নিউরোমেডিসিন ডা: দ্বীন মোহাম্মদ। সকল ডাক্তার সিরিয়াল দেন একভাবে তিনি দেন আরেকভাবে। রোগী দেখা শুরু করেন ৩টা থেকে। প্রথমে হাসপাতালের রোগী। তারপর সিরিয়াল রোগী। সিরিয়াল রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে নতুন রোগী। তারপর পুরাতন রোগী। রোগীদের যথারীতি ১০০ টাকা ভিজিটের বাইরে পরিশোধে চলে রোগীর হিস্ট্রি লেখা। এই ডাক্তার সাহেবের রোগী দেখানোর জন্য যতটুকু সম্ভব সিরিয়াল যুদ্ধ ভিন্ন রকম। অন্যদের সিরিয়াল যুদ্ধ হল এক মাস দেড় মাস অপেক্ষা করা। ওনার সিরিয়াল যুদ্ধ হল মোবাইলে বিশেষ একটা নম্বরে ট্রাই করতে থাকা। একঘন্টা ধরে সেই নম্বরটিতে ট্রাই করে সিরিয়াল লেখাতে হবে। এক জটিল এক হিসাব। যারা সিরিঢাল দেন তারা ডাক্তার সাহেবের পুরো বিষয়টা বেশ ভালভাবে দেথভাল করেন। ওনার আশে পাশের মানুষ জনের কাছে রয়েছে এই ব্যবস্থার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন দিনে দিনে সিরিয়াল পাওয়ার একটা ভাল ব্যবস্থা। কেউ বলছেন লটারী জেতার মত। তবে ডাক্তার সাহেব রোগী দেখার জন্য ব্যবস্থাটি করেছেন তার মধ্যে একটা বিশেষত্ব আছে। দিনে নির্ধারিত ৫০টি রোগী। রাত নয়টার মধ্যে ওনার রোগী দেখা শেষ হয় তারপর নানা ধরনের কনসালটেন্সি সেশন থাকে। পুরো ব্যবস্থাপনা মন্দ না। সিরিয়াল বাণিজ্য একটা সমস্যা অনেক ডাক্তারের চেম্বারে। এভাবে অবশ্য বাণিজ্য কমানোর একটা ভাল ব্যবস্থা থাকে। অনেক ডাক্তার সাহেবের সিরিয়ালে এক মাসাধিক কাল সিরিয়াল থাকলেও এক রক্ষণাবেক্ষনে একটা সমস্যা থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সাইন্স সেন্টারের সিরিয়ালে একটা ভাল ব্যাপার লক্ষ করলাম। তা হল ওনারা কম্পিউটারে সিরিয়াল ম্যান্টেইন করেন। সিরিয়াল আসবে তখন কল করে জানাবে। যদি কেউ কল মিস করে তবে কয়েকদিন পর পুনরায় আবার কল আসবে। এরপর মিস করলে সিরিয়াল নম্বর মিস হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টি মন্দ নয়। তবে সিরিয়াল বড় বড় ডাক্তারের জন্য অনেক অনেক লম্বা সিরিয়াল দিতে হয় এর মধ্যে ভয়াবহ হল সিরিয়াল বাণিজ্য। এই সিরিয়াল বাণিজ্য হল ভয়ানক মন্দ বিষয়। এই মন্দ বিষয়টি একেকজন ডাক্তার একেকভাবে চিন্তা করেন।
বিপদের বিষয় হল ডাক্তারকে দেখানোটা অনেক সময়ই হয় ইমার্জেন্সি। সিরিয়ালওে ইমার্জেন্সি দুইটি সমস্যা যুগপৎভাবে তৈরী করে ভয়াবহ সমস্যা।
মোবাইলে সিরিয়াল বঞ্চিতরা আবার ডাক্তারের কাছে আসে বুঝানোর চেস্টায় রত থাকে। কল করেপোইনি সিরিয়াল দেন। চলে আরেক দেন দরবার। সিরিয়াল প্রদানকারীরা বলে মোবাইলে ৫০ জন পাইল আর আপনি পাইলেন না। তখন সত্যি ভয়াবহ অবস্থা। তখন একটা আলোচনা চলে হয়ত নিয়মিত রিকুষ্ট চলে। হয়ত নিয়মিত সিরিয়ালের পরে চলে রিকুয়েস্ট। ডাক্তার কখনও হ্যা বলেন বা কখনও না বলেন। মোবাইলে দিনের এক ঘন্টার সিরিয়াল সিস্টেম পছন্দ হয়েছে। তবে পুরো সিরিয়াল সিস্টেমটা হাইব্রিড হলে মন্দ হত না। ডাক্তারের এই সিস্টেমে অনেক রোগী দিনের পর দিন চেস্টা করবে আবার সিরিয়াল টাবে না। আবার অনেক রোগী সিরিয়াল নিয়ে আটকা পড়বে। আবার কিছু রোগী সুপারিশে থাকবে। কিছু রোগীকে রাখতে হবে হাইব্রিড ব্যবস্থাপনায়।
সিরিয়েলের হাইব্রিড ব্যবস্থাপনাটা জরুরী।
সিরিয়াল নিঢে উল্লেখিত ডাক্তারের আলোজনার একটা টর্যায়ে একজন বণলেন দেখেন ডাক্তার একলা মানুষ। সকল রোগী যদি তাকেই দেখাতে ভিড় করেন তাতো সম্ভব না। রোগী অন্য ডাক্তারদের বেছে নিতে হবে। বিকল্পতে যেতে হবে। নচেৎ অন্যদের গ্রো হতে না। মাজার বিষয় হল সাধারন মানুষ ডাক্তারের নামে তার কাছে ছুটেন। আর ডাক্তারদের এই নামটা হয় দিনের পর দিন রোগী দেখার সফলতার উপর। তাই সফল ও সুনামধারী ডাক্তারের কাছে সবাই ছুটতে চায়। মাসের পর মাস সিরিয়াল থাকার চেয়ে এটা মন্দ নয়। তাই সকল সুনামধারী ডাক্তারে উচিত যদি দিনে যত রোগী দেখেন তাদের অন্তত ৫০% প্রয়োজন দিনের নির্দষ্ট সময়ে ফোন করে সিরিয়াল লটারী যেতা। ২৫% প্রয়োজন স্বাভাবিক সিরিয়াল যারা লাটারী সিরিয়ালে পায়নি তারা। আর বাকী ২৫% প্রয়োজন রেফার কেস বা সুপারিশ পেশেন্ট। এভাবে একটা কম্পিউটারাইজ হাইব্রিড ব্যবস্থাপনা হতে পারে। আশার করি আমাদের দেশের বেশীর ভাগ ডাক্তার সফল হবেন ও রোগী সমভাবে সকল ডাক্তারগনের কাছে যাবে। সেটাই হবে কাংখিত পরিস্থিতি।