Pages

Thursday, April 25, 2019

সময় দুই ঘন্টা ও সি‌রিয়াল যুদ্ধ

নিউ‌রো‌মে‌ডি‌সিন ডা: দ্বীন মোহাম্মদ। সকল ডাক্তার সি‌রিয়াল দেন একভা‌বে তি‌নি দেন আ‌রেকভা‌বে। রোগী দেখা শুরু ক‌রেন ৩টা থে‌কে। প্রথ‌মে হাসপাতা‌লের রোগী। তারপর সি‌রিয়াল রোগী। সি‌রিয়াল রোগীর ক্ষ‌েত্রে প্রথ‌মে নতুন রোগী। তারপর পুরাতন রোগী। রোগী‌দের যথারী‌তি ১০০ টাকা ভি‌জি‌টের বাই‌রে প‌রি‌শো‌ধে চ‌লে রোগীর হি‌স্ট্রি লেখা। এই  ডাক্তার সা‌হে‌বের রোগী দেখা‌নোর জন্য যতটুকু সম্ভব সি‌রিয়াল যুদ্ধ ভিন্ন রকম। অন্য‌দের সি‌রিয়াল যুদ্ধ হল এক মাস দেড় মাস অ‌পেক্ষা করা। ওনার সি‌রিয়াল যুদ্ধ হল মোবাই‌লে বি‌শেষ একটা নম্ব‌রে ট্রাই কর‌তে থাকা। একঘন্টা ধ‌রে সেই নম্বর‌টিতে ট্রাই ক‌রে সি‌রিয়াল লেখা‌তে হ‌বে। এক জ‌টিল এক হিসাব। যারা সি‌রিঢাল দেন তারা ডাক্তার সা‌হে‌বের পু‌রো বিষয়টা বেশ ভালভা‌বে দেথভাল ক‌রেন। ওনার আ‌শে পা‌শের মানুষ জ‌নের কা‌ছে র‌য়ে‌ছে এই  ব্যবস্থার মিশ্র প্র‌তি‌ক্রিয়া। কেউ বল‌ছেন দি‌নে দি‌নে সি‌রিয়াল পাওয়ার একটা ভাল ব্যবস্থা। কেউ বল‌ছেন লটারী জেতার মত। ত‌বে ডাক্তার সা‌হেব রোগী দেখার জন্য ব্যবস্থা‌টি ক‌রে‌ছেন তার ম‌ধ্যে একটা বি‌শেষত্ব আ‌ছে। দি‌নে নির্ধা‌রিত ৫০টি রোগী। রাত নয়টার মধ্যে ওনার রোগী দেখা শেষ হয় তারপর নানা ধর‌নের কনসাল‌টেন্স‌ি সেশন থা‌কে। পু‌রো ব্যবস্থাপনা মন্দ না। সি‌রিয়াল বা‌ণিজ্য একটা সমস্যা অ‌নেক ডাক্তা‌রের চেম্বা‌রে। এভা‌বে অবশ্য বা‌ণিজ্য কমা‌নোর একটা ভাল ব্যবস্থা থা‌কে। অ‌নেক ডাক্তার সা‌হেব‌ের সি‌রিয়া‌লে এক ম‌াসা‌ধিক কাল সি‌রিয়াল থাক‌লেও এক রক্ষণা‌বেক্ষ‌নে একটা সমস্যা থা‌কে। ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের নিউ‌রো সাইন্স সেন্টা‌রের সি‌রিয়া‌লে একটা ভাল ব্যাপার লক্ষ করলাম। তা হল ওনারা কম্প‌িউটা‌রে সি‌রিয়াল ম্যা‌ন্টেইন ক‌রেন। সি‌রিয়াল আস‌বে তখন কল ক‌রে জানা‌বে। য‌দি কেউ কল ম‌িস ক‌রে তবে ক‌য়েক‌দিন পর পুনরায় আবার কল আস‌বে। এরপর মিস কর‌লে সি‌রিয়াল নম্বর মিস হ‌য়ে যে‌তে পা‌রে। এই বিষয়‌টি মন্দ নয়। ত‌বে সি‌রিয়াল বড় বড় ডাক্তা‌রের জন্য অ‌নে‌ক অ‌নেক লম্বা সি‌রিয়াল দি‌তে হয় এর ম‌ধ্যে ভয়াবহ হল সি‌রিয়াল বা‌ণিজ্য। এই সি‌রিয়াল বা‌ণিজ্য হল ভয়ানক মন্দ বিষয়। এই মন্দ বিষয়‌টি এ‌কেকজন ডাক্তার এ‌কেকভা‌বে চিন্তা ক‌রেন।
‌বিপ‌দের বিষয় হল ডাক্তার‌কে দেখা‌নোটা অ‌নেক সময়ই হয় ইমার্জ‌েন্স‌ি। সি‌রিয়ালওে ইমার্জ‌ে‌ন্সি দুই‌টি‌ সমস্যা যুগপৎভা‌বে ত‌ৈরী ক‌রে ভয়াবহ সমস্যা।
‌মোবাই‌লে সি‌রিয়াল বঞ্চ‌িতরা আবার ডাক্তা‌রের কা‌ছে আ‌সে বুঝা‌নোর চেস্টায় রত থা‌কে। কল কর‌েপোই‌নি সি‌রিয়াল দেন। চ‌লে আ‌রেক দেন দরবার। সি‌রিয়াল প্রদানকারীরা ব‌লে মোবাই‌লে  ৫০ জন পাইল আর আপ‌নি পাই‌লেন না। তখন স‌ত্যি ভয়াবহ অবস্থা। তখন একটা আ‌লোচনা চ‌লে হয়ত নিয়‌মিত রিকু‌ষ্ট চ‌লে। হয়ত নিয়‌মিত সি‌রিয়া‌লের প‌রে চ‌লে রিকু‌য়েস্ট। ডাক্তার কখনও হ্যা ব‌লেন বা কখনও না ব‌লেন। মোবাই‌লে দি‌নের এক ঘন্টার সি‌রিয়াল সি‌স্টেম পছন্দ হ‌য়েছে। ত‌বে পু‌রো সি‌রিয়া‌ল সি‌স্টেমটা হাই‌ব্রিড হ‌লে মন্দ হত না। ডাক্তা‌রের এই সি‌স্টে‌মে অ‌নেক রোগী দি‌নের পর দিন চেস্টা‌ কর‌বে আবার সি‌রিয়াল টা‌বে না। আবার অ‌নেক রোগী সি‌রিয়াল নি‌য়ে আটকা পড়‌বে। আবার কিছু রোগী সুপা‌রি‌শে থাক‌বে। কিছু রোগী‌কে রাখ‌তে হ‌বে হাইব্রিড ব্যবস্থাপনায়।
‌সি‌রি‌য়ে‌লের হাই‌ব্রিড ব্যবস্থাপনাটা জরুরী।
‌সি‌রিয়াল নি‌ঢে উ‌ল্লে‌খিত ডাক্তা‌রের আ‌লোজনার একটা টর্যা‌য়ে একজন বণ‌লেন দে‌খেন ডাক্তার একলা মানুষ। সকল রোগী য‌দি তা‌কেই দেখা‌তে ভিড়  ক‌রেন তা‌তো সম্ভব না। রোগী অন্য‌ ডাক্তা‌রদের বে‌ছে নি‌তে হ‌বে। বিকল্পতে যে‌তে হ‌বে। ন‌চেৎ অন্য‌দের গ্রো হ‌তে না। মাজার বিষয় হল সাধা‌রন মানুষ ডাক্তা‌রের না‌মে তার কা‌ছে ছু‌টেন। আর ডাক্তার‌দের এই  নামটা হয় দি‌নের পর দিন রোগী দেখার সফলতার উপর। তাই সফল ও সুনামধারী ডাক্তা‌রের কা‌ছে সবাই ছুট‌তে চায়। মা‌সের পর মাস সি‌রিয়াল থাকার চে‌য়ে এটা মন্দ নয়। তাই সকল সুনামধারী ডাক্তা‌রে উ‌চিত য‌দি দি‌নে যত রোগী দে‌খেন তা‌দের অন্তত ৫০% প্র‌য়োজন দি‌নের নির্দষ্ট সম‌য়ে ফোন ক‌রে সি‌রিয়াল লটারী যেতা। ২৫% প্র‌য়োজন স্বাভা‌বিক সি‌রিয়াল যারা লাটারী সি‌রিয়া‌লে পায়‌নি তারা। আর বাকী ২৫% প্র‌য়োজন রেফার কেস বা সুপা‌রিশ পে‌শেন্ট। এভা‌বে একটা কম্প‌িউটারাইজ হাই‌ব্রিড ব্যবস্থাপনা হ‌তে পা‌রে। আশার ক‌রি আমা‌দের দে‌শের বেশীর ভাগ ডাক্তার সফল হ‌বেন ও রোগী সমভা‌বে সকল ডাক্তারগ‌নের কা‌ছে যা‌বে। সেটাই হ‌বে কাং‌খিত প‌রিস্থি‌তি।

Friday, April 19, 2019

পৃথিবী রক্ষায় প্রয়োজন আদি কৃষি

মা‌ঝে মা‌ঝে চিন্তা কর‌লে অবাক হই ১৯০০ থে‌কে ২০০০ সাল। পৃ‌থিবী‌তে ব্যাপক উন্নয়‌নের শতক। আবার পৃ‌থিবী‌কে ব্যাপক ধবং‌শের শতকও বলা যায়। এই  সময়ে মানুষ ব্যাপক ভা‌বে পৃ‌থিবীর ভিতরকার খ‌নিজ ধ্বংশ ক‌রে‌ছে। প‌রি‌বেশ ব‌লে কিছু আ‌ছে চিন্তায় আ‌নে‌নি। কৃ‌ষিক্ষ‌‌েতে সার ও কীটনাশক ব্যাপকভা‌বে ব্যবহার ক‌রে ধ্বংশ ক‌রে‌ছে জ‌মির স্বাস্থ্য ও মানু‌ষের স্বাস্থ্য। অ‌নেক অ‌নেক যুদ্ধও ক‌রে‌ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইত্যা‌দি। এই  শত‌কে মানুষ ব্যাপকভা‌বে খ‌নিজ পু‌ড়ি‌য়ে‌ছে। কখনও চিন্তা ক‌রে‌নি পৃ‌থিবীর ভির‌রের খ‌নিজ কখনও অফুরন্ত নয়। কৃ‌ষি বাড়া‌নোর জন্য তারা ব্যাপকভা‌বে রাসা‌নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ক‌রে‌ছে। তা‌দের সময় জ‌ৈব বালাইনাশক ও জ‌ৈব সার তারা জানত। বেশী ফসল ফলা‌নোর আশ‌ায় তারা বৃষক‌কে রোগাক্রান্ত ক‌রে‌ছে। জ‌মির মা‌টি ধ্বংশ ক‌রে‌ছে। অথচ রাসা‌নিক সার ও কীটনাশক আসার আ‌গে মানুষ জ‌ৈব পদ্ধ‌তি‌তে চাষাবাদ ক‌রে‌ছে। জ‌ৈব পদ্ধ‌তির চা‌ষে কৃষক সুস্থ ছিল। সচ্ছল ছিল। এখন মাল্ট‌িনেশনাল কোম্পানী তা‌দের লা‌ভের আশায় রাসায়‌নিক সার ও কীটনাশক‌ে‌ কৃষক‌কে ধ্বং‌শের দ্বারপ্রা‌ন্তে নি‌য়ে গে‌ছে। সরকারী কৃ‌ষি বিভাগ ও মি‌ডিয়া কর্প‌ো‌রেট কোম্পানী গু‌লি‌কে সহায়তা ক‌রে‌ছে। আজ কৃষক জ‌ৈব সার, ভার্ম‌ি কম্প‌োষ্ট, জ‌ৈব বালাই নাশক, মাল‌চিং পেপার ও নেট হাউজ নি‌য়ে এ‌গি‌য়ে যাচ্ছে লাভজনক ও স্বাস্থ্য সম্মত কৃ‌ষির দি‌কে। আমার এখনও ম‌নে আ‌ছে আমার ই‌ঞ্জি‌নিয়ার বাবা আ‌শির দশ‌কে ছু‌টি‌তে গ্রা‌মে গে‌লে তার আত্মীয় কৃষক‌দের উষ্মা প্রকাশ কর‌তেন, কেন তারা বেশী ফল‌নের জন্য সার ও কীটনাশক ব্যবহার কর‌ছে না। কেন তারা ডিপ‌টিউবও‌য়েল ব্যবহার কর‌ছে না। তার প্রায় চ‌ল্লিশ বছর পর আ‌মি গ্রা‌মে গেলে নতুন কৃষক‌দের বল‌ছি রাসায়‌নিক সার ও বিষ বাদ দাও। জ‌ৈব সার ও জ‌ৈব বালাইনাশক ব্যবহার কর। জ‌মি‌তে মালচিং পেপার দাও। ডিপ টিউবও‌য়েল বাদ দাও। চাষাবা‌দের জন্য পুকুর বা খা‌লে বৃ‌ষ্টির পা‌নি জ‌মি‌য়ে তা ড্রিপ ই‌রি‌গেশ‌নের মাধ্য‌মে সব‌জি চা‌ষে ব্যবহার ক‌রো। মা‌টি‌তে কে‌চো আর অনুজীব ফি‌রি‌য়ে দাও। মা‌টি‌তে প্রান আন। মা‌টি‌তে যেখা‌নে ৫% জ‌ৈব সার আর অনুজীব থাকার কথা সেখা‌নে রাসায়‌নিক সার ব্যবহার ক‌রে তার ১% ও বিদ্যমান নাই।
গত শত‌কে কো‌টি কো‌টি টন প্লা‌স্টিক ব্যবহার ক‌রে‌ছে। অথচ সেই  মানুষগু‌লি প্লা‌স্টিক রিসাইক্যাল করার চেস্টা ক‌রে‌নি।
ব্যাক টু দি স্কোয়ার ও ফি‌রি‌য়ে দাও অরণ্য। আজ কো‌টি কো‌টি টাকা খরচ ক‌রে সার কারখানা ত‌ৈরী করার প্র‌য়োজন নাই। আমা‌দের লক্ষ লক্ষ নারীরা গ্রা‌মের রান্নার আবর্জনা, লতাপাতা পচা, গরুর গোবর ও মুরগীর বিষ্ঠা দি‌য়ে ভার্ম‌ি কম্পোষ্ট, ট্রাই‌কো কম্প‌োস্ট ও অনান্য কম্প‌োষ্ট ত‌ৈরী ক‌রে অত্যন্ত কম খর‌চে সার সরবরাহ কর‌তে পা‌রে। এ‌তে নারীরা কম্প‌েষ্টে বিক্রি ক‌রে লাভবান হ‌তে পা‌রে। দা‌রিদ্রতা দূর হ‌বে। রাসায়‌নিক সার ব্যবহা‌রে জ‌মি শেষ ও সার কি‌নে কৃষক ফতুর। জ‌ৈব সা‌রে কৃষাণীর নগদ আয়, জ‌মি উর্বর ও কৃষ‌কের খরচ ক‌মে গি‌য়ে কৃষক লাভবান।
সরবারীভা‌বে জৈব সা‌রের ব্যপক প্রচারনা প্র‌য়োজন। সরকার সা‌রের যে ভর্তু‌কি দেয় সেই  ভর্তুকি সরকার কৃষানী যারা জ‌ৈব সার ত‌ৈরী কর‌ছে তা‌দের ইন‌সেন‌টিভ হিসা‌বে দেয়া যে‌তে পা‌রে।
জ‌ৈব বালাইনাশ‌কের উপর আ‌রো গ‌ভেশনা প্র‌য়োজন। এটা হ‌তে পা‌রে অনান্য রাসায়‌নিক বালাইনাশ‌কের মত পাউডা‌রের ফর‌মে। কৃষক ত‌বে তা সহ‌জে ব্যবহার কর‌তে পার‌বে। এখন নিম পাতা সিদ্ধ কর। মেহগ‌নি বীজ সিদ্ধ কর। কয়েক‌দিন পা‌নি‌তে ভি‌জি‌য়ে রাখ। আবার অ‌নেক সময় গরুর চনা দাও। ইত্যা‌দি নানা জ‌টিল ও কষ্টকর পদ্ধ‌তি‌তে যে‌তে হয়। ডি‌জিটাল যু‌গে মানুষ চায় সহ‌জে সব‌কিছু। তাই কম্প‌োস্ট  সা‌রের মত রে‌ডিমেট প্যা‌কে‌টে ক‌রে জ‌ৈব বালাই নাশক আস‌তে হ‌বে। তা‌বে আশার কথা হল এখন কিছু কিছু প্র‌তিষ্ঠান জ‌ৈব বালাই নাশক প্যা‌কেট জাত কর‌ছে। এগু‌লোর প্রাপ্যতা আ‌রো বাড়া‌তে হ‌বে। পৃ‌থিবী‌কে রক্ষা করার আধু‌নিক উপায় হল ফি‌রি‌য়ে দাও অরণ্য।

Thursday, April 11, 2019

অপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সেট


একশত বিশটা আইটেম টুলসসহ ড্রিল মেশিন। এরূপ আরো অনেক অনেক দ্রব্যাদিসহ অনলাইন অফার চলে। আপনার এক‌টি ড্রিল মেশিন প্র‌য়োজন। সাথে আরো অনেক ড্রিল বিট, প্লায়ার্স, স্ক্রু ড্রাইভারসহ ম্যাগা অফার একটা কিনতে চাচ্ছেন অথচ প্লায়ার্স ও অনেক ক‌টি সামগ্রী আপনার আছে। আপনি চিন্তা করলেন অল্প কিছু টাকা বেশী খরচ ক‌রে অনেক কয়‌টি সামগ্রী আমি নি‌তে পারব। অনেক ক‌টি সামগ্রী নি‌তে পারাটা সর্বদা ভাল অপশন নয়। প্রথমে আপনি অনেক ক‌টি অপ্র‌য়োজনীয় সামগ্রী কিনলেন এগু‌লো কোন একদিন আপনার কাজে লাগবে। ঘর পরিষ্কার রাখার একটা ফর্মুলা হল আপনি যদি দেখেন আপনার ঘরের কোন দ্রব্য বা জিনিস এক বছরে একবার ব্যবহার হয় নাই তবে তা আপনি চোখ বন্ধ ক‌রে ত্যাগ কর‌তে পারেন। কারণ সে দ্রব্য‌টি আপনার দ্বিতীয়বার ব্যবহারের সম্ভবনা অনেক অনেক কম। অনেক দ্রব্য বা আইটেম কেনার মধ্যে আনন্দ থাক‌তে পা‌রে। কিন্তু লাভ নাই। কারণ আপনার অপ্রয়োজনীয় কোন দ্রব্য ও টুলস রাখা মানে আপনার রক্ষণাবেক্ষণের চাপ বাড়া‌নো। আপনার রাখার স্থান বেশী লাগছে। তাই কেবল মাত্র ব্যবহার উপ‌যোগী সামগ্রী ছাড়া আর কোন সামগ্রী ষ্টকে রাখার প্র‌য়োজনীয়তা নাই বলা যায়। আপনি দুর্গম এলাকায় আছেন। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত কোন টুলস কোন সামগ্রী হয়ত কালে ভদ্রে একবার কাজে লাগ‌তে পা‌রে। তবুও তা স্থানের দুর্গমতা বিচার ক‌রে মজুদ রাখ‌তে হ‌তে পা‌রে। সাধারণ শহর এলাকা প্রায় সব ধরনের সামগ্রী সহজ হোক বা জটিল হোক তা পাওয়া যায়। তাই যদি কাছের দোকা‌নে মজুদ থাকলে নিজের কাছে মজুদ করা সবচেয়ে বোকামী। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে তাই আমা‌দের আজ‌কে যে প্রযুক্তি লে‌টেস্ট মনে হচ্ছে আগামী‌তে তা আরো উন্নত হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে চা‌হিদাগু‌লো। আজ যে যন্ত্রাংশ প্র‌য়োজনীয় মনে হচ্ছে তা আগামীকাল অপ্র‌য়োজনীয় মনে হচ্ছে।
উপায় আউট সোর্স। যা একান্ত প্র‌য়োজন তা কেনা বাকী ভাড়ায় চলা। আবার কোন সামগ্রী না কিনে উপায় নাই। ব্যবহার শেষে তা পুনরায় দোকা‌নে ফেরত প্রদান। ভাড়া প‌রি‌শোধ বা বিক্রি ক‌রে দেয়াটা হল সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। যে কোন টুলস বা আইটেম ছয় মাসে বা বছরে একবার ব্যবহার হলে তা আগাম কিনে বা অফারের সাথে না কেনাটা জরুরী। আগাম কেনা বা অতিরিক্ত কেনাটা অপচয়। অপচয় থেকেও জরুরী বিষয় আপনার রক্ষণাবেক্ষণের চাপ বাড়াবে। যে কোন বাড়তি দ্রব্য মানেই স্টোর বা ঘরের মূল্যবান স্থানটুকু নেয়া ও ঘর পরিষ্কার করার জন্য অতিরিক্ত শ্রম ও সময় নষ্ট হওয়া।
দুই হাজার টাকায় ড্রিল বিট সহ, প্লায়াস সহ  ০২১টি আইটেম কিনে ২০০০ টাকা খরচ করার চে‌য়ে প্র‌য়োজনীয়  ২০টিঅেই‌টেম কেনাটা অনেক ভাল। এতে খরচ কম লাগবে। প্রতিটি আইটেম বেঁছে বেঁছে বেস্ট আইটেম কেনা যাবে। এভাবে বেস্ট আইটেম ও প্র‌য়োজনীয় আইটেম কিনতে পারলে তা সেটে কেনা আইটেম হ‌তে অনেক বেশী টেকসই ও সাশ্রয়ী হবে।
অফার নয়, প্র‌য়োজন মোতা‌বেক বেস্ট বা টেকসই আইটেমটা কেনাই সবচেয়ে বুদ্ধির পরিচায়ক হবে। আমা‌দের জীবনে প্রায় সবখানেই  আমরা আমাদের একান্ত প্র‌য়োজনীয় আইটেমের বাই‌রে অনেক আইটেম দেখ‌তে পাই। এই আইটেমগুলো আমা‌দের জীবন যাত্রা‌কে জটিল ও অগুছা‌নো ক‌রে তুলছে। এগু‌লো আমা‌দের গুছানো দরকার।
ব্যবসায়ীরা তা‌দের পণ্য‌কে আকর্ষণীয় ও চাহিদা বাড়া‌তে অনেক অপ্র‌য়োজনীয় অফার নি‌য়ে আসে। এসব অফার পরিবেশ বান্ধব নয়। পরিবেশ বান্ধব হল তাই যা হবে টেকসই ও দীর্ঘদিন ব্যবহার ক‌রে রিইউজ/‌রিসাইক্যাল করা যাবে। হালকা পাতলা কম টেকসই  সামগ্রী পরিবেশের জন্য উপকারী হবে না। এগু‌লো আইন ক‌রে বন্ধ করা প্র‌য়োজন। মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে অপ্রয়োজনীয় ও পরিবেশ বান্ধব নয় এরূপ দ্রব্যাদি নিষিদ্ধ করা প্র‌য়োজন। কারণ ব্যবসায়ী ফয়দা অপেক্ষা ক্রেতার স্বার্থ ও ক্ষতি কমা‌নোটা জরুরী। তারপর জরুরী কাজ হয় পরিবেশের ক্ষতি বন্ধ করা। পরিশেষে বলব, বন্ধ হোক নানা লোভনীয় অফারের মাধ্যমে অপ্র‌য়োজনীয় সামগ্রীর বাণিজ্য।

Thursday, April 4, 2019

বেকার থাকা সহজ নয়

আমার মা‌ঝে মা‌ঝে মনে হয় বাংলা‌দে‌শের মানুষ কখনও বেকার থে‌কে না খে‌য়ে মরার কথা নয় য‌দি তার দুই হাত বা দুই পা থা‌কে। বাংলা‌দে‌শে লেবার সংকট। তাই মজুরীর বি‌নিম‌য়ে কাজ সব জায়গায় আছে। আ‌গে কৃ‌ষিকাজ লাভজনক ছিল না এখন কৃ‌ষিকাজ লাভজনক হ‌চ্ছে। সা‌রের প‌রিবর্ত‌ে  কেঁচো সার বা ভার্মী কম্প‌োস্ট দি‌য়ে খরচ ক‌মে যাচ্ছ‌ে। জ‌ৈব বালাইনাশক ব্যবহার ক‌রে কীটনাশ‌কের খরচ শূন্য হ‌য়ে যাচ্ছ‌ে। মাল‌চিং পেপার বা জ‌ৈব মাল‌চিং ব্যবহার ক‌রে জ‌মি চাষ আগাছা বাছার লেবার খরচ অ‌নেক ক‌মে গে‌ছে। একই ভা‌বে মাল‌চিং এর কার‌ণে পা‌নি কম লাগ‌ছে। পা‌নি আ‌রো কমা‌নো যায় ড্রিপ ই‌রি‌গেশ‌নের মাধ্য‌মে।
‌মে‌য়েরা গৃহ কর্ম‌ের পাশাপা‌শি ভার্ম‌ি কম্প‌োস্ট  উৎপাদন কর‌তে পা‌রে মা‌সে ৮/১০ হাজার টাকা নি‌শ্চিত আয় কর‌তে পা‌রে। তার জন্য দি‌নে ক‌য়েক ঘন্টা সময় দি‌লেই চ‌লে। এখন পর্যন্ত ঝিনাইদহ, কু‌ষ্টিয়া, ময়মন‌সিংহ, নরে‌সিংদ‌ী ও কু‌মিল্লা সফলতা পে‌য়ে‌ছে। চিন্তা করুন বাংলা‌দেশ হাজার হাজার কো‌টি টাকার কীটনাশক ও সার আমদানী থে‌কে মুক্ত হ‌তে পা‌রে শুধু জ‌ৈব সার ও জ‌ৈব বালাইনাশক ব্যবহা‌রে। কৃষক হ‌তে পা‌রে সচ্ছল। দে‌শের মানু‌ষের হাজার কো‌টি টাকা অর্গা‌নিক শশ্য ও শাকসব‌জি খাওয়ার কার‌নে বে‌চে যা‌বে স্বাস্থ্যখা‌তে আ‌রো হাজার কো‌টি টাকা। পৃ‌থিবীর দ্ব‌িতীয় বৃহত্তস গার‌মেন্টস শিল্প বাংলা‌দে‌শে র‌য়ে‌ছে। তাই নারী‌দের বেকার থাকার কোন সু‌যোগ নাই। এখন বেকার থাক‌লে বল‌তে হ‌বে শখ ক‌রে বেকার থাকা।
আ‌মি জা‌নি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের ছাত্র/ছাত্রীরা ক্ষে‌পে যা‌বে দে‌শে প্র‌তিবছর আট লক্ষ শি‌ক্ষিত বেকার যুবক/যুবতী ত‌ৈরী হ‌চ্ছে। এ‌দের কি হ‌বে। সমাধান একটাই। দে‌শে অ‌নেক এ‌ক্সি‌কিউ‌টিভ জব বাড়া‌তে হ‌বে। উপ‌জেলায় কর্মকর্তা বাড়া‌তে হ‌বে। দে‌শের সকল দপ্ত‌রে কর্মকর্তা বাড়া‌তে হ‌বে। প্র‌য়োজ‌নে ইউ‌নিয়ন পর্যা‌য়ে কর্মকর্তা নি‌য়োগ দি‌তে হ‌বে। প্রাই‌ভেট প্র‌তিষ্ঠান বাড়া‌তে হ‌বে। আপ‌নি য‌দি খোজ নেন কা‌য়িক প‌রিশ্র‌মের লো কস্ট জ‌বের কোন ঘাট‌তি নেই। ঘাট‌তি কেবল বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের পড়ুয়া‌দের। বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে পড়া অবস্থায় ছাত্র/ছাত্রীদের কিছু কিছু কা‌জে দক্ষ করা অ‌তি প্র‌য়োজন। যেমন: তা‌দের গাড়ী চালনায় দক্ষ হওয়া, ক‌ম্পিউটা‌রে ওয়ার্ড, এক্স‌েল ও  পাওয়ার প‌য়েন্ট‌ জানা প্র‌য়োজন। ইং‌রেজীতে কথা বল‌তে পারা প্র‌য়োজন। প্র‌েজেন্ট‌‌েশান দেওয়ার দক্ষতা থাক‌তে হ‌বে। ত‌বে আশা করা যায় এ ধর‌নের দক্ষ অনার্স টাইপ শি‌ক্ষিত যুবক যুবতী দে‌শে বি‌দে‌শে চাকুরী পা‌বে। বেকার থাক‌বে না। আমা‌দের দে‌শে ডি‌প্লোমা ই‌ঞ্জি‌নিয়ার বেকার থাকার কথা নয়। নার্স বেকার থাকার কথা নয়। ডাক্তাররা বি‌সিএস না কর‌ল্লে না‌কি বেকার অথচ মৃত্যুর আ‌গের দিন পর্যন্ত ডাক্তার‌দের বেকার থাকার কথা নয়। আপ‌নি এমএ পাশ। আ‌রো কোন দক্ষতা আয়ত্ব ক‌রেন নাই। অথচ চা‌চ্ছেন ওয়াল্ড ক্লাস জব। আমার কা‌ছে ম‌নে হয় প্র‌তিটা মানুষ শি‌ক্ষিত হওয়ার সা‌থে সা‌থে ইনকাম করার জন্য দক্ষতায় আগা‌তে হ‌বে। শুধু পড়া‌শোনা করলাম ইনকাম করা জানলাম না। তা ঠিক নয়। প্রথ‌মেই কিভা‌বে টিউশন করাতে হয়, এটা শিখ‌তে হ‌বে। নি‌জে একটা লিসন নি‌য়ে তা অপর‌কে শেখা‌নো এটা কিন্তু যেন তেন বিষয় নয়। তার জন্য অনুশীলন কর‌তে হ‌বে। প‌ড়ি‌য়ে বু‌ঝি‌য়ে নেয়ার টেক‌নিটটাও বুঝ‌তে হ‌বে। ভাল শিক্ষক হিসাবে ছাত্রজীব‌নে যে আত্মপ্রকাশ কর‌তে পার‌বে সে ভ‌বিষৎ এ ভাল মা‌নের প্রে‌জেন্টেশন দেয়ার কৌশল ও আয়ত্ব কর‌তে পার‌বে। তাই ছাত্র/ছাত্রী‌দের টিউশনী হল নি‌জেকে উপার্জনমূখী করার প্রথম ধাপ। ছাত্র/ছাত্রী যত বড় ধনীর সন্তানই হোক না কেন ছাত্রজীব‌নে পার্ট টাইম উপার্জন করার ব্যবস্থা ক‌রে নেয়াটা বরং অ‌নেক ফলদায়ক।

‌বি‌য়ের বাজা‌রে এসএস‌সি পাশ সরকারী কর্মজী‌বি ভাল না অনার্স পাশ বেকার ভাল। সবাই বল‌বেন, এসএস‌সি পাশ চাকু‌রে ভাল। অনার্স পাশ আর যে কোন স্কি‌লে উপার্জন কর‌তে পার‌লেন না। তাহ‌লে হ‌বে না। পাশ দিলাম চাকুরী পে‌য়ে গেলাম। জি‌তে গেলাম। য‌দি প্র‌তি‌যোগীতায় চাকুরী না হয় তখন? সবার প্রথম লক্ষ্য চাকুরী। আ‌মি অ‌নেক‌েই দে‌খি অনার্স পাশ ক‌রেছ‌ে টিউশনী ও প্রাই‌ভেট ছোটখাট চাকুরীতে লে‌গে আ‌ছে। তারপর বি‌সিএসও ক‌রে ফেল‌ছে। যে যাই বলুক এরা কিন্তু রিয়াল হিরু।

তাই শুধু পড়া‌শোনা নয় উপার্জনমূখী হওয়াটা প্র‌তি ছাত্র/ছাত্রী‌দের লক্ষ হওয়া প্র‌য়োজন। ত‌বেই ক‌মে আস‌বে জা‌তির অ‌ভিশাপ শি‌ক্ষিত বেকা‌রের সংখ্যা।