পবিবেশ বান্ধব অ্যালুমিনিয়াম ওয়ান টাইম কন্টেইনারের ব্যবহার
আমার অষ্টমশ্রেণী পড়ুয়া ছেলের কাছে জানতে চাইলাম পৃথিবীতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমান কত? ছেলে চটপট উত্তর দিল, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী মজুদ ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম একটি। পরে ইন্টারনেটে পেলাম বিদ্যমান ধাতুর মধ্যে ৮.২% অ্যালুমিনিয়াম। অপর দিকে এত ব্যবহারের পরও আয়রন মাত্র ৫% বিদ্যমান। মানে অ্যালুমিনিয়াম থেকে পৃথিবীতে আয়রন বা লোহার পরিমান কম। তবে আয়রন আকরিক প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম থেকে কম খরচ হয়। ফলে অ্যালুমিনিয়াম থেকে আয়রনের দাম কম ও আমরা চারিদিকে আয়রন বা লোহার ব্যবহার বেশী দেখতে পাই। অপর দিকে প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ বেশী বলে অ্যালুমিনিয়াম ভূপৃষ্ঠে বেশী থাকার পরও এর ব্যবহার কম। অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যালের পরিমান ৬৭% আর আয়রন রিসাইক্যাল ৫২%। অ্যালুমিনিয়াম বেশী রিসাইক্যাল হওয়ার কারনে তার দাম কমে আসবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
"ওয়ান টাইম ইউজ" অধিক প্রচলিত কিছু সামগ্রীর নাম। যা কিনা পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে পৃথিবীকেও "ওয়ান টাইম" করে দিচ্ছে। তাহলে উপায় প্লাষ্টিকের ব্যবহার কমানো আর যতটুকু প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় তা পুরো মাত্রায় রিসাইক্যাল করা। তবেই পরিবেশকে কিছুটা স্বস্থি দেয়া যাবে। আমি বরাবরই ওয়ান টাইম ব্যবহারের বিপক্ষে। কিছুদিন আগে আমার মা হাসপাতালে ভর্তি হলেন, মায়ের জন্য কিছু মূখরোচক খাবার প্রেরণ জরুরী। টিফিন ক্যারিয়ার দিয়ে লোক মারফত খাবার পাঠানো। পুনরায় টিফিন ক্যারিয়ার ধোয়া ফেরত আনা পুরো প্রক্রিয়াটা চ্যালেঞ্জিং। তখন বুদ্ধি আসল ওয়ান টাইম ফুড কনটেইনার ব্যবহার করা। অপরদিকে আমি আবার ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কনটেইনার ব্যবহারের বিপক্ষে তাহলে উপায় কি? উপায় আর কিছুই নয় অ্যালুমিনিয়ামের ওয়ান টাইম কনটেইনার ব্যবহার করা। প্লাস্টিক থেকে অ্যালুমিনিয়াম ওয়ান টাইম বক্সগুলি পরিবেশ বান্ধব। প্লাস্টিক পচে না। তবে অ্যালুমিনিয়াম ভুমির সাথে মিশে অতি ধীরে ধীরে। মাটির সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হবে ও এক সময় ক্ষদ্র ক্ষুদ্র কনা হয়ে মাটিতে মিশে যাবে। মাটিতে ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়ার জন্য এটা অধিক পরিমান পরিবেশ বান্ধব। অ্যালুমিনিয়াম প্লাস্টিক ওয়ানটাইম থেকে কিছুটা বেশী দাম হলেও এর পরিবেশ বান্ধব কোয়ালিটির জন্য ডিসপোজেবল ফুড কনটেইনারের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার বাদ দিয়ে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়ানোটা অধিক জরুরী। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে ৯% প্লাস্টিক রিসাইক্যাল হয়। অপরদিকে অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যাল হয় ৬৭%। প্লাস্টিক ডিসপোজেবল ফুড কনটেইনার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে তার জায়গায় অ্যালুমিনিয়াম কোটেট কাগজের ফুড প্যাকেট, অ্যালুমিনিয়াম ক্যান, অ্যালুমিনিয়ামের নানা মাপের ওয়ানটাইম কন্টেইনারের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। প্লাস্টিক দিয়ে যা মোড়ানো যায় তার বেশীর ভাগই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মোড়ানো যায়। বার্গার কিং, ম্যাকডোনালস, ডমিনোজ, পিৎজা হাট, কেএফসি ও সাবওয়ে এরুপ অধিকাংশ চেইন ফুড শপ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে রিসাইক্যাল কাগজ ও ওয়াক্স পেপার ব্যবহার করছে। যা তাদের পরিবেশ সচেতনার জন্য অনুসরনীয় একটা কাজ।
আমি প্লাস্টিক ব্যাগ ও ডিসপোজেবল কনটেইনার কম পছন্দ করি। সৌদি আরবে 'ওমড়া হজ্জ" করার সময় দেখলাম লক্ষ লক্ষ হাজীর জন্য ব্যাপক হারে প্লাস্টিক আর পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে। মাথা কামানোর জন্য বড় বড় পলিথিন গায়ে জড়িয়ে মাথা কামিয়ে সেই পলিথিন গারবেজ ব্যাগে ফেলে দিচ্ছে। খাবার কিনতে গেছেন। পলিথিনে ব্যাগ, প্লাস্টিক ওয়ান টাইম কনটেইনার, ডিসপোজেবল গ্লাস ইত্যাদি দিয়ে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে দিচ্ছে। এমন কি টেবিলে বিছিয়ে খাওয়ার জন্য বড় ডিসপোজেবল পলিথিনও দিচ্ছে। আমি সত্যি এত এত পলিথিনের ব্যবহার দেখে আতংকিত ছিলাম। ধর্মীয় তীর্থস্থান ও অনান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যেখানে পলিথিনের ব্যবহার বেশী সেসব স্থানে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও ডিসপোজেবল অ্যালুমিনিয়াম ক্যান এবং অ্যালুমিনিয়ামের কনটেইনারের ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। কাগজ বা রিসাইক্যাল কাগজের ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। যেখানে তরল নিতে হবে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কোটেট পেপার বা ওয়াক্স পেপারের ব্যবহার বাড়ানো যায়। মোট কথা প্লাস্টিকের শক্তিশালী বিকল্প হল অ্যালুমিনিয়াম এতে খরচ কিছুটা বেশী হলেও পরিবেশ বান্ধব। পরিবেশের কথা চিন্তা করে আমরা অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়াতে পারি। ঘরের জানালা দরজা অ্যালুমিনিয়ামে তৈরী হচ্ছে যা দীর্ঘ মেয়াদী। মরিচা পড়ে না। রিসাইক্যাল করা যায়। এখন সময় এসেছে ব্যবহৃত অনেক সামগ্রী প্লাস্টিকের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী করার। হয়ত অদুর ভবিষৎ এ অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে রিসাইক্যাল করার ক্ষমতা। তখন হয়তবা ৯০% অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যাল করা যাবে।
আমার অষ্টমশ্রেণী পড়ুয়া ছেলের কাছে জানতে চাইলাম পৃথিবীতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমান কত? ছেলে চটপট উত্তর দিল, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী মজুদ ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম একটি। পরে ইন্টারনেটে পেলাম বিদ্যমান ধাতুর মধ্যে ৮.২% অ্যালুমিনিয়াম। অপর দিকে এত ব্যবহারের পরও আয়রন মাত্র ৫% বিদ্যমান। মানে অ্যালুমিনিয়াম থেকে পৃথিবীতে আয়রন বা লোহার পরিমান কম। তবে আয়রন আকরিক প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম থেকে কম খরচ হয়। ফলে অ্যালুমিনিয়াম থেকে আয়রনের দাম কম ও আমরা চারিদিকে আয়রন বা লোহার ব্যবহার বেশী দেখতে পাই। অপর দিকে প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ বেশী বলে অ্যালুমিনিয়াম ভূপৃষ্ঠে বেশী থাকার পরও এর ব্যবহার কম। অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যালের পরিমান ৬৭% আর আয়রন রিসাইক্যাল ৫২%। অ্যালুমিনিয়াম বেশী রিসাইক্যাল হওয়ার কারনে তার দাম কমে আসবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
"ওয়ান টাইম ইউজ" অধিক প্রচলিত কিছু সামগ্রীর নাম। যা কিনা পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে পৃথিবীকেও "ওয়ান টাইম" করে দিচ্ছে। তাহলে উপায় প্লাষ্টিকের ব্যবহার কমানো আর যতটুকু প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় তা পুরো মাত্রায় রিসাইক্যাল করা। তবেই পরিবেশকে কিছুটা স্বস্থি দেয়া যাবে। আমি বরাবরই ওয়ান টাইম ব্যবহারের বিপক্ষে। কিছুদিন আগে আমার মা হাসপাতালে ভর্তি হলেন, মায়ের জন্য কিছু মূখরোচক খাবার প্রেরণ জরুরী। টিফিন ক্যারিয়ার দিয়ে লোক মারফত খাবার পাঠানো। পুনরায় টিফিন ক্যারিয়ার ধোয়া ফেরত আনা পুরো প্রক্রিয়াটা চ্যালেঞ্জিং। তখন বুদ্ধি আসল ওয়ান টাইম ফুড কনটেইনার ব্যবহার করা। অপরদিকে আমি আবার ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কনটেইনার ব্যবহারের বিপক্ষে তাহলে উপায় কি? উপায় আর কিছুই নয় অ্যালুমিনিয়ামের ওয়ান টাইম কনটেইনার ব্যবহার করা। প্লাস্টিক থেকে অ্যালুমিনিয়াম ওয়ান টাইম বক্সগুলি পরিবেশ বান্ধব। প্লাস্টিক পচে না। তবে অ্যালুমিনিয়াম ভুমির সাথে মিশে অতি ধীরে ধীরে। মাটির সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হবে ও এক সময় ক্ষদ্র ক্ষুদ্র কনা হয়ে মাটিতে মিশে যাবে। মাটিতে ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়ার জন্য এটা অধিক পরিমান পরিবেশ বান্ধব। অ্যালুমিনিয়াম প্লাস্টিক ওয়ানটাইম থেকে কিছুটা বেশী দাম হলেও এর পরিবেশ বান্ধব কোয়ালিটির জন্য ডিসপোজেবল ফুড কনটেইনারের জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার বাদ দিয়ে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়ানোটা অধিক জরুরী। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে ৯% প্লাস্টিক রিসাইক্যাল হয়। অপরদিকে অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যাল হয় ৬৭%। প্লাস্টিক ডিসপোজেবল ফুড কনটেইনার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে তার জায়গায় অ্যালুমিনিয়াম কোটেট কাগজের ফুড প্যাকেট, অ্যালুমিনিয়াম ক্যান, অ্যালুমিনিয়ামের নানা মাপের ওয়ানটাইম কন্টেইনারের ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে। প্লাস্টিক দিয়ে যা মোড়ানো যায় তার বেশীর ভাগই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মোড়ানো যায়। বার্গার কিং, ম্যাকডোনালস, ডমিনোজ, পিৎজা হাট, কেএফসি ও সাবওয়ে এরুপ অধিকাংশ চেইন ফুড শপ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে রিসাইক্যাল কাগজ ও ওয়াক্স পেপার ব্যবহার করছে। যা তাদের পরিবেশ সচেতনার জন্য অনুসরনীয় একটা কাজ।
আমি প্লাস্টিক ব্যাগ ও ডিসপোজেবল কনটেইনার কম পছন্দ করি। সৌদি আরবে 'ওমড়া হজ্জ" করার সময় দেখলাম লক্ষ লক্ষ হাজীর জন্য ব্যাপক হারে প্লাস্টিক আর পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে। মাথা কামানোর জন্য বড় বড় পলিথিন গায়ে জড়িয়ে মাথা কামিয়ে সেই পলিথিন গারবেজ ব্যাগে ফেলে দিচ্ছে। খাবার কিনতে গেছেন। পলিথিনে ব্যাগ, প্লাস্টিক ওয়ান টাইম কনটেইনার, ডিসপোজেবল গ্লাস ইত্যাদি দিয়ে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে দিচ্ছে। এমন কি টেবিলে বিছিয়ে খাওয়ার জন্য বড় ডিসপোজেবল পলিথিনও দিচ্ছে। আমি সত্যি এত এত পলিথিনের ব্যবহার দেখে আতংকিত ছিলাম। ধর্মীয় তীর্থস্থান ও অনান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যেখানে পলিথিনের ব্যবহার বেশী সেসব স্থানে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ও ডিসপোজেবল অ্যালুমিনিয়াম ক্যান এবং অ্যালুমিনিয়ামের কনটেইনারের ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। কাগজ বা রিসাইক্যাল কাগজের ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। যেখানে তরল নিতে হবে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কোটেট পেপার বা ওয়াক্স পেপারের ব্যবহার বাড়ানো যায়। মোট কথা প্লাস্টিকের শক্তিশালী বিকল্প হল অ্যালুমিনিয়াম এতে খরচ কিছুটা বেশী হলেও পরিবেশ বান্ধব। পরিবেশের কথা চিন্তা করে আমরা অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়াতে পারি। ঘরের জানালা দরজা অ্যালুমিনিয়ামে তৈরী হচ্ছে যা দীর্ঘ মেয়াদী। মরিচা পড়ে না। রিসাইক্যাল করা যায়। এখন সময় এসেছে ব্যবহৃত অনেক সামগ্রী প্লাস্টিকের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী করার। হয়ত অদুর ভবিষৎ এ অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বাড়বে। সেই সাথে বাড়বে রিসাইক্যাল করার ক্ষমতা। তখন হয়তবা ৯০% অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্যাল করা যাবে।
No comments:
Post a Comment