Pages

Thursday, March 30, 2017

"শূন্য আর্বজনা উৎপাদনকারী” বা “জিরো ওয়েস্ট” আন্দোলন

১৯৮০ সালের দিকে আমরা হিপ্পীদের নাম শুনেছিলাম। এরা অনেকটা বন্য জীবন যাপন করতে চাইত। অনেকটা ফিরিয়ে দাও অরণ্যটাইপ। ২০০৮ সালে ধীরে ধীরে আরেকটা আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যারা শপথ নিয়েছে পৃথিবীতে ময়লা আর্বজনা কম ফেলবে বা জিরো ওয়েস্ট মুভমেন্ট। ২০১৬ সালে এসে এটা ভাল গত পেয়েছে। উন্নত দেশের মানুষরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক কেজির কাছাকাছি ময়লা আবর্জনা ফেলে। অনেকে সমষ্টিক হিসাবে আরও বেশী বলতে চান। আমি বছর খানেক আগে আমার একটি লেখনীতে পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনটি “আর” এর কথা বলেছিলাম। তা হল, রিডিউস(দ্রব্যাদির ব্যবহার কমানো),রিইউজ(দ্রব্যাদি পুনরায় ব্যবহার) ও রিসাইক্যাল( দ্রব্যাদি মাটিতে না ফেলে অন্য সামগ্রী তৈরি করা)। এখনকার জিরো ওয়েস্ট মুভমেন্টের লোকজন ৫টি “আর” ভিত্তি হিসাবে নিয়েছে। তা নিন্মরুপ:
১। রিফিউজ(পরিবেশ নস্টকারী দ্রব্যাদি ফ্রি দিলেও তা রিফিউজ করা)
২। রিডিউস(দ্রব্যাদির ব্যবহার কমানো)।
৩। রিইউজ(দ্রব্যাদি পুনরায় ব্যবহার)।
৪। রিসাইক্যাল(দ্রব্যাদি মাটিতে না ফেলে অন্য সামগ্রী তৈরি করা)।
৫। রট(অপ্রয়োজনীয় পচনশীল দ্রব্য পচিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করে মাটিতে ফেলা)।
জিরো ওয়েস্ট মুভমেন্ট প্লাস্টিক আসার আগে কখনো কারো চিন্তায় আসেনি। প্লাস্টিকের মাধ্যমে ভয়াবহ রকম পরিবেশ দূষণ পৃথিবীর অনেক মানুষকে সচেতন করেছে। তারা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত ও শঙ্কিত। এই শংকা থেকে তারা কেবলমাত্র প্লাস্টিকের আগে আমরা যেভাবে চলতাম সেই জীবন ব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।‌ এ যুগে এধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত কঠিন একটি সাধনা ও তপস্যা। প্লাস্টিক ক্যানসারের জন্য দায়ী এ ধারনায় স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা প্লাস্টিক বর্জন করে জিরো ওয়েস্টের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গুগলে জিরো ওয়েস্ট ইংরেজিতে লিখে সার্চ দিলে অনেক ব্লগ ও ভিডিও পাওয়া যাবে যা থেকে আমরা এ বিষয়ে জানতে পারব। ধীরে ধীরে জিরো ওয়েস্ট পার্টির জন্য বিশেষ মার্কেট, বিশেষ ব্যবস্থা ও কমিউনিটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
জিরো ওয়েস্ট আন্দোলনের অনেকে আছে যারা রিইউজেবল প্লাস্টিক ব্যবহার করে। অনেকে আছে একদমই প্লাস্টিক ব্যবহার করে না। এরা আরও কট্টরপন্থী। অনেকে আছে অর্গানিক ফসল ছাড়া ক্যামিক্যাল যুক্ত শস্য, সবজি বা ফল খায় না।

এখন আসি এদের জীবন ধারা কেমন। আমরা প্লাস্টিক যুগের আগে যে জীবন ধারায় ছিলাম তারা একই জীবন ধারা মেনে চলছে।
১। তারা বাজারে যাচ্ছে ছোট, বড় বেশ কিছু কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে। এরা সমস্ত দ্রব্যাদি প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে নিজেদের কাপড়ের ব্যাগে তুলে নিচ্ছে। যেসব দ্রব্যাদি তরল তার জন্য কিছু কাচের বোতল বা বৈয়াম বহন করছে তাতে করে তরল দ্রব্যাদি ক্রয় করছে।
২। স্যানিটারি সামগ্রী সাবান, টুথপেস্ট, লোশন, শ্যাম্পু নিজেরাই অর্গানিক সামগ্রী দিয়ে তৈরি করে কাচের কন্টেইনারে রাখছে। বাঁশের তৈরি টুথব্রাশ ব্যবহার করছে। কাপড়ের তৈরি স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করছে। নিজে বাসায় সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও টুথপেস্ট তৈরি করার রেসিপি জিরো ওয়েস্ট পার্টির ব্লগ ও ইউটিউবে আছে।
৩। এরা রিইউজের মূলনীতি মেনে পুরাতন কাপড় ব্যবহার করছে। এরা খুবই কম সংখ্যক কাপড় ব্যবহার করে। কাপড় ছিঁড়ে গেলেও রিডিউস মূলনীতির জন্য সেলাই করে বার বার পড়তে থাকে। এদের প্রত্যেকের কাপড়, জুতা ও অন্যান্য সামগ্রী এত কম থাকে যে তারা যে কোন সময় যে কোন স্থানে দ্রুত বের হতে পারে। কম কাপড় ও বিলাসী সামগ্রী না থাকার কারণে এদের রক্ষণাবেক্ষণ সময় কম ব্যয় করতে হয় এরা অনেক সময় পায়। এর অনেক বেড়ায় ও অগানির্ক বাগান করার অনেক সময় পায়। এরা পুরাতন ও অল্প সংখ্যক কাপড় নিয়ে এদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকারী ও বেসরকারি কাজ করে যাচ্ছে। কাপড় পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে পুনরায় পুরাতন মার্কেটে বিক্রি করে অন্য একটি পুরাতন কাপড় কিনে নেয়।
৪। এরা খুব হিসাব করে বাজার করে যেন কোন কিছু অপচয় না হয়। প্লাস্টিকের বদলে এরা ফ্রিজে সবজি কাচের কনটেইনারে বা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখে। সবজি ও ফল একদম প্রয়োজন না হলে খোসা ছাড়ায় না খোসাসহ এরা রান্না করে বা খেয়ে ফেলে। এতে এদের রান্না ঘরে খুব কম বর্জ্য হয়। যাদের বাগান আছে তারা রান্নার বর্জ্য বাগানে কম্পোস্ট বিন রেখে তাতে কম্পোস্ট করে ফেলে। যাদের বাগান নেই তারা রান্না ঘরের বর্জ্য ডীপ ফ্রিজে স্টিলের কনটেইনারে জমায় যাতে ঘরের মধ্যে পচে না যায় ও গণ্ধ না হয় প্রতিদিন ময়লা ফেলানোর চেয়ে ফ্রিজে জমিয়ে সাপ্তাহিক ভাবে ফেনানোটা কম পরিশ্রমের। তারা তাদের ফ্রিজে জমানো ময়লাগুলি সাপ্তাহিক ভাবে যেদিন চাষি বাজারে বাজার বাজার করতে যায় সেদিন সেখানকার কম্পোস্ট বিনে বা প্রতিবেশীর কম্পোস্ট বিনে ফেলে আসে।
৫। এরা বর্জ্য কমানোর জন্য বড় কাগজ কিনে আমাদের আগের আমলের মতো খাতা তৈরি করে। এরা সন্তানদের ক্যালকুলেটর পুরাতন কিনে। অর্থাৎ এরা সবই পুরাতন সামগ্রী কিনে রিইউজ ফরমুলা মানতে।
৬। এরা সমস্ত খাদ্য সামগ্রী কাচের জারে স্টোর করে।
খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী প্যাকেজিং এ সাধারণত গড়ে ১৫% টাকা কোম্পানিগুলো খরচ করে। এ টাকাটা সম্পূর্ণ ভাবে আর্বজনা হিসাবে চলে যায়। জিরো ওয়েস্ট পার্টি মনে করে বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে খামোখা বর্জ্য হিসাবে ১৫% টাকা খরচের কোন প্রয়োজন নেই।

জিরো ওয়েস্ট পার্টি অন্যান্য সাধারণ মানুষ থেকে প্রায় ৪০% কম টাকায় জীবন ধারণ করতে পারে। এটার জন্য খুব যে কষ্ট করতে হবে তা নয়। কেবল জীবন যাপনের প্রক্রিয়াটা বদলাতে হবে। এ টাকায় চলার কারণে এদের ধার কর্জ করতে হয় না। তাদের বড় একটা সেভিং হয়। যার দ্বারা তারা অন্যদের চেয়ে বেশী পরিমাণে বিদেশ ঘুরতে পারে। পরিবেশ বান্ধব সোলার বিদ্যুৎ সিস্টেম ক্রয় করে নিজেদের ব্যবহারের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সোলার হতে নিতে পারে। ব্যাটারি চালিত ও সৌরশক্তির চার্জে চালিত পরিবেশ বান্ধব উন্নত গাড়ী ক্রয় করতে পারে। ইত্যাদি আরও অনেক কাজে তাদের সাশ্রয়ের টাকা খরচ করতে পারে। আমরা অনেকেই পলিথিন ও অন্যান্য ব্যাগগুলি পুনরায় ব্যবহার করছি। আমরা ধীরে ধীরে আরও সচেতন হলে জিরো ওয়েস্ট না পারি অন্তত রিডিউস ওয়েস্টে যেতে পারি। এতে আমাদের পরিবেশ রক্ষা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছুটা কর্তব্য পালন করা হবে। এই জিরো ওয়েস্ট পার্টির পঞ্চম স্তম্ভ অনুসরণ করলে আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা হবে এবং আর্থিকভাবে আমরা লাভবান হব। এছাড়াও মিতব্যয়ীতা ধর্মীয় কাজেরও গুরুত্বপূর্ণ অনুশাসন।

Thursday, March 23, 2017

নগদ লেনদেন বিহীন ক্যাশলেস ক্যান্টনমেন্ট

২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিপুটেশন থেকে আমি সেনানিবাসের জীবন অন্য সংস্থায় কাটাচ্ছি দেশের মফ:স্বল শহরগুলোতে দীর্ঘদিন আছি গত কয়েক বছরে ছোট শহরে থেকেও আমি ক্যাশলেস হয়ে গেছি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আমার ক্যাশলেস বিষয়ে  পর্যবেক্ষণ গুলো আলোচনা করছি
প্রথমত: কুষ্টিয়া শহরের সমৃদ্ধশালী কাপড়ের দোকানগুলো প্রত্যেকটি দোকানেই ক্রেডিট /ডেভিড কার্ড দিয়ে কেনা কাটা করা যাচ্ছে পুনাক নামক পুলিশের একটি ডিপার্টমেন্টাল দোকান থেকে সবকিছু কার্ডে কেনাকাটা করা যাচ্ছে লোটো দোকান থেকে ছেলেদের কাপড়, জুতা আন্ডার গার্মেন্টস সবই কার্ডে মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে খেয়া নামক থ্রি স্টার ক্যাটাগরির রেস্টুরেন্ট কাম হোটেলেও কার্ড ব্যবহার করা যাচ্ছে গত দুই বছরে আমি কুষ্টিয়া শহরে নগদে কেনাকাটা করেছি কিনা তা আমার মনে পড়ছে না অন্যান্য আভ্যন্তরীণ রেস্ট হাউজ ক্যান্টিনে মাস শেষে ক্রস চেক দিয়ে বিল পরিশোধ করছি
আমি অনেক বছর পর বেসামরিক পরিবেশ থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশে গিয়ে একটা বড় ধাক্কা খেলাম সেটা হল বেসামরিক পরিমণ্ডলে ক্যাশলেস হতে পারলেও ক্যান্টনমেন্টে ক্যাশলেস হতে পারলাম না এখন ব্র্যাক ব্যাংক ডাচ বাংলা ব্যাংক লি(ডিবিবিএল) উঠে পড়ে লেগেছে সারা বাংলাদেশ ক্যাশলেস বানানোর জন্য কুষ্টিয়ার বড় বড় দোকানগুলোতে পিওএস মেশিন দিয়েছে ডিবিবিএল নামের ব্যাংকটি ফলে শহরের চাকুরীজীবী শিক্ষিত তাদের জন্য ক্যাশলেস অনুশীলন বেশ ভাল হয়েছে গত চার বছরে একটা রোগ আমার হয়েছে তা হল টাকা ধরতে অনাগ্রহটা এই রোগ আমার পুরো ফ্যামিলিকে পেয়েছে কারণ অপরিষ্কার টাকা ধরতে চাই না
কিন্তু ২০১৭ সালের মার্চ ১২ হতে ১৫ তারিখ কুমিল্লা সেনানিবাসে বেড়ানোর সময়টায় আমাকে সিএসডি ব্যতীত সব জায়গায় কেনাকাটা করতে হয়েছে নগদ টাকায় আমাকে ময়লা টাকা ধরতে হয়েছে বিষয়টা দু:খজনক সুন্দর সাজানো গুছানো দোকান অথচ কার্ড পেমেন্টের ব্যবস্থা নেই আমি নিশ্চিত ক্যান্টনমেন্ট এলাকা বলে ট্রাস্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য ব্যাংক পিওএস মেশিন নিয়ে ঢুকতে পারেনি অন্যথায় বেসামরিক এলাকার থেকে অধিক উপযোগী সেনানিবাসের মত সুন্দর সুশৃঙ্খল এলাকা পেলে অনেক ব্যাংকই কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করার সিস্টেম চালু করে দিত কার্ড দিয়ে কেনা কাটায় ব্যাংকের সবচেয়ে লাভজনক বিষয় হল টাকাটা তাৎক্ষনিক সেই ব্যাংকের একাউন্টে জমা হচ্ছে
সেনানিবাসের একটি রেস্টুরেন্টে পিওএস মেশিন রেখেছে তাতে আবার % অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয় % অতিরিক্ত চার্জ ধরা মানে হল ক্যাশলেস হওয়াকে নিরুৎসাহিত করা ক্যান্টনমেন্টে যারা থাকেন তারা হয়ত ক্যান্টিন চিট বাকীতে চলেন বলে মাসের প্রথমে অপরিষ্কার টাকাগুলো একবার ধরলেই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন নাড়াচাড়া করতে হচ্ছে না কিন্তু আমার মত ভিজিটরদের জন্য এটিএম থেকে টাকা তুলে ক্যাশলেসের বদলে ক্যাশফুল হতে হয়
বাংলাদেশের বেশীরভাগ সৈনিকের বেতন এখন ট্রাস্ট ব্যাংকের সৈনিকদের নিজেদের একাউন্টে জমা হচ্ছে ক্যান্টেনমেন্টের মোড়ে মোড়ে ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম সেখান থেকে সৈনিকরা টাকা তুলে নিচ্ছে তাদের কাছে ডেভিড কার্ড আছে সকল সৈনিকদের সহজেই ক্যাশলেস বা লেস ক্যাশ করা যায় সৈনিকরা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সিএসডি থেকে কেনা কাটা করছে সৈনিকরা ক্যাশলেস হওয়ার সমস্ত উপকরণে এগিয়ে আছে এখন প্রয়োজন তাদেরকে আর একটু সহযোগিতা করা তবে আমার মনে হয় ট্রাস্ট ব্যাংক বিনে খরচে পিওএস মেশিন সেনানিবাসে চালু করতে পারে কারণ সৈনিক সবাইকে কার্ড দেয়া আছে তাদের সন্তানদের ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পড়ুয়া একাউন্ট খুলে দিয়ে কার্ড দেয়া হচ্ছে তাদের স্ত্রীদের স্বামীর একাউন্টের সাথে এ্যাড অন কার্ড দেয়া যাচ্ছে এতে সৈনিক পরিবারের কাউকে আর ক্যাশ নিয়ে যেতে হল না
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এটিএম স্থাপন করার বদলে হাজার টাকা খরচ করে কিছু পিওএস মেশিন ক্রয় করে তা সেনানিবাসের দোকানে ক্যান্টিনে দিলে সৈনিকের টাকা ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে এটিএম এর মাধ্যমে নগদে বের না হয়ে পিওএস মাধ্যমে এর ট্রাস্ট ব্যাংকেরই অপর একাউন্টে টাকা জমা হত ব্যাংকের টাকা ব্যাংকেই থাকত ধীরে ধীরে নতুন এটিএম সেনানিবাসে স্থাপন না করে সেনানিবাসের বাইরে ট্রাস্ট ব্যাংক তাদের এটিএম বাড়াতে পারত ডিবিবিএল প্রতি উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের এটিএম ফাস্ট ট্রাক বাড়িয়ে চলেছে জেলা কোটা ভিত্তিক সৈনিক ভর্তির কারণে দেশের সকল প্রান্তে সেনাবাহিনীর সৈনিক রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক যদি ডিবিবিএল এর মত দেশের সমস্ত উপজেলা ইউনিয়নে ফাস্ট ট্রাক বা এজেন্ট ব্যাংকিং স্থাপন করতে পারলে দেশব্যাপী সাধারণ বা পেনশন ধারী সৈনিকেরা অনেক বেশী উপকৃত হত এই সকল ফাস্ট ট্র্যাক বা এজেন্ট ব্যাংকিঙে ডিবিবিএল এর মত ট্রাস্ট ব্যাংক স্থানীয় অবসর প্রাপ্ত সৈনিকদের চাকুরী দিতে পারত
সেনানিবাসের সমস্ত দোকান পাট সামরিক বেসামরিক ভাবে পরিচালিত হোক না কেন সমস্ত দোকানে পিওএস মেশিন দেয়া যেতে পারে সৈনিকরা যারা ক্যান্টিন পরিচালনা করে তারা কার্ডের মাধ্যমে বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মালামাল বিক্রির পেমেন্ট নিবে পুনরায় যখন তারা ক্যান্টিনের মালামাল বাহির হতে ক্রয় করবে তা তারা চেকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করবে কার্ড দিয়ে কেনা বেচার লাভ হল সকল কেনাবেচা টাকার পরিশোধ ট্রেসেবল হবে যেকোনো লেনদেনে অটোমেটিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেকর্ড থাকছে তাতে দুনীতি কমে যায় সেনানিবাসের সকল দোকান ক্যান্টিন ক্যাশলেস করা গেলে টাকা আত্মসাৎ অনিয়মের দুই একটি ঘটনা মাঝে মাঝে  ঘটে তাও নির্মূল হবে একটি ডিভিশনে যদি ১০,০০০ সৈনিক থাকে আর তারা যদি গড়ে মাসে ২০,০০০ টাকা লেনদেন করে তবে মাসে ২০ কোটি টাকার লেনদেন হবে বাংলাদেশে ডিবিবিএল এর মত কিছু ব্যাংকে যদি বলা হয় মাসিক ২০ কোটি টাকা আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে আসবে আপনারা শুধু বিনে পয়সায় ২০০ টি পিওএস মেশিন সরবরাহ করবেন আমি নিশ্চিত অনেক ব্যাংক এগিয়ে আসবে এই সুযোগটি নিতে এতে কার্ড পাঞ্চ করলে % বেশী দিতে হবে আর নগদ দিলে কম এরূপ অবস্থায় যেতে হবে না সেনানিবাসের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ টিকিট বিক্রি করে সৈনিক টাকা নিবে ক্যান্টিনের মালামাল নগদে টাকা নিয়ে বিক্রি করবে এটা দৃষ্টিকটু তার চেয়ে কার্ড সোয়াইপ করে বিক্রয় অনেক বেশী শোভনীয়

পৃথিবী ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সকল সদস্যদের সততার পথে আনতে পারি সেনানিবাস একটা সুশৃঙ্খল এলাকা বলে একে সবার আগে ক্যাশলেস করা যায় ক্যাশলেস সমাজ ব্যবস্থা একটি স্বচ্ছ সামাজিক ব্যবস্থা আমরা যেকোনো একটি সেনানিবাসকে ক্যাশলেস বা লেস ক্যাশ করতে পারলে বাংলাদেশও একসময় পৃথিবীর অন্যান্য ক্যাশলেস দুনীতি মুক্ত দেশগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবে