ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমার বাবা ও মা সবজি চাষ, ফল গাছ লাগানো, গরু, ছাগল, হাস, মুরগী পালন এই কাজগুলি করতেন। বাবা ও মা পরিবারের চাহিদা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য হতেই মিটাতেন। আমরা ছোটবেলা পেতাম বিষমুক্ত খাবার। ইঞ্জিনিয়ার বাবা যেখানে যেতেন টিএন্ডটি'র ওয়্যারলেস ডিপার্টমেন্টে চাকুরীর সুবাদে সরকারী কোয়ার্টার পেতেন আর আবাদ করার অনেক স্থান পেতেন। বাবা মায়ের সব কাজের মধ্যে সবজি ও ফল চাষ আমি জ্যানেটিক্যালী পেয়েছি। নোংরা করার কারণে গরু, ছাগল ও হাস মুরগী পালন পছন্দের তালিকায় আনতে পারিনি তার কারণ এগুলোর বিষ্ঠা ত্যাগ ও নিয়মিত পরিষ্কার থাকার জন্য অনেক অনেক বেশী শ্রম দিতে হয়।
সবজি বাগান আমার কাছে অনেক অনেক প্রিয় কাজ। আমার মাঝে ঘুরপাক খায় শহরে বাড়ীর উপর ছাদ বাগান। গত সেপ্টেম্বর ২০১৯ আমি হেলিকপ্টারে ঢাকা শহরের একটা অংশের উপর লো ফ্লাইং এর সুযোগ হয়। উত্তরার দিকে প্রায় ৮০% বাড়ীর উপর ছাদ বাগান দেখে আমার অনেক ভাল লেগেছে। ইউটিউব ও নানা টেলিভিশন প্রোগ্রাম ছাদ বাগানকে জনপ্রিয় করছে। শহুরে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ছাদ বাগান করাটা অনেক অনেক বেশী লাভজনক।
অনেকেই প্রায় ছাদেই প্রায় দুই/তিন শতাংশ জমির আকারে ছাদ বাগানে শাক সবজি যথেষ্ট পরিমাণে উতপাদনে সক্ষম। যা দিয়ে সহজেই পারিবারিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন। আমি অনেকেই দেখেছি ছাদ বাগানের সাথে চৌবাচ্চা বা ড্রামে মাছ চাষ করতে।
তাহলে নিশ্চিত ছাদের উপর শাক, সবজি, মাছ, মুরগী, কোয়েল ও কবুতর পালন করে একটা পরিবাবের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তবে বিপদ হয় যৌথ মালিকানার ছাদগুলো নিয়ে। তাতে ছাদ বাগান করার একটা জটিলতা হয়ে যায়। তবে অনেক ভাড়াটিয়াও মালিকের অনুমতি নিয়ে ছাদ বাগান করে। অনেকে আবার কমিউনিটির অনুমতি নিয়ে ছাদ বাগান করে। কয়েকদিন আগে ছাদ বাগানের গাছ কাটা ফেইস বুকে ভাইরাল হয়। পরিবেশবাদীরা অনেক অনেক ফল ফসলের চারা নিয়ে এগিয়ে আসে। এতে আসলেই বুঝা যায় মানুষ ছাদ বাগান ও পরিবেশ রক্ষায় কত সচেতন।
সবজি হল ও ফল হল। প্রোটিনের চাহিদা কিভাবে মিটবে তার জন্য প্রয়োজন মুরগীর চাষ। ডিম পাওয়া যাবে ও মাংস পাওয়া যাবে। তবে বিপদ হল মুরগীর বিষ্ঠা। যদিও তা পরিষ্কার করে ছাদ বাগানে দেয়া যায়। ছাদ বাগানে একটা ইকো সিস্টেম করা যায়। যেমন: ঘরের সমস্ত পচনশীল বর্জ্য কন্টেইনারে পচিয়ে ছাদ বাগানে ব্যবহার করা যাবে। ছাদ বাগানের মরা পাতা মরা ডাল ইত্যাদি পচিয়ে পুনরায় ছাদ বাগানে ব্যবহার করা যায়। এখন নারিকেলের ছোবড়া ও ডাস্ট ছাদ বাগানের মাটিকে রিপ্লেস করছে। গাছের চারা বা টবের সাথে কিছু মাটি উঠে আসলে বাকী কম্পোস্ট, বাড়ীর পচনশীল দ্রব্য ও বাগানের মরা পাতা ও মরা ডাল ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক দ্বারা শোধন করে কম্পোট ও এক ধরনের মালচিং তৈরী করা যায়। যা মাটির বিকল্প। পানি ধারক।
আমার বড় বোনের ছাদ বাগান দেখলাম। কোন ইনভেস্ট নাই। বড় সোয়াবিনের তৈলের প্লাস্টিক কন্টেইনার। এছাড়া অব্যবহৃত বা ব্যবহার অনুপযোগী নানা কন্টেনার দিয়ে সাজানো তার ছাদবাগান। গাছের চারা কি? সেটাও জিরো ইনভেস্টমেন্ট। পুইশাক ও কলমিশাক রান্নার কাটাকুটির সময় উৎছিস্ট শক্ত ডাটা কন্টেইনারে লাগিয়েছেন। কাকরুল,করল্লা ও টমেটো রান্নার কাটাকুটির সময় পাওয়া বিচি একইভাবে মরিচের বিচি কন্টেইনারে ফেলে বাগান। ভালই নাকি শাকসবজি খাওয়া চলছে। জানতে চাইলাম সার দেন কি? বলল রান্নার কাটাকুটি পচে সার। তবে পানি দিতে হয়। জানালেন, ছাদে কাপড় উঠানে নামানোর সময় বাগানে পানি লাগলে পাইপ আছে পানি দিয়ে দেই। বাগানটা ভালই মনে হল। জিরো ইনভেস্টের বাগান যা পাওয়া যাবে তাতেই সন্তুষ্টি।
আমি জিরো ইনভেস্টে বাগান করাটায় বেশ মজা পেলাম। আমি ৫০টা টবের বাগান শুরু করে পরিচর্যার অভাবে ফেল করেছিলাম। আরেকবার ব্যালকনীতে বাগানে ফেল করি তাতেও বিনিয়োগ মন্দ ছিল না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনকে মাসে দুই হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিচ্ছিলাম সে আমাকে চমৎকার বাগান করে দিয়েছিল। তবে আরো কয়েক জায়গায় বাগানের বিনিয়োগে ফেল করি। আমার বড় বোনের জিরো ইনভেস্ট বাগানের ভাল দিক হল কত বিনিয়োগ করলাম কত রিটার্ন পেলাম তার হিসাবটা জরুরী নয়।
জিরো ইনভেস্ট চাষাবাদ ভাল। ছাদের উপর জিরো ইনভেস্ট বাগানের পাশাপাশি লো ইনভেস্ট দেশী মুরগীর বা দেশী মাছের চাষ করা যায়। পুরাতন বড় বালতিতে বাজার থেকে কম দামে ছোট কই মাছ ও ছোট শিং মাছ কিনে পরিত্যক্ত বালতিতে জিয়ল মাছ চাষ শুরু করা যায়। খাবার হিসাবে জিয়ল মাছ কেনা হলে তার থেকে বেঁছে বেঁছে ছোট মাছগুলি বালতিতে বায়োফ্লস্কের মাধ্যমে চাষ করা যায়। বাজার থেকে ছোট সাইজের দেশী মুরগী ছাদে খাঁচায় রেখে পালন করা যায়। বড় হলে হয় ডিম পারবে নচেৎ মাংস খাওয়ার মুরগী হিসাবে পাওয়া যাবে। মাছের খাবার বা মুরগীর খাবার ঘরের ফেলে দেয়া উৎছিস্ট থেকে দেয়া যায়। রেশনের আটা চালুনি দিয়ে চেলে সেই ভুষি ও বেঁচে যাওয়া ভাত ইত্যাদি নানা খাবার দিয়ে আমার মায়ের মুরগী পালন চলত। পরিশেষে বলব, আমরা একটু নজর দিলে আমাদের শহরের ছাদগুলিও হতে পারে জিরো বা লো ইনভেস্টের ছাদ বাগান, ড্রামে মাছ ও খাঁচায় মুরগী পালনের এক মহা উদ্যোগ।
সবজি বাগান আমার কাছে অনেক অনেক প্রিয় কাজ। আমার মাঝে ঘুরপাক খায় শহরে বাড়ীর উপর ছাদ বাগান। গত সেপ্টেম্বর ২০১৯ আমি হেলিকপ্টারে ঢাকা শহরের একটা অংশের উপর লো ফ্লাইং এর সুযোগ হয়। উত্তরার দিকে প্রায় ৮০% বাড়ীর উপর ছাদ বাগান দেখে আমার অনেক ভাল লেগেছে। ইউটিউব ও নানা টেলিভিশন প্রোগ্রাম ছাদ বাগানকে জনপ্রিয় করছে। শহুরে মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ছাদ বাগান করাটা অনেক অনেক বেশী লাভজনক।
অনেকেই প্রায় ছাদেই প্রায় দুই/তিন শতাংশ জমির আকারে ছাদ বাগানে শাক সবজি যথেষ্ট পরিমাণে উতপাদনে সক্ষম। যা দিয়ে সহজেই পারিবারিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন। আমি অনেকেই দেখেছি ছাদ বাগানের সাথে চৌবাচ্চা বা ড্রামে মাছ চাষ করতে।
তাহলে নিশ্চিত ছাদের উপর শাক, সবজি, মাছ, মুরগী, কোয়েল ও কবুতর পালন করে একটা পরিবাবের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তবে বিপদ হয় যৌথ মালিকানার ছাদগুলো নিয়ে। তাতে ছাদ বাগান করার একটা জটিলতা হয়ে যায়। তবে অনেক ভাড়াটিয়াও মালিকের অনুমতি নিয়ে ছাদ বাগান করে। অনেকে আবার কমিউনিটির অনুমতি নিয়ে ছাদ বাগান করে। কয়েকদিন আগে ছাদ বাগানের গাছ কাটা ফেইস বুকে ভাইরাল হয়। পরিবেশবাদীরা অনেক অনেক ফল ফসলের চারা নিয়ে এগিয়ে আসে। এতে আসলেই বুঝা যায় মানুষ ছাদ বাগান ও পরিবেশ রক্ষায় কত সচেতন।
সবজি হল ও ফল হল। প্রোটিনের চাহিদা কিভাবে মিটবে তার জন্য প্রয়োজন মুরগীর চাষ। ডিম পাওয়া যাবে ও মাংস পাওয়া যাবে। তবে বিপদ হল মুরগীর বিষ্ঠা। যদিও তা পরিষ্কার করে ছাদ বাগানে দেয়া যায়। ছাদ বাগানে একটা ইকো সিস্টেম করা যায়। যেমন: ঘরের সমস্ত পচনশীল বর্জ্য কন্টেইনারে পচিয়ে ছাদ বাগানে ব্যবহার করা যাবে। ছাদ বাগানের মরা পাতা মরা ডাল ইত্যাদি পচিয়ে পুনরায় ছাদ বাগানে ব্যবহার করা যায়। এখন নারিকেলের ছোবড়া ও ডাস্ট ছাদ বাগানের মাটিকে রিপ্লেস করছে। গাছের চারা বা টবের সাথে কিছু মাটি উঠে আসলে বাকী কম্পোস্ট, বাড়ীর পচনশীল দ্রব্য ও বাগানের মরা পাতা ও মরা ডাল ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক দ্বারা শোধন করে কম্পোট ও এক ধরনের মালচিং তৈরী করা যায়। যা মাটির বিকল্প। পানি ধারক।
আমার বড় বোনের ছাদ বাগান দেখলাম। কোন ইনভেস্ট নাই। বড় সোয়াবিনের তৈলের প্লাস্টিক কন্টেইনার। এছাড়া অব্যবহৃত বা ব্যবহার অনুপযোগী নানা কন্টেনার দিয়ে সাজানো তার ছাদবাগান। গাছের চারা কি? সেটাও জিরো ইনভেস্টমেন্ট। পুইশাক ও কলমিশাক রান্নার কাটাকুটির সময় উৎছিস্ট শক্ত ডাটা কন্টেইনারে লাগিয়েছেন। কাকরুল,করল্লা ও টমেটো রান্নার কাটাকুটির সময় পাওয়া বিচি একইভাবে মরিচের বিচি কন্টেইনারে ফেলে বাগান। ভালই নাকি শাকসবজি খাওয়া চলছে। জানতে চাইলাম সার দেন কি? বলল রান্নার কাটাকুটি পচে সার। তবে পানি দিতে হয়। জানালেন, ছাদে কাপড় উঠানে নামানোর সময় বাগানে পানি লাগলে পাইপ আছে পানি দিয়ে দেই। বাগানটা ভালই মনে হল। জিরো ইনভেস্টের বাগান যা পাওয়া যাবে তাতেই সন্তুষ্টি।
আমি জিরো ইনভেস্টে বাগান করাটায় বেশ মজা পেলাম। আমি ৫০টা টবের বাগান শুরু করে পরিচর্যার অভাবে ফেল করেছিলাম। আরেকবার ব্যালকনীতে বাগানে ফেল করি তাতেও বিনিয়োগ মন্দ ছিল না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজনকে মাসে দুই হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিচ্ছিলাম সে আমাকে চমৎকার বাগান করে দিয়েছিল। তবে আরো কয়েক জায়গায় বাগানের বিনিয়োগে ফেল করি। আমার বড় বোনের জিরো ইনভেস্ট বাগানের ভাল দিক হল কত বিনিয়োগ করলাম কত রিটার্ন পেলাম তার হিসাবটা জরুরী নয়।
জিরো ইনভেস্ট চাষাবাদ ভাল। ছাদের উপর জিরো ইনভেস্ট বাগানের পাশাপাশি লো ইনভেস্ট দেশী মুরগীর বা দেশী মাছের চাষ করা যায়। পুরাতন বড় বালতিতে বাজার থেকে কম দামে ছোট কই মাছ ও ছোট শিং মাছ কিনে পরিত্যক্ত বালতিতে জিয়ল মাছ চাষ শুরু করা যায়। খাবার হিসাবে জিয়ল মাছ কেনা হলে তার থেকে বেঁছে বেঁছে ছোট মাছগুলি বালতিতে বায়োফ্লস্কের মাধ্যমে চাষ করা যায়। বাজার থেকে ছোট সাইজের দেশী মুরগী ছাদে খাঁচায় রেখে পালন করা যায়। বড় হলে হয় ডিম পারবে নচেৎ মাংস খাওয়ার মুরগী হিসাবে পাওয়া যাবে। মাছের খাবার বা মুরগীর খাবার ঘরের ফেলে দেয়া উৎছিস্ট থেকে দেয়া যায়। রেশনের আটা চালুনি দিয়ে চেলে সেই ভুষি ও বেঁচে যাওয়া ভাত ইত্যাদি নানা খাবার দিয়ে আমার মায়ের মুরগী পালন চলত। পরিশেষে বলব, আমরা একটু নজর দিলে আমাদের শহরের ছাদগুলিও হতে পারে জিরো বা লো ইনভেস্টের ছাদ বাগান, ড্রামে মাছ ও খাঁচায় মুরগী পালনের এক মহা উদ্যোগ।
No comments:
Post a Comment