরূপ হয়েছে কোন লেখক মেলা ব্যতীত অন্য কোন সময় কোন বই বের করতে চান না বা সাহসী হন না। প্রকাশকরাও একই দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকেন। সারা বছর কাজ হচ্ছে পাঠ্য বই তৈরি হচ্ছে। দুর্দান্ত গতিতে তা বিক্রয় হচ্ছে। তেমনি শুধু মেলার জন্য অপেক্ষা না করে রেফারেন্স বই, অন্যান্য গল্প, কবিতা ও উপন্যাসের বই সারা বছর ছাপা ও বাজারজাত হওয়া প্রয়োজন।

বিভিন্ন সময় বইমেলা ঘুরে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের একটা তথ্য আমি আলোচনা ক‌রে পেলাম। এটা প্রকাশক সম্পর্ক‌ে। প্রকাশনা শিল্প‌ে নীচের ক্যাটাগরির প্রকাশক দেখা যায়।

১। প্রতিষ্ঠিত প্রকাশক: এরা সাধারণত লেখক থেকে ছাপা‌নোর খরচ নেয় না। এরা প্রতিষ্ঠিত ও বিখ্যাত বই প্রকাশনার মাধ্যমে তা‌দের প্রফিট মার্জিন ভাল রাখে। নতুন লেখকরা দীর্ঘদিন এদের পিছনে ঘোরাঘু‌রি ক‌রে বই ছাপা‌তে সক্ষম হয়। এরা যেহেতু ব্যবসা সফল এরা প্রতিষ্ঠিত লেখক‌দের বই প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা কর‌তে থা‌কে। এরা লেখক‌কে যথাযথ রয়াল‌টি প্রদান ক‌রে। ১০% প্রকাশক এই ক্যাটাগরির।

২। মধ্যম প্রকাশক: এদের কাজ ও প্রফিট মার্জিন মধ্যম মানের। এরা নতুন পুরাতন সকল ধরনের লেখক থেকে বই ছাপা‌নোর একটা খরচ আদায় ক‌রে নেয়। এদের অনেকে ২০০ - ৫০০ বই লেখক‌কে কিনতে বলে। লেখক‌কে এরা বই বিক্রয় মূল্যের ১০ থেকে ১৫% হা‌রে রয়ালটি দেয়। লেখক সাধারণত অভি‌যোগ ক‌রে এরা ঠিক ভাবে রয়াল‌টি পেমেন্ট করছে না। এদের উপর লেখকের আস্তা ও বিশ্বাস কম থা‌কে। ১০% প্রকাশক এই ক্যাটাগরির।

৩। দুর্বল প্রকাশক: এদের কাছে লেখক কম যায়। বিপণন ব্যবস্থা আর্থিক কারণে সাংঘাতিক দুর্বল। সারা দেশের সমস্ত জেলায় এদের বিপণন নাই। এরা সাধারণত পুরো টাকাটাই লেখক থেকে নেয়ার চেষ্টা ক‌রে। এদের মূল টার্গেট থা‌কে নতুন লেখক। এরা মাঝে মাঝে পাঠ্য বই ও র‌েফারেন্স বই ছাপিয়ে লাইফ সা‌পোর্ট‌ে থা‌কে। ৮০% প্রকাশক এই ক্যাটাগরির। এদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এরা প্রকাশনা‌কে ভালবেসে ও সংসার চালানোর খরচটা পাওয়ার জন্য চেষ্টা ক‌রে যায়। এদের অনেক কাজ প্রতারণামূলক মনে হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে নিজ বই নিজ প্রকাশনার প্রকাশ করার সংখ্যাটাও কম নয়। পরিশেষে বলব এখনকার প্রকাশকরা বই প্রচারণা লেখক‌দেরই কর‌তে বলেন। এটার কারণ বই বিক্রয় কম। পাঠক কম। লেখক বেশী। প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়া‌তে ৪০টির অধিক ভাষা আছে। গড়ে প্রতি বছর ৮০,০০০ হাজারের উপর নতুন বই বাজা‌রে আসে। আমা‌দের দেশেও ৫০০০ এর উপর নতুন বই বাজা‌রে আসে। তাই এত বই‌য়ের মাঝে আপনার বইটি পাঠক কেন কিনবে তার জন্য আপনার প্রচারণা জরুরী। কারণ প্রকাশকরা সে‌লি‌ব্রে‌টি লেখক‌দের বিজ্ঞাপন দি‌তে দি‌তে হয়রান থা‌কে। তাই সে‌লি‌ব্রে‌টি হওয়ার আগ পর্যন্ত আধুনিক লেখক‌দের নিজেদের তার পণ্য তা‌কেই বাজারজাত কর‌তে হবে লজ্জা পেলে হবে না। আশা করি তথ্য গুলি নয়া লেখক‌দের কাজে লাগবে।

প্রকাশনা শিল্পের সবচেয়ে দুর্বল দিক হল বাজারজাত করা। বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলায় অনেক অনেক লাইব্রেরী আছে। কিন্তু অবাক হতে হবে যে সে সমস্ত লাইব্রেরীগুলোতে বেশীরভাগ বই পাঠ্য বই বিক্রয় হয়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকে বলে দোকানদাররা তেমন একটা বই রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। তার উপর আরেক সমস্যা আর তা হল প্রকাশকরা লাইব্রেরীতে বই পাঠায় বাকীতে যা আদায় করতে প্রকাশককে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। তাই প্রকাশকরা বলে লাইব্রেরী ওয়ালারা গাড়ী ও বাড়ীর মালিক হচ্ছে। আর আমাদের চুলায় আগুন জ্বলে না।
বাস্তবিকতা হলো পাঠ্য বই বিক্রয় ব্যতীতই ফিচার বই বিক্রয় করার জন্য প্রতি জেলায় ও উপজেলায় প্রকাশকরা সমন্বিত বিতরণ ব্যবস্থা করতে পারলে প্রকাশনা শিল্পে গতি আনতে পারবে।

Thursday, May 3, 2018

কম্পোজিং ও লেখার এডিটিংএর কাজের ধারা


যে কোন লেখক প্রকাশক চায় তার বইটি শুদ্ধ ভাবে পাঠকের কাছে যাক। বানান ভুল তো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বইয়ে বানান ভুলটাই বেশী হয়। যে কোন প্রেসে দুই ধরনের প্রুফ রিডিং প্রকাশকরা করে থাকেন। একটা হল কম্পিউটারে কম্পোজ করার পর। আর একটি সময় হল প্লেট তৈরি করার আগে ট্রেস করার পর। উদীয়মান লেখক ফোরামে এডিটিং ও প্রুফ রিডিং এর কাজটাই হয় ইমেইল আদান প্রদানের মাধ্যমে। হার্ডকপির উপর নয়। ভলান্টিয়ার দিয়ে করানো হয়। ভলান্টিয়ার দিয়ে করানোর সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা হল প্রুফ রিডাররা এডিটিং বা প্রুফ রিড করতে দেরী করে ফেলে। যেহেতু তারা ভলান্টিয়ার সেহেতু তেমন তাগাদাও দেয়া যায় না। ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে প্রুফ রিড করতে ফোরাম একটি ব্যবস্থা চালু রেখেছে। তা তুলে ধরছি:

১। পাঠকের কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি পাওয়ার পর বই আকারে কম্পোজ করে ফেলা হয়। পৃষ্ঠা ফর্মা অনুযায়ী মিলছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা। ফর্মা না মিললে লেখকের সাথে আলোচনা ও লেখককে আরো লেখা দিয়ে পূরা করা বা কোন লেখা ফর্মা মিলাতে কমিয়ে ফেলা। এই পর্ব শেষ করে লেখককে বইটা কেমন কম্পোজ হবে তার একটা আইডিয়া দেয়া হয়।

২। বইয়ের কম্পোজ ও ফর্মা মিলানোর পর বইটির প্রথম এডিটিং শুরু করা হয় কম্পিউটার স্পেল চেকের মাধ্যমে। পুরো বইয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে দুইবার স্পেল চেক চালানো হয়। তারপর কোন বানান স্পেল চেকারে ঠিক ভাবে ধরা না গেলে তখন তা ব্রাউজারের সার্চে দিয়ে দেখা হয় এভাবে প্রায় ৯০% কারেকশনই হয়ে যায়

৩। কম্পিউটার স্পেল চেক করার পর ফোরামের মোডারেটর বা সম্পাদকদের দ্বারা পুরো লেখাটা লাইন বাই লাইন পড়ানো হয়। তখন কম্পিউটারে যা ধরতে পারেনি, সেইরূপ সব ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এই সময় পুরো লেখার মানটা নিয়ে লেখকের সাথে এডিটররা কথা বলেন। লেখকের আলোচনার পর এডিটর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করেন। অথবা লেখককে পরিবর্তন ও সংশোধনের জন্য পাঠান। মডারেটর প্রয়োজন মনে করলে আরো এডিটর বা প্রুফ রিডার নিয়োগ করবেন

৪। মোডারেটর তার ফোরামের মাধ্যমে লেখককে প্রাথমিক প্রচ্ছদের ড্রাফট উপস্থাপন করে। লেখক ড্রাফট দেখে মতামত দেয়। লেখকের মতামতের উপর প্রচ্ছদের পরিবর্তন করে পুনরায় লেখককে দেয়া হয়।

৫। এই পর্যায়ে ফোরামের কাজ শেষ। এখন বইটির একটি বা দুইটি ডেমো বই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হবে। পুনরায় বইটি বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা কিছু পাঠক ও লেখক কর্তৃক করানো হবে। ভুল ভ্রান্তি গুলি বিস্তারিত বের করে পুনরায় সংশোধিত ভার্সন প্রিন্ট অন ডিমান্ড (পিওডি) মাধ্যমে লেখকের চাহিদা অনুযায়ী কপি লেখককে ডিজিটাল প্রিন্ট ভার্সন দেয়া হবে।

৬। পিওডি ভার্সন বা বেটা ভার্সন বই লেখক পাওয়ার পর আমরা লেখককে বলি, একটা বই আপনার কাছে রাখুন। বাকী বই আপনার পরিচিত যারা বোদ্ধা তাদেরকে পড়তে দেন। এখন আপনার কাছে যে বইটি আছে সেই বইয়ে তাদের কাছ থেকে বইয়ের উপর তাদের মতামত, অবজারভেশন ও অন্যান্য সংশোধনী গ্রহণ করুন। এখন সংশোধনী মার্ক করা বই ফোরামের মোডারেটের কাছে পাঠাতে পারেন বা নিজে সফট কপিতে সংশোধন করে দিতে পারেন।

৭। এই সময় লেখক চাইলে আরো অধিক পরিমাণ এডিটরকে দিয়ে চেক করাতে পারেন। প্রেসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত লেখক যত খুশী পরিবর্তন ও এডিট করে নিয়ে বইয়ের মান উন্নয়ন করতে পারবেন। বইয়ের প্রচ্ছদও পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। লেখক তার ট্র্যাডিশনাল প্রকাশক খুঁজবেন। যদি ট্র্যাডিশনাল প্রকাশক টাকা চান সেক্ষেত্রে সেলফ পাবলিক করার জন্য “উদীয়মান লেখক ফোরাম” আসবেন।

৮। উদীয়মান ফোরাম কর্তৃক বই প্রেসে নেয়ার আগে গেলে কপিরাইট সম্বলিত করার জন্য আইএসবিএন নম্বর নিতে হবে। আইএসবিএন বইটির লিমিটেড কপি রাইট প্রটেকশন দেয়। আইএসবিএন নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে বইটি ওয়েবে সাধারণত দেখা যাওয়ার কথা।

উদীয়মান লেখক ফোরাম এডিটিং করার জন্য সাধারণ গাইড লাইন তুলে ধরা হল। লেখক উদীয়মান ফোরামের কাছ থেকে যে কোন সময় তার বই ফেরত নিতে পারবে ও তার পছন্দের প্রকাশককে দিবে। আমরা শুধু প্রকাশক টাকা চাইলে উদীয়মান লেখক ফোরামের কাছে আসতে বলি। আমাদের উদীয়মান ফোরামের একটাই উদ্দেশ্য লেখক যেন বিনা পয়সায় বই ছাপাতে পারে। লেখকের লেখা অনেক অনেক বেশী এডিটিং করে উদীয়মান লেখক ফোরাম প্রেসে পাঠাবে। সম্পূর্ণ এডিটিং ও প্রুফ রিডিং না হওয়া পর্যন্ত প্রেসে দেয়া হবে না। প্রি-প্রেসিং বা প্রেসে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লেখক যে কোন সময় যে কোন প্রকাশকের কাছে যেতে পারে।  উদীয়মান লেখক ফোরাম লেখককে সেলফ পাবলিশিং করায় সহায়তা করে বিধায় উদীয়মান লেখক ফোরাম লেখকের সাথে কোন চুক্তি করে না। লেখক তার বই পাবলিশিং সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রমের সহায়তা উদীয়মান ফোরাম ভলান্টারি সংস্থা হিসাবে কম্পোজ, এডিটিং ও প্রুফ রিডিং এর সহায়তা দিবে। তবে কিছু হার্ডকপি ডিজিটাল ভার্সন প্রিন্ট করার প্রয়োজন হলে “উদীয়মান লেখক ফোরাম” দানকৃত অর্থ থেকে বহন করবে। লেখক প্রেস ভার্সন প্রকাশ করার পর যদি কিছু অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন তবে ফোরামকে দান বা ডোনেশন দিবে। এছাড়া সমাজসেবী মানুষদের কাছ থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করে উদীয়মান লেখক ফোরামের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
পরিশেষে সামাজিক ব্যবসা হিসাবে উদীয়মান লেখক ফোরাম সমাজের বিপুল সংখ্যক লেখকদের সেবা দিতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে।