Pages

Friday, April 10, 2015

পাইলট প্রজেক্ট: বিজিবি ইউনিটের তথ্য প্রবাহ গতিশীল করা ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে অনলাইন রিপোটিং সিস্টেম

সূচনা

১. বিজিবির একটি অপারেশন বাহিনী। এ বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কোন না কোনভাবে অপারেশনের সাথে জড়িত। ২৪ ঘণ্টা চলছে বাহিনীর কর্মকাণ্ড। বিজিবির প্রতিটি ইউনিট / সেক্টর /রিজিয়ন সমূহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চলমান তা হলো রিপোটিং। বর্ডার ও চোরাচালান সংক্রান্ত বিষয়গুলির ও ঘটনার কোন রিপোর্ট  প্রেরণের কোন সময় ও মাধ্যম সুনির্দিষ্ট নেই। যখনই ঘটবে সাথে সাথে চ্যানেল অনুযায়ী রিপোটিং চলতে থাকে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমাদের রয়েছে অনেক দ্রুত মাধ্যম। অনলাইন রিপোটিং হবে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিজিবি ইউনিটের অফিস স্টাফরা একটি মাত্র রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করে তার থেকে এসএমএস, ভাইবার, কাগজের চিঠি ও ফ্যাক্স ইত্যাদি যে কোন কাজ স্বল্প সময়ে ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারবে। সমস্ত প্রজেক্ট পেপারে আইডিয়াটাটি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে যাতে প্রযুক্তির সাথে চলমান যে কেউ সহজে বাস্তবায়ন করতে পারেন বা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

উদ্দেশ্য

২. এই প্রজেক্ট পেপারে উদ্দেশ্য হল ইন্টারনেটের অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে বিজিবি ইউনিটের তথ্য প্রবাহ গতিশীল করা ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে অনলাইন রিপোটিং সিস্টেমের পাইলট প্রজেক্ট করা।

প্রাথমিক ধারনা

৩. বিজিবির  প্রথমে কোন রিপোটিং শুরু হয় মোবাইল/ফোনে। অতঃপর ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে এসএমএস রিপোটিং, ভাইবার রিপোটিং, ফ্যাক্স প্রেরণ, ইমেইল প্রেরণ, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও অফিসিয়াল পত্রালাপ ইত্যাদি। সমস্ত  গুলি যদি আমরা সময় বিচার করি তবে তার বিন্যাস হবে নিম্নরূপ:
ক।       একটা রিপোর্টিং এর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে অধীনস্থদের সাথে আলোচনা, মোবাইলে কথা বলা ও তথ্য সংগ্রহ: ০১ ঘণ্টা।
          খ।       এসএমএস প্রস্তুতি প্রেরণ: ১৫/৩০ মিনিট।
          গ।       ভাইবারে তথ্য প্রেরণ: ১৫ মিনিট।
          ঘ।       করণিকদের লিখিত রিপোট প্রস্তুতি: ০১ ঘণ্টা।
          ঙ।       কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষর ও অনুমোদন: ১৫ মিনিট।
          চ।       ফ্যাক্সে প্রেরণ/ডিসপ্যাস রেজিষ্টারে ইন/আউট: ১৫ মিনিট।

৪. তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, কোন গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট কর্মকর্তার এক থেকে দেড় ঘণ্টা ব্যয় হয় আর করণিকদের মাধ্যমে আরো ১ থেকে দেড় ঘণ্টার সময় প্রয়োজন হয়। এরূপ সমস্ত কাজগুলির একটা কমন বা নির্দিষ্ট মাধ্যমে নিয়ে করলে তা যে কোন মাধ্যমে(ফ্যাক্স বা মোবাইল মেসেজ) দ্রুততার সাথে সকলকে প্রেরণ করা যাবে। তাই অনেকগুলি কাজকে একটি একক কাজে রূপান্তর করে রিপোর্টিং এর সময় ও গতিশীলতা বাড়ানো যাবে। যে কোন তথ্য পেলে স্টাফ অফিসার তথ্য ও ছবি দিয়ে তার পোষ্ট/ইমেইল রেডি করবে। পোষ্ট প্রস্তুত হলে তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ইমেইল/এসএমএস/মোবাইলে কথা বলে প্রয়োজনীয় সংশোধনী নিয়ে অনলাইনে প্রকাশ করবে। এখন অনলাইনে প্রকাশিত তথ্য থেকে কপি করে তথ্যাদি এসএমএস, ভাইবার, ওয়েব সাইটে প্রদর্শন, ওয়েব থেকে কাগজে প্রিন্ট আউট ও ফ্যাক্স ইত্যাদি যে কোন সংস্করণে প্রেরণ করা যাবে। এমনকি অনলাইন পোষ্ট মোবাইলে খুলে টেক্সট কপি ও পোষ্ট করে যে কাউকে ভাইবার বা এসএমএস এ পাঠিয়ে দিলেই চলবে। এর জন্য আমরা বেছে নিতে পারি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইন প্রকাশনা। যদি কেউ লগ অন্য করে তথ্যের প্রাপক ও গ্রাহক সীমিত করতে চান তাও সম্ভব।

৫. প্রযুক্তির এ যুগে আমরা আমাদের রিপোর্টিংগুলো যেগুলো সাংবাদিকদের বিতরণ করার মত বিষয় সে সমস্ত বিষয়গুলো উন্মুক্ত চ্যানেলে চালু করে তা অত্যন্ত গতিশীল করতে পারি। এখনকার সময়ে সাংবাদিকদের তথ্য প্রদানের প্রয়োজনে প্রায় সকল ইউনিটে ইমেইল প্রেরণ করার মত দক্ষ করণিক বা আইসিটি দক্ষ সৈনিক তৈরি হয়েছে। তারা যে ভাবে প্রেস ব্রিফিং ইমেইলে সাংবাদিকদের প্রদান করে একইভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ইমেইল করে দিবে। এতেই ইমেইলের তথ্যগুলো অনলাইন পেইজে পাবলিশ হবে। তখন সেই তথ্য সাংবাদিকরা ব্যাটালিয়নের অনলাইন তথ্য ভাণ্ডার থেকে সংগ্রহ করে নিবে। আর কর্মকর্তারা তাদের যেকোনো অবস্থায় রিপোর্টিংগুলোর উপর লক্ষ্য রাখতে পারবে। তার জন্য অফিসের বাইরে থাকলেও  মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন রিপোর্টিং এর তথ্যাদি জানা ও শেয়ার করতে পারবেন।

৬.       অনলাইনে বিজিবি’র নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি দেয়া যেতে পারে:
          ক।       চোরাচালান অভিযানের খবর।
          খ।       করিডোর ট্যাক্স আদায়ের প্রতিবেদন।
          গ।       অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ডিউটির বিবরণ।
          ঘ।       ফ্ল্যাগ মিটিং সংক্রান্ত তথ্যাদি।
          ঙ।       আইসিপি’র গমনাগমন তথ্যাদি।
          চ।       ভারতীয়/বাংলাদেশী মৈত্রী ট্রেন চলাচল প্রতিবেদন।
          ছ।       সীমান্ত হতাহতের প্রতিবেদন।
          জ।       অস্ত্র আটকের প্রতিবেদন।
          ঝ।       সীমান্তের ৮ কি: মি: এর মধ্যে ঘটনার প্রতিবেদন(শুধুমাত্র সাংবাদিকদের প্রকাশ করার মত ইতিবাচক ঘটনা)।

৭. বর্তমানে সীমান্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন গুলি প্রতিটি ইউনিট ধারাবাহিকভাবে সরাসরি বিজিবি সদর দপ্তরে প্রেরণ করে আসছে। সেক্টর সদর দপ্তর ও রিজিয়ন সদর দপ্তর অবগতি পাচ্ছে। এখন সীমান্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন গুলি শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব সাইটে অনলাইনে প্রকাশ করবে। সেখান থেকে রিপোর্টগুলি অতিদ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নোটিশে চলে আসবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওয়েব সাইটে নির্দিষ্ট ইউনিটের তথ্যগুলি স্টাফ/কমান্ড চ্যানেলের নির্ভরশীলতা ব্যতিরেকে সরাসরি মনিটর করতে পারবে। এতে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে অনেক বেশী তথ্য-নির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী থাকবেন।

৮.       ইউনিট সমূহ অনলাইনে তথ্যগুলি সরাসরি অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে সেক্টর ইমেইলে নোটিফিকেশন পাবে। কারণ প্রতিটি সাইট থেকেই অনলাইন নোটিফিকেশন সম্ভব। এছাড়া কোন রিপোর্ট কখন ইউনিট প্রকাশ করবে সেটা টাইম সিন্ক্রোনাইজ করে নেয়া যেতে পারে। ব্যাটালিয়নের তথ্যগুলি গুরুত্ব ও অন্যান্য বিবেচনায় সেক্টর সাইটে সমস্ত ব্যাটালিয়নের তথ্যগুলি একত্র করে সামারী আকারে প্রেরণ করবে। সমস্ত সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সমস্ত সামারী দিয়ে সেক্টর নিজস্ব ওয়েব সাইটে পোষ্ট দিবে। রিজিয়ন সদর দপ্তর তার অধীনস্থ সমস্ত সেক্টরের তথ্য নিয়ে রিজিয়নের ওয়েব সাইট আপডেট করবে। সবশেষে বিজিবি সদর দপ্তর চারটি রিজিয়নের ওয়েব সাইট থেকে সমস্ত তথ্যাদি সারাংশ আকারে পেয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি হবে সাশ্রয়ী ও দ্রুততম সময়ে।

তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়:

৯. অনলাইনে বিজিবি ও দেশের প্রশাসনের উপর নেতিবাচক কোন তথ্য দেয়া হবে না। নেতিবাচক তথ্যাদি স্বাভাবিক চ্যানেল অব কমান্ডে লিখিতভাবে পরিচালিত হবে। সম্পূর্ণ বিষয়টির উপর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারেন যারা আইটিতে স্বাচ্ছন্দ্য নন বা  পছন্দ করেন না। অধিক পরিমাণ কাগজ ব্যবহার না করে এ পদ্ধতিতে দ্রুত তথ্য প্রবাহ করা যাবে। আমরা যারা তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা এ বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকতে পারি। তারা যে সমস্ত বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে থাকবেন সে সমস্ত তথ্য অবশ্যই লিখিত, স্বাক্ষরিত ও ফ্যাক্স/ডাক/ডিআর এর মাধ্যমে প্রেরণ করবেন। আর যে সমস্ত তথ্য সাংবাদিকদের জানলে সমস্যা নেই সে সমস্ত তথ্য অনলাইনে নির্বিঘ্নে প্রবাহিত করা যাবে। সাংবাদিকদের দেয়ার মত তথ্যগুলো যদি আমরা উন্মুক্ত প্রবাহে দেই তাতেও আমাদের অপারেশন শাখার ৮০ শতাংশ পত্রালাপ, কাগজের ব্যবহার, ফ্যাক্স প্রেরণের খরচ, কম্পিউটার বিদ্যুৎ খরচ ও প্রিন্টারের কালির ব্যবহার কমে যাবে। সর্বোপরি তথ্য প্রবাহ অনেক গতিশীল হবে। অনেকে যারা অনলাইনে তথ্য দেখতে পছন্দ করবেন না, বা কম্পিউটার/মোবাইল স্ক্রিনে তথ্য পড়তে চোখের সমস্যা তাদের জন্য অনলাইনের তথ্যগুলি প্রিন্ট আউট নিয়ে পড়ার ও ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। আজকাল কর্মকর্তারা অধিকাংশ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারেন। দামী ও স্মার্ট ফোনের সকল ফিচার ব্যবহার না করলেও এটা এখন স্ট্যাটাস সিম্বল তাই অধিকাংশ কর্মকর্তা এগুলো ব্যবহার করেন। তারা সমস্ত তথ্যাদি স্মার্ট-ফোন হতে দেখতে পারবেন। ফলে অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম চালু করতে নতুন ডিভাইস ক্রয় বা বরাদ্ধের প্রয়োজন হবে না।

পাইলট /পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট

১০. কুষ্টিয়া সেক্টর গত ০৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সেক্টর কমান্ডারের(কর্নেল জাভেদ সুলতান) অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষামূলক ভাবে তিনটি অনলাইন সাইট খুলে। তিনটি সাইট গুলো হল ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন(cdnbn.blogspot.com), ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন(kstbn.blogspot.com) ও (kstsec.blogspot.com)সেক্টর সদরের ওয়েব সাইট। দুইটি ব্যাটালিয়ন তাদের দুইটি সাইটে প্রতিবেদন আকারে দুপুর ১২ টায় ও বিকাল ৫টায় প্রকাশ করবে। উক্ত প্রতিবেদন থেকে সেক্টরের অপারেশন করণিকরা সামারী আকারে ১৪০০ ঘটিকায় ও ১৮০০ ঘটিকায় রিজিয়ন সদরে প্রদানের জন্য তাদের রিপোর্ট রেডি করবে এবং একই রিপোর্ট থেকে সেক্টরের রিপোর্টের সামারী তৈরি করবে। যদি পরবর্তীতে রিজিয়ন সদর দপ্তর অনলাইন রিপোর্টিং যোগ দেয় তবে তাদের রিপোর্ট একইভাবে দুই সেক্টরের অনলাইন রিপোর্ট হতে সামারী নিয়ে কপি ও পেস্ট করে চালু করবে। বর্তমানে কুষ্টিয়া সেক্টরের অনলাইন রিপোটিং এর পাইলট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় দুই ব্যাটালিয়নের দুই ক্লার্ক, সেক্টর সদরের সিটি ও জি ক্লার্ক কাজ করছে। তাদের সকলের বিশেষত্ব হল তারা ইমেইল ব্যবহার করতে পারে এবং ওয়েব সাইট ব্রাউজ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, এই প্রজেক্ট কিভাবে অন্যদের জন্য বাস্তবায়ন করা যাবে। প্রথমে কুষ্টিয়া সেক্টরের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি ওয়েব সাইট বা যে কোন বিজিবি/ বেসামরিক দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা ব্যাটালিয়ন/সেক্টর/রিজিয়নের জন্য ফ্রি/পেমেন্ট কয়েকটা অনলাইন সাইট তৈরি করে নিলেই চলবে। আর অপারেশন ক্লার্কদের কাজ হবে কর্মকর্তার নিদেশ অনুযায়ী অনলাইন রিপোর্ট বা নিউজগুলো নির্দিষ্ট সাইটে পোস্ট দেয়া। আর এতেই তৈরি হবে অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম। বর্তমানে কুষ্টিয়া সেক্টর বিনে পয়সায় ফ্রি ব্লগ-স্পটে তিনটি সাইট চালু করেছে। যদি এটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য হয় তবে ভবিষ্যতে টাকা খরচ করে হোস্টিং স্পেস বা ডোমেইন ক্রয় করা ফেতে পারে। এতে লাভ কি হতে পারে? কিছু টাকা খরচ এবং নিজস্ব নামে সাইট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আর কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না। তবে পাইলট প্রজেক্ট শেষ হলে বিশেষজ্ঞ দ্বারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ করে টাকা খরচ করা যেতে পারে। আপাতত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অনুশীলন করার জন্য কোন টাকা খরচ বা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। ফ্রি সাইটের মাধ্যমে করলেই চলবে। তিনটি ওয়েব সাইটের ছবি নীচে দেয়া হল।


ওয়েব সাইট কম্পিউটারে বা মোবাইলে দেখা
১১. অনলাইন রিপোর্টিং এর সবচেয়ে শক্তিশালী বিষয়টা হল সমস্ত রিপোর্টগুলি স্মার্ট-ফোনে দেখা সম্ভব। স্মার্ট-ফোন বর্তমানে ৩/৪ হাজারে ক্রয় করা সম্ভব। এই ফোনগুলি ইন্টারনেটে যে কোন ডাটা প্যাকেজ নিয়ে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে তেমন বেশী খরচ হবে না। অন্য একটি ব্যবস্থা হল অনেক স্থানে ওয়াই ফাই আছে সে সমস্ত স্থানে ব্যবহার করা যাবে। কর্মকর্তারা তাদের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সবসময় আপডেট রিপোর্ট পাবেন। নীচের ছবিতে কম্পিউটার ও মোবাইলে কুষ্টিয়া সেক্টরের ওয়েব সাইটি কেমন দেখাবে তা দেয়া হল।


অনলাইন রিপোর্টিং কিভাবে হবে
১২.  অনলাইন রিপোর্টিং পাইলট প্রজেক্টে যেভাবে শুরু করা হয়েছে তা একটা ফ্লো চার্টের মাধ্যমে উদাহরণ হিসাবে দেখানো হল। অপারেশন করণিক/সহকারী ইউনিট গুলোর প্রতিবেদন দেখে সম্পূর্ণ সেক্টরের সামারী তৈরি করে সেক্টরের স্বীয় ওয়েবে দিবে। অধীনস্থ সকল সেক্টরের ওয়েব সাইট থেকে তথ্য নিয়ে রিজিয়ন তার সারাংশ তৈরি করে স্বীয় ওয়েব সাইটে দিবে। চারটি রিজিয়ন সদরের ওয়েব সাইট থেকে তথ্য নিয়ে বিজিবি সদর দপ্তর তাদের তথ্য বোর্ড ও ওয়েব সাইট আপডেট করবে।




অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেমের ভাল দিক সমূহ

১৩. অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম আমাদের কি কি উপকার করতে পারবে অর্থাৎ ভাল দিকগুলো নিচে তালিকাভুক্ত করা হল:
ক। কাগজ ও কালির ব্যবহার ও খরচ কমিয়ে “পেপার রিডাকশন/পেপার লেস অফিস সিস্টেম” অগ্রযাত্রার সূচনা ঘটবে।
খ। একবার সিস্টেমটি আয়ত্তে আসলে পেপার অফিস থেকে পেপার রিডাকশন অফিস সিস্টেম অধিক গতিশীল হবে।
গ। কর্মকর্তারা তথ্য নির্ভর বিষয়ে আরো বেশী উপকৃত হবেন।
ঘ। সাংবাদিকরা অনেক তথ্য প্রবাহে থাকতে পারার কারণে সংবাদ সংগ্রহে তারা অনেক বেশী গতি পাবে ও নির্ভূল সংবাদ পাবে। ইমেইল খোলা ও কপি করার অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
ঙ। যেহেতু সমস্ত তথ্য ওয়েব সাইটে প্রদর্শিত থাকবে সেহেতু সাংবাদিকদের তথ্য না পাওয়ার মত অবস্থা থাকবে না।
চ। বিজিবি কর্মকাণ্ড অনেক বেশী সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশিত হওয়ার কারণে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত আরো জোরদার হবে।
ছ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এসএমএস ও ভাইবারের ম্যাসেজ পাঠানো সহজ হবে । শুধুমাত্র মোবাইলে ওয়েব সাইট খুলে কপি পেস্ট করলেই হবে। একইভাবে ভাইবারে ছবি শেয়ারও সহজ হবে।

অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম বাস্তবায়নে সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেন্জ্ঞ গুলো কি কি হতে পারে

১৪. নিরাপত্তা বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া কিছু সীমাবদ্ধতা নিচে দেয়া হল।
ক। কিছু সংখ্যক করণিকদের বা সহকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার ও ইমেইল প্রেরণের উপর প্রশিক্ষিত করতে হবে।
খ। যদি বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানে ইন্টারনেট মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু যেখানে ইন্টারনেট মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় সেসমস্ত স্থানে ওয়েব সাইটে ছবি আপলোড করতে সমস্যা হতে পারে তবে তথ্য আপলোড করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
গ। কোন কোন স্থানে ব্রড ব্যান্ডে সমস্যা হতে পারে সেক্ষেত্রে মোডেমের মাধ্যমে তথ্য আপলোড করা যেতে পারে। যদি ছবি আপলোড করা না যায় তবে বি:দ্র: দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় ছবি দেয়া হল না। পরবর্তীতে ছবি আপলোড করা হবে।

উপসংহার


১৫.  সারা পৃথিবীতে তথ্য প্রবাহের সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য পৃথিবীব্যাপী অনেক অনেক বিনিয়োগ ও তৎপরতা চলছে। তবে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মত শক্তিশালী মাধ্যম আর দ্বিতীয়টি নেই। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন যাবত আইটি মাধ্যমে সুশাসনের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র সে সমস্ত পদক্ষেপের বাস্তবরূপ। বিজিবি অনেক বিষয়ে নিজেদের সাফল্য সংবাদ মাধ্যমের সাথে শেয়ার করতে হয়। তাই বিজিবি স্থানীয় সাংবাদিক ও স্থানীয় জনগণকে নিজেদের সাফল্য শেয়ার করে একটা সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে যা কিনা বর্ডার সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে আনবে। অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম নিঃসন্দেহে বিজিবি অপারেশন গতিশীল করবে। অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে ছোট ছোট চ্যালেন্জ্ঞগুলো সমাধান করে যথেষ্ট শক্তিশালী তথ্য প্রবাহের মাধ্যম বা ধারার সূচনা করা যায়। এতে বিজিবির সৈনিক  থেকে শুরু করে সকলেই উপকৃত হবে।

No comments:

Post a Comment