মোমেনশাহী সেনানিবাসে অবস্থিত অফিসার
পারিবারিক বাসস্থান,মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুল এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের
জন্য ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রজেক্ট
১। ভূমিকা: বাংলাদেশ সরকার দেশের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য এক তৃতীয়াংশ খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করেছেন।
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে বর্তমানে ৩৬টি কম্পিউটার দিয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব
আছে। মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুলে ১৪টি(বর্তমানে ৭টি কম্পিউটার) কম্পিউটারের ল্যাব
আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে তৈরি করা হবে। পাবলিক স্কুলের অফিসে ১২টি কম্পিউটার
ব্যবহার হচ্ছে। মিলিনিয়াম স্কুলের অফিসিয়াল কাজে আরো ৬টি কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে।
এছাড়া পাবলিক স্কুলের ৩০টি কোয়ার্টারে আরো অন্তত ১০জন হোম ইউজার পাওয়া যাবে।
সর্বমোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা হবে ৭৮ জন। বর্তমানে দুইটি স্কুলে ওয়েব
সাইট(ব্লগ) চালু করা হয়েছে ঠিকানা হল:http://mlnsch.wordpress.com এবং http://cpscm.wordpress.com স্কুল দুটিতে
ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট বেইজড কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। লিসন প্লান,কোশ্চেন ব্যাংক,বেতন ভাতার হিসাব,ভর্তি ও আরো অনেক কর্মকাণ্ড উন্নত দেশের ন্যায় সকলের ব্যবহারের জন্য
অনলাইনে কম্পিউটারায়ন করা হয়েছে। আর সবই করা হয়েছে বিনা খরচে ফ্রি ব্লগ
সাইটে আর গুগল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে। এতে ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক
আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি WAN স্থাপন
করা হলেও আর্মি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসার,জেসিও,অন্যান্য পদবীর বাসস্থান এই পরিকল্পনার আওতায় নেই। চট্টগ্রাম ও সাভার
সেনানিবাস তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায়
এনেছে। এ সেনানিবাসে মাসে ৮৫০ টাকা করে ময়মনসিংহ শহরের মাইনেট কো: ক্যান্টনমেন্টে
কিছু কিছু অফিসারদের ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষকদের বাসস্থানে সংযোগ
দিয়েছে তাদের উচ্চ মূল্যের মাসিক চার্জ,২৫০০ টাকা সংযোগ
মূল্যের করনে অতি অল্প সংখ্যক গ্রাহক সংযোগ নিয়েছে। তাদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য
অনুরোধ করা হলে মাসিক ১০০০ টাকা চার্জ এবং ৫০০০ টাকা ফেরত যোগ্য জমানত এবং
সর্বনিন্ম ৫০ জন গ্রাহক দাবী করে আসছিল। যারা এখন সংযোগ বজায় রেখেছে তারা অনবরত
অন্যান্য সেনানিবাসের মত ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য ইতিপূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত
স্টেশন কমান্ডার ব্রিগে: জে: মাসুদকে অনুরোধ করে আসছিল। আর্মি ওয়ান লাইনের চালু
হয়ে তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি অপেক্ষমাণ ছিল।
২।
উদ্দেশ্য: এই প্রজেক্ট নিয়ে তৈরিকৃত কার্যবিবরণীর উদ্দেশ্য হল ময়মনসিংহ সেনানিবাসে
অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাক-বোন তৈরি করা এবং প্রাথমিকভাবে
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও মিলিনিয়াম ইংলিশ স্কুল,পরবর্তীতে বোর্ড স্কুল, অফিসার
পারিবারিক বাসস্থানে ও অন্যান্য পদবীর বাসস্থানে সংযোগ প্রদানের একটি কর্ম
পরিকল্পনা তৈরি করা।
৩। প্রজেক্ট
বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা: প্রজেক্টটি নিন্মবর্নিতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে:
ক। বিটিসিএল-এ
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আবেদন করা। ১৫ অক্টোবর
২০০৯ তারিখে অধ্যক্ষ ক্যান্ট পাবলিক দ্বারা ৩ মেগাবাইট ব্যান্ড উইর্থ এর জন্য
আবেদন করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক আপগ্রেড করা হবে।
খ।
বিটিসিএল-এর ডিমান্ড নোট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ডিমান্ড নোটের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা।
ডিমান্ড নোটের জন্য ৬৫,০০০টাকা
প্রদান করা।
গ।
বিটিসিএল-এর অপটিক্যাল লাইন ও ই-ওয়ান পোর্ট স্ট্যাটিক সিগন্যালে মজুদ থাকায়
অতিরিক্ত কোন ব্যবস্থাদি বিটিসিএলকে নিতে হবে না। অতিরিক্ত খরচ বিটিসিএলকে দিতে
হবে না। শুধুমাত্র রাউটার বাবদ ৬০,০০০ টাকা ও অন্যান্য খরচ ১০,০০০ টাকা। মোট খরচ ৭০,০০০টাকা। রাউটার স্ট্যাটিক সিগন্যাল এক্সচেঞ্জের ই-ওয়ান
পোর্টে লাগাতে হবে। অতঃপর অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ দিতে হবে।
ঘ।
স্ট্যাটিক সিগন্যালের এক্সচেঞ্জ হতে ষ্টেশন লাইব্রেরী পর্যন্ত ১০০০ মিটার
অপটিক্যাল সংযোগ দেয়া হবে্ প্রতি মিটার ২০ টাকা হিসাবে ২০,০০০ টাকা এবং জিআই তার ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫,০০০ টাকা খরচ হবে।
ঙ।
স্টেশন লাইব্রেরী হতে ক্যান্ট পাবলিকের অফিস পর্যন্ত ৫০০ মিটার ক্যাবল সংযোগ
প্রদান বাবদ ৫০০x২০=১০০০০
টাকা আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বাবদ ১৫,০০০ টাকা।
চ।
ক্যান্ট পাবলিক কলেজের ভিতর লাইব্রেরী,কম্পিউটার ল্যাব,টিচার্স কোয়ার্টার ও মিলিনিয়াম স্কুলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ
সংযোগ করতে প্রয়োজন ১০০০ মিটার অপটিক্যাল ক্যাবল এতে খরচ ১০০০x২০=২০,০০০
টাকা। ৬টি মিডিয়া কনভার্টার,৬টি
ইউপিএস ৫০,০০০ টাকা। সুইচ ১০টিx১৫০০=১৫,০০০
টাকা। ইউটিপি ক্যাবল ১০০০ মিটারx২০=২০,০০০ টাকা। বিবিধ খরচাদি ২০,০০০ টাকা। সর্বমোট সর্বমোট: ১,২৫,০০০ টাকা।
নেট ডায়াগ্রাম ক্রোড়পত্র - খ।
ছ।
অফিসার মেসের ২টি বিওকিউ ও ৭টি পারিবারিক বাসস্থান, ষ্টেশন
লাইব্রেরী-ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস এলাকা সহ ১০টি মিডিয়া কনভার্টার,১০টি ইউপিএস,১০টি সুইচ বাবদ খরচ=১,৪০,০০০ টাকা,আভ্যন্তরীণ শাখা লাইন ৬/৪ কোরের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল
বাবদ খরচ ১০০০ মিটার ২৫০০০ টাকা,১০০০
মিটার ইউটিপি ক্যাবল বাবদ খরচ ১৫০০০ টাকা। অন্যান্য খরচ ২০০০০ টাকা সর্বমোট খরচ ২,০০,০০০টাকা।
জ।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল,জেসিও ও
অন্যান্য পদবীর বাসস্থানের জন্য আনুমানিক ২,০০,০০০টাকা
খরচ হবে, যা কিনা শেষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৪। সমস্ত খরচের সারাংশ
ক। ১ম পর্ব(ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুল সংযোগ করা)
(১) ডিমান্ড
নোট- ৬৫,০০০ টাকা।
(২) রাওটার
ও
অনুষাংগিক- ৭০,০০০
টাকা।
(৩) এক্সচেঞ্জ
থেকে মূল হাব স্টেশন সদর দপ্তরে সংযোগ - ২৫,০০০ টাকা।
(৪) স্টেশন
স্কুল হতে ক্যান্টপাবলিক -
১৫,০০০
টাকা।
(৫)
পাবলিকের আভ্যন্তরীন সংযোগ ও ক্যাবলিং - ১,২৫,০০০ টাকা।
মোট: ৩,০০,০০০ টাকা।
খ। অর্থায়নের প্রাথমিক
পরিকল্পনা: ক্যান্ট
পাবলিক-২,০০,০০০ টাকা(১,০০,০০০ টাকা
কম্পিউটার ফান্ডে আছে বাকী ১,০০,০০০ টাকা সাধারন তহবিল হতে লোন নেয়া হবে যা কিনা ক্যান্ট
পাবলিকের চিফ প্যাট্রন ,জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশনের কাছে চেয়ারম্যান অনুদানের আরজ
জানাবেন),মিলিনিয়াম স্কুল ৫০,০০০ টাকা, আর্টিলারী বিগেড হতে অনুদান ৫০,০০০
টাকা।
গ। ২য় পর্ব: (স্টেশন লাইব্রেরী,ফ্লাগ স্টাফ হাউস,দুটি বিওকিউ এবং ৬টি অফিসাস্ পারিবারিক বাসস্থান সংযোগ করা)
:সর্বমোট খরচ-২,০০,০০০ টাকা। (অনুচ্ছেদ ৩-এর উপ অনুচ্ছেদ ছ)।
ঘ। অথার্য়নের প্রাথমিক পরিকল্পনা: স্টেশন সদর দপ্তর ও ৭৭ পদাতিক ব্রিগেড
হতে অনুদান।
ঙ। ৩য় পর্ব: (ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল এবং জেসিও ও
অনান্য পদবীর বাসস্থানে সংযোগ):
সর্বমোট খরচ: ২,০০,০০০টাকা।
চ। অথার্য়নের প্রাথমিক পরিকল্পনা: স্টেশন সদর দপ্তর,সমস্ত ইউনিট হতে অনুদান (কারন
সমস্ত ইউনিটের জেসিও আনান্য পদবী এর সুবিধা পাবে।), ক্যান্টরমেন্ট বোর্ড স্কূলের ফান্ড
হতে এবং সিইও হতে অনুদান।
৫। বিটিসিএল-এর ২০,৫০০টাকা মাসিক ব্রডব্যান্ড চার্জের অর্থায়ন:
ক। ১ম পর্ব (ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুল সংযোগ হতে)
(১) ক্যান্ট পাবলিক
কম্পি: ল্যাব: ৪,০০০ টাকা।
(২) ক্যান্ট পাবলিক
অফিস কম্পি: ১,০০০ টাকা।
(৩) মিলিনিয়াম
কম্পিউটার ল্যাব: ২,৫০০ টাকা।
(৪) ১০টি পারিবারিক
সংযোগ ৩,০০০ টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
(৫) ক্যান্ট পাবলিক
লাইব্রেরী ২ কম্পি: ১,০০০টাকা।(প্রতি ঘন্টা ১০ টাকা
সকলের জন্য উন্মুক্ত)
মোট: ১০,০০০ টাকা।
২য় পর্ব বাস্তবায়নের
পূর্ব পযর্ন্ত ২০,৫০০ টাকা দ্বিগুন হারে আদায় করে
ঘাটতি পূর্ন করা হবে।
খ। ২য়
পর্ব (ক্যান্ট: পাবলিক ও
অফিসার বাসস্থান এলাকা)
(১) ক্যান্ট পাব: ও
মি: স্কুল(১ম পর্ব):৯,৫০০ টাকা।
(২) স্টেশন
লাইব্রেরী : ১,০০০ টাকা।
(৩) বিওকিউ৬২টি রুম
৩০ সংযোগ: ৯,০০০ টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
(৪) ৭টি কোয়াটার,৫৬ফ্লাট,৩০ সংযোগ: ৯,০০০ টাকা।(জনপ্রতি ৩০০ টাকা)
মোট:
২৮,৫০০ টাকা।
প্রতি মাসে ২৮,৫০০টাকা-২০,৫০০ টাকা=৮,০০০ টাকা স্টেশন কম্পিউটার ক্লাব ফান্ডে জমা হবে। বছরে ৯৬,০০০ টাকা জমা হবে। প্রথম বছর সমস্ত যন্ত্রাংশে ওয়ারেন্টি থাকায় প্রতিস্থাপিত যন্ত্রাংশ ক্রয়ে কোন
খরচ লাগবে না।
গ। ৩য় পর্ব: পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা
হবে। সমুদয় উপার্জনের টাকা স্টেশন কম্পিউটার ক্লাবে জমা হবে।
৬। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন: সমস্ত যন্ত্রাংশ স্থাপন,সরবরাহ জনাব তপন,সাকসেস কম্পিউটার,ময়মনসিংহের (মোবাইল:০১৭১১-৬৮২১৮৪) মাধ্যমে
করা হবে। সাকসেস কম্পিউটার ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ,মিলিনিযাম স্কুল,১৯ আর্টিলারী ব্রিগেড,সদর দপ্তর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের সাথে
কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অলিখিত ভাবে ১০/১২ বছর যাবত যুক্ত আছে।
তাদের কর্মদক্ষতা ও দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তায় সকলের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।
উপরোক্ত স্থাপনায় আর্মি WAN স্থাপনকারী ঢাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ২৯,০০,০০০ টাকার পরিকল্পনা দেয়। এছাড়া ময়মনসিংহের বাইরের
প্রতিষ্ঠান হতে পরবর্তী সময়ে আশানুরূপ সহায়তা পাওয়া যাবে না বলে ধারনা করা যায়।
৭। রক্ষণাবেক্ষণ: সাকসেস কম্পিউটারকে মাসিক ২,০০০ টাকায় ৩ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক
নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির দুইজন সৈনিক,মিলিনিয়াম স্কুলের একজন অফিস এসিসট্যান্ট,ক্যান্ট পাবলিকের একজন অফিস সহকারী ও
ক্যান্ট পাবলিকের কম্পিউটার ল্যাব সহকারীকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণে পারদর্শী করা
যেতে পারে। ক্যান্ট পাবলিকের একজন কম্পিউটার শিক্ষককে নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর
হিসাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।
৮। এইজ মোডেম বনাম ব্রডব্যান্ড: এইজ মোডেমে আনুমানিক ৫-১৬ কেবিপিএস ব্যান্ড উইথ পাওয়া
যায়। যা কিনা মেইল চেক ও পত্রিকা পড়ার জন্য যথেষ্ট মনে হয়। এইজ মোডেমের লিংক ডাউন
হয় না বললেই চলে একান্তই জাতীয় পর্যায়ে অপটিক্যাল লাইনের বিপর্যয় না হলে সমস্যা হয়
না। এদের এই নিরবচ্ছিন্ন সেবার জন্য ব্রডব্যান্ড থেকে তাদের সংযোগের প্রতি সকলের
আগ্রহ বেশী। ব্রডব্যান্ড অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে এ ধরনের লিংক ডাউনের ঘটনা আমরা
কমাতে পারি। এজন্য হাবের পরিবর্তে ভাল মানের সুইচ, ইউটিপি খুবই কম পরিমাণে ব্যবহার করা। অপটিক্যাল লাইন
ব্যবহার বেশী করা হবে। মিডিয়া কনভার্টার ও সুইচে ব্যাক আপ পাওয়ার হিসাবে ইউপিএস
ব্যবহার করা হবে। এতে ইন্টারনেট সংযোগের লিংক ডাউন অনেক কমে আসবে। ৩ এমবিপিএস ৪০
জন গ্রাহককে দেয়া হয় এবং ৪০ জন গ্রাহক একই সময়ে কাজ করে তাহলে ব্যান্ড উইথ শেয়ার
হয়ে গ্রাহক প্রতি (১০২৮x৩)/৪০=৭৭
কেবিপিএস পাওয়া যাবে যা কিনা এইজ মোডেমের ৪গুন। যারা এইজ মোডেম এবং ব্রড ব্যান্ড
দুটাই ব্যবহার করেন তারা আরো বেশী পরিমাণে পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। অডিও ও ভিডিও
স্ট্রিমিং ব্রডব্যান্ডে অত্যন্ত দ্রুত ও সাবলীল। ব্রাউজ করতে এইজ মোডেম অপেক্ষা
ব্রডব্যান্ডে কম সময় লাগে বিধায় এটা অনেক শ্রম ঘণ্টা বাঁচাবে।
থাকতে হবে। ওয়াই ম্যাক্স চালু হলে ওয়াই ম্যাক্সের দুই একটি মোডেম ব্যাকআপ সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
১২। উপসংহার: বাংলাদেশের পেক্ষাপটে সেনানিবাসের মত
সুশৃঙ্খল পরিবেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক বেশী আইটি বিষয়ে দক্ষ
জনবল তৈরি করা যাবে।
দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সহজী-করন করার জন্য আইটি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
বিগত কয়েক মাসে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং মিলিনিয়াম স্কুলের অফিস
সহকারী ও শিক্ষকরা অনলাইনে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। তাদের অফিস ভিত্তিক
কর্মকাণ্ডে কার্যক্রম সীমিত থাকছে না। পেপার লেস অফিস তৈরি করে অনেক বেশী স্বচ্ছতা
ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিচ্ছে। এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। মোবাইল মোডেম দিয়ে
ব্যবহত ইন্টারনেটে একই খরচে নিশ্চিত ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে তবে কেন
ব্রডব্যান্ড। মোবাইল ডিভাইসে কখনওই আশানুরূপ ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে না। আমরা উন্নত
সকল দেশে দেখতে পাই যতই ইন্টারনেটের জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করুক না কেন তারা
ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রথম তালিকায় ব্রডব্যান্ড রেখেছে। মোবাইল সংযোগ ওয়্যারলেস
হওয়ায় তা আবহাওয়ার ও বিটিএর দূরত্বের নির্ভর করে। খোদ ইউএসএ-তে ১ মেগাবাইটের নীচে
ইন্টারনেট কানেকশনকে তারা অদক্ষ ইন্টারনেট হিসাবে মনে করছে। বর্তমানে রেডিও শোনা,টিভি দেখা ইত্যাদির জন্য ব্রডব্যান্ডের
ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর ইন্টারনেটের কর্মকাণ্ড যদি রিয়াল টাইম করা না
যায়,যদি কমান্ড দেয়ার পর
ওয়েব পেজ খুলতে সময় নেয় তবে তা ক্লান্তিকর,বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। সবশেষে বলা যায় তৃপ্তির সাথে
ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ব্রডব্যান্ডের কোন বিকল্প নাই।
No comments:
Post a Comment