২০১৪ সালে আমি
কুষ্টিয়া শহরের পৌরসভার এক ইফতার পার্টিতে দাওয়াত পাই। ইফতারের পর তাদের নামাজের
ব্যবস্থা না থাকায় নিকটস্থ পুলিশ লাইন মসজিদে যাই। মসজিদে লোক সমাগম তেমন হয়নি।
আমি এবং আরেকজন অফিসার সামনে যেতেই ইমাম বললেন, দুইটি বিছানো জায়নামাজের জায়গায়
যেন না দাড়াই। এসপি ও এডিশনাল এসপি এর জন্য রিজার্ভ। পরে অবশ্য দুই কর্মকর্তার কেউ আসেনি। মজার ব্যাপার হল সেই
ইমাম জায়নামাজ দুইটি তুলে নেয়। কারণ হয়তবা অন্য কেহ সেই স্পেশাল জায়নামাজগুলো ময়লা
না করে। জায়নামাজ তুলে রিজার্ভ স্থান ছেড়ে দেয় আম জনতার জন্য। পুলিশের মসজিদে এ
ধরনের রিজার্ভ খটকা লাগলেও আমাদের সেনা বাহিনীর মসজিদ প্রটোকল আরো মজাদার। সেনা
মসজিদে আগে রীতিমত কার্পেট দিয়ে ওয়াকওয়ে তৈরি করে রাখা হত। জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা না
আসা পর্যন্ত আম জনতা মাঝের রাস্তার কার্পেটে বসার অনুমতি ছিল না। সামনে রিজার্ভ স্থান রাখা থাকত। মজার বিষয় হল মসজিদের জায়গা ইয়ার্কমার্ক
রাখাটা সেনাবাহিনীর বাইরেও বেশ চালু আছে । কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের মসজিদে দেখলাম
ডিসি ও এডিসিদের জন্য জায়গা নির্ধারিত। আলাদা জায়নামাজ। ইমাম স্থানগুলি সংরক্ষণ
করেন। তারা না আসলেই কেবল অন্যরা বসতে পারেন। একটা ব্যক্তি মালিকানাধীন মসজিদে
দেখলাম মালিকের জন্য মসজিদে স্থান নির্ধারিত। আমার ক্যাডেট কলেজে পড়াকালীন দেখতাম
অধ্যক্ষের জন্য স্থান নির্ধারিত। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে দেখলাম অধ্যক্ষের জন্য
স্থান নির্ধারিত। মসজিদ প্রটোকলে নিয়োজিত নিযুক্তি ধারী ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি করে নামাজ
শেষ করে “সী অফ” করার জন্য প্রস্তুত থাকে। অনেকে আবার মসজিদে “রিসিভ” করার জন্য
বেশ সময় ধরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে থাকেন।
মসজিদ প্রটোকলের
জন্য আমি আমার একজন কমান্ডারকে দেখেছিলাম আন্দোলন মুখী হতে। অবসর প্রাপ্ত
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুব, ৪৭ পিএমএ লংকোর্স। তিনি ১৯৯৬-৯৭ সালে
আর্টিলারি সেন্টারে কমান্ড্যান্ট থাকাকালীন সময়ে সাধারণত মসজিদে হেটে আসতেন। কারণ
মসজিদে হেটে আসলে প্রতি কদমে সোয়াব পাওয়া যায়। তিনি যখন আসতেন ঠিক সে সময় কাতার
যেখানে ছিল সেখানে বসতেন। কাউকে নির্ধারিত জায়গা রাখতে দিতেন না। কাতার ক্রস করে
সামনে বসতেন না। আমি তার নামটি উল্লেখ করলাম এ জন্য যে, তিনি মসজিদের প্রটোকলের
চরম বিরোধিতা করতেন। তার আদর্শ দীর্ঘদিন অনুসরণ করেছি। যখন যেখানে কাতার থাকে
সেখানে বসতাম। অন্যদের ক্রস করে আগে যেতাম না। পড়ে অবশ্য বিজিবিতে এসে দেখি হিসাব
কিতাব আলাদা।
আমি একজন মেজর জেনারেলকে
জানি তিনি সবসময় ঈদের নামাজের কাতারে একদম পিছনে দাঁড়াতেন। তিনি অন্যান্য নামাজেও
বিভিন্ন স্থানে বসতেন। নির্ধারিত স্থানে বসতেন না। তবে একজন দুইজন ব্যতিক্রম ধর্মী
ছাড়া প্রায় সবাই আমরা মসজিদের প্রটোকল গ্রহণ করি। একজন জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাকে দেখলাম
একটু ব্যতিক্রম তিনি আবার প্রথম কাতারে বসার জন্য
সবার আগে এসে বসে যেতেন । যেন অন্যদের অতিক্রম করে আসতে না হয়। অন্য একজনকে
দেখলাম তিনি আবার জায়গা দুভাগ করে রাস্তা তৈরির বিপক্ষে। তিনি এসে যেখানে স্থান
পাবেন বসবেন ও সুন্নত পড়বেন। কাউকে ক্রস করে কাতারের সামনে যান না। শুধুমাত্র ফরজ
পড়ার সময় যখন সবাই দাড়ায় তখন তিনি সামনের কাতারে চলে আসেন। তিনি “রিসিপসন”/ “সী
অফ” ইত্যাদি গ্রহণ করেন না। তবে নামাজ শেষে অফিসারদের নিয়ে মসজিদের নিকটবর্তী
পুকুর পাড়ে ৩০/৪০ মিনিটের আড্ডায় বসতেন। নামাজের আগে লাঞ্চ না করলে নামাজ শেষে
আড্ডায় যোগ দিয়ে খিদায় পেট চো চো করে। সেই
আড্ডায় কোন অফিসার জয়েন না করলে মাইন্ড করতেন। তিনি অবশ্য হেটে মসজিদে যাতায়াত
করতেন। ময়মনসিংহের একটা স্টেশন মসজিদ ছিল তা সিএমএইচের সামনে। মসজিদটি আমার কাছে
ভাল লাগত কারণ মসজিদটি ছিল প্রটোকল বিহীন। যখন যে আসত সেখানেই বসত। কুষ্টিয়ার বিজিবি
মসজিদে প্রথমে আমি নিজেকে পূর্ববর্তী অনেকের
অনুসরণে কাতারের সামনে না গিয়ে পিছনে বসা শুরু করি। একদিন খোতবা শুরু হয়েছে। অনেক
কর্মকর্তারা সামনে চলে গেছেন। মাঝের রাস্তাটি প্রায় বন্ধ। হটাত একটা গুঁতা খেলাম।
সরেন সরেন সিও সাহেব আসতেছে। মুহূর্তেই কাতার চিচিংফাঁক হয়ে রাস্তা হয়ে গেল।
অধিনায়ক ধীরে সুস্থে তার ছেলেকে নিয়ে সামনের নির্ধারিত স্থানে চলে গেলেন। এভাবে
দুইদিন গুঁতা খাওয়ার পর পরের শুক্রবার বেশ আগে মসজিদে চলে যাই ও সামনের কাতারে
বসি। যেন অনেককে ক্রস করে সামনে আসতে না হয়। এখন আবার একটা পদ্ধতি নিলাম। ছেলেদের
বললাম,
“তোমরা পিছনে বস। আমি সামনে যাই”। ছেলেরা আবার পিছনের সারিতে বসে
“এই সরে বস। কথা বলছিস কেন?” ইত্যাদি শুনে মন খারাপ। এখনকার
সময়ে আমাদের বাচ্চারা আবার অন্যদের কাছ থেকে তুই তোকারী শুনতে অভ্যস্ত নয়। পরে
ছেলেদের নিয়ে আগে এসে প্রথম কাতারে বসতে শুরু করলাম। সেনা মসজিদের বিভিন্ন প্রটোকল
দেখে সত্যি খুবই মজাদার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আরেকটা মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা হল
তারাবির সময়। জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার জন্য সামনে ছোট একটি টুল রাখা। তাতে মিনারেল
ওয়াটার, ডাবের পানি,তসবি, চার্জার লাইট, টুপি, তসবি
ইত্যাদি বিশেষভাবে সাজিয়ে রাখা। বিষয়টি অতি সাধারণ কিন্তু মসজিদে আলাদা ভাবে
নির্ধারিত ভাবে ব্যবস্থাটা দৃষ্টি কটু।
আরেকটা বিষয় আমাকে মজা দিয়েছে তা হল প্রটোকল মেইটেইন করার জন্য জ্যৈষ্ঠ
কর্মকর্তাকে ৫০/৬০ গজ দূরে মসজিদে যাওয়ার জন্য গাড়ীর ব্যবহার। চালক/রানার গাড়ী
সমেত বাসার সামনে অপেক্ষমাণ। গাড়ীতে উঠার ১০/১৫ সেকেন্ড পর মসজিদের সামনে গাড়ী
থামে। তখন সেখানে গার্ড পুলিশ, সিনিয়র এনসিও, সিনিয়র জেসিও রিসিভ করে। অথচ শুধু মাত্র প্রটোকল মেনটেইন করার জন্য
কর্মকর্তাকে ৫০ গজ দুরে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে ভ্রমণ করতে হয়।
মসজিদ প্রটোকল হয়ত
সব জায়গায় মেনটেইন করা হয়। সৌদি আরবেও হয়তবা বাদশাহদের জন্য বা সভাসদদের জন্য
স্থান নির্ধারণ করা থাকে। তাই প্রটোকল হয়তবা প্রয়োজনীয়। তবে আমার মনে হয় এরূপ
প্রটোকল হলে ভাল হত যদি জ্যৈষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা
মসজিদের ইমামতি গ্রহণ করতেন। খোতবার আকারে ছোট বক্তৃতা দিতেন ও ইমামতি
করতেন। আমি নিশ্চিত আমাদের সেনা মসজিদের ইমামরা অনেক হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে মসজিদে
জ্যৈষ্ঠদের প্রতি প্রদর্শিত প্রটোকল হাদিসের আলোকে সহি প্রমাণ করতে পারবেন। তবে
একটা বিষয় নিশ্চিত আল্লার ঘরে ইমাম ছাড়া আর কোন প্রটোকল নেই। সেখানে সবার প্রটোকল
সমান। যেহেতু ইমামরা সাধারণত চাকুরী করেন অথবা কারো বিশেষ দানের উপর নির্ভরশীল।
সেখানে তারা সে সমস্ত প্রটোকল নিজের অজান্তে প্রশ্রয় দেয় ও মান্য করে। আরো কষ্টকর
হয় যখন দেখা যায় মসজিদেও প্রধান অতিথির আগমনের জন্য নামাজ বিলম্ব হয়। দু:খজনক।
আমাদের ইমামরা যেদিন যথাযথভাবে নিজের মর্যার্দা ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারবেন এবং
সবাইকে যথাযথ প্রেষণা দিতে পারবেন সেদিন এ ধরনের প্রটোকল দুর হবে। ভবিষ্যতে সব
মসজিদ যেন প্রটোকল মুক্ত হয় আমরা সে আশা করতে পারি। পরিশেষে বলা যায় জ্যৈষ্ঠ ও
সম্মানিত ব্যক্তির জন্য মসজিদের প্রথম কাতারে স্থান নির্ধারিত থাকতেই পারে কিন্তু
তা নিয়ে যেন অধীনস্থরা বাড়াবাড়ি করে না ফেলে সেটা লক্ষ রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।
------------------------------------------------------------
আমার লেখাটি বন্ধুদের গ্রুপ মেইলে পাঠালে তাদের প্রতিক্রিয়া দেয়া হল:
Akbar
Ha
ha... True..
Akbar...
sabbir
Interesting and meaningful..Bhalo
laglo dost...
Best, Sabbir
Zabed
Sultan
Dear Tarek,
Assalamualaikum
I find you are keen observer.
What's the guideline about it in Islam? I am not sure but I have heard it used to practised in Arab also. Regards.
Assalamualaikum
I find you are keen observer.
What's the guideline about it in Islam? I am not sure but I have heard it used to practised in Arab also. Regards.
'sayeed mahmudul hasan'
মসজিদে
মুরুব্বীদেরকে সামনে বসতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার শিষ্টাচার শুরু থেকেই সার্ব্জনীন
ভাবে গ্রহনযোগ্য, গৃহীত এবং স্বীকৃত। মুসলমানদের জন্য মসজিদ হল ওই কমিউনিটির পার্লামেন্ট,
তাই প্রটোকল অনুযায়ি ওই সমাজের মুরুব্বী এবং গুরুত্বপুর্ণ
ব্যক্তিদেরকেই সামনে বসতে দেয়াটা শিষ্টাচার। আমরা নিশ্চই চিন্তা করতে পারিনা যে
প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে যখন আসবেন তখন যেখানে জায়গা পাবেন তখন সেখানে বসবেন!।
আমরা অনেক সময় ভুলে ইসলামের চর্চাকে শুধুই অন্য সকল ধর্মের সঙ্গে তুলনা করে ভাবতে
পছন্দ করি। এই চর্চাগুলো সমাজ ব্যবস্থা পরিচালন এবং সঞ্চালনের অংশ, যা অন্য ধর্মাবলম্বীরা সমাজ ব্যবস্থা থেকে ধর্মকে আলাদা করে ফেলেছে।
আর
যারা (Under commands/
community managers) সব সময় ভালো চর্চাকে আরো বেশী ভালো দেখানোর
চর্চা করেন এবং সম্মানিত-জনেরা সম্মানকে নিজের অধিকার
মনে করেন এবং ভালো চর্চাকে নিজের মত ব্যবহার করেন তাঁদেরকে দিয়ে সঠিকটা বিচার করা
মুশকিল! আমরা বলতে পারি সামাজিক শিষ্টাচারের সুস্থ চর্চা করার মানুষ দিনে দিনে কমে
যাচ্ছে। সত্যিকারের ভালটা সব সময়ের জন্যই ভাল। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান
করুন।
আমার
প্রতিউত্তর:
মাহমুদুল,
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
আমি আমার ইউনিট
আরটিদের সাথে আলোচনা করে তোমার মত উত্তর পেয়েছি। আর বেসামরিক ইমামদের সাথে অলোচনা
করে অন্যরকম উত্তর পেয়েছি। তাদের বক্তব্য আল্লার ঘরে সবার সমান অধিকার। যখন যে
আসবেন সেখানে বসবেন। স্থান নিদ্দিষ্ট করে, তার জন্য রাস্তা করে রাখার নিয়ম নেই।
তবে জনমতের ডিমান্ড অনুযায়ী অতিথিরা বা সন্মানিত ব্যক্তিদের অনেক সময় ঈমামরা সামনে
ডাকেন। রাজত্ব, বাদশাহী, প্রটোকল, কমান্ড, সন্মান ও প্রতিপত্তির বহি:প্রকাশ মসজিদ
এলাকায় অনেকেই কম করেন। যা কিনা সাম্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন হয়। মসজিদ
প্রটোকল নিতেন না, যেমন আমি উদাহরন দিয়েছি ব্রিগে: জেনারেল (অব:) এ কে মাহবুব ও
মেজর জেনারেল (অব:) মুজাহিদ (সাধারনত জামাতে পিছনে বসতেন)। এরা কিন্তু অতবেশী
ব্যর্থ নয়, হয়ত বা আমাদের অনেকের চেয়ে বেশী সন্মান ও পতিপত্তি পাননি। কিন্তু তারা আমার মত দুই একজনকে ভাল বিষয় শিখিয়েছেন। আর এজন্যই আমার এ লেখা। হয়ত বেশী দিন দূরে নয়। আমাদের মাঝে কেউ কেউ সব্বোচ্চ র্যাংক পরিধান করে সাধারনের মাঝে কর্মে
অসাধারন হবেন।
আমরা কেউই প্রচলিত
নিয়মের বাইরে যেতে পারিনা। আমার এ লেখা শুধু দীর্ঘ অভিজ্ঞতার মজাদার অনুভুতি শেয়ার
করা। শুধুমাত্র মজা করার জন্য লেখা। কারন কমান্ড হত ব্যক্তিগত স্টাইল। আর সেনা
স্থাপনার মসজিদ হল কমান্ডেরই অংশ। তাই
প্রটোকল অবধারিত। আমি আগেই বলেছি। একসময়
কাতারের মাঝে লাল গালিচা দিয়ে প্রধান কর্মকর্তার প্রটোকল দেয়া হত। এটা থেকে আমরা
সরে এসেছি। যে কোন কমান্ড পুনরায় এটা চালু করতে পারে। কারন আরটিরা সাপোর্ট দিবে। অন্যায়
কিছু নেই। আমরা যত কম প্রটোকল নিয়ে নামাজে আসব। ততবেশী মসজিদের সাম্যতা বজায় রাখব।
আমি একজন অধিনায়ককে
পেয়েছিলাম, তিনি একেক জামাতে একেকজন চতুর্থ শ্রেনীকে পাশে নিয়ে নামাজ পড়তেন। তবে
এগুলো হল লোক দেখানো বাড়াবাড়ি। পরিশেষে আমি আবারও বলব, আমাদের যারা কমান্ডে আছে
তারা তাদের যেমন প্রয়োজন প্রটোকল অবশ্যই নিবে। কারন অনেক কষ্ট ও সাধনায় তারা কমান্ড পেয়েছে।
আমার লেখাটি মূলত
অভিজ্ঞতার আলোকে মজা করার জন্য লেখা। কিছুটা
মজা দিতে পারলে ভাল লাগবে।
Warmest regards,
Ahmed Abu Insaf
'Akbar'
sayed9090@gmail.com
Assalam friends.
Good reading indeed. Wanted to contribute to the good discussion
based on my little understanding.
Masjid used to be the center of social (even state) activities
during early stage in Islam, while 5 times prayer had always been the prime
purpose.
We know that companions used to compete each other to occupy the
first row in masjid (during prayer) due to huge rewards mentioned by our
Prophet (saw). Muslim Leader was always the Imam to lead prayers, for whom a
place was designated. Other than that someone who can assist the Imam during
prayer. if needed like correcting/reminding during Qirat/Tilawah should stand
closer to Imam.
This sounds more logical to me.
Arabs & Saudis (influenced by the Kings) have brought lot of
red carpet practices in their society (including masjids) that are well
established in many Muslim countries too. This is unfortunate!
Please don't treat this as Fatwa/Rulings, it's my own view and
you should have yours.
Warmest regards,
Sayed
Yousuf (ইউসুফ)
"আমার লেখাটি মূলত অভিজ্ঞতার আলোকে মজা করার
জন্য লেখা। কিছুটা মজা দিতে পারলে ভাল লাগবে।"
- ভাই সরকার, মজা দেওয়া বা মজা পাওয়ার জন্য মসজিদ কে মনে হয় না আনলেও হইত। 'মজার' জন্য অনেক টপিক আছে। এই বিষয়টা মজার না বরং এ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। এখানে শরীয়ত বা হাদিসের কোন রেফারেন্সের আলোকে আলোচনা করলে লাভ হইত।
- ভাই সরকার, মজা দেওয়া বা মজা পাওয়ার জন্য মসজিদ কে মনে হয় না আনলেও হইত। 'মজার' জন্য অনেক টপিক আছে। এই বিষয়টা মজার না বরং এ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। এখানে শরীয়ত বা হাদিসের কোন রেফারেন্সের আলোকে আলোচনা করলে লাভ হইত।
আমার উত্তর:
ইউসুফ আসসালামুআলাইকুম,
অনেক দিন পর তোমার রেসপনস্ দেখে খুশি হলাম। “মজা করার বিষয়টি মসজিদ
নয়”। প্রটোকল। জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা একজন বসছেন কাতারের পিছনে আবার কেউ বসছেন সামনে
নির্ধারিত স্থানে। কেউ কাতারের মাঝে যাওয়ার রাস্তা রাখতে নিষেধ করছেন। কেই বা
রাস্তা রাখাটা আশা করছেন। এটা নিশ্চয়ই মজাদার বিষয়। এর মাঝে ফতোয়া না খুজে কমান্ড
যেটা চায় সেটা করাই উত্তম নয়কি। কারন পক্ষে/বিপক্ষে শক্তিশালী লজিক আছে।
“হুম শান্তি। সকলের সকল প্রাণী ঝগড়া বিবাদ ভুলে ষুখে থাকুক”
Ahmed Abu Insaf
Dear Sarkar,
Interesting topic ...
Some overdo their power
Some overdo their humbleness
Both are greedy...
I feel - If people requesting you front row, honor their request
..
Don't support special place to be vacant / keeping special
Jaynamaz/ red carpet ...
Rgds, A Insaf
'Akbar'
Insaf..
Bah.... U wrote excellent..,
Sarkars one was: la jabab...
Hasan imam
Dear, Assalamulaikum.
I suppose there is no scope to justify your own thought/ idea in
Islam where Sahi Hadit and Verses from Holy Quran exists.
I shall go with the points fwd by Sayeed.
There is no protocol in the Mosque.
People coming earlier should occupy the front row to earn more
Sawab.
We shouldn't try to be smart to Almighty Allah by sacrificing
our scope of earning more Sawab. Likewise, we should not try to offer full
FAROZ during journey where our Prophet( pbuh) used to shorten the prayer.
Obeying is SMART.
Abdullah Al Maksus
Sarkar,
Lekha valo hoise
Mojao hoilo abar lesson o paowa gelo
Tumi chalai jao, Bondhu.
Maksus
আমার উত্তর:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জু’আর দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে
হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে
ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী
করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল।
আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর
ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন
ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)
"যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম’আর সালাত আদায় করে
তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে
তাহাজ্জুদ পড়ার সমান সওয়াব লিখা হয়।"
আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেন: “জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং)
নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং
নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা
শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা
বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আমরা যখন মসজিদে যাই তখন সেখানে তিন ধরনের
মানুষ দেখতে পাই, যা হুজুর (সা:) এর নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়:
রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেন, “জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক
ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ)
দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয়
প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর
মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা
মাফ করে দেন।”
(আবু দাউদঃ ১১১৩)
No comments:
Post a Comment