Pages

Thursday, June 29, 2017

ছোট শহর ও বড় শহর

আমি আমার জীবনের ৩৫টি বছর ঢাকার বাইরে জীবন যাপন করার পর ২০১৭ সালে মে মাসে চাকুরী জীবনে প্রথম বারের  মত ঢাকায় পোস্টিং হয়ে আসলাম। ৩৫ বছর ধরেছি আমার ক্যাডেট কলেজের জীবন সহ। ক্যাডেট কলেজে পড়ার কারণে সেই ক্লাস সেভেন থেকেই ঢাকার বাইরে। যদি আমার বাবা চাকুরী জীবনের শেষে ঢাকায় একটা বাসস্থান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই বাসায় আমার  আর বাবা মার থাকা হয়নি। বাবা রিটায়ারের পর মাকে নিয়ে গ্রাম মুখী হলেন আমি আমি দেশপ্রেমিক সৈনিক হিসাবে গ্রাম,উপজেলা আর মফস্বল শহরে জীবন কাটিয়ে দিয়েছি।মন্দ কাটেনি। গত একমাস হল (জুন ২০১৭) সপরিবারে তল্পিতল্পাসহ ঢাকায় এসেছি।মন ভাল নেই। ঢাকায় সবার মন ভাল হয়। আমার আর আমার পরিবারের মন ভাল নেই। মনে হয় দীর্ঘদিন ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকাকে এক আজব শহর মনে হয়। ছোট্ট শহর কুষ্টিয়া সাড়ে চার বছর ছোট একটি পরিছন্ন শহরে থেকে মনটা আজ বেজার। ফিরে যাব। সম্ভব নয়। বড় ছেলের কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ভাল সুবিধা নাই।তাই ঢাকায় বদলী আশীর্বাদ স্বরূপ। এছাড়া চাকুরীর শেষে অনেকের মত আমাকেও হয়ত বা ইমোশন ফেলে দিয়ে ঢাকার বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। ঢাকার বাস্তবতা হল অনেক লোকের অপরিকল্পিত বসবাস। ছোট শহরে বড় শান্তি আর বড় শহরে ছোট শান্তি এটাই নিয়ম। ছোট শহরে ছোট ব্যস্ততা আর বড় শহরে বড় ব্যস্ততা।
সে যাই হোক ঢাকায় আসার এক মাসের মধ্যেই আমার পরিবারের সদস্যরা প্রথমে আক্রান্ত হল পেটের পীড়ার। আর এটা আক্রান্তের প্রাথমিক কারণ মনে হয়েছে তারা ঢাকার বাইরে থাকার কারণে বেশীরভাগ সময়েই কীটনাশক মুক্ত শাক সবজি ও ফল খেয়েছে। এমনকি পুকুরের মাছ রাসায়নিক খাবার ছাড়া প্রাকৃতিক খাবারে উপাদন করা হয়েছে। এই কারণে নামী দামি চেইন শপের শাক সবজি ও ফল খেয়েও তারা অসুস্থ হয়ে পরে। এই অভিঞ্জতা হয়ত তাদের হবে না যারা ঘন ঘন ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন বা ঘন ঘন আসা যাওয়া করেন। আমি বার ঘাটে ঘুরে ঘুরে খাওয়া মানুষ। আমার আবার পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হতে হয়নি। আমার ধারনায় যা আসল আর তা হল আমি যতটুকু রাসায়নিক ভাবে উপাদিত খাবারে অভ্যস্ত আমার পরিবার তেমন ভাবে অভ্যস্ত হয়নি। তাই বড় শহরের পানি ও খাদ্য তাদের স্বস্তি দেয়নি। আমার স্ত্রী হঠাত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছিল। কুষ্টিয়া শহরটাকে কেমন আপন শহর মনে হত। ঢাকাটা আপন মনে হয় না। আমি তাকে বললাম থাকতে থাক আপন মনে হতে পারে।
ছোট্ট শহরের লোকগুলি সহজে চেনা যায়। দোকানদাররা খাতির করে কথা বলে। সবাই সহযোগিতা করে। সন্মান করে। অনেক সময় পছন্দের জিনিষ না পাওয়া গেলে তারা ঢাকা থেকে আনিয়ে দিত। এদের আন্তরিকতা অনেক। আমি বললাম ধীরে ধীরে ঢাকায় পরিচিত হবে। আন্তরিক লোকজনও পাবে।সময় লাগবে। যারা ঢাকায় জন্মের পর থেকে আছে সে আবার ঢাকার বাইরে থাকতে চাইবে না। সবই হয়ত অভ্যাস।
একবার আমার একজন বন্ধুর একটা কথা আজো মনে ধরে আছে। হয়তবা কারো কোটেশন হতে পারে।সেটা হল বড় পরিসরে দাসত্ব করার চেয়ে ছোট পরিসরে রাজত্ব করা উত্তম। আমি আজও এত এত মানুষের এই বড় শহরে কষ্টকর ও অপরিচ্ছন্ন প্রাকৃতিক জীবনে কেন মানুষ থাকে তার কারণ মনে হয় অনেকটা বাধ্যগত। কারো জীবিকার তাগিদে। কারো পড়াশোনার তাগিদে। কারো চিকিসার তাগিদে। আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে পড়াশোনার বিস্তার ছোট শহর মুখী হতে পারে। চিকিসার সুযোগ ছোট শহরে আরো ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। রোজগার ও জীবিকা আউট সোর্সিং ও যোগাযোগ কাঠামোর উন্নয়ন সাপেক্ষে হতে পারে।

হয়তবা আর বেশী দুরে নয় যখন মফস্বলের সুখী মানুষগুলি তাদের শহরগুলো আরও শিক্ষা বান্ধব, চিকিসা বান্ধব ও প্রযুক্তি বান্ধব করে তুলবে এবং আমার মত সহজ সরল মানুষগুলি অপরিচ্ছন্ন ও বিষাক্ত বায়ুর বড় শহরগুলোতে বসবাসকে না বলতে পারব। বাংলাদেশে আবার এমন শহরও আছে যেমন রাজশাহী শহর যেটা বায়ুর বিষাক্ততা কমিয়ে পৃথিবীর পরিবেশ বান্ধব এক নম্বর শহর হয়েছে। আমাদের একটি শহর পারলেও নিশ্চয়ই ঢাকা আরো বসবাস যোগ্য করা যাবে। আর সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন ঢাকা মুখী মানুষ কমে আসবে। আমরা পরিচ্ছন্ন ঢাকার অপেক্ষায় থাকলাম।

Thursday, June 22, 2017

এক পরিবারে একাধিক টিভি অপ্রয়োজনীয়, লাইভ স্ট্রীমিং তার সমাধান

২০০০ সালের দিকে আমি ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য আমার কম্পিউটারে টিভি দেখার জন্য আমি একটা টিভি কার্ড লাগাই। এরূপ আমার মত অনেকেই বাসার সকল সদস্যদের মন রক্ষা করার জন্য একাধিক টিভির ব্যবস্থা করে থাকেন। আধুনিককালে অনেক টিভি চ্যানেল এবং অনেক অনেক রুচি ও চাহিদা বিদ্যমান। কোন বাসায় একাধিক টিভির প্রয়োজন হয় যখন পরিবারে কোন ক্রিকেট প্রেমী থাকে। ক্রিকেট প্রেমীরা সাধারণত লম্বা সময় সহ টিভি দখলে নেয়। এতে বাচ্চাদের কার্টুন  ও মেয়েদের সিরিয়াল দেখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরূপ অবস্থায় একাধিক টিভি কেনার প্রয়োজন হয়। আমার বাসায় অন্য সবার মত একাধিক টিভি রেখেছিলাম। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে আমি টিভি দেখা ছেড়ে দেই। এই টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হয়েছে মূলত আমার লেখালেখির জন্য সময় ব্যয় করার জন্য। যেহেতু টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছি আমি পড়া ও লেখার জন্য সময় বের করতে পারি। টিভি দেখা ছেড়ে দেয়ার পর বাসায় একাধিক টিভি রাখার প্রয়োজন হয়নি। সকাল বিকাল মেয়ের কার্টুন বিকালে ছেলের ডিসকভারি ও সন্ধ্যায় স্ত্রীর সিরিয়ালের সময় ভাগ করে এক টিভিতে হয়ে যায়। মাঝে মনের টানে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখি। ক্রিকেট খেলা দেখলেই লম্বা সময়ের এ্যাংগেইজমেন্টের সময় বিরোধটা হয়। তখন দুইটি টিভির প্রয়োজন পড়ে। আগে টিভি কার্ড দিয়ে সমস্যা নিরসন করেছি। কয়েক বছর চালানোর পর টিভি কার্ড নষ্ট হওয়ার পর সেটার প্রতিস্থাপক আর কিনিনি। কারণ প্রয়োজন হয়নি। আমি ক্রিকেট একটানা না দেখার কারণে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের দেখার বিরতির সময়গুলোতে সাধারণত ক্রিকেটের স্কোর দেখে নিতাম বা মোবাইলে দেখে নিতাম। এভাবে আমার কাজ একটি টিভিতে সারছিলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে বদলী জনিত কারণে ঢাকায় আসলাম। তখন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলছিল। খেলাগুলো বিরতি দিয়ে না দেখে পুরো খেলা দেখার জন্য মন চাইল। স্ত্রীর সিরিয়াল হবে। সারাদিন ব্যস্ততার পর তার এই সুযোগটি না হলে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যেতে পারে। তখন মনে হয় খরচ গেলেও আর একটি টিভি কেনাটা অতি জরুরী।
এমন ভাবতে ভাবতে মোবাইলে ইউটিউব অন করে “লাইভ ক্রিকেট ম্যাচ বাংলাদেশ-অন্য দেশ” দিলাম তারপর শুরু হল মজার ব্যাপার। ইউটিউবে খেলার লাইভ স্ট্রীমিং চলে আসল। আমার মনে হয় এখন যে কোন গুরুত্বপূর্ণ খেলা লাইভ স্ট্রীমিং দেখা যাবে। আর এভাবে যদি লাইভ স্ট্রীমিং দেখা যায় তবে একাধিক টিভি কেনার একদমই প্রয়োজন নেই। এর জন্য অবশ্য বাসায় আন-লিমিটেড ভাল মানের ইন্টারনেট প্রয়োজন। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ডিশ অপারেটররাই তাদের অপটিক্যাল লাইনে ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগ এখন আগের তুলনায় অনেক কম খরচে পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেট রাউটারও অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। বাসা বাড়ীতে অনেকেই ল্যাপটপ ও মোবাইল পরিবারের সকল সদস্যের একাধিক ব্যবহারের জন্য রাউটার ব্যবহার করছে। এই রাউটারের ব্যবহারের ফলে মোবাইলের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রীমিং সহজ হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রীমিং টিভি দেখতে পারার কারণে অনেক সময় পারিবারিক বিশেষ চাহিদার সময় পরিবারে একাধিক টিভির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। এমনকি অনেক সময় স্মার্ট টিভির মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগে আমরা টিভি অনুষ্ঠানও দেখতে পারি যখন আমাদের ক্যাবল টিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে বা সমস্যা হয়। তারের মাধ্যমে বাসাবাড়ির ব্রডব্যান্ড সংযোগ না থাকলেও আমরা আবার স্বল্প সময়ে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে জিবি সাইজের প্যাকেজ কিনে আমরা ব্রডব্যান্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা সাময়িক বন্ধ সময়গুলোতে নিজেদের টিভি বা ভিডিও দেখার চাহিদা মেটাতে পারি।
আমাদের হাতের স্মার্ট ফোনটি একাধারে কম্পিউটার, টিভি ও গানের অডিও সিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করেছে। ফলে একটা ঘরে যতগুলো স্মার্ট ফোন আছে আমরা নির্ধিধায় বলা যায় আমাদের ঘরে ততোগুলো টিভি আছে। তাই আজকে দিনে একটি বাসস্থানে একাধিক টিভির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এমনকি ইন্টারটেইনমেন্ট এতটাই ব্যক্তিগত হয়ে যাচ্ছে টিভির ব্যবহার হয়ত আরও কমে যাবে। ক্যাবল টিভি লাইন প্রতিস্থাপিত হবে আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।

Thursday, June 15, 2017

পেন ড্রাইভ/মেমোরী কার্ডে ছবি সরবরাহ ও ফটোগ্রাফিক ব্যবসা

দীর্ঘ দিন বাংলাদেশের অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র বীচে যাওয়া হয়নি। আমি ২০১০ সালের জুন/জুলাইয়ে কক্সবাজার বীচে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের সাথে ক্যামেরা ছিল। তবুও বীচের কিছু ফটোগ্রাফার ১০ টাকার বিনিময়ে আমাদের ছবি তুলে দিত। সকালে ছবি তুলে এডভান্স পেমেন্ট করতে হত। নির্দিষ্ট দোকানে বিকালে ছবি সরবরাহ করা হত। সে সময়কার তোলা অনেক ছবি এখনও আছে। ক্যামেরা থাকলেও এদের কাছ থেকে ছবি তুলে নেয়া অনেকটা ক্রেজ ছিল বলা যায়। এরা সৈকতের আলো আধার নির্ণয়, স্থান ও সময় নির্ণয়ে এত পারদর্শী যে তারা খুব সুন্দর ছবি তোলে। ফোরআর ছবির সাধারণ প্রিন্টিং এর খরচ ৫/৬ টাকা এতে প্রফেশনালদের ছবি তোলা বাবদ লাভ ৪/৫ টাকা। দশ টাকা করে প্রিন্টিং সহ আজও তারা ছবি তুলে যাচ্ছে।
আমি আমার অনেক ছবি স্ক্যান করে ডিজিটালী সংরক্ষণ করেছি। সমুদ্র সৈকতের মনোরম দৃশ্য যদি আপনি ফেইসবুকে দিতে চান তবে আপনাকে বীচের ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে সফটকপি নিতে হবে। এখানেই ডিজিটাল ব্যবসা জড়িত। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে সুন্দর সুন্দর বীচের ছবি ভাইভারে দিল। আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হলাম ছবিগুলো দেখে। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম এত সুন্দর ছবি কোন মোবাইলে তুলেছ। সে জানাল মোবাইলে নয় প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তুলে দিয়েছে। আমি বললাম ভাল ছবি তুলেছে। তবে এরা টাকা নিলেও ভাল ছবি তুলে।
আমি তখন বললাম আমিও অনেক ছবি তুলিয়েছি এদের দ্বারা। আমার এক এ্যালবাম ভর্তি আছে বীচের ছবি দিয়ে। বন্ধুটি বলল এখন ছবি তুলে আর এ্যালবাম ভর্তি করতে হবে না। এখন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির ধরন পাল্টিয়েছে। বেশীরভাগ ইয়াং ছেলেমেয়ে চায় তার ছবিগুলো সাথে সাথে ফেইসবুকে দিতে। এ্যালবামে ছবি রাখার আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ছবি সাথে সাথে ফেইবুকে দেয়ার জন্য প্রয়োজন ছবির সফট ভার্সন। এখন ফিল্মি ক্যামেরা উধাও হয়ে গেছে। ছোটখাটো ডিজিটাল ক্যামেরা মোবাইলের কাছ মার খেয়ে গেছে। হাই রেজুলেশন প্রফেশনাল ক্যামেরা এখনও টিকে আছে প্রফেশনালদের হাতে। তবে মোবাইলের ক্যামেরা যে হারে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে প্রফেশনাল ক্যামেরার গাট্টি গোল হতে পারে। মোবাইল অনেক অগ্রসর হলেও দক্ষ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা বেচে থাকবে তাদের ছবির উপর আগ্রহ ও পেশাদারিত্ব নিয়ে। সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ছবির জন্য তাদের উপর নির্ভর করতেই হবে।
পেশাদার ফটোগ্রাফাররা তাদের ব্যবসার পরিবর্তন এনেছে। এরা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে ছবি সরবরাহ করবে। প্রতিটি ভাল ছবি তুলে দিতে তারা আপনাকে তিন টাকা চার্জ করবে। এ রেটটি হল ২০১৭ সালের প্রথম দিকে। তবে হার্ড কপি ছবি তুলে দিলে ১০ টাকা রেট চালু আছে। একশত ছবি প্রফেশনাল দ্বারা তুলতে খরচ ৩০০ টাকা। অথচ হার্ডকপি ছবি নিলে ৩০ টা ছবিতে খরচ ৩০০ টাকা। ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে ৩০০ টাকায় ১০০ ছবির অফারটিই ভাল। সেই সাথে প্রায় সাথে সাথে ফেইসবুকে প্রফেশনাল কোয়ালিটির ছবি আপলোড করা সম্ভব।
প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের লাভ এতে বেশী কারণ ছবি আলাদা করে প্রিন্ট করে সরবরাহ অপেক্ষা সাথে সাথে মেমোরী কার্ড বা মোবাইলে ছবি সরবরাহ করা অনেক বেশী সহজ ও লাভজনক।
হার্ডকপি ছবির প্রিন্ট করা কমে গেলেও নতুন ধরনের ডিজিটাল সরবরাহের চাহিদা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদেরকে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে বাঁচিয়ে রেখেছে। আর কয়েকদিন পর হয়তবা ক্লাউডে ছবি সরবরাহ করবে। ড্রপবক্স টাইপ ক্লাউন্ড একাউন্টে সরাসরি ছবি পাঠিয়ে দিবে। সেই ছবি ডাউনলোড করে তারপর পেমেন্ট। এমন হতে পারে ফেইসবুকে প্রফেশনালরাই ছবি আপলোড করে দিবে।
ডিজিটাল যুগের সাথে পরিবর্তন হচ্ছে অনেক কিছু। আমদের মাঝে মোবাইলে ছবি তোলার ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের দুর্দিন শুরু হচ্ছিল। কিন্তু ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা মেমোরি স্টিক/পেন ড্রাইভের ব্যবহারে তাদের ব্যবসায় পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে। সময় ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ফটোগ্রাফিতে ব্যবসায়ী ধরনের পরিবর্তন একটা চমৎকার সাফল্য।

Thursday, June 8, 2017

উপবৃত্তির টাকা সরকারী মোবাইল সিমে ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিতরণ একটি যুগান্তকারী প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম মূলত তথ্য নির্ভর ছিল। সবাই সকল তথ্য জানবে ও সরকারী কাজে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা বাড়বে। অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডিজিটাল কার্যক্রম চলছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করে। ২০১৬ সালে ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে ক্যাশ লেস আর্থিক লেনদেনের মধ্য দিয়ে। ভারতে অনেক ধরনের ভর্তুকি ও ঋণ এখন আর বিভিন্ন চ্যানেল অনুযায়ী দেয়া হয় না। ভর্তুকি বা সাবসিডি এখন সরাসরি কৃষক বা সুবিধা ভোগীদের নামে তাদের পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে খোলা একাউন্টে যায়। এতে প্রকৃত লোক টাকা পায়। দালাল ও সরকারী অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীর দুনীতি করার সুযোগ কমে গেছে।
ভারতের মধ্যবিত্তদের গ্যাস সাবসিডি দেয়া হত। ভারত কম মূল্যে সিলিন্ডার দেয়া বন্ধ করে সরকার ঘোষণা দিল বাজার থেকে নগদমূল্যে ক্রয় কর। সাবসিডি টাকা যার যার পরিচয় পত্রের নম্বর দিয়ে খোলা ব্যাংক ইন্ডিয়ার আধার একাউন্টে দেয়া হল। এতে দেখা গেল ৪০% সাবসিডি গ্রহণকারীর সংখ্যা কমে গেল। গ্যাস সাবসিডি নেয়া ৪০% লোকই নাই। এটা কিভাবে সম্ভব। সম্ভব, কারণ ভুয়া নাম দিয়ে সাবসিডির গ্যাস নেয়া হচ্ছিল।
বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মেয়েদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছিল। এগুলো নিয়ে অনেকের অভিযোগের অন্ত ছিল না। অনেক স্কুল ভুয়া ছাত্রী দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত। অনেক স্কুল উপবৃত্তি টাকা থেকে ঘুষ বাবদ খরচ হয়েছে সেই অজুহাতে ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা কেটে নিত। এটা একটা সিস্টেম লস কার্যক্রম চলছিল। অনেক আগে থেকে চ্যানেল অনুযায়ী উপবৃত্তির টাকা ভাগ বাটোয়ারা হত। তবে ভাগ বাটোয়ারা হওয়ার পরও এটা মেয়েদের শিক্ষার আগ্রহ বাড়িয়েছে। বাল্য বিবাহ রোধ করেছে। সার্বিক ভাবে মেয়েদের শিক্ষার হার ও মান বেড়েছে। এখন সরকারের আর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল স্কুল থেকে ঝড়ে পরা শিশুদের সংখ্যাটা কমানো। সরকার প্রাইমারী শিক্ষায় প্রায় দেড় কোটি শিশুকে বৃত্তি প্রদানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই বৃত্তির টাকা সরকার নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইল একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করার ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার প্রথমে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাইলট প্রোগ্রাম করেছে।
বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমটি বেছে নিয়েছে। রুপালী ব্যাংক সরকারী হলেও শিওর ক্যাশ বেসরকারি সহযোগী কোম্পানি। এদের সফটওয়্যার দেশে তৈরি। এদের সাথে বিদেশী সংস্থা আছে। তাই স্বচ্ছতা ও জবাব দিহীতার সাথে এরা কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে মনে হয়। সরকারী রুপালী ব্যাংক ২৪০০০ কোটি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে। দুর্বল সরকারী ব্যাংকটিকে সবল করার এটা একটি সেরা ব্যবস্থা। যেহেতু রুপালী ব্যাংক তাদের কার্যক্রম মোবাইল ব্যাংকিং প্লাট ফর্মে পরিচালনা করবে তাই তাদের দক্ষতা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।
এখন আসা যাক মোবাইল যোগাযোগের বিষয়ে। দেড় কোটি অভিভাবকের মোবাইল একাউন্টে টাকা যাবে। এককালীন টাকা, মাসিক টাকা, পরীক্ষার ফি এর টাকা ইত্যাদি নানাবিধ টাকা মিলিয়ে ২০০০ টাকার কাছাকাছি আসবে। দেড় কোটি শিওর ক্যাশ গ্রাহক তৈরি করতে হবে। আবার অনেকের মোবাইল নেই। এখানে টেলিটকের ২০ লাখ সিম বিনামূল্যে বিতরণ এবং প্রতি মাসে ২০ টাকার ফ্রি টক টাইম একটা বিশাল ব্রেক থ্রো বলা যায়। টেলিটক ৩৭ লাখ গ্রাহক নিয়ে ঢিমে তালে বেচে আছে। এখন ২০ লাখ যোগ হলে তা ৫৭ লাখ হবে। বিনা খরচে ২০ মিনিট ফ্রি টক টাইম ব্যবহারের জন্য অনেকেই এটা ব্যবহার করবে। আবার অনেক সময় আরও টাকা রির্চাজ করেও ব্যবহার করবে। আশার করা যায় এতে তাদের রেভিনিউ ধীরে ধীরে বাড়বে। সরকার নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ানোর জন্য গরীব মহিলাদের বিনামূল্যে মোবাইল দেয়ার ব্যবস্থা রাখছে। আমি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকার পরও টেলিটক নেটওয়ার্ক দীর্ঘ দিন যাবত করছি। তা করছি একটা মাত্র কারণে। তা হল। দেশের টাকা দেশে রাখার ইচ্ছার করনে। আমার কাছে মনে হয় সরকার তার সকল সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সিলিংসহ টেলিটকের মোবাইল গ্রাহক করা উচিত। এতে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোবাইল ব্যবহার বাবদ অন্য কোম্পানিকে যে খরচ দেয় সরকারের তা বেচে যেত। এতে সরকারী সংস্থা টেলিটকের অনেক উন্নতি হত। টেলিটক তাদের নেটওয়ার্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা একটা ভাল দিক। টেলিটকের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনও হতে পারে পৃথিবীর চরম আর্থিক মন্দা হল। গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক ও রবির মত বিদেশী কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলল। তখন আমাদের সরকারী মোবাইল ফোনটি আমাদের রক্ষা করবে। যেমন নানা ছুতায় বেসামরিক পরিবহন ধর্মঘট করে আমাদের দুর্দিন গুলোতে ঝিমিয়ে চলা রেলওয়ে দেশকে রক্ষা করে। তেমনি আমাদের ঝিমিয়ে পড়া সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা বিতরণ ও টেলিটকের মোবাইল সিম বিতরণ একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যাদের মাথা হতে আইডিয়াগুলো এসেছে তারা প্রশংসার দাবিদার।
বাংলাদেশের সকল শিশুকে স্কুলে আনতে সকল অভিভাবককে টাকা দেয়া এটা একটা ভাল ব্যবস্থা। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা দেয়া হলে জালিয়াতি কমবে। অনেক সময় উপবৃত্তির ১০০ টাকা নেয়ার জন্য ২০ টাকা যাতায়ত ভাড়া যায়। লাইন দিয়ে দিনের পুরো সময়টা নষ্ট হত। এখন মোবাইলে টাকা পাবে। পাঁচ মিনিট হেটে গ্রামের দোকানের মোবাইল এজেন্ট হতে টাকা তুলে নিলেই হবে। সময় ও টাকা দুটোই বেচে যাবে। মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিদিন ৪০০ হতে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এটা এখন একটা শক্তিশালী মাধ্যম।
রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশ একটা ভাল ব্যবস্থা করেছে। তা হল তারা একের পর এক ব্যাংক সিস্টেম তাদের সাথে জুড়ে দিচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে শিওর ক্যাশের ভাল গ্রোথ হবে। পরিশেষে তথ্যের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনে বাংলাদেশ ডিজিটাল হোক এটাই আমাদের আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।

২০১৭ সালের জুন মাসে এই লেখাটি অনেক ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে লিখছি। আমাদের দেশের সরকারী সংস্থাগুলো লস কার্যক্রম থেকে লাভজনক অবস্থান ফিরে আসলে দেশ আরও গতিশীল হবে আরও এগিয়ে যাবে।

Thursday, June 1, 2017

ভবিষ্যতে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হউক ডিজিটাল পেমেন্ট ও কয়েন

কাগজের টাকা নকল হয়। ধীরে ধীরে নষ্ট হয়। সে সমস্ত টাকা পুনরায় সংগ্রহ করতে হয়। নতুন টাকা সার্কুলেশনে দিতে হয়। অকেজো টাকা ধ্বংশ করতে হয়। অনেক অনেক খরচের ব্যাপার। টাকায় অনেক রোগ জীবাণু থাকে। টাকা দ্রুত নষ্ট হয়। নকল রোধে টাকাতে অনেক সেফটি ফিচার যোগ করতে হয়। টাকার নকল এড়ানোর জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হয়। নকল টাকা হাতে আসলেও তা ভয়ানক বিপদ। নিরপরাধ লোকের শাস্তি হতে পারে। নকল টাকা সনাক্ত সবাই করতে পারবে না। এটার জন্য ঞ্জান থাকতে হবে। অপর দিকে টাকার জন্য যে পরিমাণ ছাপা হবে তার সম পরিমাণ রিজার্ভ সোনা টাকার সমমূল্যের বিপরীতে মজুদ থাকবে।
আমরা পৃথিবীর অনেক দেশের মত ক্যাশলেছ হতে চাই। আমাদের টাকা লেনদেন হতে পারে মোবাইল ফোন, কার্ড, অনলাইন ও চেক ইত্যাদির মাধ্যমে। এ ধরনের ব্যবস্থা চালু হয়েই আছে। শুধু মাত্র আমাদের লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে হতে এবং এ ধরনের লেনদেন জনপ্রিয় করতে হবে। এতে ব্যাংকের নিরাপত্তা, টাকা পরিবহন ও ভোল্ট ইত্যাদির বিপুল খরচ মেনটেইন করতে হবে না। শুধু ডিজিটাল/ভার্চুয়াল টাকার বিপরীতে সম মূল্যের সোনা রিজার্ভ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মজুদ থাকবে। একটি দেশ শতকরা ৯৮/৯৯ ভাগ টাকা ডিজিটালী বা ভার্চুয়ালী লেনদেন করার ব্যবস্থা চালু করতে পারবে। বাকী শতকরা ১/২ ভাগ টাকা হতে পারে কয়েন বা ধাতব মুদ্রার বিনিময়ের মাধ্যমে। অন্ধদের জন্য ও বৃদ্ধদের ব্যবহারের জন্য কয়েন রাখা হবে। তবে কাগজের টাকা রাখা যাবে না। কারণ এই টাকা টেকসই নয়। কয়েন আবার এরূপ হবে না যে পাঁচ টাকার পরিমাণ ধাতু দিয়ে ১০০ টাকার মুদ্রা বানানো হবে। কয়েন এরূপ হতে হবে যাতে কয়েন ধাতুর মূল্য কয়েনের ছাপানো মূল্যের কম কিন্তু কাছাকাছি থাকবে। ১০০০ টাকা মুদ্রায় পিতলের উপর ১০০০ টাকা মূল্যের সমপরিমাণ বা অল্প কিছু কম স্বর্ণ থাকবে। ৫০০ টাকা মূল্যের কয়েনে ৫০০ টাকার সম পরিমাণ বা অল্প কিছু কম মূল্যের সোনা পিতলের উপর প্লেটিং করা থাকবে। ১০০ টাকার রোপার কয়েনে ১০০ টাকার রুপার এলুমিনিয়ামের উপর প্লেটিং থাকবে। আইডিয়াটা হল। যে মূল্যের কয়েন তার সমমূল্যের বা অল্প কিছু কম মূল্যের ধাতু এই কয়েনে থাকবে। কয়েনের ওজনই ধাতুর মূল্যের প্রায় সমপরিমাণ দামের হবে। এতে কয়েনের বিপরীতে রিজার্ভ সোনার প্রয়োজন হবে না। ধাতু পরীক্ষা করতে বিশেষঞ্জের প্রয়োজন হবে না। যে কোন স্বর্ণকার ধাতু পরীক্ষা করতে পারবে। দেশে সহজেই কয়েন ছাপানো যাবে এবং লো টেক যন্ত্রপাতি দ্বারাই তা সম্ভব। ১০০০ টাকার কয়েনে প্রায় ১০০০ টাকার সোনা থাকায় নকল হবে না। অন্য ধাতু দিয়ে নকল করলে স্থানীয়ভাবে তা ধরা যাবে। ধাতুর মূল্যমান অনুযায়ী কয়েনগুলো নিন্মবর্নিত হতে পারে:
ক। ১ ও ২ টাকার কয়েন এলুমিনিয়ামের হতে পারে।
খ। ৫ ও ১০ টাকার কয়েন তামার তৈরি হতে পারে।
গ। ২০ টাকার কয়েন পিতলের তৈরি হতে পারে।
ঘ। ৫০ ও ১০০ টাকার কয়েন এলুমিনিয়াম ও রুপার প্লেটিং এ তৈরি হতে পারে।
ঙ। ৫০০ ও ১০০০ টাকার কয়েন পিতল ও সোনার প্লেটিং এ তৈরি হবে।
উপরের দেয়া কয়েনে ধাতুর মূল্য কয়েনের মূল্যের কাছাকাছি থাকবে। তবে ধাতুর মূল মূল্য কয়েনের লেনদেন মূল্য হতে কম রাখতে হবে। অন্যথায় কয়েন গলিয়ে ধাতু আলাদা করার ব্যবসা চালু হয়ে যেতে পারে। টাকার মূল্যমান কমতে থাকলে ও কয়েনের ধাতুর মূল্য বাড়তে থাকলে মাঝে মাঝে কয়েনে ব্যবহৃত স্বর্ণ ও রুপার পরিমাণ কমবেশি করার প্রয়োজন হতে পারে। কয়েন চালু হলে একটা লাভ হবে তা হল কাগুজের টাকা হতে কয়েন বহন কষ্টকর ফলে সবাই ডিজিটাল মানি বা পেমেন্টে আগ্রহ পাবে।

আমার এই আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল বিষয় হল ডিজিটাল লেনদেন গতিশীল করা। আর যারা একান্তই ডিজিটাল লেনদেন পারবেন না তাদের বিকল্প কয়েন বা ধাতুর তৈরি মুদ্রা রাখার প্রস্তাব করলাম। অনেক অনেক টাকা খরচ করে কাগজের টাকা বাহির দেশ হতে আমাদের দেশ তৈরি করে। অথচ কয়েন নিজ দেশে সস্তা প্রযুক্তি ও কমদামী মজুরী দিয়ে তৈরি করা সম্ভব।

কয়েন আর ডিজিটাল মানি অনেক অনেক অপরাধ দূর করবে। কাগজের নকল টাকা ও জটিল রক্ষণ পদ্ধতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। লক্ষ লক্ষ এটিএম বুথ মেনটেইন করার খরচ কমে যাবে। কয়েন কাগজের টাকা হতে কমপক্ষে দশগুণ বেশীদিন ব্যবহার করা যাবে। কয়েন রিসাইক্যাল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যাবে। অল্প কিছু কয়েন নিয়ে প্রায় ৯৯% ডিজিটাল লেনদেনের অর্থ ব্যবস্থা কাগজের টাকার লেনদেন হতে অনেক বেশী ইফিশিয়ন্টে হবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে আমরাও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি।