সারা পৃথিবীর প্রকাশনা শিল্পে
অনলাইন প্রকাশনার এক চমৎকার প্রভাব পড়েছে। অনলাইন প্রকাশনা বর্তমানে বই
পাবলিকেশনের জন্য মাইল স্টোন স্থাপন করেছে। বই প্রকাশনা কোন কালে এত সহজ ছিল না।
যা গত দুই দশকে হয়েছে। আমাজন, ফ্লিককার্ড ইত্যাদির
মত অনলাইন প্রকাশনাগুলি প্রকাশনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এখন অনলাইন বই প্রকাশ
করা যাচ্ছে মূহুর্তের মধ্যে। আধুনিককালে বইকে চার ভাবে পাবলিশ করা যায়:
১। ট্র্যাডিশনাল পাবলিকেশন।
২। পিওডি বা প্রিন্ট অন ডিমান্ড।
৩। ই-বুক প্রকাশনা।
৪। অডিও বুক প্রকাশনা।
বই নিয়ে ড্রইংরুম আলোচনায় আমার
একজন বন্ধু বলল, আমার বই লেখার খুব শখ। আমি
"ইন্টেলেকচুয়াল গ্লামারাস" হতে চাই। আমি বন্ধুকে বললাম, কে তোমাকে আটকিয়ে রেখেছে। সে বলল, আমি টাইপ জানি
না। আমি কাগজ কলম নিয়ে লিখে তারপর কাউকে দিয়ে টাইপ করাব এই ধৈর্যটা পাচ্ছি না। আমি তাকে বললাম, লেখালেখিটা একটা একাকী প্রফেশন। এটা বুদ হয়ে ভাল লাগার মাঝে কাজটা করতে হয়।
তখন সে বলল, এটাকে একাকী থেকে পার্টিসিপেটারী করা যায় না? কেই আমাকে টাইপ করে দিবে।
বললাম, তাহলে টাইপিস্ট ভাড়া কর।
সে আরো বলল, আচ্ছা এমন কি করা যায়। আমি। রেকর্ড করে দিব। কেউ আমাকে টাইপ করে দিবে। পরে
আমি টাইপের লেখাটা ঠিক ঠাক করে দিব।
আমি বললাম, উত্তম প্রস্তাব। এটা অন্য দেশে অহরহ হচ্ছে। সেলিব্রোটিদের বই এভাবে প্রকাশ হয়।
তাদের কথা অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা হয়। তা থেকে গ্রন্থকাররা লিখে ফেলেন। পরে
সম্পাদকরা সম্পাদনা করে ভাষা ও শব্দ ঠিক করেন। অত:পর সেলিব্রেটি রাইটারকে বইটি পড়া
ও অনুমোদনের জন্য দেয়া হয়। এটা চালু করা কোন বিষয় নয়। ব্যবস্থাও আমদের দেশে আছে।
আমাদের দেশে পেমেন্টে এই ধরনের কার্যক্রম থাকতে পারে। অনেক পাবলিশার তা করতে
পারেন। তারা সেলিব্রেটিদের সাথে কথা বলে তার অনুক্ত কথা লিখে সেলিব্রেটির জন্য বই
বের করতে পারেন। এর একটা ভাল ব্যবসায়িক দিক আছে। এতে প্রকাশকরা অনেক বেশী লাভবান
হবেন। সেলিব্রেটিদের বইয়ের কাটতি হতে সময় লাগে না।
এখন আসি সারা পৃথিবীর বই প্রকাশনার
বাস্তবতা নিয়ে। আমেরিকাতে প্রতি বছর ৩ লক্ষ বই প্রকাশিত হয়। সেখানকার জনসংখ্যা আমাদের প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ আমাদের
জনসংখ্যা তাদের অর্ধেক। ওদের ৩২ কোটির বেশী আর আমাদের ১৬ কোটির বেশী। তাই
আমাদের দেশে সেই হিসাবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার বই বের হওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পুরাতন
মিলিয়ে আমাদের দেশে বড় জোড় ৮,০০০ হতে ১০,০০০ বই প্রকাশিত হয়। কারণ একুশে বই
মেলায় গড়ে পাঁচ ও ছয় হাজার বই বের হচ্ছে।
নিকট ভবিষ্যৎ এ দশ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আগামী দিনগুলোতে আরো বাড়বে। উন্নত দেশে
হিসাবে এটা নগণ্য। আমেরিকা ও ব্রিটেনে বিপুল বই প্রকাশিত হয় বলে এদের বইয়ের
পাবলিশিং বিশাল বড় শিল্প হিসাবে দাঁড়িয়েছে। তাদের পাবলিশিং কার্যক্রমের কিছু
নমুনা হল:
১। সেলফ পাবলিশিং
২। রাইটার্স মেনটর। এরা লেখককে
লেখালেখির উপর লেখককে ক্রমাগত অনুপ্রেরণা দেয়।
৩। অন লাইন রাইটিং কোচ। আপনি লিখে
লিখে ম্যাসেজ আকারে দিবেন। সেই অনলাইন
কোচ আপনার লেখা ঠিক করে আপনাকে ফেরত দিবে।
৪। লেখক কোচ বা গাইড আপনার লেখা
আলোচনা করে টাইপ করে আপনার সাথে কাজ করবে।
৫। লেখা রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিবেন
লেখার হরফে টেক্সট করে ও সম্পাদনা করে আপনাকে দিবে।
৬। লেখা সম্পাদনা করে দেয়া।
৭। প্রুফ রিডিং করা।
৮। বই প্রিন্ট করে দেয়া।
৯। বই সার্কুলেশন ও বিতরণ করা।
১০। বই মার্কেটিং করা।
১১। ইউটিউব প্রমোশন করা।
১২। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে
বইয়ের কাটতি বাড়ানো।
১৩। বুক রিভিউ তৈরি।
এভাবে অনেক ধরনের অনেক অনেক সংস্থা
আমেরিকা বা উন্নত দেশগুলোতে আছে। আমাদের দেশে যেদিন প্রতি বছর অর্ধ লক্ষ বই
প্রকাশ পাবে। সেদিন আমাদের দেশেও বই
প্রকাশনায় নিত্য নতুন খাত উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষার হার বাড়তির দিকে। এক
সময় শিক্ষার হার যখন শত ভাগের দিকে এগুবে সেদিন আজকের সংখ্যা থেকে অনেক গুন পাঠক
বেড়ে যাবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে লেখক বাড়বে। এভাবেই প্রকাশনা শিল্পের উন্নতি
ঘটবে।
hello sir, plz visit my writer blog.
ReplyDeletemy blog name - kolombuzz
blog link - kolombuzz.blogspot.com
my blog is a small blog. plz visit my blog.
ok
than k u -