Pages

Thursday, April 3, 2014

মোবাইল ডিভাইসে বাংলা টাইপ করা

আজ থেকে আনুমানিক দশ বছর আগে কোন একটি দৈনিক পত্রিকায় মজার বিষয় পড়েছিলাম।  ইউরোপের একজন সাংবাদিক ভদ্রলোক বাসা থেকে কর্মস্থলে যেতে প্রতিদিন যাওয়া ও আসায় সর্বমোট দুই ঘণ্টার বেশী সময় ব্যয় করতেন। তিনি তার এই দুই ঘণ্টা সময়ের একটা মজাদার ব্যবহার বের করলেন। তা হল মোবাইলের এসএমএস অপশনের মাধ্যমে ম্যাসেজ আকারে ইংরেজি আর্টিক্যালের অংশ বিশেষ টাইপ করে যেতেন। পরে তিনি সেসব এসএমএস মোবাইল থেকে কম্পিউটারে নিয়ে নিতেন আর এভাবে তিনি দিনের পর দিন মোবাইলের মাধ্যমে লিখে যেতেন।
এভাবে এসএমএস আকারে টাইপ করে করে তিনি কয়েকটি বই লিখতে সমর্থ হন। আমি এটা পড়ার পর বেশ মজা পেয়েছিলাম। এ পদ্ধতি তখন আমি অহরহ ব্যবহার করা শুরু করেছিলাম। আমার মত অনেকে হয়তবা এটির ব্যবহার করেন। হয়তবা আপনি কোন স্থানে যাচ্ছেন বা কোথাও কারো সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছেন। তখন বসে বসে নানা ইংরেজি চিঠিপত্রাদির ড্রাফট তৈরি করে নেয়া সম্ভব। পরে আপনার মোবাইল থেকে সেসব ড্রাফট ব্লটুথের মাধ্যমে ল্যাপটপে পার করতে পারেন। অথবা ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে নিতে পারেন। আর একান্তই কোনভাবে পার করতে না পারলে আপনার সহযোগীর মোবাইলে আপনার তৈরিকৃত ড্রাফটগুলি এসএমএস আকারে ফরওয়ার্ড করে নিন। ফরোয়ার্ড কৃত ম্যাসেজ আপনার সহযোগীকে বলুন টাইপ করে প্রিন্ট আউট নিয়ে বা সফট কপি আপনার কারেকশনের জন্য দিতে। আপনি হয়তবা কাছে নেই আপনার সহকারী জানাল, কোন বিষয়ে জরুরী মতামত দিতে। তখন সহকারীর কাছ থেকে বিষয় শুনে নিয়ে আপনি উত্তরটি বলে দিলেন। আর চিঠিটি যদি ইংরেজিতে হয় আর চিঠির উত্তর যদি বেশী বড় না হয় তবে আপনি এসএমএস করে উত্তর পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আপনার সহকারী এসএমএস দেখে চিঠির উত্তর তৈরি করে নিতে পারবেন। বর্তমানে ড্রপ বক্স ও অন্যান্য অনলাইন ড্রাইভ শেয়ার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থেকেও অনলাইনে ফাইল শেয়ার করা সম্ভব। মূলত: অনলাইন ফাইল শেয়ারিং এখন আর কাউকে অফিসের কাজে অফিসে থাকার প্রয়োজন পরছে না। যে কোন স্থানে বসেই আপনার সহকারীর তৈরি করা ড্রাফট দেখে দিতে পারেন বা অনুমোদন দিতে পারেন।
এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম দিন দিন বেশ উন্নত পর্যায়ে গেছে এখন প্রায় সব ধরনের কাজের জন্য অ্যাপস পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশের ডেভলাপাররা বর্তমানে অ্যাপস তৈরিতে অনেক বেশী কার্যকরী ভূমিকা রাখছেন  বাংলা টাইপিং এর জন্য অনেক ধরনের অ্যাপস তৈরি হচ্ছে।
          আমি যাতায়তের পথে এসএমএস কম্পোজ করার মাধ্যমে বই লেখার আইডিয়াতে বেশ পুলকিত হলাম।আমি যেহেতু বাংলায় লিখতে চাই এবং সব সময় সবস্থানে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যায় না, সেহেতু ট্যাবলেট পিসির মাধ্যমে করা যায় কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে লাগলাম। এর জন্য ৭.৫ ইঞ্চি একটা চাইনিজ এ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট পিসি কিনে নিলাম। পরবর্তীতে বিভিন্ন এ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করে আমি বাংলায়  টাইপের পরীক্ষা শুরু করলাম। টাচ স্ক্রিনে বাংলায় টাইপ করার সফট ওয়্যার পেলাম। কিন্তু সমস্যা একটা রয়ে গেল তা হল কীবোর্ডের মত টাচ স্ক্রিনে তাড়াতাড়ি টাইপ করা যায় না। তাড়াতাড়ি টাইপ করার জন্য কী বোর্ড সুবিধাজনক।তবে বর্তমান টাচ স্ক্রিনের প্রজন্ম হয়তবা টাচ স্ক্রিনের কী-বোর্ড থেকে তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারবে। তবে এটা কেবলমাত্র আমার ধারনা। কারণ শুরুতে যে টাচ স্ক্রীনে ব্যবহার শুরু করেছে সে নিশ্চয়ই আমরা যারা টাচ স্ক্রিনে অভ্যস্ত নই তাদের থেকে তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারবে।
          সুখবর হল, যারা বিজয় কীবোর্ড বা ফনেটিকের মাধ্যমে টাইপ করতে পারেন তাদের জন্য মোবাইল ডিভাইস এ্যান্ড্রয়েডে টাইপ করা এখন আর কোন সমস্যা নয়। চীনের তৈরি ট্যাবলেট পিসি বা ট্যাব গুলোর সাথে বিজয় কীবোর্ড সংযোগ করে খুব সহজেই আমরা বাংলা টাইপ করতে পারব। আর টাচ স্ক্রিনের অপসনতো থাকলোই।

 শুরুতে ইউরোপের যে গল্প বলেছিলাম সে ব্যক্তির মত মোবাইল ডিভাইসে আমরাও বই লিখতে পারি রাস্তাঘাটে আমাদের অলস সময়গুলো অবহেলায় ব্যয় না করে নিজের সৃজনশীলতা  উৎপাদনশীলতায় তা মহামূল্যবান করে তুলতে পারব সময়ের যথাযথ ব্যবহারে কল্যাণ রয়েছে, নিজের  দেশের সকলের

No comments:

Post a Comment