Pages

Thursday, December 28, 2017

প্রিন্টেড গাইড ও নোটবুক বন্ধ করে অনলাইন রাখা

আমি যখন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেই তখন পরীক্ষার আগে আগে মোটা মোটা টেস্ট পেপার কিনি টেস্ট পেপার থেকে বাছাই করে কিছু কিছু প্রশ্ন বের করে পরীক্ষার তিন মাস আগে নিজে নিজে ডেমো টেস্ট দেই আমার মনে আছে সব বোর্ডের প্রশ্ন দেখতাম না নিজ বোর্ডের প্রশ্ন দেখতাম তখন বোর্ড চারটা ছিল তাই প্রতি বোর্ডের আলাদা আলাদা টেস্ট পেপার থাকলে আমি নিশ্চিত দেশের মুদ্রণ শিল্পের অনেক কাগজ বেচে যেত তা হয়নি বিশাল আকার টেস্ট পেপার কিনতে হয়েছে লাগুক না লাগুক মোটা বই ছাপানো ও ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়া একটা বিশাল ব্যবসা আমার ছেলেদের পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসির আগে টেস্ট পেপার কিনে দিতে হয়েছে সত্যি কথা বলতে কি, বই বাজারে ছিল তাই ক্রয় করতে হয়েছে এটাই হল বিষয় কতটুকু কাজে লেগেছে আল্লাহ মালুম তবে এতে প্রিন্টিং প্রেসের বাণিজ্য হয়েছে তা নি:সন্দেহে বলা যায়
আমার কাছে মনে হয় এই ধরনের অপচয় কারী প্রিন্টিং বন্ধ করে আমরা লেছ পেপার কনসেপ্টে যেতে পারি একটি ঘটনায় আমি বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর চিন্তায় নিপতিত হয়েছি আমি আমার একজন সহকর্মীকে দেখেছিলাম কম্পিউটার হতে ইন্টারনেটে প্রথম আলো অনলাইন ভার্শন থেকে জেএসসি পরীক্ষার কন্টেনগুলো প্রিন্ট করে বই বানাচ্ছে আমি বললাম বাজারে গাইড থাকতে কি সব প্রিন্ট আউট নিচ্ছেন তিনি বললেন আমি বাচ্চাকে কোন গাইড দেইনি পত্রিকা থেকে প্রিন্ট নেয়ার কারণ সে আমার কাছে যা বলেছিল তা হল দেশের ভাল শিক্ষক দ্বারা তাদের কন্টেন্ট তৈরি করিয়েছে আর ইম্পরট্যান্ট ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে অনেক সময় অনেক সফল ছাত্র/ছাত্রীরা বলেছে পত্রিকায় দেয়া নোট পড়ে তারা ভাল করেছে একবার একজন শিক্ষক আমাকে বলেছিল কোন পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি স্টুডেন্ট যদি বাসায় নিয়মিত পত্রিকা রেখে পড়াশোনার পাতাটি পড়ে তবে অনেক উপকৃত হবে

যদি পত্রিকা থেকে বা পত্রিকার অনলাইন ভার্শন থেকে ছাত্র/ ছাত্রীরা উপকৃত হতে পারে তবে আর এত টাকা খরচ করে গাইড কেনা কেন? অনলাইনে বিশাল টেস্ট পেপার রেখে দেয়া যায় টেস্ট পেপারটি খোলার জন্য মোবাইল মানি বা কার্ডের মাধ্যমে ওপেন করা যেতে পারে এতে টেস্ট পেপার প্রিন্টিং করে কাগজের অপচয় কমে গেল ছাত্র শিক্ষকরা কম্পিউটারে, ট্যাবে বা মোবাইল ডিভাইসে টেস্ট পেপারের প্রশ্নপত্র দেখতে পারল প্রিন্টেড টেস্ট পেপার হতে খরচও কম হল একান্তই যেটা প্রয়োজন তা অনলাইন ভার্শন হতে প্রিন্ট করে নিতে পারবে শিক্ষা বোর্ড তাদের সমস্ত কারিকুলাম মূলত পাঠ্য বইকে কেন্দ্র করে শিক্ষা বোর্ড কিন্তু গলা ফাটাচ্ছে গাইড বা নোট বুক বন্ধ করার জন্য গাইড বা নোটবুক একটা ব্যবসা এটা প্রয়োজন নয় সরকার নিষিদ্ধ করেছে তথাপিও অনেকে লুকিয়ে কিনছে অনেকে লুকিয়ে বিক্রি করছে এই লুকোচুরি না করে অনলাইনে গাইড বই বা নোট বই প্রকাশনার অনুমতি দিয়ে প্রিন্ট কপি তুলে দিতে পারে কেউ কম্পিউটার হতে ডাউন লোড করে প্রিন্ট করলে অপরাধ নাই অনুন্নত ও অপ্রয়োজনীয় গাইড ও নোটবুক প্রকাশনা করে দুষ্টু চক্র লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে আর প্রিন্টেড কপি বিক্রি বন্ধ করলে অনেক ছোট ছোট কম্পিউটার প্রিন্ট আউট নেয়া দোকান চালু হবে এবং ছোট ছোট কর্ম সংস্থান হবে অনলাইনে টাকা দিয়ে পিডিএফ গাইড প্রিন্ট করে নেয়া যাবে অথবা যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু প্রিন্ট করে নিলেই চলবে বাংলাদেশে একবার শেয়ার মার্কেটের অনলাইন পত্রিকা মাসিক ৩০০ টাকা দিয়ে গ্রাহক হয়েছিলাম তাদের পত্রিকা ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওপেন করতে হত এভাবে পেমেন্টে অনলাইনে গাইড বুক, নোট বুক , রেফারেন্স বুক ও টেস্ট পেপার চালু করা যেতে পারে যে সব ছাত্রের যা প্রয়োজন সে সব পেইড ওয়েব সাইট হতে সংগ্রহ করে প্রিন্ট করে নিলেই চলবে অনেকে বলবেন ইন্টারনেটে এত পত্রিকায় পড়াশোনার উপর অনলাইন ভার্শন ও প্রিন্ট ভার্শন আছে তথাপিও প্রিন্টেড নোট বা গাইড চলছে বরং অনলাইন ভার্সন বা পত্রিকার প্রিন্ট ভার্শন তেমন চলছে না চলছে না কারণ নোট বুক বা গাইডে একসাথে সব পাওয়া যায় তেমনি আমরা যদি কিছু ওয়েব সাইটের মাধ্যমে পিডিএফ ও মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট রাখতে পারি তবে অত্যন্ত দৃঢ়তার বলা যায় নিষিদ্ধ প্রিন্টেড গাইড ও নোটবুক কেউ আর ঝুঁকি নিয়ে প্রিন্ট করবে না সকল অভিভাবক অপ্রয়োজনীয় বই, কাগজের খরচ, প্রিন্টিং খরচ ও সর্বোপরি বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় কারী পদ্ধতি পরিহার করে সাশ্রয়ী পদ্ধতির দিকে যেতে পারবে শিক্ষা খরচ কমবে ও শিক্ষা ব্যবস্থা গতিশীল হবে

Thursday, December 21, 2017

ভোগ্য পণ্য কিস্তিতে নয় বরং মাসাধিককাল সঞ্চয় করে ক্রয় করা উত্তম

১৯৭৭ সালে আমার বড় ভাই কুমিল্লা জেলার হাই স্কুলে পড়তেন। প্রতিদিন যাওয়া আসায় প্রায় দুই টাকা রিক্সা ভাড়া খরচ যায়। বড় ভাইয়ের আবদার একটা ফনিক্স বাই সাইক্যাল কেনা। বড় ভাইকে বাই সাইক্যাল দেয়া হবে। পাঁচশত টাকা লাগবে। আব্বা ও আম্মা তিন মাস ধরে মাসের খরচ থেকে জমাচ্ছেন বড় ভাইকে বাই সাইক্যাল কিনে দিবেন বলে। এভাবে আমার মা ও বাবা বেতনের টাকা হতে জমিয়ে বিভিন্ন সময় ঘরের অনেক সামগ্রী কিনতেন। আমরাও জানতাম কোন মাসে কি কেনা হবে। সেই অনুযায়ী আমরাও কৃচ্ছতা সাধন করতাম। তখন আগে সঞ্চয় পরে ক্রয় করা হত। এটা একটা কষ্টকর প্রক্রিয়া। অপেক্ষা করা। আর কোন জিনিষ আমি চাইছি তা দেরী করে কেনা। অনেক কষ্টকর বিষয়। তবে কষ্টকর হলেও আগে অপেক্ষা  করে পরে ঋণ মুক্ত থাকা যেত। অথচ এখন আধুনিক কাবুলিওয়ালারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে হাজির। শুধু আপনার একটু ঋণ নেয়ার জন্য আওয়াজ দিতে হবে এই আরকি।
বাড়ী বাড়ী গিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার কালচার চালু হয়েছে এটার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া আছে। গ্রামের নিরীহ মানুষ সাধারণ ভাবে আর্থিক অনটনে থাকে। তাদের কিছু খায়েশ থাকে যা তাদের ছোট ছোট উপার্জনে পূর্ণ করতে সক্ষম হয় না। যখন নগদ কিছু টাকা হাতে আসে তখন তারা বেহিসাবি ভাবেই খরচ করে ফেলে। ক্ষুদ্র ঋণের গরু, ছাগল ও হাস মুরগী কেনার টাকা দিয়ে টাচ মোবাইল, গয়না ঘাটি, ফার্নিচার ও ঘরের কাজ করে ফেলে। তখনই মূলত বিপর্যয়টা ঘটে। ক্ষুদ্র ঋণের আইডিয়াটাই এসেছে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে বা কৃষির বিনিয়োগ করে আয় করা। সেই আয় দ্বারা কিস্তি বা ঋণ শোধ করা। কিস্তি পরিশোধের জন্য শক্তিশালী আয়ের উৎস থাকতে হবে। নচেৎ কষ্টকর আয়ের বড় অংশ ব্যাংকের সুদ পরিশোধে চলে যাবে। তাই ছোট বেলা থেকে বাচ্চাদের শেখাতে হবে শখে শখে বা উৎপাদনীল খাত ছাড়া ঋণ না করা। এমনকি অনেক সময় আয় রোজগার ভাল মনে হচ্ছে কিস্তি নিতে সমস্যা কোথায়। আজ ভাল চলছে। কালকে অত্যন্ত মন্দ অবস্থায় যেতে পারে। তখন এই ঋণ গুলো আপনাকে চরম বিপদে ফেলে দিবে। ব্যবসায় লস। আয় নাই। কিন্তু কিস্তি গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ আগে ছিল দরিদ্র কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ চালু হওয়ার পর গ্রামের মানুষ হয়েছে ঋণ গ্রস্থ দরিদ্র মানুষ।
ঋণ ও কিস্তির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আয় বর্ধক কাজ ছাড়া ঋণ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করতে হবে। একান্তই চিকিৎসার জন্য বা পড়াশোনার জন্য ঋণ নেয়া যেতে পারে। তার বাইরে অবশ্যই নয়।

কোন বাড়ীতে শিশুরা আবদার করল তাদের রঙ্গিন টিভি চাই। এখনই কিস্তিতে কিনতে হবে তা নয়। সময় নিতে হবে। মাসিক ভিত্তিতে জমাতে হবে। তার পর কিনতে হবে। বাচ্চাদের শিখাতে হবে একটি টিভি কিনতে আমাদের প্রয়োজন হবে ২০ হাজার টাকা। অপর দিকে মাসে আমরা সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে সেইভ করতে পারি ২০০০ টাকা। তাই ২০ হাজার টাকার টিভি কিনতে আমাদের সঞ্চয় করতে হবে ১০ মাস ধরে। এভাবে যে কোন ভোগ্য পণ্য ক্রয় অবশ্যই নগদে করাটাই বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় কিস্তিতে অধিক টাকা খরচ হবে। অনেকে বলবে একটু বেশী গেলেও কিস্তিতে কিনলেও দশ মাস আগে থেকেই আমি টিভি উপভোগ করতে পারি। তাহলে সমস্যা কি। সমস্যা আছে। মনে করুন আপনি কিস্তি করে  টিভি কিনেছেন। আপনার ইনকাম ভাল। আয় রোজগার ভাল। হঠাৎ করে আপনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। চিকিৎসায় অনেক খরচ চলে গেল। এখন মাসিক কিস্তি আপনি নিয়মিত দিতে পারলেন না। আপনার ঋণ ও সুদ আরও বেড়ে যাবে। অথচ আপনি যদি দশ মাস টাকা জমিয়ে কিনতেন তবে আপনি আর এই সমস্যায় পড়তেন না। আপনি অসুস্থ হয়েছেন। চিকিৎসায় বেশী খরচ হয়েছে। সমস্যা নাই। সেই ক্ষেত্রে আপনি দশ মাসের বদলে আরও কয়েক মাস বেশী জমিয়ে কয়েক মাস পড়ে টিভি কিনবেন। অনেকেই নিজের ইমোশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ঝোঁক হল। কিস্তিতে কিনে ফেলল। এর জন্য সুদূর প্রসারী চিন্তা করে না। খরচের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হওয়াটা জরুরী। পরিশেষে বলব, আসুন আমরা আমাদের আশে পাশের মানুষদের শখের বসে কিস্তিতে ঋণ গ্রহণ করায় নিরুৎসাহিত করি।

Thursday, December 14, 2017

আবাসন বীমা

বাংলাদেশের আবাসন শিল্প এখনও ভাল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ মানুষ একটা ঠিকানা চায়। তাই যাই দাম হোক একটা ফ্লাট, প্লট ও বাড়ী ঠিকানা হিসাবে সবাই চায়। আমি ২০১৭ সালে ৪৭ বছর বয়সেও একটা স্থায়ী নিবাস চাইযখন ফ্লাট ক্রয় করার চিন্তা করি এবং কিছুটা উন্নত ফ্লাটের দাম শুনি কোটি টাকা। তখন এক‌টি হিসাব মাথায় চলে আসে আর তা হল কোটি টাকার ফ্লাট ভাড়া দিলে কত ভাড়া পাব। যখন জানা যায় ভাড়া হবে ৩০/৩৫ হাজার টাকা তখন আর হিসাব মেলে না। মনে হয় ফ্লাট না কিনে টাকা ব্যাংকে রেখে তার লাভ দি‌য়ে বাড়ী ভাড়া প‌রি‌শোধ ক‌রেও আরও টাকা জমা‌নো যা‌বে। উপরন্তু কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকবে। যারা সুদ বা ব্যাংকের মুনাফা নি‌তে চান না তারা ব্যাংকের শরীয়া মোতা‌বেক একাউন্ট খুলে টাকার বিপরীতে লাভ বাড়া‌তে পারবেন। আমি ধারনা আবাসন আমরা চাই নিরাপত্তার জন্য। প্রথম নিরাপত্তা হল, আমি ভাড়া দিচ্ছি। মনে হচ্ছে‌ খালী খালী অনেক টাকা ভাড়া বাবদ অপচয় হচ্ছে। নিজের বাড়ী থাকলে এই টাকাটা খরচ হত না। দ্বিতীয় সমস্যা হল, বাড়ী ভাড়া নিয়মিত বৃদ্ধি পায়। যদিও ঢাকা শহরের বাড়ী ভাড়া বছর বছর না বেঁড়ে তা সাধারণত সরকারী চাকুরে‌দে‌র বেতন বাড়ার সাথে বেঁড়ে থা‌কে। তৃতীয় সমস্যা হল, ঘন ঘন বাড়ী পরিবর্তন। এটার কোন সমাধান নেই। কারণ একজন বাড়ীওয়ালা কখন কোন প্রয়োজ‌নে তার বাড়ীর প্রয়োজ‌ন হবে তা সে নিজেও জানে না। তাই ভাড়া বাড়ির স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা নেই। তবে প্যাক এন্ড পার‌সেল প্রতিষ্ঠানে টাকা দিলে পুরাতন ভাড়া বাড়ী হ‌তে নতুন ভাড়া বাড়ী‌তে হুবহু বদলী ক‌রে দেয়। এতে অনেক টেনশন কমে যাবে। চতুর্থ হল, পরিচয়। একটা ফ্লাট নিজের থাকলে নিজের স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে পরিচয় দেয়া যায়। ছেলে মে‌য়ের বি‌য়ে দি‌তে গেলে ব্যাংকে কত বিনিয়োগ আছে তা কেউ দেখে নাএই ক্ষেত্রেও ফ্লাট বা বাড়ীর মালিক হওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
এখন এর কি সমাধান করা যায় তা নিয়ে একটু ভাবনা চিন্তা করলে মন্দ হয় না। বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক আবাসন বীমাকর‌তে পা‌রে। যেমন: প্রতি মাসে আপনি ২৫০০০ টাকা করে দি‌তে পারেন কোন আবাসন বীমা কোম্পানী‌কেকোম্পানী‌টি প্রথম বছর ভাড়া বাবদ ১০,০০০ টাকা, ২য় বছর ১০,৫০০ টাকা পরের বছর ১১,০০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি বছর ৫০০ টাকা বাড়াবে ও সর্বশেষে ২৯ বছরে ২৪,৫০০ টাকা ভাড়া প্রদান ক‌রে ৩০ বছরে কার্যক্রম শেষ করবে। ৫০০ টাকা করে ভাড়া বাড়ানোর কারণ হল প্রতি বছর কিছু কিছু করে বাড়ী ভাড়া বাড়তে থাকে। এর মধ্যে বীমা গ্রহীতা মারা গেলে নমী‌নি ৩০ বছর যাবত মাসিক বাড়ী ভাড়া প্রিমিয়াম না দিয়েও পেতে থাকবে এবং এটাই হবে বীমার সুবিধাআর মারা না গেলে ৩০ বছর ক্রমান্বয়ে ভাড়া গ্রহণের পাশাপাশি মেয়াদা‌ন্তে কোটি টাকা দেয়া হবে। এই হিসাবে ব্যাংকের ৬/৭ % হারে মুনাফা বা লভ্যাংশ ধরা হয়েছে। কেউ হয়ত ২০ বছর মাসিক ২৫০০০ টাকা প্রিমিয়াম দি‌য়ে মারা গেল। আর দশ বছর প্রিমিয়াম প্রদান করলেই  এক কোটি টাকা হ‌য়ে  যেততখন ন‌মিনী মাস ভিত্তিক পুরো পেমেন্ট চালু রেখে লাভসহ কোটি টাকা তুলে নি‌তে পারবে। এখন আসি ৩০ বছর পর কোটি টাকায় ফ্লাট বাড়ী কেনা যে‌তে পা‌রে। অথবা অন্য আর এক‌টি বি‌নি‌য়োগ সেবা নি‌তে পা‌রে। তা হল, ৫০ লক্ষ টাকার লভ্যাংশে বাড়ী ভাড়া প্রাপ্তি আর অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ টাকায় প্রতি ১০ বছরে ডাবল টাকা প্রাপ্তি। এই পদ্ধতিতে গ্রাহকরা ১০ বছর সাইকেলে মূলধন ডাবল করার প্রক্রিয়া চালু রাখ‌তে পা‌রে। এই সিস্টেমে প্রতি দশ বছর পর পর সম্পূর্ণ টাকা দুই ভাগ ক‌রে এক ভাগ ফিক্সড ডি‌পো‌জিট ও অপর ভাগ মাসিক বাড়ী ভাড়া হিসাবে হা‌তে দেয়া হ‌তে থাকবে।
বাড়ীর বিষয়‌টি অনেক বেশী ইমোশনাল হওয়ায় মানুষ ধার কর্জ ক‌রে বি‌নি‌য়োগ বাড়ী বা ফ্লাট করার কাজে ক‌রে ফেলে। তাই ধার কর্জ ক‌রে বি‌নি‌য়োগ না ক‌রে জীবনের প্রথম থেকে সবাই যদি কিছু কিছু ক‌রে বাড়ী ভাড়ার অতিরিক্ত ক‌রে জমা‌তে থা‌কে তবে বাকী জীবনের বাড়ী ভাড়ার নিশ্চয়তা চলে আস‌বে। তারপর বাড়ী কেনার টাকা হা‌তে চলে আস‌বে।

ধার ক‌রে বাড়ী করে কোটি কোটি মানুষ নিজেদের মধ্যবিত্তের মধ্যে সীমিত রাখ‌তে পেরেছে। কখনও উচ্চবিত্ত হ‌তে পারেনি। সম্পূর্ণ সম্পদের ১০% বাড়ী ও গাড়ী জন্য সাধারণত বুদ্ধিমানরা ব্যয় ক‌রে থাকে‌। বাকী ৯০% সম্পদ বর্ধনশীল খা‌তে বিনি‌য়োগ ক‌রে থা‌কে। পরিশেষে বলব, “আবাসন বীমার যে ব্যবসায়ী মডেলটি দিলাম ব্যাংকি খা‌তের ও বীমা খাতের লোকজন ভেবে দেখ‌তে পারেন।

Thursday, December 7, 2017

ফেইস বু‌কে উপার্জন

ফেইস বু‌কে কিভাবে উপার্জন করা যায় এই বিষ‌য়ে ফেইস বু‌কেই  জান‌তে চেয়েছিলাম। একজন আমা‌কে এমন এমন আপত্তিকর মন্তব্য করল যে  আমি দমে গেলাম। পোস্টটা মুছে দি‌য়ে জান ছুটালাম। জান ছুটা‌লেও মন ছুটা‌তে পারলাম না। আমরা এক সময় তরুণ বয়সে অন্যদের জানার জন্য পত্র মিতালী করতাম। তারপর আসল ইন্টারনেট চ্যাট। তারও প‌রে ভয়েজ চ্যাট। সর্বশেষ ব্যবহার হল আমা‌দের মাল্টিমিডিয়া যোগা‌যোগ ফেইস বুক। টেক্সট, অডিও ও ভিডিও নি‌য়ে অপূর্ব  সমন্বয় এই ফেইস বুক।
তরুণ তরুণীরা প্রচুর সময় ফেইস বু‌কে  কাটায়। আর কাটা‌বে নাই বা কেন। এত এত মানুষের এত এত মজার মজার তথ্য জানা যায়। নিজের ছবি মূহুর্তেই সবাইকে দেখানো যাচ্ছে। ভিডিও লাইভ করা যাচ্ছে। মানুষ প্রকৃতিগত ভাবে অন্যকে জান‌তে চায়। আর ফেইস বুক এই কাজ‌টিই ক‌রে যাচ্ছে। এই ফেইস বুক থেকে আমরা যদি ইন্টারনেট খরচটা পাই তা‌তে মন্দ কি।
ইন্টারনেটে সার্চ দিলেও ফেইস বু‌কে  ইনকামের অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। সে কাজটা আমা‌দের তরুণ ভাই বো‌নেরা করবে। আমি আমার মাথায় পুঞ্জিভূত তথ্য বা আইডিয়া আছে তাই ঝেড়ে দিচ্ছি । প্রথম যে আইডিয়া আসল তা হল আমা‌দের আসে  পাশে অনেক লেখক বা সে‌লি‌ব্রে‌টি আছে  যারা ফেইস বু‌কে সময় দি‌তে পারেন না। কিন্তু ফেইস বু‌কে যথাযথ রেসপন্স দি‌তে তা‌দের মন চায়। তা‌দের এই  কাজ‌টি আপনি ক‌রে দি‌তে পারেন। প্রতিদিন সামারী ক‌রে উল্লেখযোগ্য কমেন্ট ও হাইলাইটস আপনার সে‌লি‌ব্রে‌টির কাছে ইমেইল,ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে দেয়া যাবে। এর জন্য কাজের পরিধি বিবেচনায় আপনি আপনার সে‌লি‌ব্রে‌টি বা লেখকের সাথে আপনার পারিশ্রমিকের বিষয়টা আলোচনা কর‌তে পারেন। সরকারী ও বেসরকারি অনেক সংস্থা ফেইস বুকের মাধ্যমে কমপ্লেইন সংগ্রহ ক‌রে। তা‌দের ফেইস বুক পেইজ মেন‌টেইন করার জন্য আপনি চুক্তিবদ্ধ হ‌তে পারেন।
আমা‌দের অনেকেরই বাড়ী ভাড়া ও টিউশন দরকার হয়। আপনা‌কে কেউ রি‌কো‌য়েস্ট  করল, আপনি তা‌কে বললেন আমা‌কে দুই শত টাকা দেন আমি জি‌বি কিনে ফেইস বু‌কে সার্চ ক‌রে বের ক‌রে দিচ্ছি। আমি দুইবার দুইজন গৃহশিক্ষক ফেইস বুকে পোস্ট দিয়ে খুঁজে পেয়েছি।
‌ফেইস বুক চালায় না কিন্তু আপনার বন্ধু বান্ধব অনেক আছে তা‌দের জন্য টিউশন খুঁজে দি‌য়ে আপনি তা‌দের কাছ থেকে "এম‌বি" কেনার টাকাটা বের কর‌তে পারেন।
মালিকদের ভাল ভাড়াটিয়াকে বাড়ী ভাড়া দেওয়া ও ভাড়াটিয়াদের সুবিধা জনক লে‌কেশা‌নে সুবিধাজনক ভাড়ায় বাড়ী ভাড়া পাওয়া বড়ই চ্যালেঞ্জ।  বাড়ী ভাড়া সংক্রান্ত পোস্ট আপনি দি‌তে পারেন ও আপনার প্রতিবেশী, আত্মীয় ও বন্ধু বান্ধবদের  এই উপকার গু‌লো ক‌রে আপনি কিছু ফি নি‌তে পারেন।
অনেক তরুণ তরুণী প্রেম ও ভাব করার জন্য ফেক ফেইস বুক আইডি চালায়। এত ফেক না ক‌রে এক‌টি ফেইস বুক অনেক বন্ধু নি‌য়ে চালা‌নো প্রয়োজন। আপনার পরিচিতি লুকিয়ে দুই একটা প্রেম পিরীত ক‌রে সাময়িক মজা ও সময় নষ্ট হয় মাত্র। তার‌ চে‌য়ে অনেক বন্ধু নি‌য়ে ফেইস বুক করলে তা‌দের ক্রমান্বয়ে নেতিবাচক ও ফেক‌দের আন‌ফ্রেন্ড করলে মন্দ নয়। দুই একটা ভাল বন্ধু ম্যা‌সেঞ্জা‌রে রাখা যে‌তে পা‌রে। দুষ্টুদের ব্লক মারলেই চলবে।
আপনার এলাকার জানা শোনাদের ‌দোকানে কি কি দ্রব্য পাওয়া যায় তার পোস্ট ফেইস বুকে দি‌তে পারেন। বিনিময়ে "এম বি" কেনার টাকাটা উঠা‌তে পারেন। আমি আমা‌দের তরুণ তরুণীদের কাছে "এম‌বি' ক্রয় একটা প্রিয় বিষয়। তাই তা‌দের ভাষায় ইন্টারনেটের ডাটা কেনার কথা বলছি। ফেইস বুক  বা ম্যা‌সেঞ্জার দি‌য়ে সভা ও সমিতির কার্যক্রম সবাইকেই জানা‌তে পারেন। বিনিময়ে আহবায়কের কাছ থেকে "এম‌বি" চে‌য়ে নি‌তে পারেন। আমি একটা ধারনা দিলাম মাত্র। আমি জানি আমার প্রিয় তরুণ ও তরুণীরা আরো  অনেক মাধ্যম বের ক‌রে নিবে। উপার্জন করা একটি মৌ‌লিক কাজ। আপনি ফেইস বু‌কে আছেন তার থেকে কোন ফয়দা নিবেন না তা তো হয় না। খালী খালী "এম‌বি" কিনবেন তার‌ চে‌য়ে সেটা উপার্জন করবেন। সেটা ভাল নয় কি।

বিভিন্ন  পরিবহনের টিকিট ক্রয় বিক্রয় করা যে‌তে পা‌রে। কারো ফরমায়েশের কাজ করা যে‌তে পা‌রে। আর এই যোগা‌যোগটাই হতে পা‌রে ফেইস  বুকের মাধ্যমে। আমি নিশ্চিত ফেইস বু‌কে আরো শত শত সহজ আ‌য়ের রাস্তা বের করা যাবে। অনেকে মিথ্যা তথ্য দি‌য়ে দান চায়। অথবা প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ডে‌কে নি‌য়ে খারাপ ছবি তুলে ব্ল্যাক মেইল ক‌রে। এদের কাছ থেকে আবার দু‌রে থাক‌তে হবে। পরিশেষে বলব আমাদের অনেকের ফেইস বুক নেশা ব্যাপক ভাবে আছে । এটা‌কে উপার্জনের কাজে ব্যবহার করার উপায় বের কর‌তে হবে। যা‌তে ইন্টারনেট ব্যবহারের টাকাটা তরুণ তরুণীরা নিজেরাই যোগাড় কর‌তে পা‌রে। এখনকার আইডিয়া এই  পর্যন্তই  রাখছি। আরো আইডিয়া যোগাড় কর‌তে পারলে আরও এক কিস্তি এ বিষ‌য়ে কলম ধরার ইচ্ছে রাখছি।