Pages

Thursday, May 26, 2016

রেল টপ সোলার সিস্টেম

বাংলাদেশের মানুষের জমি কম। সিংগাপুর ও হংকং এর ঘনবসতির কাছাকাছি বাংলাদেশের অবস্থান। জার্মানি, জাপান, চীন ও ভারত সোলার বিদ্যুৎ তৈরিতে মাইল ফলক সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশের সরকার শীঘ্রই সৌর শক্তি হতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্যে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য জমি সংকট। রুফটপ সোলার সিস্টেম থেকে রুফটপ গার্ডেন অনেক বেশী ভাল। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। ছাদে বাগান পরিবারের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরাসরি কাজে লাগে। তাই সিমেন্টের ছাদে সোলার প্যানেল নয় বরং রুফটপ গার্ডেন বেশী প্রয়োজন। ছাদে সোলার বসালে তার রক্ষণাবেক্ষণ আরেক ঝামেলা। তার চেয়ে রুফটপ গার্ডেনের কাজে ব্যবহার করে শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ছাদের মধ্যে টিনের ছাদ বা স্লোপ ছাদ অবশ্যই সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক কাজে লাগাতে হবে। যে ছাদ বাগানে ব্যবহার করা যাবে না তা সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করতে হবে। ছাদ বাগান অথবা সোলার দুইটির কোন না কোন কাজে আমাদের ছাদগুলো বা চালগুলো ব্যবহার করতে পারলেই আমাদের ঘন বসতির দেশের জমির ক্রম বর্ধমান সংকট আমরা নিরসন করতে পারব। জনসংখ্যাও কমানোর পদক্ষেপ জরুরী।
বাংলাদেশে লোকের জমি অনেক কম তাহলে আমাদের সোলার লাগানোর স্থান কোথায়। আমাদের এখনো জমি নষ্ট না করে আমরা সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। আমাদের দেশের যত স্থান দিয়ে রেল লাইন চলে গেছে সমস্ত রেল লাইনের উপর দিয়ে আমরা সোলার প্যানেল বসাতে পারি। সড়কের উপর বসানো যাবে না কারণ সড়কের ভিতর দিয়ে চলাচল রত গাড়ীকে নিদ্দিষ্ট উচ্চতা সাধারণত বেধে দেয়া হয় না। তাই সড়কের উপর আপাতত সোলার প্যানেল নয়। ট্রেনের উচ্চতা কম। সাধারণ ট্রেনের ছাদের উপরে আমাদের দেশে কিছু যাত্রী সাধারণত যাতায়ত করে । এ সকল যাত্রীকে ট্রেনের উপর ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়ত করতে না দেয়াই ভাল। তথাপিও নিদ্দিষ্ট উচ্চতার উপর আমরা সোলার প্যানেল বসানো যাবে। আমাদের দেশে সাধারণত সকল জমিতে কমপক্ষে একটি বা একাধিক চাষাবাদ সকল সময় হচ্ছে। সোলার প্যানেল বসানোর জন্য অনাবাদী জমি পাওয়া অত্যন্ত দূরুহ ব্যাপার। তাই আমাদের জমি খোজ করতে হবে। বাড়ীর ছাদে, ট্রেনের লাইনের উপর, খালের উপর, অনাবাদী চর এলাকা ও অল্প পানিযুক্ত উপকুল এলাকা। বিলের নিচু এলাকায় পিলার বসিয়ে সোলার লাগানো যাবে। বাড়ীর ছাদে আমরা রুফটপ গার্ডেন করব। তাই রেললাইনের উপর অথবা ক্যানেল টপ আমাদের জন্য জমি নষ্ট না করে সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভাল অপশন।
ব্রিটেনের লন্ডনে নদীর উপর একটি রেলের ব্রিজ সোলার প্যানেল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে আর তাতে নিকটবর্তী রেল স্টেশনের ৫০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাচ্ছে। বেলজিয়ামের জংগলের মধ্য দিয়ে দুই মাইলের একটি টানেলের উপর বনের গাছ সাধারণত ভেঙ্গে পরত ও প্রায়শই রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হত। এ কারণে সেদেশের রেলের কর্তৃপক্ষ দুই মাইল টানেল ৪৪০০০ সোলার প্যানেল দিয়ে ঢেকে দেয়। এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তা দ্বারা নিকটবর্তী এলাকার বিদ্যুৎ এর চাহিদা পূরণ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের মনো রেল লাইনের উপরের ছাউনি সোলার প্যানেল দ্বারা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এতে করে তাদের মনো ইলেক্ট্রনিক ট্রেন চালানোর বিদ্যুৎ চলে আসবে সোলার প্যানেল থেকে। অনেক দেশ আবার পূর্ণ সোলার প্যানেল আচ্ছাদন না করে দুইপাশে বা একপাশে বেড়ার মত করে সোলার প্যানেল লাগানোর ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশে আমাদের যে বিস্তর রেললাইন রয়েছে তা আমাদের মত ঘন বসতির দেশে সোলারের কাজে ব্যবহার করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একপাশে অথবা দুইপাশে পিলার বসিয়ে সোলার প্যানেল দিয়ে ক্রমান্বয়ে রেল স্টেশনগুলো ঢাকতে পারি। রেল স্টেশনগুলোর বিদ্যুতের চাহিদা আমরা স্টেশনের উপরের প্যানেল ও আশে পাশে প্রয়োজন মোতাবেক প্যানেল বসিয়ে পূরণ করতে পারি। প্রথম ধাপে আমরা ছোট ছোট রেল স্টেশনগুলো সোলার প্যানেল দিয়ে ঢেকে আমরা পাইলট প্রজেক্ট করতে পারি। তারপর মাঝারী মাপের স্টেশনগুলো সৌর বিদ্যুতের আওতায় আসতে পারে। পরে বড় বড় স্টেশনগুলো সোলার প্যানেলে ঢাকা যাবে। যেসব বিদ্যুৎ বিহীন অঞ্চল দিয়ে রেললাইন চলে গেছে সেসকল এলাকার রেললাইনের উপর ছাউনি আকারে সোলার প্যানেল লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ দেয়া যেতে পারে। এভাবে গোটা রেললাইনকে সোলার প্যানেলের ছাদ দিয়ে ঢেকে দেয়া যায়। সাধারণ প্রতি কিলোমিটারে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে আমার সম্পূর্ণ দেশে ইউকিপিডিয়ার তথ্য মোতাবেক ৪৪৪৩ কিলোমিটার রেল লাইন ও ৪৪৪ রেলস্টেশনের উপর আনুমানিক ৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। যা কিনা বাংলাদেশে ২০২১ সালে ২১০০০ মেগাওয়াট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় চার ভাগের একভাগ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র মতে তাদের ৩১ হাজার ৮৬০ একর জমি রয়েছে। যদি রেলওয়ের জমি সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যায় তাতে জায়গা ভাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মৃতপ্রায় রেলওয়েকে সবল করা যাবে। রেললাইনের উপর সোলারের মেগা প্রজেক্ট ১০ মেগাওয়াট করে ভাগ করে করে ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া যেতে পারে। এতে গ্রিন পাওয়ার ব্যবসায় আরো অনেক ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবে ও গ্রিন এনার্জির ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে। সোলার প্যানেলের নীচে বিশেষভাবে ব্যবস্থা করে নিলে রেইন ওয়াটার হারবেস্টিং করা যাবে ও তা রেল রাস্তার নিকটবর্তী মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা হতে পারে।
রেলে যাত্রীরা কি সুবিধা পাবে এ আলোচনায় আসা যাক। প্রথমত: ট্রেন যাত্রীরা প্রখর রোদের ও গরমের থেকে রক্ষা পাবে। ট্রেন রোদে কম উত্তপ্ত হওয়ার কারণে ট্রেনের এসি কম্পার্টমেন্ট ও অন্যান্য কম্পার্টমেন্টে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। গাছ পালা ভেঙ্গে ট্রেনলাইন ব্লক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
তবে সবুজ এনার্জি ব্যবহারে ট্রেনলাইনের ব্যবহার হবে পৃথিবীর অগ্রগামী পদক্ষেপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। রেললাইনের উপর সোলার প্যানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে জমি সংরক্ষণ ও সবুজ এনার্জি ব্যবহারে যুগান্তকারী ও প্রগতিশীল দেশ হিসাবে মর্যাদার আসনে দাঁড়াবে। আমরা সকলে বাংলাদেশের সবুজ শক্তির বিপ্লবীয় দিনগুলো দেখার আশায় থাকলাম।


Thursday, May 19, 2016

লেখালেখি কি একদম মূল্যহীন

আমি নিয়মিত লেখালেখি করার চেষ্টা করি। একবার আমাকে আমার একজন সহকর্মী বলেছিল, আপনার এই লেখালেখি করে কি লাভ। আপনার এই লেখা কে পড়বে। সময় নষ্ট করে কি আপনার কোন উপার্জন হচ্ছে। আমিও এই সহকর্মীর সাথে একমত আমার লেখা কে পড়বে। আমি একটি গুগলের ব্লগ স্পটের ওয়েব সাইটে আমার লেখাগুলি সংরক্ষণ করছি। অবাক করা বিষয় হলো দুই বছরের মধ্যে আমার সাইটিতে হিট প্রায় দশ হাজার অতিক্রম করতে যাচ্ছে। কেউ পড়ে না বিষয়টা মানতে পারছি না। হতে পারে এই লেখালেখি করে আয় করতে পারছি না। আমি আমার লেখালেখি থেকে মূলত আয় করার চিন্তায় কখনো লিখিনি। আয় হবে এটাও ধারনায় রাখি না। আমি বাংলাদেশের উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছি। ভাল রেজাল্ট করেছি। সারা জীবন বিনোদন হিসাবে পড়াশোনাকে বেছে নিয়েছি। জীবনের প্রতিটি বিষয়ে নিজেকে এত বেশী জ্ঞান চর্চার মধ্যে রাখি, মাঝে মাঝে মনে হয়, পড়ার ও নতুন নতুন সৃষ্টির অন্বেষণে সময় ব্যয় না করে আমি যদি টাকা অর্জনের পিছনে করলে ভাল হত। সম্পদশালী হতে পারতাম। তবে কেন ছাইপাশ লিখে দিনের পর দিন টাইপ করে সময় নষ্ট করছি। আসলে এসময় নষ্ট করাটা কি কাজের। কোন টাকা পয়সা নেই। শুধু সময় নষ্ট। শখের কাজে মনে ভাল অনুভূতি তৈরি হয়। সব সময় টাকা পাওয়া যাবে এ ধারনাটা হয়ত সঠিক নয়।
আমি আমার বড় ছেলে রাশিদ বিশিষ্ট কম্পিউটার এক্সপার্টকে বলে রেখেছি। কোন কারণে আমার অকাল প্রয়াণ হলে আমার  লেখাগুলি থেকে বাছাই করে আমার নামে একটা বই ছাপাবে। আমার নামে একটা ওয়েবসাইট বানাবে বা এই ব্লগ স্পট মেন্টেইন করবে বা নতুন কোন সাইটে রিহোস্ট করবে। আমার সহকর্মীর কথায় আমি মর্মাহত হলেও আমার জন্য ভাল  লাগার বিষয় আছে। আমার নানা রকম মতের ও অনুভূতির লেখাগুলো ইন্টারনেটে বাংলায় সার্চ করে অনেকেই পাচ্ছেন। ইদানীং গুগুলে বাংলার সার্চ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ইউনিকোডে বাংলা টাইপ করতে পারছেন। তাই দিনের পর দিন টাইপ করে লিখে যাওয়া আমার পংতিগুলো বিশাল এই ইন্টারনেটের গ্লোবাল জগতে খুঁজে পেতে লাগছে একটু সময় আর কয়েকটি ক্লিক। টাচ মোবাইলের কয়েকটি টাচ।
তবে কি আমার লেখার পিছনে সময় ব্যয় করাটা অপচয়। আমার লেখার পিছনে যে অতিরিক্ত সময়টা বিনিয়োগ আমি করছি তার জন্য আমাকে বেশ শক্ত একটা কাজ করতে হচ্ছে। আর তা হল সবচেয়ে মজাদার ও সহজ বিনোদন টিভি দেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। টিভি না দেখে চিন্তা ভাবনা করে একের পর এক শব্দ কম্পিউটারে টাইপ করে যাচ্ছি। শুধু মনের ইচ্ছেটুকু পূর্ণ করার জন্য। মাঝে মাঝে বেশ দিন কিছু লিখতে পারি না। উদাসভাবে ঘুরতে থাকি। কিন্তু আইডিয়া আর আসে না।
আমার খুচরো লেখার অনুভূতি হল। প্রতিটি শব্দ টাইপ করে আমি যেন প্রতিটি শব্দের জন্য অর্থ অর্জন করছি। যা নাকি জমাচ্ছি। এক সময় এটা ভাঙ্গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষুদ্র সুখ ও স্বস্তি ক্রয় করব।
আমার অনুভূতি হল কাজে লাগুক বা নাই লাগুক প্রতিটি ভাল কাজের জন্য এই প্রকৃতিতে রিটার্ন রয়েছে। আর এ রিটার্নটা আমার জীবনকালেও পেতে পারি বা মরনোত্তরও পেতে পারি। প্রতিটি লেখার ৫০০ হতে ১০০০ শব্দের আমার এই প্রয়াস শুধুই আমার মনের অনুভূতি গুলোর প্রকাশ।
আমি অনেক বিষয়ে অনেক পড়ার ও জানার পর আমার কিছু করতে ইচ্ছে করে। তখন আমার সেনা চাকুরী আমার ইচ্ছে গুলো বাস্তবায়নে বিরাট বাধা দেয়। তাই ধারনাগুলো যেন মরে না যায় বা ভুলে না যায়। লিখে রাখি। অতি দ্রুত চাকুরী হতে অবসর নিয়ে পরিকল্পনাগুলো হতে যাচাই বাছাই করে কোন একটি কাজ নিয়ে লেগে পড়া যাবে। অনলাইন একটা পত্রিকা চালু করার আমার খুবই ইচ্ছে আছে। ক্যাডেট কলেজে থাকতে আমি ফটোকপি করে একটি পত্রিকা তৈরি করি। পত্রিকাটির নাম ছিল চন্দ্র দ্বীপের চিঠি কুষ্টিয়ায় বিজিবিতে চাকুরীরত অবস্থায় আমি কুষ্টিয়ার বিজিবি পাবলিক স্কুল ও কলেজের জন্য এবং প্রাইমারী স্কুলের জন্য পত্রিকা বের করতে সমর্থ হই। এর জন্য মত বিনিময় করে অবিভাবকদের মত নিয়ে তাদের খরচে বাৎসরিক ম্যাগাজিন বের করতে সক্ষম হই।

তাই রিটায়মেন্টের এলপিআর পিরিয়ড থেকেই অনলাইন পত্রিকার কাজটা শুরু করা যাবে। এর পর সামর্থ্য ও আর্থিক সংকুলানের মাধ্যমে একের পর আমার সঞ্চিত আইডিয়া গুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাব। আমি সেই সুন্দর দিন গুলির সময় গুনছি যখন সবাইকে আরো কিছু ভাষা কর্ম ও মানবীয় নানা কল্যাণকর কাজ উপহার দিতে পারব।


Thursday, May 12, 2016

কী-হোল গার্ডেন

আফ্রিকার জন্য ব্রিটিশ বেইজ এনজিওদের আবিষ্কার হল কী-হোল গার্ডেন। কী-হোল গার্ডেন হল ছয় ফুট ব্যাসের আনুমানিক দুই ফুট উচ্চতার একটি রেইজ বেড গার্ডেন যার মাঝে একটি কম্পোস্ট বিন আছে।ইন্টারনেটে Key hole Garden লিখে সার্চ দিলে এটির তৈরি প্রক্রিয়ার ভিডিও পাওয়া যাবে। আমার মনে হয় ইন্টারনেটের ইউটিউবে কী-হোল লিখে সার্চ দিলে এই বাগান তৈরির প্রক্রিয়া বিস্তারিত পাওয়া যাবে। এ ছয়ফুট ব্যাসের গোলাকার এই বাগানে মাঝে কম্পোস্ট ফেলার স্থান অনেকটা গোল এগ পুডিং থেকে এক স্লাইস কেটে নেয়ার মত। উপর থেকে দেখলে মনে হবে তালার চাবির গর্তের আদলে একটি রূপ তার জন্য এর নাম কী-হোল গার্ডেন। আমি এই লেখায় চিত্র সংযুক্ত করলাম ইন্টারনেট থেকে তৈরি প্রক্রিয়ার ছবি দেখে নিতে পারবেন।
Link: http://www.inspirationgreen.com/keyhole-gardens.html



যেসব স্থানের মাটি উর্বর নয় ও পানির সংকট সেসব স্থানে এ ধরনের গার্ডেন বেশ কার্যকরী। আমি কী-হোল গার্ডেন সম্পর্কে জানতে পারি ইউটিউব একটি ভিডিও দেখে ভিডিওটি তৈরি করেছে বিবিসি যা কিনা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের আইলা বিধ্বস্থ এলাকা নিয়ে। সেসব এলাকায় লবণাক্ত পানির জন্য বাড়ীর আশে পাশে ফসল উৎপাদন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ছিল। আর এ কষ্ট দূর করার একটা ব্যবস্থা হল এই কী-হোল গার্ডেন। এ ধরনের গার্ডেনে সার দিতে হয় না। পানি কম লাগে। উঁচুতে হওয়ার কারণে বন্য পশুতে নষ্ট করতে পারে না।
আফ্রিকার স্কুল গুলোতে বাচ্চাদের এ ধরনের বাগান স্কুলে করিয়ে দেখানো হয়। এমনকি অনেক স্কুলে এ ধরনের বাগান স্কুলে নমুনা স্বরূপ রাখা হয় যেন বাচ্চার দেখে শিখতে পারে ও বাড়িতে বানাতে পারে। এতে রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট কম্পোস্ট তৈরি করার জন্য প্রতিনিয়ত ঢালা হয়। কম্পোষ্ট পচে ধীরে ধীরে নীচ দিয়ে কী-হোল গার্ডেনে নিয়মিত ছড়িয়ে যেতে থাকে। কী-হোল গার্ডেনে মাঝের কম্পোস্ট বিনেই রান্না ঘরের গ্রে ওয়াটার দেয়া হয়। এছাড়া বেডে কোন পানি দেয়া হয় না। বেডের গাছের শিকড় বেডে পানি না পেয়ে নীচে শুকনো ঘাস ও লতা পাতা দেয়া ভেজা স্তর থেকে পানি শোষণ করে। এভাবে খড়া বা শুকনো সময়ে একদম কম পানিতে গাছ বেচে থাকতে পারে।
তবে কী-হোল গার্ডেন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরের একাধিক থাকতে পারে। এটা শুধুমাত্র রান্না ঘরের ওয়েস্ট প্রডাক্ট দ্বারাই চালু রাখা যাবে। আবার রান্না ঘরের ধোয়া বাছার পানি দিয়ে সেচ করেই এগুলোতে সবজি ফলানো যাবে। তাই আমাদের দেশের প্রতিটি রান্না ঘরের আশে পাশের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য এ ধরনের বাগান বেশ কার্যকরী। আমি ছোট বয়স থেকে দেখছি আমার মা সাধারণত রান্না ও অন্যান্য ময়লা বড় গর্ত করে ফলতে থাকেন। সাধারণত দুই তিন মাস পর গর্ত পূর্ণ হলে নতুন গর্ত খুড়িয়ে নেন। পুরাতন গর্ত মাটি দিয়ে ভর্তি করিয়ে নিতেন। সেই ভর্তি গর্তে লাউ,সিম,মিষ্টি কুমড়া ও চাল কুমড়া ইত্যাদি লতা জাতীয় গাছ লাগিয়ে দিতেন। একটি বা দুইটি লতা গাছে এত সবজি ধরত তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এখনও অনেককে দেখি সাধারণত গ্রাম এলাকায় ময়লা ফেলার স্থানে একপাশে লাউ, কুমড়া ইত্যাদি লাগিয়ে দিতে। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা ময়লার ডেপোর পাশে গাছ না লাগিয়ে কী-হোল গার্ডেন বানিয়ে নিলে আমরা রান্না ঘরের বর্জ্য ডানে বামে না ফেলে কী-হোল গার্ডেনে ফেলে পরিবেশ ভাল থাকবে। ময়লা কম্পোস্ট হয়ে অর্গানিক সবজি উৎপাদনে কাজে লাগবে।
ময়লা কম্পোস্ট তৈরি করার ব্যবস্থা হওয়ায় বাড়ীর আশে পাশে লিটারিং বা ময়লা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ দূষণের ভয় থাকছে না। পরিবেশ সুন্দর করে রাসায়নিক সার ক্রয় না করে গৃহ স্থলীর ময়লা চারপাশে না ফেলে চমৎকার পদ্ধতিতে বাগান করার অনন্য দৃষ্টান্ত এটি।

কী-হোল গার্ডনে আমরা লাউ, কুমড়ো, শসা, করল্লা ইত্যাদি লতা জাতীয় গাছের পাশাপাশি ঢেঁড়স,বেগুন ও টমেটো লাগাতে পারি। আমাদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা সবজির আবাদ করতে পারি। সাধারণত এই মূল্যবান প্রক্রিয়ায় আমরা ফল গাছ লাগাব না। মাটির ব্যবহার কম হওয়ায় ও মাটি উত্তপ্ত থাকায় এই কী-হোল গার্ডেনে আমরা শীতের সবজি শীত শেষ হওয়ার পরও চাষাবাদ করতে পারি। আবার গ্রীষ্মের সবজি গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার পরও আমরা চাষাবাদ করতে পারি। এই বাগান মাটি ও আবহাওয়ার বিরূপ অবস্থায় গাছের অনুকূলে থাকে। যেমন বিরূপ আবহাওয়ায় শিকড় গভীরে যায় ও মাটির গভীরের লতা পাতা ও কম্পোষ্টের স্তর থেকে পানি ও খাদ্য নিয়ে থাকে। এতে মাটি রুক্ষতা ও আবহাওয়ার বিরূপতায় এর কোন ক্ষতি হয় না।বাংলাদেশের জৈব সার তৈরির প্রকল্পের মত আশে পাশের ডালপালা ও ইট-পাথর ব্যবহার করে এটা তৈরি করা যেতে পারে। এমনটি দুইজন লেবার নিয়ে এটা তৈরি করে সবজি সংগ্রহের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করা যেতে পারে। ইট সিমেন্ট দিয়েও এটা সেমি পার্মানেন্ট ভাবে তৈরি করে নেয়া যায়। এটি এক দুই বছর পর পর মাটি ও কম্পোস্ট নাড়াচাড়া দিয়ে পুনরায় সব সেট করে নিলেই চলবে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে একটা করে কী-হোল গার্ডেন তৈরি করা গেলে এটা আমাদের আর্থিক ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এ আশাই ব্যক্ত করছি।

Thursday, May 5, 2016

নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ

পৃথিবীর অনেক দেশে নাকি বিদ্যুৎ যায় না। এটা শুনতে একটু অবাক লাগে। যে সব দেশে বিদ্যুৎ যায় না তাদের বিষয়ে জানলে একটু অবাক হতে হয়। বিদ্যুৎ যায় না মানে হয়ত মাসে একবার দুইবার ম্যান্টেনেন্সের জন্য বলে কয়ে এক দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকাটা গ্রহণ যোগ্য। কিন্তু বিনা নোটিশে প্রতিদিন দুই/তিনবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করলে সত্যিই সমস্যায় পরবেন। যারা আইটি ও কম্পিউটার নিয়ে কাজ করেন তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর জন্য আমাদের বিনিয়োগ কিন্তু উল্লেখ করার মত। জেনারেটর, আইপিএসও ইউপিএস। তার সাথে আবার এসব যন্ত্রপাতির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের একটা চাপ থেকেই যায়। এখন লোডশেডিং মুক্ত যদি আমরা হতে পারলে আমাদের আর বিদ্যুৎ ব্যাকআপ এর যন্ত্রপাতি ক্রয় করার প্রয়োজন হত না। বলা যায় বিনিয়োগের প্রায় ৩০% টাকাই সাশ্রয় হয়ে যেত। এভাবে যদি গোটা দেশের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকার জন্য একটি দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ ব্যাকআপ যন্ত্রপাতির বিনিয়োগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আর এই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করে তা আরো বেশী উন্নয়নে খরচ করা যাবে। পাওয়ার যে কোন যন্ত্রের বা ডিভাইসের চালিকা শক্তি। তাই এই চালিকা শক্তি নিরবচ্ছিন্ন করতে পারলে সাফল্য ধরে রাখাটা অতি সহজ।
বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন করলেন। তারপর আর কি প্রয়োজন। ২০১৬ এসে আমরা দেখছি ভয়েজ, ভিডিও ও ডাটা সমস্ত কিছুই পারাপার হচ্ছে অপটিক্যাল ফাইবারে। বাংলাদেশের মত ঘন বসতির দেশে অপটিক্যাল ফাইবার টানার স্থান গুলোই হল আমাদের রাস্তার পাশ দিয়ে। এই লাইনগুলো এখন ইন্টারনেট ও ভয়েস কল সবকিছুরই চালিকা শক্তি। এই অপটিক্যাল ফাইবার লাইনগুলো প্রতি মাসে একাধিকবার কাটে। এখন অবশ্য লাইন কাটলে একদম নিদ্দিষ্ট দূরত্বে কাটার স্থান আমরা বের করতে পারি। তাই অপটিক্যাল লাইন কাটলে তা বের করতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু কাটা তারগুলি জোড়া দিতে মাটি খুড়ে অপটিক্যালের কাটা স্থান বের করে একটার পর একটা ফাইবার জোড়া দিতে হয়। এতে যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করুক না কেন সর্বনিন্ম তিন/চার ঘণ্টা ও একদিন লেগে যায়। এভাবে মাসের অনেকটা দিন ইন্টারনেটে সমস্যা দেখা দিলে যারা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে বিভিন্ন কাজ করেন তারা সত্যিকার অর্থেই সমস্যায় পড়ে যান। আমি একবার একজনকে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য তিন হাজার টাকার প্রিপেইড কার্ড কিনতে দেখে বললাম আপনি এডিএসএল বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিলে আপনার খরচ কম পড়ত। তখন ভদ্রলোক বিনয়ের সাথে জানালেন আপনার প্রস্তাবটি খুবই ভাল। যদি আপনার প্রস্তাবটি কাজে লাগাতে পারলে খুবই খুশি হতাম। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে যে হারে অপটিক্যাল লাইন কাটে এবং মাঝে মাঝে দুই একদিনের জন্য ইন্টারনেট থাকে না এতে আমার আউট সোর্সিং এ কাজের বারোটা বেজে যাবে এবং আমার হাজার টাকা লসে পরব। তার চেয়ে আমার আনইন্টারাপ্টেড উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট অনেক ভাল। একই রকম উচ্চ গতি ও হঠাৎ নেট চলে যায় না। একবার একজন ব্যবসায়ী আমার বাসায় পরিচয় সূত্রে বেড়াতে আসল। আমার বাসায় টেলিফোন লাইনের এডিএসএল মোডেমে রাউটারের মাধ্যমে ওয়াইফাই করা আছে। তাকে বললাম আপনি চাইলে রাউটারের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারেন। তিনি আমাকে বললেন আপনার বাসায় মোবাইল নেটওয়ার্কের থ্রিজি পাওয়া যাচ্ছে। আমি সাধারণত থ্রিডি লাইন পেলে ওয়াইফাই খুঁজি না। কারণটা স্বাভাবিক। টাকা বেশী খরচ হলেও লাইন সাধারণত স্থিতিশীল থাকে। গতির হেরফের কম হয়। থ্রিজির আনলিমিটেড অনেক খরচের ব্যাপার। যারা সামর্থ্যবান তারা আনলিমিটেড থ্রিডি ব্যবহার করলে কিছু যায় আসে না। কমফোর্ড ও আনইন্টারাপটের বিষয়। যারা আমরা বেশী গতি কম খরচে খুঁজি তাড়াই সাধারণত ব্রডব্যান্ডের ব্রড সমস্যার শিকার হই। আর দিনের পর দিন ইন্টারনেট ছাড়া কাটাই। বিদ্যুতের ইউপিএস ও আইপিএস এর মত আমাদের একাধিক ব্যবস্থা খোলা রাখতে হয়। ব্রডব্যান্ড না থাকলে জরুরী কাজ করার জন্য তখন মোবাইল মোডেম ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পরে। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মেইল আসবে। আপনার ভাইবার বা হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ আসবে। আপনাকে আউটসোর্সিং এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে তাই মোডেমের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যাকআপ ছাড়া কোন উপায় নাই। তাই এডিএসএল ও অন্যান্য যে কোন মাধ্যম রাখলেও এখন আনইন্টারাপ্টেড ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য মোবাইল মোডেম চালু রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিদ্যুৎ যদি নিরবচ্ছিন্ন করা যায় তবে ইন্টারনেট কেন পারা যাবে না। সম্প্রতি গুগল উচ্চ গতির ওয়্যারলেস ইন্টারনেট চালু করেছে। একটু কম গতি থাকলে ম্যান্টেনেন্স ফ্রি ওয়্যারলেস ইন্টারনেট ভাল সলিউশান। আমাদের দেশের প্রচুর অপটিক্যাল ফাইবার লাইন বসানো হচ্ছে। এমনকি অপটিক্যাল লাইন ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত চলে গেছে। অপটিক্যাল লাইন অনেক দুর টানা হলো সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে। তা হল। বিকল্প ব্যবস্থা নাই। আর মোডেমের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের মোবাইল ইন্টারনেট হলো বিকল্প। বাংলাদেশের অপটিক্যাল লাইনের বিচ্ছিন্নতা দুর করতে যা করা যায় তা হল:
১. একাধিক অপটিক্যাল লাইন বিভিন্ন পথ দিয়ে বসাতে হবে।
২. ওভারহেড অপটিক্যাল লাইন টানানোর প্রয়োজন আছে। কোথাও আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন কাটা গেলে উপরের ওভার হেড লাইন কানেক্ট করে দ্রুত চালনা করা যায়। আন্ডার গ্রাউন্ড ও ওভার হেড কানেকশন দুইটিই চালু রাখা যেতে পারে। ঝড়ে ওভারহেড লাইন নষ্ট হলে আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন দিয়ে কার্যক্রম চলতে থাকবে।আবার আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন কাটা পড়লে দ্রুত ওভারহেড লাইন ব্যাকআপ দিবে। এরূপ করলে অপটিক্যাল ফাইবারের লিংক ডাউনের পরিমাণ অনেক কমে যাবে।
পরিশেষে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে মোবাইলের কানেকটিভিটিই হল ভরসা।
আমাদের দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আরো সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর মত এখন প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। সবচেয়ে ভাল হয় অপটিক্যাল লাইন টানা পার্টি আলাদা থাকবে। অপটিক্যাল লিংক যত বেশী সময় ডাইন থাকবে তথ্য টাকা কর্তন হবে। তাই তারা লাইন সর্বদা যে কোন উপায়ে চালু রাখবে। এখন অপটিক্যাল লাইন কাটা গেলে অপারেটররা একাধিক দিন নেয়। এতে মাসিক বিল সাধারণত একই থাকে। তাই তাদের দায়বদ্ধতা কম। তাদের দায়বদ্ধতা বাড়ানোর জন্য যত সময় ইন্টারনেট থাকবে না সেই অনুপাতে ব্রডব্যান্ড কোম্পানির ফাইন করার ব্যবস্থা থাকবে। যেমন মাসে যদি বরদ ব্যান্ডের জন্য ১২০০ টাকা দেই তবে একদিন লাইন না থাকলে ফাইন হতে পারে ৪০ টাকা আর প্রতি ঘণ্টায় ফাইন হতে পারে ১.৬৭ টাকা। এ ব্যবস্থা থাকলে দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের দায়িত্ব বাড়বে।
পরিশেষে আমাদের সকলের আশা উন্নত দেশের মত আমাদের দেশেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা উন্নত হবে।