এডিট করে স্বনির্বাচিত কলাম ২য় খন্ডে প্রকাশ
১। আমাদের প্রত্যেকের ভাগ্যের জন্য আমরা নিজেরা দায়ী। যখন যেদিকে ছাতা ধরা প্রয়োজন তখন সেদিকে ধরাটা না শিখলে জীবনভর ধরা খেতে হবে। এছাড়া কখনও উপরালার সাথে কেরামতি দেখাতে নাই।
১। আমাদের প্রত্যেকের ভাগ্যের জন্য আমরা নিজেরা দায়ী। যখন যেদিকে ছাতা ধরা প্রয়োজন তখন সেদিকে ধরাটা না শিখলে জীবনভর ধরা খেতে হবে। এছাড়া কখনও উপরালার সাথে কেরামতি দেখাতে নাই।
২।
এখন ইন্টারনেটের যুগে আমরা প্রত্যেকে অন্যদের সম্পর্কে কিছু না কিছু জানতে পারছি। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের সবাইকেই
পরিবর্তিত করে এটা বুঝতে হবে।
৩।
অগ্রগামী বন্ধুদের আমন্ত্রণে যাওয়ার পূর্বে যোগাযোগ ও অন্যান্য ব্যবস্থাদি
সম্পর্কে জেনে গেলে বউ বাচ্চাসহ অপমানিত হওয়ার ভয়টা থাকবে না। জীবনের
ব্যর্থতা ও সার্থকতা আপেক্ষিক বিষয়।
ক।
আজ ভাল আছি, আগামীকাল ক্ষুদ্র ভুলে হয়তবা আমরা যে কেহ গহীন
গহ্বরে পতিত হতে পাড়ি।
খ। সফলতার ধারাটা যে সবসময় ঊর্ধ্বমুখী থাকবে
তারও নিশ্চয়তা নাই।
৪।
একটি পর্যায়ে আসলে আমাদের নিজেদের সফলতাকেও ছাড়িয়ে যায় সন্তানদের সফলতা। তাই
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন ও ক্যারিয়ার গড়ার সামাজিকতা থেকে সন্তানদের
গড়ার চেষ্টা ও সময় ব্যয়টা অনেক বেশী কার্যকর।
৫।
নিজের গ্রাফটা যখন ঊর্ধ্বমুখী না হয়ে সমান্তরাল হয় তখন বিশেষ কিছু সুবিধা অর্জন
করা যায়।
ক। অফিস ও কাজের স্ট্রেস
কমে আসে কারন “জিরো এরর সিন্ড্রোম” ও “পারফেক্টসনিস্ট” হওয়ার টেনশন কমে যায়।
খ।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজে স্বাচ্ছন্দ্য আসে অতিরিক্ত
চাপ কম হয়।
গ।
চাপ-মুক্তভাবে ভবিষ্যৎ এর জন্য Goal
Setting এর জন্য বেশী সময় ও ফুসরত মিলে।
ঘ।
অফিসে হেটে যাওয়ার অভ্যাস, বাজারে যাওয়ার অভ্যাস ও সীমিত আয়ের মধ্যে জীবনধারণ করার
অনুশীলন করে গেলে কোনরূপ শারীরিক ও আর্থিক
দুর্ভাবনার সম্ভাবনা নাই।
ঙ। অফিস টাইমে ইন্টারনেট ব্রাউজ ও টেলিভিশন দেখা বাদ দিয়ে অফিসিয়াল কাজ,বই পড়া ও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকলে চাকুরীর ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক মানুষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি দ্বারা
কিছুটা বিব্রত হলেও মনটা প্রফুল্ল থাকবে। তবে সিগারেট ও মদ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা
ছাড়তে পারলে শরীর ও মন আরো ভাল থাকবে ।
৬।
নীচের কয়েকটি বিষয় মেনে চললে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকবেঃ
ক।
সকালে ও
বিকালে এক/দুই ঘণ্টা
হাটা।
খ।
একঘণ্টা ধর্মীয় বা মটিভেশনাল বই পড়া।
গ।
প্রোটিন রিচ ব্রেকফাস্ট পেট ভরে খেলে।
ঘ।
তিনটি বিষয় বাদ দিতে হবে:
(১) চিনি
জাতীয় খাবার
(২) ময়দার
তৈরি খাবার
(৩) লবণ।
৭।
আমাদের অনেক সময় বিশেষ করে অনগ্রসর পদবীতে নিন্ম মর্যাদায় কাজ করতে হয়। সে সময় কাজকে মনে করতে হবে "লো
ভেল্যু টাস্ক"। অন্যথায় কষ্ট বাড়বে। “লো
ভেল্যু টাস্ক" সম্ভব হলে অন্যদের ডেলিগেট করতে হবে, আর
যদি বস সাইজ করার জন্য করাতে চায় এবং ডেলিগেট করা সম্ভব না হলে "প্রায়োরিটি
টাস্ক" ও "হাই ভেল্যু টাস্কের" ফাকে ফাকে করতে হবে। তবে আমি দেখেছি অফিস টাইমে শুধুমাত্র অন্যদের বীরত্বগাথা না শুণলে, টিভি
দেখা ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং বাদ দিলেই প্রচুর সময় হাতে পাওয়া যায়। তখন অনেক
"লো ভেল্যু টাস্ক" করা সম্ভব হয়।
৮।
অনঅগ্রসর অবস্থায় যারা অবশিষ্ট দিনগুলো চাকুরী পূর্ন করে অবসর যেতে চায় তাদের মন ও ইমোশন নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত
জরুরী। অন্যথায়
চাকুরী ছেড়ে বিকল্প চিন্তাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৯।
পরিশেষে বলব, অনগ্রসর আমরা যারা আছি তাদের জন্য একটাই উপদেশ থাকবে, অনেক বেশী কর্মঠ হয়ে প্রচুর জীবনী শক্তি ধরে রাখতে হবে কারণ
জীবন যুদ্ধের অনেক দীর্ঘ পথ সামনে রয়েছে। আর ‘‘আর্থিক মুক্তির/Financial Freedom’’ চেষ্টা
সর্বদা বহাল রাখতে হবে।
সুতরাং, পরিশেষে
আমার উপদেশ হবে নিজের চামড়াটা গন্ডারের চামড়া তৈরি করে দুইটা বিষয়ে Goal Setting করাটাই
বুদ্ধিমানের কাজ।
ক। Financial Freedom’’ এর
লক্ষ্যে কাজ করা অর্থাত “নিজের যৌক্তিক চাহিদা অনুযায়ী সচ্ছল
জীবন ধারন করা”
খ।
সন্তানদের পৃথিবীর বুকে ‘ সৎ
ও সফল মানুষ’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা।
বন্ধু
বান্ধব ও আত্মীয় পরিজন কে কি বলল, আর কেউ দুই/এক মিনিট দিল কিনা, সন্মান দেখাল
কিনা সেটা মুলত: চিন্তা করলেই দু:খ বাড়বে। সেটা গুরুত্ব দিয়ে মন খারাপ করার কোন কারন নেই। জীবনটাকে প্রবাহিত রাখতে হবে বহমান নদীর মত।
No comments:
Post a Comment