আমি অনেক আগে থেকে একটা অভ্যাস করেছি অফিসের কোন ফাইল বা
ডকুমেন্ট আমি আমার ফাইল ক্যাবিনেট বা টেবিলে প্যানডিং রাখতে পারি না। টেবিল থাকতে
হবে নিট এন্ড ক্লিন। ফাইল আসার সাথে সাথে ফাইল ক্লিয়ার হবে। কোন ফাইল স্তূপ আকারে
জমা হবে না। একটা মোটিভেশনাল বইয়ে পড়েছিলাম কেউ যদি অফিসে যদি অধিক সময় বের করতে
হলে তাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল ফাইল দ্রুত ক্লিয়ার করতে হবে। কোন ফাইল আটকানো
বা দেরী করা যাবে না। যদি কোন ফাইল পেন্ডিং করতে হয় তা পেন্ডিং হবে সহকারীর লকারে
নিজের কাছে নয়। কর্মকর্তা হিসাবে নিজের টেবিলটি থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। অফিস
টাইমে টেলিভিশন দেখা ও গল্প করলে টেবিল পরিষ্কার রাখা একটু টাইট হবে।
একবার একজন কর্মকর্তা দু:খ করে বলেছিল সে প্রতিদিন রাতেও
অফিসে আসে। দিনের বেলা কাজ শেষ করতে পারে না। রাতে তার অধিক সময় লাগে। আমি তাকে
শুধু বলেছিলাম আপনার অফিসে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে অনেক ফাইল পেন্ডিং ফেলে রেখেছেন।
আপনি সাথে সাথে ফাইল ক্লিয়ার করার অভ্যাস করুন তবে অনেক সময় পাবেন। আমার উপদেশ তার
কোন কাজে লেগেছিল কিনা জানি না। তবে পেন্ডিং না রাখার জন্য সব সময় আমি লেখার জন্য
ও পরিবারের জন্য অনেক সময় পাই। টিভি না দেখলেও অনেক সময় পাওয়া যায়। যারা সাধারণত
সময় পান না। তাদের প্রথম কাজ হবে টিভি দেখা বন্ধ করে দেয়া তাহলে অনেক সময় পাওয়া
যাবে।
আজকে আমার বিষয় সবকিছু মুছে দেয়া। ডিলিট করা। আমাদের
জীবনে এখন সাইবার বা ভার্চুয়াল অফিস সামাল দেয়া একটা বিশাল যুদ্ধ। আমি আমার
কার্যক্রমে দেখতে পাচ্ছি আমাদেরকে ইমেইল, ভাইবার ও এসএমএস এর মাধ্যমে
অনেক বিষয় সামাল দিতে হচ্ছে। অনেক নির্দেশনা এখন এসএমএস এর মাধ্যম পাই। ভাইবারের
মাধ্যমে নির্দেশনা ও সচিত্র তথ্যাদি পাই। ইমেইলে অনেক তথ্য চিঠি পাই। এখন এগুলো
যদি ইন বক্সে জমিয়ে রাখি তবে আমাদের একই পরিমাণ মানুষিক চাপ আমাদের পেতে হবে।
তাহলে মানসিক চাপ আমরা কিভাবে কমাতে পারি। আমাদের যে কোন এসএমএস পড়ে মুছে ফেলাই
ভাল। গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস না মুছে ২৪ ঘণ্টা রাখুন তারপরও প্রয়োজন থাকলে অন্য
জায়গায় টেক্সট/ওয়ার্ড ফাইল হিসাবে সংরক্ষণ করুন। কিছুদিন পর আর প্রয়োজন না হল মুছে
দিন। আমার আইডিয়াটা হল টেবিল বা ফাইল ক্যাবিনেট যেমন খালি রাখছেন তেমনি এসএমএসের
ইন বক্স খালি রাখুন। ভাল লাগবে। নতুন এসএমএস আর পুরাতন এসএমএস এ আর জট পাকাবে না।
আপনি চাপমুক্ত থাকবেন। মুছতে মুছতে এমন অভ্যাস হয় গত চার বছরে দুইবার এটা হয়েছে।
আমি এসএমএস মুছে ফেলেছি অত:পর যিনি পাঠিয়েছেন তাকে পুনরায় পাঠাতে বলতে হয়েছে। চার
বছরে দুইবার খুব বেশী না। তাই নিয়মিত এসএমএস মুছে মোবাইলের ইন বক্স খালি রাখতে কোন
সমস্যা নেই। কি বলেন? আমি সব সময় এসএমএস মুছে ইন বক্স খালি
রাখি। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস ড্রপবক্স বা নোট ফাইলে সংরক্ষণ করি।
ইদানীং ভাইবার, হোয়াটস্ অ্যাপ ও ইমেইল
ইত্যাদি সবসময় মুছে পরিষ্কার রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইলটা নিয়ে সমস্ত ইন বক্স
মুছে নিলে পরের দিন সকাল থেকে চাপমুক্ত থাকবেন। পুরানো ম্যাসেজ মুছে দিলে সে
ম্যাসেজ আবার দ্বিতীয়বার পড়তে হবে না। সময় বাঁচবে ও অনেক সময় পুরানো ম্যাসেজ বিভ্রান্তির
সৃষ্টি করে তা থেকেও বাচা যাবে।
একান্তই রেফারেন্স হিসাবে কপি করে আলাদা ফোল্ডারে রাখা
যেতে পারে। কিন্তু মূল প্রোগ্রামের ইন বক্স অবশ্যই খালী রাখা প্রয়োজন। সমস্ত
প্রোগ্রামের ইন বক্স যত বেশী ফাকা রাখা যাবে তত বেশী আমার মতে গুছিয়ে চাপমুক্ত
থাকতে পারবেন। আজকাল এমন হয়েছে কো তথ্য কম্পিউটারে সেইভ করে রেখে সেই তথ্য পুনরায়
বের করার চেয়ে গুগলে সার্চ করা সহজ। আসলে অহেতুক তথ্য সংরক্ষণ করে চাপ বাড়ানোর
প্রয়োজন নেই।
No comments:
Post a Comment